ছট পুজোর ছুটি
===========
• বর্তমান সরকারের কাজকর্মের এবং তাদের কণামাত্র সাপোর্টার নই। গত কয়েক বছর শুরু হয়েছে এই ছুটি। তবু এদের আমলে হলেও ছট পুজোর ছুটি এই প্রথম সাধারণ ছুটির তালিকায় আসায় আমি খুশি। এজন্য সরকারের হয়তো ভোটের এক গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থ থাকলেও থাকতে পারে। ২০১১ পর এতদিনে এটা গুরুত্ব পেল। অবশ্যই ভোটের স্বার্থে এইসব। ২০১১ তে এসেই এই ছুটি দিলে সরকারের কাছে অবশ্যই কৃতজ্ঞ হতাম। সে যাই হোক এই নিয়ে আমার মাথায় যন্ত্রণা নেই। এখন এ বিষয়ে আমার কিছু কথা আছে। বিহার ও ইউ. পির কিছু অংশে ছটপুজোর মাহাত্ম্য দেখা যায়। বাঙালিদের মতো ঐতিহ্য উড়িয়ে ফুড়িয়ে এখনও দেয়নি এরা এখনো গাড়ি করেই হোক পদব্রজেই হোক খালি পায়ে দু দিন থাকে, দু দিন ধরে বড় জলাশয়ে স্নান করে এবং জল ও সূর্য এই বিমূর্ত আদি দেবতার কাছে নিজেদের উপাচার প্রদান করে। যা তারা শুদ্ধ আচারে নিজেরাই বানায় এবং পাড়া পড়শিকেও সেইসব বিতরণ করে। এরা যে সব উপাচার পুজোয় দেয় তা গরীব দোকানি থেকে ঠেলা ও রিকশায় শ্রমের বিকেন্দ্রীকরণ হয়। সব থেকে ভালো লাগে এরা ছট মায়ের জন্যে বিশাল ধর্মীয় খরচে যায়না। এরা ধর্মীয় বিষয়টি এখন হাটে বেচে দেয় নি। একেবারে ব্যক্তি ও পরিবারের মধ্যে ও ধর্মের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখে এবং শৃঙ্খলাবদ্ধ ভাবে জলের কাছে গিয়ে তাদের আরাধনায় পূণ্য খুঁজে পায়। সেখানে গিয়ে এরা তবেই সমাজের মিলনে, নিজেদের ধর্মের রক্ষক হিসেবে কৃতকর্মের বিধানগুলি সেরে নেয়। মিলিত হয়ে চাঁদা নিয়ে ধর্মের নামে বজ্জাতি নেই।
স্বাধীনতার সত্তর বছরে যে চিন্তা নিয়েই হোক
এতদিনে তাদের ধর্ম যে জেনারেলের তকমা পেল
এবং সম্মান পেল তার কৃতিত্ব বর্তমান সরকারের
প্রাপ্য একতরফা। পশ্চিমবঙ্গের শহর কেন্দ্রীক
বেশ কিছু বুথে এদের ভোট ৫০/৫০ দাঁড়িয়েছে
এই মূহুর্তে। হ্যায় রাম! একটা ছুটি তবে কি একটা ধর্ম জাতকে চেনাল ? এতে ওদের সঙ্গে আমিও খুশি হয়েছি। কারণ হিন্দু বাঙালির কর্তারা রোজ সকালে মাছ ও ফুল বাজার করার সময় একই হাতে করে বাড়ির গোড়ায় এসে হাত পাল্টে
প্রতিদিন মিথ্যাচার দিয়ে ধর্মের ধরনের যাগ
দর্শন করায়, আর স্ত্রীদের ধোঁকা দেয়। এখন মাছ ধরলে ফুলের জাত যায় কি না জানা নেই তবে বিশ্বাসের জাত খোয়া যায়। সে যাই হোক এখন মজার বিষয় হলো, ধর্মীয় ছুটিগুলি অন্য ধর্মের লোকেরাও লুটেপুটে নেয়। বিহারীদের এই
দ্বিচারিতা নেই। কিন্তু গরিষ্ট বাঙালি জাতি
এতদিন ভাবেনি এই ছটের ছুট নিয়ে। একটি ছুটিতে যে একটি অঙ্গরাজ্যের মর্যাদা বাড়ে
বিহার বাসীকে যে সম্মান দেওয়া যায় একথা
আমাদের মনেই ছিলনা। হ্যায় বাঙালি! হ্যায় রাম
--অলোক কুন্ডু ©®
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন