বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২০

কোভিদ-১৯ ভ্যাকসিন নতুন বছরের সুখ-সমৃদ্ধি : অলোক কুন্ডু



🌏 ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য তৈরি তো ? ভয়ভীতি ত্যাগ করে ভ্যাকসিন নিন। --অলোক কুন্ডু


⛔ আমেরিকা ও জার্মানির যৌথ উদ্যোগে তৈরি ফাইজারের ভ্যাকসিন ৯৫% ক্ষমতা রোগ নির্মূলের। ( Pfizer and BioNT Covid19 Vaccine has been released on 2/16.12.20) কিন্তু তার সংরক্ষণের জন্য ফ্রিজার এখনও ভারতে বসেনি এবং বিদেশ থেকে আসেনি। সংরক্ষণ ব্যবস্থার হ্যাপা আছে। বিশেষ করে যে ঠান্ডায় ভ্যাকসিন রাখার কথা তার ফ্রিজিং ব্যবস্থাপনা ভারতে নেই। প্রচুর ছোট-বড় ফ্রিজীয় ব্যবস্থাপনা করতে তার প্রচুর খরচও। কিন্তু তার থেকেও খারাপ দিক হলো এই অশিক্ষিত আশা বা সমূহ স্বাস্থ্য-কর্মীদের হাতে পড়লে তার ১২টা বাজবে কিনা কেউ জানেনা। একদিকে খরচ ও রক্ষণাবেক্ষণ, পরিকাঠামো খরচ খুব বেশি তার ওপর চূড়ান্ত অদক্ষতা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে জনজীবন। এইসব তৈরি করা, পরিকল্পনার স্তরে থাকলেও এই অদক্ষ অসচেতন ব্যবস্থাপনার ঝামেলা জনিত কারণে এবং আমাদের দেশের স্বাস্থ্য কর্মীদের অদক্ষতায় ভ্যাকসিন নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকা ১০০ ভাগ। হয়তো দেখা যাবে নষ্ট ভ্যাকসিন আপনাকে ও আমাকে ফুঁটিয়ে দেবে। কিন্তু দামের দিক থেকে খুব বেশি নয় হয়তো ৮০০ টাকার মধ্যে। ধরা যাক তা নানা পথে ১৫০০/- খুব জোর দাম হতে পারে। বুস্টার নিলে ৩০০০/-এর মধ্যে হওয়ার কথা। যাইহোক ফাইজার সবচেয়ে যোগ্য হলেও আমাদের দেশে হয়তো আসছে না। আমাদের দেশে ব্যবস্থাপনার ঢিলেমির জন্য এই ভ্যাকসিন আসতে দেরি হবে। তবু অনুরোধ, প্রধানমন্ত্রী এই ব্যবস্থাও গড়ে তুলুন সকলের জন্য।

⛔ এখন আমাদের হাতে আছে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন ( Oxford-Astra Zeneca Covid19 Vaccine has been released on 30.12.20 in our country) যা আমাদের এখানে পুণেতে তৈরি হচ্ছে। ৯০% শক্তিশালীও। আমাদের দেশের বাজারে ও সরকারের ব্যবস্থাপনায় দেওয়া শুরু হয়ে যাওয়ার কথা। এই ভ্যাকসিন জরুরি ভিত্তিতে দেওয়ার ছাড়পত্র পাওয়া গেছে এখনই। জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি থেকেই বাজারে কিনতে পাওয়ার কথা। এই ভ্যাকসিন কীভাবে তা তৈরি হচ্ছে এবং পুণের সেরামের পরিকাঠামো দেখতে ভারতে অবস্থিত সমস্ত দেশের রাষ্ট্রদূতরা সম্প্রতি তা অনুসন্ধান করে দেখেছেন এবং তৃপ্ত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীও হায়দ্রাবাদের কো-ভ্যাকসিন ( Bharat-Biotech ) যেখানে তৈরি হচ্ছে তা ঘুরে দেখেছেন। আমাদের হাতে এখন দুটো ভ্যাকসিন। (১).পুণের-Oxford-Astra Zeneca Covid19 Vaccine (২). হায়দ্রাবাদের- Bharat-Biotech -এর  Co-vaccine । 

⛔ এখন সমস্ত ভ্যাকসিন দুটো করে ডোজ নিতে হবে। প্রথমটা নেওয়ার অন্ততপক্ষে ৭ দিন পর ভ্যাকসিন কার্যকর হবে। ফাইজার ও অক্সফোর্ড দেখেছে যতই উপসর্গ থাকুক না কেন প্রথম ডোজে কিছু না হওয়ার চান্স বেশি। বুস্টার ডোজে হলেও তা খুব সামান্য জনের হতে পারে। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ভারতীয় কো-ভ্যাকসিন সকলকে দিতে মার্চ- এপ্রিল ২০২১ হওয়ার কথা কিন্তু যেহেতু কো-ভ্যাকসিন তৃতীয় দফার ট্রায়াল চলছে এখানে, যা দেশীয় পরিকাঠামো ও পরিকল্পনায় তৈরি এবং যার কার্যকরী ক্ষমতা ৬০%। আমাদের এই ভ্যাকসিনটাও যদি আশু, বিনা পয়সায় দেওয়া যায় তাহলে একলপ্তে সংক্রমণ নেমে যাবে। এটাও দুটি ডোজ ২১ দিনের মাথায়। যা কলকাতার মেয়র দুটোই ট্রায়াল নিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে। 

⛔ রাশিয়া ও চীন এই দুটি দেশের ভ্যাকসিন হু-দ্বারা পরীক্ষা করা হয়নি। এই দুটি দেশ তাদের ট্রায়াল মাত্র একটা স্তর পাশ করলেও তারা আর ট্রায়াল করেনি সর্বস্তরে তা দিতে আরম্ভ করে দিয়েছে সরাসরি। হু-এর নিষেধাজ্ঞা দুটো দেশ কানে নেয়নি। রাশিয়া বরং, আমেরিকা ও ব্রিটেনের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে তাদের স্পুটনিক-কে বুস্টার ডোজ ( দ্বিতীয় ডোজ) হিসেবে কাজে লাগালে তা খুবই কার্যকর হবে। চীনের ভ্যাকসিন বাংলাদেশ, আরবের বিভিন্ন দেশে ও আফ্রিকায় দেওয়া হতে পারে। চীনের ভ্যাকসিন খুব বিশ্বাসযোগ্য হলেও তা ভারতে পাওয়া যাবেনা। রাশিয়ার ভ্যাকসিন যেহেতু হু সাপোর্ট দিচ্ছে না, তাই এখানে পাওয়া যাবেনা বলেই ধরেই নিতে হবে। 

⛔ কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনও কোনও ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেয়নি। সকলেই আশা করছেন ফাইজারের কাজটি যেহেতু খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ১০ বছরের আবিষ্কারের কাজটি তারা যৌথ ভাবে জার্মানদের সহায়তায় ১০ মাসে সম্পন্ন করেছে এবং যা যুগান্তকারী আবিষ্কার হিসেবে এখনই চিহ্নিত হমেছে। আগামী ভবিষ্যতে করোনার গলা টিপে ধরতে ১০০ ভাগ সফল হবে। 

⛔ এখনও পর্যন্ত করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছেন এবং মারা গেছেন তা নেই। কেউ মারা যাননি। সামান্য অসুস্থ হয়েছিলেন একজন ফাইজারের স্বেচ্ছাসেবক। তিনি ভ্যাকসিন-বিরোধী প্রচার করাতে, তার বিরুদ্ধে ফাইজার ১০০ কোটি টাকার মামলা করেছে। ভ্যাকসিন নিয়ে বিরোধীতা, ইতিমধ্যে ফেসবুক জানতে পারলে যেকোনও বিরোধিতা মুছে দেবে। ফেসবুকে ও হোয়াটসঅ্যাপেও বিরোধী প্রচার যারা করবেন তারা সতর্ক হোন। কারণ তারা কিন্তু বেআইনি কাজের মধ্যে পড়ে যাবেন। এইরকম ভিডিও পেলে ফেসবুকে জানান। কারণ ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজে তিন চারটি উপসর্গের একটি সামান্য হলেও হতে পারে। সেই কারণে বিচলিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। ভ্যাকসিন নিন আনন্দের সঙ্গে। কারণ আপনাকে ধরে নিতে হবে করোনার নানা ধরনের সংক্রমণ ক্ষমতা আমাদের মধ্যে আরও ঘোরাফেরা করবে। ইতিমধ্যে চরিত্র পাল্টে করোনা বিলাতি আখ্যা পেয়েছে। 

⛔ ©® অলোক কুন্ডু


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

প্রয়াত তরুণ মজুমদার--অলোক কুন্ডু

#তরুণ_মজুমদার_চলেগেলেন অধিকার এই শিরোনামে--কয়লাখনির শ্রমিকদের জন্য ডকুমেন্টারি বানিয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত পরিচালক তরুণ মজুমদার। ছিলেন আজীবন বাম...