শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২০

গরিবদের হাতে নগদ পয়সা দাও এটা সঠিক নয়

■ গতবছর অভিজিৎ বিনায়কবাবু নোবেলজয়ী। আমাদের আনন্দ উদযাপনের একটুকরো আলো। 
গরিবের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অমর্ত্য সেনের থিওরীও বিশ্বজয় করেছিল। এক একজন মানুষ এক একটি এই যে আবিষ্কার করে ফেলেন তা থেকে এটা বোঝা যায় কিছু মানুষের উপকার হতে পারে অথবা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো মানবতার
পুজো গীতাঞ্জলিও তো আমাদের মননের থিওরী‌।
কিন্তু আশ্চর্য বিষয় গীতাঞ্জলি পড়ে বুঝে মেনে চলার লোক ভারতবর্ষে ১% হয়নি। তা যদি হোতো তাহলে বুথ জ্যাম করে রিগিং হতো না। হয়তো কোনও দেশে রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলি শতকরা একজন মানুষের চরিত্র পাল্টে দিতে পেরেছে, যা আমাদের গোচরে নেই। অমর্ত্য সেনের কিছু থিওরীও হয়তো কখনও কোনও সরকার কাজে লাগিয়েছেন। অভিজিৎ স্যারের থিওরীও নিয়ে বেশি করে বামপন্থীরা যে গত বছর চেঁচিয়ে ছিলেন তা কেমলমাত্র বিজেপিকে ঠেসে ধরতে। কারণ বামপন্থীরা ক্ষমতা পেয়ে এই দেশে সবচেয়ে বেশি
নিজেদের পরিবারের উন্নয়ন ঘটিয়েছেন। ইউনিয়নের মাধ্যমে একসময় ব্যাঙ্ক ও কয়লাখনিতে বড় বড় শিল্পাঞ্চলের সিংহভাগ চাকরি তারা নিজেরা নিয়ে নিয়েছেন‌। এখানে ৩৪ বছরে স্কুলের চাকরি থেকে গ্রামের উন্নয়ন আসলে তাদের পরিবারের উন্নয়ন হয়েছে অনেকটাই। তাদের সৌভাগ্য তারা স্বাধীনতার সময় থেকেই পূর্ববঙ্গ ও বাংলাদেশের নিপীড়িত বাঙালির বৃহত্তম অংশকে বংশ পরম্পরায় সঙ্গে পেয়েছিলেন। আজও সেই পরিবার ক্ষয়ক্ষতির পর‌ও ৭% এ এসে রয়ে গেছে। তাই অভিজিৎ স্যারের থিওরি যতটা ভালো তার চেয়ে বামেদের চিৎকারে তা ফুলেফেঁপে ঢোলের মতো অনেকটা।
নোবেল পাওয়া মানে তো মানবজাতির সামনে একটা মহা উপকারী দিগদর্শনের ঘোষণা হ‌ওয়া, তাকে খারাপ বলা অত্যন্ত ক্ষতিকর। রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলি যদি ১% লোক পড়েও থাকেন তবুও তার ফলিত চর্চা জীবনে শূণ্য। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলির মলাট পুজো হয়তো ১০% হয়ে যাবে।
অর্থাৎ নোবেলজয়ী মানুষের খ্যাতিকে পূজো করলেও তার আসল বিষয়বস্তুটি চিরকাল আমাদের অজ্ঞাত রয়ে গেছে, আগেই বলেছি পৃথিবীতে যারা এই চর্চা আজও বাঁচিয়ে রেখেছেন তাঁরাই গীতাঞ্জলি ও নোবেলের আসল ফলোয়ার।
তেমনি অভিজিৎ স্যারের থিওরীও হয়তো কোথাও কাজে লাগবে। নোবেলজয় এই কারণে তাঁকে আর‌ও উচ্চতর ভাবনায় উৎসাহ দেওয়া। কিন্তু অভিজিৎ বাবু নোবেলজয়ের পর তার থিওরির মতো করে এই দেশের অর্থনীতির কিছুটা চালাতে বলছেন এবং বামপন্থীরা তার পোঁ ধরছেন এ বড়
ভুল আব্দার। এটা জানা দরকার যে ওনার কিছু কিছু থিওরি কেবলমাত্র তৃতীয় বিশ্বের দেশ ছাড়া চলতে পারেনা । উনি নিজে থিসিস লেখার আগেই বিশ্বব্যাপী এনজিও খুলেছিলেন যা থেকে এক‌ই সঙ্গে ওনার এনজিওর লাভ হয়েছে যা আমাদের কাছে একটা আর্থিক সাফল্য। ব্যবসার মতো করে তা তিনি পেয়েছেন । একটা অন্য উদাহরণ দি‌ই
আমাদের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি , রাধাকৃষ্ণন মহাশয় বক্তৃতা দিয়ে সারা বিশ্ব থেকে উপার্জন করতেন।
লিখেও উপার্জন করতেন। থিওরি বলতেন। যার সমাজ জীবনে কোনও প্রভাব‌ই পড়েনি। কিন্তু তিনি সেই উপার্জন থেকে দান করে গেছেন ( চারিত্রিক গুণাবলী নিয়ে কথা বলছি না)। কিন্তু অভিজিৎ স্যার প্রথম শ্রেণির প্রথম ছাত্র। ১০০ দিনের কাজেও মনমোহন সিংহের প্রস্তাবে সহমত ছিলেন এবং থিওরি সাপ্লাই করেছেন। ১০০ দিনের কাজে বাজেট বৃদ্ধি না হলে দেখবেন চারিদিকে হৈ হৈ পড়ে যাবে। কেউ ভেবে দেখেছেন কি এই ১০০ দিন নিয়ে গ্রাম-শহরে কী ভয়ানক দুর্নীতি রয়েছে। কি ভয়ানক একটা পার্টিবাজি রয়েছে আর চলছে এবং কর্মে একটা অনীহা তৈরি হয়েছে। বসে বসে খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে । সরকার যখন " ফলিত বিজ্ঞান"-এর উন্নয়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে তখন সরকার নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় ভর্তুকি দিয়ে নিজেকে জনকল্যাণমূলক সরকার বলে প্রচার করছেন। এর থেকে বড় ভন্ডামি আর বড় বেদনা
আর কি হতে পারে। নোবেল একটি বিশ্বমানের বিশ্বজনীন বিষয়। নিশ্চিত অর্থনীতির নোবেল‌ও মানবতাবিরোধী নয়। তবে অর্থনীতির এই নোবেলে প্রাপ্তির মধ্যে বিশ্বব্যাংকের প্রভাব যথেষ্ট রয়েছে। অভিজিতস্যার এক‌ই সঙ্গে আর একটি থিওরি পাশাপাশি রেখেছেন যা হলো গ্রামে কোয়াক ডাক্তারের সাহায্যে গ্রামের চিকিৎসা ব্যবস্থা টিঁকিয়ে রাখা। এর জন্য তাঁর এনজিও তিন বছর ধরে বীরভূমে বিশ্বব্যাংক ও সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা নিয়ে থিসিস সাবমিট করে বিশ্বের নজর কেড়েছেন। এই কাজটা করেছেন ওনার স্বামী-স্ত্রীর যৌথ ব্যবস্থাপনা তৈরি একটি
এনজিও। যার মালিক তিনি নিজে। এই প্রজেক্টের জন্য তিনি পৃথিবীর আর কোনও জায়গাকেও বাছেননি। বেছেছেন নিজের মাতৃভাষা ও ভূমিকে এবং একটা পিছিয়ে পড়া জেলাকে। রাজনীতির ডামাডোলে বিখ্যাত এক জেলাকে। যেখান থেকে এবিপি আনন্দে তিনি ২০১২ সেরা বাঙালি হয়েছিলেন। সে কারণে বক্তৃতাও করেছেন নোবল প্রাপ্তির পর বাঙলাতে আংশিক ভাবে। কারণ তার নোবেল প্রাপ্তির আর একটি বড় অংশের দাবি পড়ে আছে বীরভূমে। চিকিৎসকদের কাছে তার এই দ্বিতীয় আবিষ্কার হলো, চিকিৎসা ব্যবস্থার এক প্রকার পিন্ডি পাকানোর চেষ্টা। অথচ সারা ভারতের হাসপাতাল ভরিয়ে রেখেছেন গ্রামের মানুষ। যদিও কোয়াক ডাক্তার সঙ্গে নিয়েই এই দেশের গ্রামের হাসপাতাল চলে যাচ্ছে। গ্রামে চাকরি করতে গিয়ে হাসপাতাল থেকে ওষুধের দোকানে রেজিস্টারড ও আন-রেজিস্টারড কোয়াক ডাক্তার ছাড়া যে চিকিৎসা ব্যবস্থা টিঁকিয়ে রাখা যাবে না এটা ১০০ ভাগ সত্য। আর এই ব্যবস্থাটাতেই শিলমোহর দিতে চাইছেন। কিন্তু কোয়াক দিয়ে চিকিৎসা চলে আসা আর একজন নোবেলজয়ীর তাতে শিলমোহর দেওয়ার মধ্যে বিস্তর ফারাকটা তিনি এক ঝটকায় নামিয়ে দিয়েছেন। দুঃখের ও জীবনের ক্ষয়ক্ষতির প্রভূত পরিমাণ সম্ভাবনা যে এতে লুকিয়ে আছে সেটা আর কে না জানেন। তার মূল আবিস্কারের অন্যটি হলো গরীবের হাতে ছ হাজার টাকার সাহায্য । কেন তাকে সামলম্বি করা। কিন্তু আর একজন এই পৃথিবীতে থিসিস সাবমিট করে দেখিয়েছেন যে গরীবকে সাহায্য করলেও সেই সাহায্য ব্যক্তির চাষবাসে ও ব্যবসার উন্নয়ণ হলেও সেই পরিবারের শিক্ষা, ক্রয় ক্ষমতা ও গৃহপরিবেশের উন্নয়ন হয়নি। তাদের নারী শিশু এক‌ই জায়গায় রয়ে গেছে ও সামাজিক স্বাস্থ্যের বৈষম্যগুলি এক‌ই রয়ে গেছে। এইসব জেনে আমাদের বরং খোল করতাল নিয়ে পথে নেমে পড়া অনেক ভালো। আমরা যদি এই মূহুর্ত্তে জলন্ধর ও গাজিয়াবাদে এই দেশের মেশিনারি শিল্পের কিছু উন্নয়ন দেখা পাচ্ছিলাম তা এই ভর্তুকি নীততে সেখানেও অনীহা আসতে বাধ্য হবে। গান্ধিজি তখনকার পরিবেশে সকলকে সূতা কেটে উপার্জনের চিন্তা করেছিলেন কিন্তু তিনি তো ১৯৪৮ প্রয়াত। তারপর পৃথিবী উল্টেপাল্টে এক‌ই সঙ্গে আর‌ও নিটোল ও কঠিন হয়েছে। আপনারা দেখুন এদেশের নেতারা ১৯৪৮-এই পড়ে রয়েছেন । থিসিস ঘুরেফিরে সাবমিট হচ্ছে। গরীবকে আর‌ও গরীব করার বাসনা অক্ষুন্ন আছে ভেতরের মজ্জায়।  অভিজিৎ স্যার নিজের জীবনে বাইরে থেকে সিনেমা দেখার মতো করে দারিদ্র উপভোগ করেছেন দারিদ্র্যের মধ্যে জীবনেও থাকেননি। পড়েছেন সাউথ পয়েন্টে। তবে কি অবজারভেশন পাওয়ার হতে বাধা আছে বড়লোক হলে? এ প্রশ্ন আমারও শিক্ষা কি গরিবের কি বড়লোকের এটা দেখতে ও বলতে খুব সোজা যেখানে হয় তারা জানে কত কঠিন। তবুও শিক্ষা বড়লোক গরিব দেখে আসেনা। এক্ষেত্রে অভিজিৎ স্যার ও অমর্ত্য স্যারের জন্ম সোনার চামচ দিয়ে হলেও তাঁরা কিন্তু গরিবদের জন্য ভেবেই বড় হয়েছেন। তাই কোনও মানুষকে চরিত্র ঠিক করতে বলা আমার কাজ নয় কারণ চরিত্রের পাঠ নিয়েই তিনি বা তাঁরা শিক্ষক ও শিক্ষিত হয়েছেন। কিন্তু আমাদের দেশ একটি বৃহত্তর রাষ্ট্র তার। কোটি কোটি সন্তানদের মধ্যে দু একজন নোবেল পেতেই পারেন। তিনি বাঙালি হলেও বিদেশী হলেও আমার তাতে হিংসে দুঃখ কষ্ট কিছু নেই। কিন্তু বাঙালি হিসেবে তারজন্য আনন্দ হলেও যার জন্যে আনন্দ করছি যে কারণে আজ আমরা আনন্দ করছি ভেবে দেখুন তিনি কিন্তু আমাদের কেউ নন। তিনি আমাদের ভারতীয় সমাজ ব্যবস্থার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারেন হয়তো বলবেন‌। তারতে থাকলে তপন রায়চৌধুরী থেকে অমর্ত্য সেন বিনায়ক স্যার কেউই আবিস্কার করতে পারতেন না বড় গবেষক হ‌ওয়ার মতো পরিকাঠামো এখানে নেই। তাই তারা বিদেশী হয়েছেন। তবে বিদেশে থাকলে আত্ম বিসর্জন দেওয়া ছাড়া তো পথ‌ও নাই। সনাতন ভারতীয় পন্থা না নিয়ে বিদেশের সমাজে বহুল প্রচলিত ডিভোর্স নীতিতেও তিনি বিশ্বাসী হয়েছেন। আসলে তিনি কিন্তু একজন সর্বত্যাগী মানুষ নন।  ব্যক্তিগত লাভের জন্য সামাজিক স্বীকৃতি উনি মানতে চাননি। এই ভারত ও তার পরিবারের স্বীকৃতি বিসর্জন দিতে পেরেছেন বলেই আজ তিনি হয়তো একটি থিওরির জন্ম দিয়েছেন । সেই জন্য ওনার চরিত্রহনন করাও ঠিক নয় । উনি শিক্ষার উন্নয়ন তো করেছেন বটেই। যদিও এর পরীক্ষা হয়নি তেমন। কিন্তু উনি নোবেল প্রাপ্ত হয়েই নিজের ফরম্যাট ভারতের অর্থনীতিতে চাপানোর জোর চেষ্টা করেছেন এবং প্রথমেই ভারতের সমালোচনা করেছেন। জিডিপি নিয়ে কথা বলেছেন। বলতেই পারেন। খানিকটা রাজনৈতিক পরিসরে নেমেও পড়েছেন। তারপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, তার জানা নেই। আশ্চর্য উনি নোবেলে সম্মানিত অথচ কীভাবে ভারতের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে তার
ভাসাভাসা আলোচনা করেছেন। সাম্প্রতিক
ট্যাক্সের সমালোচনা করেছেন । দিশা তেমনভাবে দেখাননি। ওনার দিশা হচ্ছে এনজিওর মাধ্যমে ভর্তুকি প্রদান করলে গরীবের উন্নয়ন ঘটবে। কিন্তু কোথা থেকে ওই আর্থিক দায় আসবে ? আর কারা সেই রামকৃষ্ণ মিশনের মতো হবেন ? উনি তো বিশ্বের সকল দেশের জন্য নোবেল পেয়েছেন কিন্তু ভারত নিয়ে আলোচনা করতে গেলেন কেন ? আসলে উনি একজন রাজনৈতিক ছাত্র‌ও ছিলেন। উনি দেশে না থাকলেও ওনার এনজিওর পরীক্ষা চালাতে ভারতের বাংলাকেই বেছে নিয়েছিলেন। তাই বাংলায় বলেছেন সাংবাদিকদের কাছে। নোবেল পেয়ে কোনও ব্যক্তি কোনও দেশের সবকিছু পাল্টে দেবেন ও দিতে পারেন এই আশা করাও আমাদের অন্যায়। কিন্তু আখের গোছানো বামপন্থীদের বক্তব্য কিন্তু তাই। রবীন্দ্রনাথের নোবেল প্রাপ্তিতে কখন‌ই ভারতবাসীকে তিনি গীতাঞ্জলি লিখতে বলেননি। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ না বললেও ইনি প্রচ্ছন্নভাবে বলতে চেয়েছেন তাঁর থিওরি দেশ মেনে নিক। কেন ? তা মানবে ? আমাদের কালাম সাহেব ফলিত বিজ্ঞানের চর্চায় দেশকে গর্বিত করে গেছেন এবং তাঁর গবেষণা দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার কাজে লেগেছে। কিন্তু কালাম সাহেব তার জন্যে নোবেলের মতো কিছু পাননি বটে কিন্তু সমগ্র বাঙালি সহ সমস্ত জাতি তার সমস্ত জাত্যাভিমান নিয়ে দক্ষিণী কালাম সাহেবকে দু হাতে সম্মান জানিয়েছেন‌। দেশকে শুধুমাত্র অর্থনীতির একটি অপরীক্ষিত থিওরি নিয়ে হৈচৈ করলেই চলবে না, তাকে
চীনের মেশিনারি শিল্প কীভাবে এগোয় সে কথা ভাবতে হবে। কী কংগ্রেসের কী বিজেপির। তা নাহলে ভারতীয়রা কাউকে বেশিদিন সহ‍্য করবে 
না। অমর্ত্য স্যার ও অভিজিৎ স্যাররা জানেন চীন কি থেকে কি হয়েছে। চরম বিপর্যয় থেকে আজ চীন উঠে এসেছে, মেশিনারিজ শিল্পের সঙ্গে নাগরিকদের যুক্ত করার ফলে। প্রযুক্তির আবিষ্কার বাড়াও এই স্বপ্ন থেকেই আজ ভারতকে লাদাকে জব্দ করার বাসনা তাদের পেয়ে বসেছে। গরিবকে ভর্তুকি দিয়ে দেশকে পিছিয়ে দেওয়ার এই সর্বনাশ আজ আমাদের নেতাদের রক্ত মাংস মজ্জা গ্রাস করে নিয়েছে। আমরা শুধু শুধু কেন অভিজিৎ বাবুর থিওরি ভারতের ঘাড়ে চাপাতে চাইছি এবং প্যান্ট খুলে নাচতে নেমে গেছি ? নোবেলের জন্যে পৃথিবীবাসী গর্বিত হোক। শিক্ষিতের পুজো সর্বত্র হোক জাত্যাভিমান দিয়ে নয়, গরিবদের হাতে নগদ টাকা দিয়ে নয়। ©® অলোক কুন্ডু 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

প্রয়াত তরুণ মজুমদার--অলোক কুন্ডু

#তরুণ_মজুমদার_চলেগেলেন অধিকার এই শিরোনামে--কয়লাখনির শ্রমিকদের জন্য ডকুমেন্টারি বানিয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত পরিচালক তরুণ মজুমদার। ছিলেন আজীবন বাম...