বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২০

মাননীয়, 
অফিসার ইনচার্জ, ব্যাঁটরা থানা। 

মহাশয়। 
গত ২০১২ থেকে কিছু মদ্যপের অত্যাচারে 
আমরা অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছি। 
হাওড়ার ব্যাঁটরা থানার অন্তর্গত হাওড়া করপোরেশনের ২৪ নং ওয়ার্ডের ১১০/১/এ/১ 
কালী কুন্ডু লেনস্থ প্রয়াত বিশ্বনাথ কুণ্ডুর বাড়ির দোড়গোড়ায় ( পেট্রোল পাম্পের পেছনে)
প্রতিদিন মদের আসর বসাচ্ছে পাড়ার একদল 
যুবক। এরা থাকে নিধিরাম মাঝি লেনে, কালী
কুন্ডু লেনে ও ময়রা পাড়ায়। গত ২০১২ থেকে 
এরা রীতিমতো হুমকি দিছে আমাকে ও আমাদের পরিবারকে। সন্ধ্যা হলেই এখানে বেশ কিছু দুষ্কৃতি শুরু করে দেয় মদ ও গাঁজার আসর ও ব্যবসা। 
এদের উদ্যোগে পাড়া-বেপাড়ার বহু হুলিগানের 
দল এখানে এসে আড্ডা দেয় ও মদের আসরে 
যোগ দেয় এবং বারবার বলা সত্বেও শুনতে 
চাইছে না। এই জায়গা আমাদের ব্যক্তিগত 
সম্পত্তি। এখানকার একটা ভালো পরিবেশকে 
ক্রমশ দুর্বিষহ করে তুলেছে স্থানীয় এই ৫/৬ 
জন হুলিগানের দলটি। দুষ্কৃতীদের দাপটে 
ইতিমধ্যে ভয়ে আমি, অলোক কুন্ডু, বাড়ি 
ছেড়ে পাশের পাড়ার ফ্ল্যাটে আশ্রয় নিতে বাধ্য
হয়েছি। গত ২০১২ থেকে মদ্যপরা হেনস্থা ও 
অপদস্থ করে চলেছে। এদের অত্যাচারে 
আমরা অতিষ্ঠ আমাদের বাড়ি থেকে আর
জল বর হতে পারেনা। চরম বিপদে আজ ৯ 
বছর অসহায় হয়ে আছি। অথচ পাড়ার সকলে নিত্যদিন এইসব দেখছে। মনে হয় আমাদের 
ওপর এই অত্যাচারে পাড়ার সকলের আনন্দ 
হয়। মনে হয় পাড়ার বহু ব্যক্তির এতে মদত 
আছে। এই দুষ্কৃতিদের দাপটে আমি দিনকে দিন শারীরিক ভাবে অসুস্থ  ও বিপন্ন হয়ে পড়ছি। 
এদের এই কাজের জন্য হার্টে প্রবলেম দেখা 
দিয়েছে আমার। আমি কোনও রাতে ভালো 
করে ঘুমোতে পারিনি গত ৯ বছর। এরা আমাকে সমানে ভীতি প্রদর্শন ও আত্মহত্যায় প্ররোচিত 
করে চলেছে। মদ্যপরা প্রতিদিন ১০ টি করে মদের বোতল আমাদের নর্দমায় ঢুকিয়ে রেখে চলে যায়। মেথর ধরে এনে প্রতি সপ্তাহে হাজার টাকা খরচ 
দিয়ে প্রায় সত্তরটি মদের বোতল তুলতে হয়। 
খাবারের শত শত প্যাকেট, সপ্তাহে ৩০/৪০টি থার্মকলের থালা বাটি, মাংসের প্লাস্টিক 
ক্যারিয়ার সহ বিপুল পরিমাণ নোংরা আমাদের খরচায় ফেলতে হয় এর বাৎসরিক খরচ প্রায় 
এক লক্ষ টাকার ওপর। এই বাড়ির গেট বাড়ির 
রাস্তা বিপুল পরিমাণে নোংরা করে রাখছে আজ 
নয় বছর ধরে এই মস্তানরা। প্রতিবাদ অনুরোধ 
হাতে পায়ে ধরা কোনও কিছু কানে নিতে রাজি 
নয় এই গুন্ডা বদমাইশ হুলিগানের দল। 
অত্যাচারের পরিমাণ দিনের পর দিন কীভাবে 
বাড়ানো যায় এরা তারই প্রতিযোগিতায় মত্ত 
এই দুষ্কৃতিকারীরা ভীতি প্রদর্শন, খুনের হুমকি 
দিয়ে চলেছে আমাদেরকে। এই দুষ্কৃতিকারীরা 
এমনকি বাড়িতে ঢুকতে বের হতে সমানে বাধা 
দিচ্ছে। স্থানীয় জনগণের নাকের ডগায় 
নিত্যদিনের এইসব ঘটনা ঘটে চলেছে। 
গত ২৪/৩/২০ তারিখে পাড়ায় পোস্টার 
দিয়ে জনে জনে প্রচার করেও এদের নিবৃত্ত 
করা যায়নি। আরও দ্বিগুণ উদ্দীপনা নিয়ে 
আমাদের বাড়িতে এরা অত্যাচার শুরু করেছে। জনমানসে এই কারণে আলোড়ন হলেও এই 
চামার, অসভ্য, ছোটলোক, ইতর অভব্য দানব   রাক্ষসদের কোনও হেলাদোল নেই। 
                                                     বিনীত
 ৫/১১/২০                                   অলোক কুন্ডু
ফোন:-7003422286

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

প্রয়াত তরুণ মজুমদার--অলোক কুন্ডু

#তরুণ_মজুমদার_চলেগেলেন অধিকার এই শিরোনামে--কয়লাখনির শ্রমিকদের জন্য ডকুমেন্টারি বানিয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত পরিচালক তরুণ মজুমদার। ছিলেন আজীবন বাম...