ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ থেকে চেষ্টা করেছেন যাতে আমার বাড়ির গেটের সামনে থেকে গত ৯-বছর ধরে মদের ঠেককে ওঠানো যায়। আমি হাওড়া সিটি পুলিশের কাছেও আবেদন করেছিলাম আমাদের এই বিপদের কথা জানিয়ে। বিপদ মানে একদল যুবক আমার বাড়ির দোড়গোড়ায় বসে দরজা আটকে মদ খাচ্ছে আজ গত ৯-বছর ধরে। ৪ -বছর আগে একবার ব্যাঁটরা থানার উদ্যোগে উক্ত আসর ছয়মাস বন্ধ থাকলেও প্রায় ন-বছরে কেউ এইসব নিয়ে ভাবেনি। কারণ মনে হয় মদ্যপদের অনেকের সঙ্গে তাদের ভাব ভালোবাসা আছে। তাই আমার পাড়া থেকে ব্যাপকভাবে প্রশ্রয় পেয়েছে তারা। এই কারণে আমার জলের মতো টাকা খরচ হয়েছে আমাদের নর্দমা পরিষ্কার করাতে। যা শুনলে চমকে যাবেন অনেকে, তাতেই একদল সুখী হয়েছেন হয়তো। এ সমাজ বড় জটিল। পাড়া প্রতিবেশী মানে আজকাল সকলের সঙ্গে সদ্ভাব বজায় রাখা। ২০১২ থেকে চলা এই মদের আসরের জন্য কিন্তু কোনও মহিলা এমনকি আমাদের আত্মীয়রা আমাদের বাড়ি আর আসতো না। বহুবার পোস্টার দিয়েছি। বারণ করেছি। মদ্যপরা শোনেনি। শেষে বিভিন্ন স্থানে মেল করে করে জানাই। ব্যাঁটরা থানাতেও মেল করেছিলাম, ওদের যা কাজের ভল্যুম হয়তো ওরা তা ঠিকমতো দেখে উঠতে পারেননি। যাই হোক, এইরকম পরিস্থিতিতে ব্যাঁটরা থানার অফিসার ইনচার্জ শ্রীযুক্ত দেবব্রত মুখোপাধ্যায় মহাশয় বিভিন্ন সূত্রে এই বিষয়টি জেনে, আজ সন্ধ্যায় এই বিষয়ে একটি এনকোয়ারি করান আমাদের পাড়ায় এবং আমাকে দেখা করতে বলেন। থানার অফিসার ইনচার্জ মহাশয়, তার নিজস্ব মানবিক চেতনা দিয়ে বিষয়টি যথেষ্ট অনুধাবন করেছেন। আমার সঙ্গে অত্যন্ত ভালো ব্যবহার করার মধ্য দিয়ে তার দক্ষ প্রশাসনিক ক্ষমতাকে প্রয়োগ করেছেন। তার ঐকান্তিক ক্ষমতার মাধ্যমে তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন এবং আমার মতামতও আগ্রহ নিয়ে শুনেছেন। আমি ওনার এই কার্যধারায় বেশ আপ্লুত ও অত্যন্ত খুশি হয়েছি। আশা করবো তার দক্ষ ভূমিকায় ও উদ্যোগে এলাকার সমস্ত রকম আইনশৃঙ্খলা বজায় থাকবে। আমরা ওনার কাছ থেকে যে সহযোগিতা পেয়েছি তা অত্যন্ত আন্তরিক। অতিমারির এই কঠিন সময়ে, দেবব্রতবাবু ও ওনার পুলিশ পরিবারের সুস্বাস্থ্য কামনা করি ও তাদের ধন্যবাদ জানাই। এই সঙ্গে ফেসবুকের সকল আগ্রহী গ্রুপ এবং আগ্রহী সদস্যদের কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আশাকরি আমাদের সমস্যা মিটে যাবে।
ভবদীয়-অলোক কুন্ডু, ১১০/১/এ/১, কালী কুন্ডু লেন, হাওড়া-৭১১১০১. ( ৮.১১.২০২০)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন