শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২০

রাজ্য রাজনীতি সরগরম : অলোক কুন্ডু

রাজ্য রাজনীতি সরগরম: অলোক কুন্ডু

⛔ আজ ( ১৩.১১.২০২০) শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক উপদেষ্টা পিকে-কে পৌঁছতে হলো শুভেন্দুদের বাড়ি। এইথেকে পরিষ্কার হলো যে শুভেন্দু যা বলেছেন তার ভিত্তি আছে। এই মূহুর্তে শুভেন্দুর যে একতরফা জয় ,ক্ষমতা ও ভোট বেড়ে গেল একথা অনস্বীকার্য। ইদানীং কিন্তু সেখানে বিজেপিও একটা মাটি খুঁজে নিচ্ছিল। বিশেষ করে অমুসলিম এলাকাগুলো এখন ভেতরে ভেতরে বিজেপিও দাপট দেখাতে আসরে নেমে পড়েছিল। সব থেকে বড় বিষয় হলো, এই কদিন নেট দুনিয়ার রাজনীতি চর্চায় একমাত্র শুভেন্দু অধিকারীর নাম উঠে আসছিল, সমস্ত চ্যানেলজুড়ে। এখন আবার নন্দীগ্রাম রাজ্যের রাজনৈতিক আসরে মূল ভরকেন্দ্র বা এপি-সেন্টার হয়ে দাঁড়িয়ে গেল। এবারে নির্বাচনে যদি শুভেন্দু নিজের এই ইমেজ ধরে রাখতে পারে তবে পূর্ব মেদিনীপুরে, বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস দুটো দলই এখন শুভেন্দুকে কাছে টানতে চাইবে। এতদিন পরে এই যে শুভেন্দুর প্রকাশ্য উত্থান, এই যে জাত চেনানো, এতে করে এই পর্বটি যদি তিনি ২০২১-এর নির্বাচন পর্যন্ত টেনে নিয়ে যেতে পারেন তবে শুভেন্দু অধিকারী আগামী নির্বাচনে তার মনোনীত ৪০-৫০ জন সমর্থককে টিকিট দিতে সমর্থ হবেন এবং জিতিয়ে আনবেন এবং তা তৃণমূলে থেকেই। আর যদি তিনি নিজেই একটি দল গড়ে ফেলেন তবে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি এই দুটি প্রধান দলকেও ভাবনায় ফেল দিতে পারবেন। যাই হোক না কেন, শুভেন্দু এখন চাইলেই তৃণমূলের দ্বিতীয় ব্যক্তি হতে পারবেন অথবা নিজের দল গড়ে জোট রাজনীতিকে মদত দেবেন। এখনও শুভেন্দুকে কেউ সাম্প্রদায়িক বলতে পারেননি এখনও বরং তার সহযোগীদের মধ্যে মুসলিম সমাজের ভালো কিছু নেতারাও আছেন। সেইদিক থেকে শুভেন্দু রাজনৈতিক স্তরে এখন একটা ভালো জায়গায় আছেন। সঙ্গে শিশির অধিকারীর মতো দুঁদে রাজনৈতিক নেতা আছেন যাকে পূর্ব-মেদিনীপুরের মানুষ যথেষ্ট শ্রদ্ধা করেন।
•২০১১ নয়, বরং ১৯৯৬ ২০০১ ২০০৬ প্রতিটি নির্বাচনে শুভেন্দুদের সঙ্গে জনজোয়ার ছিল। প্রতিটি নির্বাচনেই মনে হয়েছে এই বুঝি পূর্ব মেদিনীপুর বামেদের হাতছাড়া হলো কিন্তু শেষ মূহুর্তে সব ফল গুলিয়ে গেছে তার কারণ রাজ্যবাসী জানেন। জনগণ সঙ্গে থেকেও শুভেন্দুরা রাজ্যের ক্ষমতা পাননি সেইসব এখন তথ্য ও ইতিহাসে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। নন্দীগ্রাম আন্দোলনের খবর সারা ভারতে ছড়িয়ে গিয়েছিল। এতটাই ছিল তার ব্যাপ্তি যে তার কম্পনে রাজ্য নড়ে গিয়েছিল। নন্দীগ্রামের অনেক মানুষ এখনও নিখোঁজ। সেই সময় বাইরে থেকে ঢুকতে রীতিমতো ক্ষমতা লাগতো। শুধুমাত্র নকশাল, শুধুমাত্র কোনও একটি রাজনৈতিক দলের পৌঁছনোর শুধুমাত্র বুদ্ধিজীবীদের পৌঁছে যাওয়া স্বপ্ন ছিল যদি না পেছন থেকে শুভেন্দুরা মদত দিতো।
শুভেন্দুরও প্রচুর সহযোগিতা ছিল, আশ্রয় দেওয়া
অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসার সাপোর্ট দেওয়া। তাৎক্ষণিকভাবে অধিকারীদের সমর্থনে তাই বাম বুদ্ধিজীবীরাও ভেতরে গিয়ে আন্দোলনের একজন হতে পেরেছিলেন। তা না হলে যেভাবে লাশ গায়েব তখন পদ্ধতি হয়ে গিয়েছিল তাতে করে কলকাতা থেকে মদত দেওয়া কঠিন হোতো। এইসব তো পুরনো কথা শুভেন্দু যা বলতে চান। শুভেন্দু বক্তব্যের মধ্যে বলেননি তিনি বা তারা পাশে ছিলেন। বলেছেন নন্দীগ্রাম লড়েছে, স্থানীয় মানুষের আবেগকে রীতিমতো সম্মাননা দিয়েছেন। তাই এখন শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে আসর সরগরম। হ্যাঁ রাজনৈতিক আসর সরগরম।
•অনেকে বলছেন শুভেন্দু অধিকারী বি. জে. পি-তে যাচ্ছেন। আমার মনে হয়, তা একদমই নয়। তবে বহুদিন থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসন অনেক পুরনো তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মেনে নিতে চাইছিলেন না। শুভেন্দু অধিকারীর এই নিভৃত উষ্মা তারই নামান্তর। তৃণমূলের একগুচ্ছ দলে ভেড়া নেতা তিনি মোটেই নন। আদতে তিনি ছিলেন যুব গোষ্ঠীর প্রধান নেতা।
পূর্ব-মেদিনীপুরের অধিকারী পরিবারকে বামেরাও জব্দ করে রাখতে পারেনি, যদিও সেখানে মমতা ব্যানার্জীর নেতৃত্ব শুভেন্দুকে সব সময় সাপোর্ট দিয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মলগ্ন থেকে যদি ভালো করে এলাকাগুলো বেছে বেছে দেখেন তবে দেখবেন মেদিনীপুর ও পূর্ব-মেদিনীপুরে বামফ্রন্টের যতটা দুর্গ ছিল বলে মনে করা হয় তার থেকে বেশি দুর্গ ছিল লক্ষণ শেঠের ব্যক্তিগত দীপক সরকার শুকুর আলীদের ব্যক্তিগত সাম্রাজ্য। বিশেষ করে পূর্ব মেদিনীপুর লক্ষণ শেঠের সাম্রাজ্য ছিল। কিন্তু লক্ষণ শেঠও অধিকারী পরিবারকে জব্দ করে রাখতে পারেনি। আবার তৃণমূলে, লক্ষণ শেঠের ঢোকার যাও একটা চান্স পরিবর্তী সময়ে হয়েছিল তাও শুভেন্দুদের জন্য হয় নি। অবশ্য নন্দীগ্রাম না হলে সেখানে কিন্তু তৎকালীন সময়ে বি.জে.পি ও কংগ্রেসের লড়াইটা ছিল বামেদের বিরুদ্ধে মাটি উদ্ধারের লড়াই। কিন্তু ১৯৯৬-এ কংগ্রেস থেকে মমতা ব্যানার্জীকে বহিষ্কার করার পর সেই লড়াইয়ের একমাত্র নেতা ও নেত্রী ছিলেন মমতা ব্যানার্জী ও তৃণমূল কংগ্রেস। কেশপুর থেকে বাঁকুড়ার চমকাইতলা কিংবা সুচপুর তখন পশ্চিমবঙ্গের ম্যাপে জ্বলছে। নন্দীগ্রাম নয়। নন্দীগ্রাম শেষ পেরেক হলেও পূর্ব মেদিনীপুর থেকে একমাত্র অধিকারী ভাইরা পশ্চিমের লড়াইয়ে শুকুর আলী দীপক সরকারদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছিলেন। মানস ভূঁইয়া কিন্তু কংগ্রেসে থেকে নিজের কেন্দ্রীটি শুধুমাত্র বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। পাশেই শুভেন্দুদের চৌকস লড়াই ছিল বলে তা সম্ভব হয়েছিল। তা নাহলে তার পক্ষেও বাম আমলে লক্ষণ শেঠের হাত থেকে জমি উদ্ধার করার সমস্যা ছিল। কিন্তু সি. পি. এমের এই জেলায় একটা দোটানার রাজনীতি ছিল। তা হলো তারা কিছুতেই মাইনাস লক্ষণ শেঠ ও পূর্ব মেদিনীপুরকে ভাবতে পারেননি। আর লক্ষণ শেঠও বাম-পার্টির তৃণমূলস্তরকে সেখানে বাড়তে দেননি। লক্ষণ শেঠের দায়িত্ব ছিল সি.পি.এম-এর কাঁড়ি খানেক সহযোগী সংগঠনের বড় বড় রাজ্য সম্মেলন সফল করানো সেখানে। কি হতো তখন। এক একটি ইউনিয়ন বা সংগঠন পূর্ব-মেদিনীপুরের এক একটি স্থানে তিনদিন ধরে গান্ডেপিন্ডে মাছ ভাত, মাংস ভাত বিরিয়ানি খেয়ে স্থানীয় ভাবে মিছিল মিটিং করে ফেরত চলে যেত। ব্যানারে, ফেস্টুনে লাল কাপড়ে এলাকা ছেয়ে যেত। খরচ সব লক্ষণ শেঠের। এমনকি হলদিয়া উৎসবে, এলিতেলি কবিরাও গিয়ে বামপন্থী কবিতা আউড়ে, তিনদিন গান্ডেপিন্ডে খেত এবং গাদা উপহার নিয়ে ঘরে ফিরতো। আখেরে বামেদের মাটি ধসতেই থাকতো। সাধারণভাবে বিপ্লবের মাটি মেদিনীপুর তা মেনে নেয়নি, এইসব বেনিয়মকে সহ্য করেনি। সেই মাটিকে শিশির অধিকারীর মতো মানুষরা ভোটের বাক্সে সযত্নে সংগ্রহ করে রেখেছিলেন। শুভেন্দু তার অন্যতম কারিগর। কনটাই কো-অপারেটিভ তখনও তারা বে-হাত হতে দেননি। পারিবারিক ব্যবসা, জায়গাজমি, প্রতিপত্তি, নগদ টাকা সবকিছু তারা দিয়েছেন রাজনীতির স্বার্থে। বামেদের মধ্যে সোস্যালিস্ট পার্টি, ফরোয়ার্ড ব্লক, সিপিআই, আরএসপি থাকলেও সকলকে একঘরে করে রেখেছিলেন লক্ষণ শেঠ। যার ফলে অন্য বাম দলগুলোর সহানুভূতি ছিল শুভেন্দুর সঙ্গে। সকলেই চেয়েছিলেন লক্ষণ শেঠকে হঠাতে। শক্তিশালীতায়, অর্থে লোকবলে দ্বিতীয় দল ছিল প্রথমে কংগ্রেস তারপর ১৯৯৬থেকে তৃণমূল কংগ্রেস। যে কারণে ১৯৯৬-এ দ্বিতীয় বড় সভা হয়েছিল শিশির অধিকারীর আহ্বানে এবং রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়কে আনন্দবাজার পাঠিয়েছিল মমতা ব্যানার্জীর গাড়িতে সেই জনস্রোতকে কাগজের প্রথম পাতায় তুলে আনতে।
ইংরেজি সাহিত্যের রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় তার আগে কখনও রাজনৈতিক আসরের বিবরণ লেখেননি। রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের টানটান গদ্যে একদিনেই তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থান হয়েছিল সারা বিশ্বজুড়ে।
পরেরদিন আনন্দবাজারের একটাও কপি আর পাওয়া যায়নি।
•পশ্চিম মেদিনীপুরের দীপক-তপন-শুকুর ও পূর্বে লক্ষণ ও তাদের অনুগামীরা দিন দিন বড়লোক, পয়সাওয়ালা হতে থাকার সঙ্গে সঙ্গে তাদের এলাকায় তাদের একমাত্র কাজ হয়ে দাঁড়ায় সিপিএম-কে জেতানো। এর ফলে ভোট করতে না দেওয়াতে মানুষের বিরোধিতা বাড়তে থাকে। যত গ্রাম ঘিরে ফেলা হতে থাকলো, তত শুভেন্দুদের ঝুঁকি ও ঝাঁজও বাড়তে থাকে এবং এরা নিজেদের কেন্দ্রগুলিতে ভোটের মাটিতে বামেদের পরাস্ত করতে থাকে যার ফলে আরও রক্তারক্তি, খুনখারাপিতে তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকদের জমি জান প্রাণ যেতে থাকে ও শুভেন্দুদের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। যার ফলে স্বরূপ শুভেন্দু ২০০৬ থেকে নিজের ও পরিবারের আরও দুজনের ছবি বড় বড় ঢাউস মুখ দিয়ে দীঘা থেকে কাঁথি-নন্দকুমার পর্যন্ত মুড়ে দেয়। রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস এসে গেলে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর তাই স্বাভাবিক ভাবে জোনাল নেতৃত্বের দ্বিতীয় সারির নেতা হিসেবে শুভেন্দু উঠে আসেন। কে হবেন যুব নেতা সেই আলোচনা শুভেন্দু ঘিরে চলতে চলতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় উঠে আসেন সর্বোচ্চ আসনে। মনে হয় এখান থেকেই তৃণমূলের অন্দরে সামান্য সংঘাত শুরু হলেও তা কখনও প্রকাশ পায়নি। কারণ এই দলে মূল নেতা একজনই সমস্ত সিদ্ধান্ত তাঁকে বাদ দিয়ে নয় তিনি মুখ্যমন্ত্রী তিনি তৃণমূল গড়েছেন নিজের হাতে, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১-এর জেতার দিনে যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাড়ির ছাদে পায়চারি করতে ছাড়া আর কোথাও দেখা যায়নি, তার হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের মূল চাবিকাঠি অর্থাৎ যুব সম্প্রদায় এখন। অথচ একসময় যা শুভেন্দুদের বেশ খানিকটা এক্তিয়ারভুক্ত ছিল। ওই একই কারণে দলের দ্বিতীয় ব্যক্তি মুকুলের দল ছেড়ে যাওয়া। মন্ত্রী ও কয়েকটি জেলার দায়িত্ব ছাড়া এখন শুভেন্দু কিন্তু দ্বিতীয় সারির নেতাও নন।
•অথচ অধিকারীরা মনে করেন মূলত শিশির অধিকারীর নামে পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তির্ণ অঞ্চলে ২০১১ -এর আগে থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক ভিত্তি গড়ে উঠেছিল। কিন্তু অধিকারী পরিবার যেভাবে পূর্ব মেদিনীপুর সংগঠন গড়ে দিয়েছিল এবং ধরে রেখেছিল তা এক কথায় উদাহরণ। এই কৃষিজীবী,মৎস্যজীবী ও শিল্পাঞ্চলে একসময় সিপিএম নয় সেখানকার সাম্রাজ্য লক্ষণ শেঠ চালালেও অধিকারীদের সাংগঠনিক ক্ষমতা দিন দিন বেড়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরে দলনেত্রীর কাট আউট খুব সামান্য আগেও ছিল এখনও তাই। এই দেখাদেখি বছর তিনেক আগে সল্টলেকের পুর পিতা নিজের ছবি দিয়ে মুড়ে দিয়েছিলেন কিন্তু তিনদিনের মধ্যে বাইরে থেকে ছেলে গিয়ে সমস্ত কাটআউট খুলে দেয় এবং দল থেকে বহিষ্কৃত হয়ে যান তিনি। এখানেই শুভেন্দুদের ক্যারিশমা। শুভেন্দুর জন ভিত্তি। প্রথম যে নির্বাচন তৃণমূল লড়েছিল তার দ্বিতীয় বৃহত্তম সভা হয়েছিল পূর্ব-মেদিনীপুরে। অতএব শুভেন্দু যদি কখনও চলে যান তবে দল গড়ে ফেলবেন। সেখানে মুকুল রায়ের সাপোর্ট পাবেন। এমন যদি হয় শুভেন্দু ও মুকুল একজোট হয়ে গেল। বিজেপি ও তৃণমূল দুটো দলকেই তখন তারা খেলাতে পারেন। তখন দিল্লিতে পর্যন্ত এদের জোট বাংলায় একটি পক্ষ হয়ে যেতে পারে এবং রাজ্য রাজনীতিতে মূল দল হিসেবে উঠে আসতে পারে। তবে আগামী নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে উঠতে চলেছে সারাদেশের কাছে যুদ্ধের গর্ভগৃহ। যদি শুভেন্দু তৃণমূল কংগ্রেসে শেষ পর্যন্ত থেকে যান তবে তারা একটি দলের ভেতর দল করে নির্বাচনে নামতে পারেন।
•এদিকে আগামী নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানরা শুধুমাত্র কোনও দলে থাকবেন না একটি দলকে সাপোর্ট করবেন অথবা তাদের সমাজ থেকে উঠে আসা নতুন কোনও দলকে সাপোর্ট করবেন এইরকম নানা ইঙ্গিত বা রাজনৈতিক সমীকরণ উঠে আসতে চলেছে। ইতিমধ্যে বিজেপিও বিহার নির্বাচনে প্রতিকূলতার মধ্যে লড়ে যথেষ্ট ভালো ফল করায় তাদের জোর অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় চলে এসেছে। হিন্দু মুসলমান ভোট সবক্ষেত্রে ভাগাভাগি না হলেও কে কীভাবে তা পাবেন তা এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। মুসলিম সমাজ থেকেও তারা এই প্রথম যে দলকে সাপোর্ট করবেন তাদের কাছে নির্দিষ্ট কথা চান।
•শিক্ষা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন যদি এইসময় রাজনৈতিক ইস্যুতে পিছিয়ে পড়ে তবে তা এই রাজ্যের পক্ষে হবে অত্যন্ত হতাশাজনক।
•তবে আরও একটা প্রশ্ন উঠে এসেছে তাহলো পুরোটাই এটা নাটক। কিন্তু মাঝখান থেকে লক্ষ্য করুন সেটা হলো এই রাজনৈতিক লড়াইয়ের মধ্যে যা ভাবতেও পারছেন না তাহলো সি.পি.এম যদি কোনোরকমে টিকেট যায় তবু কংগ্রেসের এই ধাঁধার মধ্যে বেঁচে থাকা খুব মুস্কিল হতে পারে। 
©® অলোক কুন্ডু

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

প্রয়াত তরুণ মজুমদার--অলোক কুন্ডু

#তরুণ_মজুমদার_চলেগেলেন অধিকার এই শিরোনামে--কয়লাখনির শ্রমিকদের জন্য ডকুমেন্টারি বানিয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত পরিচালক তরুণ মজুমদার। ছিলেন আজীবন বাম...