যে তুমি পূজারী রাজার / অলোক কুন্ডু
যে তুমি পুরোহিত রাজার
প্রতিমায় ফুল দাও জল দাও
অবিনাশী অভয় শোনাও মন্ত্র থেকে মন্ত্রে
তোমার এই নিত্য উপাসনা
ঈশ্বর কিংবা হয়তোবা রাজার
তোমার মন্ত্রপূত জল রাজার মাথায় দাও
প্রত্যেকটি মন্ত্র তোমার রাজাকে বাঁচাতে
প্রজার বঞ্চনার কথা তুমি জানবে কীকরে
রাজার জন্য তোমার এই আজন্ম লালিত শ্রম
রাজাকেই ঘিরে
রাজার রক্ত মাখা হাত তোমার চরণ মাখে রোজ
তোমার প্রতিটি মন্ত্র উচ্চারণে
রক্ত চন্দন যেন রক্তের মতোই
তোমার উত্তরীয় মাখে প্রতিটি হিংসার উৎস
যে মন্তপূত পৈতে তোমাকে হিতৈষী করেছে রাজার
তুমি ভাবো সেই পৈতেই তোমার শক্তির পরিচয়
অথচ প্রতিটি অভিশাপ লেখা হয় প্রতিটি গাছায়
যে ধর্মে দীক্ষা নিয়েছে রাজা
রক্ত তাকে সাবলীল জানে
অভিসম্পাতগুলো ছারখার করতে তাকে
তুড়ি বাজালেই হলো
কিন্তু হে পূজারী তুমিতো রাজা নও
যে তুমি রাজার মন্দিরে থাকো
ভক্ত সমারোহে আকূল কান্নাজল তোমাকেই জানে
তোমার পায়ের ধুলো যে মাখে মাথায়
সে কেন সইবে বল দানবতন্ত্রের বাহুবল
কী তবে ধর্মের ভান্ডার সাজাও দুহাতে
ফুল চন্দন ধূপের গন্ধে কীসের তবে ওই উচ্চারণ
রাজাকে পাপী বলতে যে তুমি পারোনা
সে তবে ধর্ম নয় ফাঁকির অঙ্ক এক বড়ই অসুচি
পুরোহিত--তবে তুমি ভন্ড এক রক্তে মাখামাখি ।
© অলোক কুন্ডু
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন