#অলোক_কুন্ডুর_লেখালিখি_ও_কবিতা
#করোনা-য় জনগণের হয়ে চিন্তা ( এই নিয়ে
৪২ নম্বর পোস্ট)
এই সময় ডাক্তারের কাছে যেতে ভয় পাচ্ছেন। শরীর ঠিক আছে কিনা বুঝতে পারছেন না। রাস্তায় প্রতিটি লোককে আপনার ভদ্রলোক মনে হলেও এখন কিন্তু অভদ্র ছোটলোক এবং অবজ্ঞা করা এক ধরনের ঘ্যাঁজড়া পাবলিকের সঙ্গে নিত্যদিন আপনাকে ঘর করতে হবে। আপনাকে ধরে নিতে হবে রাস্তায় সকলের গায়ে গায়ে করোনা ঘুরছে। এই যে তিন মাসের মধ্যে প্রচুর বয়স্ক আর অসুস্থ মানুষ এই করোনার
কালে বাড়িতেই পটপট মারা গেলেন এরজন্য দায়ি কিন্তু পরিবারের ওইসব আধপাগলা,খামখেয়ালি, অশিক্ষিত, ছোটলোকগুলি। নিতান্তই অভদ্র মানসিকতা নিয়ে চলাফেরা করা লোকগুলো একেবারে এই কারণে দায়ি। কি হিন্দু কি মুসলিম ডেথ রেজিস্টার দেখলে তিনমাসে ঘাবড়ে যাবেন। গত তিনবছরের তুলনায় এই মৃত্যুহার প্রায় তিনগুণ হয়ে গেছে করোনার মৃত্যু বাদে এবং ইতিমধ্যে ওইসব তথ্য নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের চক্ষু চড়কগাছ একেবারে। এদের অধিকাংশই হঠাৎ হার্টফেল হয়ে মারা যাচ্ছেন। এদের বাড়ির লোকেদের দ্বারা কিন্তু করোনার সংক্রমণে ডেথ হলেও বাড়ির কোনও লোকের তা হয়নি বলেই ধরে নিতে হবে কারণ ইতিমধ্যে তারা হয়তো করোনা বহনের ফলে করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি করে ফেলেছেন নিজের শরীরে, যে পরিমাণ
ইমিউনিটি থাকলে করোনা ক্যারি করা যায়
তা তাদের ছিল এইসব ইতিমধ্যে ১০ বার বলেছি। আর এখান থেকেই তাদের একরকম " নাছোড়বান্দা বেয়াদব" তৈরি করে ফেলেছে। কিন্তু তাদের ধারণা হচ্ছে
এই তো ঘুরছি বেড়াচ্ছি কই কিছু তো হয়নি।
তাছাড়া তাদের বাড়িতে যিনি মারা গেলেন, তিনি যে করোনায় মারা গেছেন, এই প্রমাণও নেই। যতই ডাক্তারবাবু থেকে টিভির বিশেষজ্ঞরা বলুন না কেন হাওয়ায় করোনার ভয় নেই, এই যুক্তি সবটা ঠিক নয়। শুধুমাত্র মাস্ক দিয়ে এই করোনা সংক্রমণ আটকানো একরকম প্রায় অসম্ভব। ভালো মাস্ক থাকলে তিনি বাঁচলেও তার সঙ্গের টাকাপয়সা, ছাতা,পোশাক, গায়ের লোম, চুল, চশমা, ঘড়ি,ব্যাগ,থলি, মোবাইল গোঁফ, দাড়ি,জুতো জামাকাপড় করোনা বহন করছেই। ছ-ফুট দূরত্বে করোনার ব্যাপকতা আছে তবুও অর্ধেক লোক ১০০ ভাগ মানছে বলেই এদেশের জনসংখ্যার তুলনায় করোনার গ্রাফ নীচুতে আছে। কিন্তু এটা রোধ করা শক্ত ওই সমস্ত তেঁয়েটে বজ্জাতগুলোর জন্য। আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে এই কারণে ভগবানের হাত ঘুরে সমস্ত ঘরোয়া নিয়ম-শৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। এখন বোঝা যাচ্ছে ব্রাহ্মণদের দূরদর্শিতা ছিল। কারণ আমাদের বাগে আনা খুব কষ্টকর। তাহলে আপনি আমি কি করবো। একটা অক্সিমিটার কিনে নিতে হবে। রোজ পরীক্ষা করুন। ৭০-এর নিচে নামতে দেবেন না। ১০০ অক্সিজেন থাকবে না তবে ৮০,৯০,৯৫ থাকবে। খাওয়া দাওয়ায় পুষ্টিকর বাড়িয়ে
দিয়ে ও ৫/৬ লিটার জল খেতে হবে সঙ্গে সঙ্গে। পুষ্টিকর খাবারের মধ্যে ছোলা ভিজিয়ে খাওয়া, ছাতু পাতিলেবু আমচুর, নুন দিয়ে শরবৎ খাওয়া, সপ্তাহে একদিন মাংস, জ্যান্ত মাছ তিনদিন, শাকের পরিমাণ বাড়ানো, ফোড়নে ও কাঁচায় রসুন খাওয়া, আদা জিরে ধনে দেওয়া গরমজল বা চা অন্তত দিনে তিনবার, এককাপ দুধে হলুদ গুঁড়ো একচামচ বা কাঁচা বাটা, লবঙ্গ, জিরে,ধনে পিপুল,গোলমরিচ, দারচিনি গুঁড়ো করে চায়ে জলে দুধে মিশিয়ে খাওয়া, কালোজিরে যেহেতু ব্রঙ্কাইটিস সারাতে সাহায্য করে তাই কালোজিরে ভেজানো জল, ঘরে পাতা টক দই, আম দিয়ে টকের ডাল, কাঁচা আমলকি, চাটনি, আচার, পাঁপড়,বড়ি, মুগকড়াই সিদ্ধ বা তড়কা করে, ভাতরুটি কম খেয়ে শাকদিয়ে চচ্চড়ির পরিমাণ বাড়ানো,জিঙ্ক আছে এইরকম শাকসবজি বেশি, নিমপাতা, তুলসী নিয়মিত খান। লিস্ট করে টাঙিয়ে রাখুন কখন কি খাবেন। গলা খুস খুস করলে ব্যথা হলে ৫/৬ টা অ্যাজিথ্রোমাইসিনের কোর্স নিতে ভুলবেন না, ডাক্তারবাবুর পরামর্শ নিন। হাল্কা ব্যায়াম, বাড়িতে সিঁড়ি থাকলে ওঠানামা কারুণ, বিদেশে হার্টের রোগীর এটা একটা ওষুধ। পয়সা থাকলে পলিবায়ন এসএফ, ফলভাইট-ফলিক অ্যাসিড, জিঙ্ক দেওয়া মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেট, ভিটামিন ই। স্যানিটাইজ করুন ১০০% জিনিস। গার্গেল, ভাপ নেওয়ার থেকে গরম জল খাওয়া বেশি ভালো। পেট ঠিক রাখতে রাতে ইসবগুলের ভুষি খান নিয়মিত দু চামচ রাতে। মনে রাখবেন শুয়ে থাকলে শরীরে অক্সিজেন কম যায়। বেশিক্ষণ মাস্ক পরে থাকলে অক্সিজেন কম যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই প্রচুর জল খান, জলের সঙ্গে শরীরে অক্সিজেন যাবে। রাতে জানলা খুলে রাখুন। জানলা বন্ধ করে শুলে বিপদ বেশি। ওল, মানকচু, সমস্ত রকম শাকে যেহেতু প্রচুর খাদ্যখনিজ আছে এবং দামে সস্তা তাই এগুলো আমাদের রক্ষা কবচ বলতে হবে, মেথি, কুলেখাড়া, ,লাল নটে, থানকুনি এগুলো দেশজ ওষুধে ভরপুর থাকে। খাবারের মশলাই আমাদের কাছে সবচেয়ে সাহায্যকারী ওষুধ। পিঁয়াজ,আদা সরষেবাটা,ধনে,জিরে, রসুন, হলুদের মতো উপকারী আমাদের নিত্যসঙ্গী আর হোটেলের খাবারে ও ফাস্টফুডে এইসবের ভাগ অত্যন্ত অল্পমাত্রায় থাকে বলেই আমাদের স্বাস্থ্যকর তা হয়না। অবশ্যই পয়সা থাকলে পশুর মাংসের মতো হাই ডোজের ইমিউনিটি আর একটিও নেই। হিমোগ্লোবিন কম থাকলে অবশ্যই ডেক্সোরেজ এই সময় খেতেই হবে।
খাবারের মধ্যে সব কিছু থাকে তবে সাপ্লিমেন্ট এখন প্রয়োজনীয়। খাবার সব সময় গরম করে খান। খেঁজুর, কিসমিস, বাদাম, কাজু হাই প্রোটিন। ছোলাবাদাম একাই একশো এটা মনে রাখবেন। চিমা ওকোরি ভোরবেলা
ছোলাবাদাম সেদ্ধ পকেটে নিয়ে ময়দান পাক মারতেন আর বিকালে জালে জড়িয়ে দিতেন গোল...©® অলোক কুন্ডু
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন