🌎🏆 দাদাকে নিজের মতো থাকতে দিন।
⛔ ২০০৫/০৬- এ যখন চ্যাপেল সৌরভকে বাদ দিয়েছিল তখন মাঠে ফিরে আসার জন্য রোজ ইডেনে গিয়ে দৌড় ও জাম্প বাড়িয়ে দিয়েছিলন সৌরভ। তখন এক পৃথিবী চাপ সৃষ্টি হয়েছিল। শরদ পাওয়ারের দল পেছন থেকে পায়ের তলার মাটি কেড়ে নিয়েছিল।
গ্রেগ চ্যাপেল এক তুড়িতে সৌরভের খেলোয়াড়ী জীবন কেড়ে নিয়েছিল। ঠিক এই মূহুর্তেও তার সেই একই চাপ ফিরে এসেছিল। আসলে সৌরভ যত সজ্জন ততটা ভদ্রতাবোধ আমাদের কারও নেই। আর হয়তো জানাও নেই ভদ্রতা, সৌজন্যতা কাকে বলে। আমরা যারা পাতি ঘরানার রাজনীতি করা বাঙালি এই যে আমরা মধ্যবিত্ত মানসিকতায় মানুষ হয়েছি আমাদের কখনও কি সেই জ্ঞান হবে ? কাকে জ্ঞান দিতে আছে আর নেই। " ঝুম বরাবর ঝুম শরাবি" হয়ে পড়ি। মানছি তাকে ঘিরে সাম্প্রতিক রাজনীতি যেভাবে আবর্তিত হয়েছে সেই কারণেই তার এই দুর্গতির সবটা হয়নি। এমনকি এখনই
দ্রুততার সঙ্গে এই একমাসের মধ্যেই তার সবটা শারীরিক ক্ষতি হয়নি, এমনকি তিনটি ধমনিতেই একসঙ্গে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে বলে বিশ্বাসও করা যায় না। কিন্তু যে টেনশন যে চাপ যে রাজনৈতিক দলগুলো থেকে সমূহ একপক্ষ বাঙালি জাতি সৃষ্টি করেছিল না জানি দাদাগিরির দাদা তা কতটা সামলাতে পারছিলেন। হেসে হেসে সাংবাদিকদের উত্তর দেওয়া এক জিনিস আর গুমরে গুমরে সোস্যাল মিডিয়ার কেচ্ছা সামলানো আর এক জিনিস। এই সমস্ত কিছু যে একটা বিশাল ঝড় তুলেছিল একথা মানতেই হয়। মুখে শিক্ষার কথা বলা কতিপয় বাঙালি যে আবহাওয়া তৈরি করেছিল তাযে কদর্য ছিল খারাপ ছিল তো মানতেই হয়, তাই না ? সর্বোপরি সিপিএমের অশোক ভট্টাচার্য পর্যন্ত বন্ধুত্বের সুযোগ ছাড়েনি। আমার এক বন্ধু (যিনি হাই স্কুলের টিচার-ইন-চার্জ ) এই ফেসবুকেই পোস্টে লিখেছিলেন, সৌরভ নাকি সিপিএমের কাছ থেকে প্রচুর সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন এবং দু-নম্বরি করে রেস্টুরেন্ট করেছেন। এইসবের উত্তর দিতেও ঘৃণা হয়। যদিও এইসব কথাবার্তা অতি নক্কারজনক মনে হয়েছে আমার, এইরকম কথাবার্তা অতি নিম্নমানের পরিচিত ঘটায়। আমরা জানি, আমাদের কাছে সত্যজিৎ রায় ছিলেন। যিনি কখনও কোনও বিরূপ মন্তব্য করতেন না। এমনকি তাঁর বাড়িতে তাঁর যে সমস্ত বন্ধুরা যেতেন সকলেই ছিলেন প্রায় কম্যুনিস্ট, সেই বিষয়ে বহুবার বহু সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তর হেসে এমন দিয়েছিলেন যে তাঁকে কিছুতেই কম্যুনিস্ট বলে কামান দাগা যায়নি। অথচ আমরা এখন এইরকম একবগ্গা আনপড় এবং সৌজন্য পরিহার করা বাঙালিতে কীভাবে নিজেদের তৈরি করে ফেললাম কে জানে। উৎপল দত্তের "কল্লোল " বন্ধ করে দিয়েছিলেন যারা তারাও যে একই দলের যে ছিলেন তা মানতেই হয়। তখন মিনার্ভায় কল্লোলের জন্য তিনি চাকরি পর্যন্ত ছেড়ে দিয়েছিলেন। কল্লোল বন্ধ হয়ে যেতে শেষ পর্যন্ত ৩০/৩৫ জন নাট্যকর্মী বেকার হয়ে পড়েন এবং একরকম ঋণধার-ভিক্ষে করে উৎপল দত্ত পেট চালাতেন। শিশির ভাদুড়ী যখন আর নাটকের পরিকাঠামো খরচ এবং বাড়ি ভাড়া, হল ভাড়া (শ্রীরঙ্গম) দিতে পারছেন না, তখন তিনি চেয়েছিলেন সরকার তাঁর স্বপ্ন পূরণ করুন। সরকার নাটকের ব্যবস্থা করুন। ভারতের নাট্যজগতের বিশাল দিকপালের যত্নে বাঙালি সেদিন এগিয়ে আসেসননি। এমনকি শম্ভু মিত্র নাটক নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা বামেরা ও জ্যোতিবাবু পূরণ করেনি ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে শম্ভু মিত্রের বন্ধুত্ব থাকার কারণে। শিশির ভাদুড়ি, উৎপল দত্ত, শম্ভু মিত্রদের স্বপ্ন পূরণ হয়নি শুধুমাত্র রাজনীতির জন্য। উত্তম কুমারের মরদেহ রবীন্দ্র সদনে স্থান পায়নি। আবার বর্তমানে, রাজনীতির জন্য বুদ্ধিজীবীরা যে বেশ করেকম্মে খাচ্ছেন এবং অন্যায় কাজও করছেন এও আমাদের ইতিহাসের বিষয়। কিন্তু কারও ব্যক্তিগত জীবনে এইভাবে ঢুকে পড়ে, এইভাবে হৈ হৈ করা যায় কিনা এবং গায়ে পড়ে পাড়ায় পাড়ায় চায়ের দোকান খোলা যায় কিনা এই বোধটুকু সম্প্রতি আমরা বেশ হারিয়ে ফেলেছিলাম। একবারও ভেবে দেখিনি যে সৌরভকে উপদেশ দেওয়া যায় কি যায়না। সেই জায়গায় আমাদের যোগ্যতা কতটুকু। ধীরে ধীরে দাদা-র বয়স বাড়লেও যেহেতু তিনি খেলার জগতের মানুষ তাই শরীর ফিট রাখার দায়িত্ববোধ বেশি থাকেই। হয়তো সাম্প্রতিক চাপ কাটাতেই তিনি জিমে বেশি লোড নিয়েছিলেন। খেলোয়াড়ী জীবনে তো তার সেই কারণে সকলের অলক্ষ্যে ইডেন গার্ডেন্সে গিয়ে হাইজাম্পের উচ্চতা বাড়িয়ে নিয়েছিলেন। দৌড়ের স্পিড বাড়িয়ে ছিলেন। এখন হয়তো কোনও কিছু ভেবে আরও বেশি নিজেকে ফিট রাখতে চেয়েছিলেন। সৌরভ আগ বাড়িয়ে মাঠে কোন বলটা ফরওয়ার্ড খেলবেন আর কোনটা ব্যাকফুট করবেন তা তিনি বিলক্ষণ জানতেন বলেই তো তিনি আজ আমাদের সর্বকালের দাদা। সারা ভারতের দাদা হয়ে গেছেন। কিন্তু সম্প্রতি শিক্ষা-অশিক্ষার মাথা খেয়ে যে সমস্ত বাঙালিমুখ উঠেপড়ে বেহায়াভাবে, দাদাগিরি করতে লেগেছিলেন তাদের কি বিশেষণ দেওয়া যায় আমার জানা নেই। অহেতুক সৌরভের উপর একটা চাপ সৃষ্টি এই যে করে গেলেন এর থেকে ঘৃণিত আর কিছু বুঝি হয়না। করোনার পরও মানুষ নিজেদের সবজান্তা থেকে যে নিরস্ত্র করতে পারেনি, সৌরভের পেছনে বাঙালির জোটবদ্ধতা তাকেই শিলমোহর দিল। শেষে এবার বলি যে অশোক ভট্টাচার্য বন্ধুত্বের সম্পর্ক নিয়ে উপযাচক হয়ে বাড়িতে গিয়ে সৌরভকে হবু মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতে বলতে গিয়েছিলেন এবং ফলাও করে সাংবাদিকদের পর্যন্ত বলেছিলেন সেই তিনি গত ২০০৬-এ একদিন সৌরভের বাড়ি গিয়েছিলেন আরও একটি রাজনৈতিক প্রস্তাব নিয়ে। তা হলো বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও তার হয়ে যেন সৌরভ নির্বাচনে প্রচারে যান। এমনকি তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীও চেয়েছিলেন
সৌরভ যাদবপুরে গিয়ে তাঁর হয়ে প্রচার করুন। এই যে প্রত্যেকটি জনগণের সৌরভকে নিয়ে ইচ্ছে হতে পারে তাতে কোনও দোষ নেই কিন্তু আমরা দেখতে পেলাম দাদা যতই দাদা হোন তার কোনও ইচ্ছা থাকতে নেই।
⛔ কিছুদিন আগেই ফেসবুকে বলেছিলাম সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আর মিঠুন সমান নন। দুজনকেই বাঙালির ঘরে ঘরে চিনলেও মিঠুনের পরিচিতি খানিকটা দর হিসেবে কম। সৌরভ হচ্ছেন আন্তর্জাতিক মানের ব্যক্তিত্বসম্পন্ন একজন জয়ী মানুষ ও বিখ্যাত ক্রিকেটার। তদুপরি তিনি একজন সুশিক্ষিত। তিনি টিভির একজন মহতী অ্যাঙ্কর আর মিঠুনও টিভি সিনেমা সমাজসেবায় যুক্ত থেকেও সৌরভের কাছে ব্যক্তিত্বে কিছুটা মার খেতে বাধ্য। সৌরভ অনেক প্রফেশন্যাল এবং অভিজ্ঞতায় অনেকগুণ শিক্ষা অর্জন করেছেন। আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের অধিনায়কের চাপ নিয়েছেন, দেশবাসীর হয়ে চাপ নিয়েছেন। যাচ্ছেতাই রাজনীতির শিকার হয়েছেন নিজেও। সেই চাপ হার্ট অ্যাটাকের চেয়ে বহুগুণ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে তাকে। এমনকি নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের থেকেও সৌরভ বহুগুণ পপুলার। অভিনয় ছাড়া সৌরভের প্রাজ্ঞতা অনেক বেশি মানুষকে নিয়ে। কারণ ক্রীড়াবিদ হিসেবে ইতিমধ্যেই তাকে জটিল প্রশাসনিক দায়িত্ব জিততে হয়েছে এবং বিসিসিআইয়ের সর্বোচ্চ পদ অলংকৃত করতে পেরেছেন। তিনি যে একজন যোগ্য খেলোয়াড় এবং প্রশাসনিক হেড তা বুঝিয়েছেনও। তার ব্যক্তিগত আদব-কায়দা, তার চলা হাঁটা, তার বাকপটুতা, তার শো-ম্যানসিপ, খেলোয়াড়ী মনোভাব সবকিছু তাকে কেতাদুরস্ত ও সৌজন্যময় করেছে। একই সঙ্গে তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি ও বঙ্গের শ্রেষ্ঠমুখ। সৎ চরিত্রবাণ ও কর্মঠ। পুরুষের সমস্ত গুণগুলি সৌরভ গাঙ্গুলীর মধ্যে বিদ্যমান। কিন্তু যেকোনও কারণেই হোক তিনি একটু শারীরিক বিপদে পড়েছেন। তিনি একজন শৃঙ্খলাপরায়ণ, সৃষ্টিশীল ও নিয়মনিষ্ঠ মানুষ হয়েও আজ সামান্য অসুস্থ। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ হিসেবে এতদিন তিনি রাজনৈতিক রঙগুলি সযত্নে পরিহার করেছেন। সরকারের কাছ থেকে জমি পেয়েও ফেরত দিয়েছেন আর এইখান থেকেই যাবতীয় সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। কোনও রাজনৈতিক দলকে গালাগালি দিয়েছেন এমন কেউ বলতে পারবেন না। ৩৪ বছরের বাম রাজত্বকালে একবারও তিনি বামেদের সঙ্গে মিশবেন না এটা হতে পারেনা। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তার সখ্যতা নেই এমন কথাও কেউ বলতে পারবেন না। সম্প্রতি বিজেপিকে এখানে বলতে বাধ্য করা হয়েছে যে তারা জিতলে তাদেরও মুখ্যমন্ত্রী একজন বাঙালি হবেন। আর এই বাক্যবন্ধ থেকেই যত গন্ডগোলের সৃষ্টি। কি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বা সৌরভ গাঙ্গুলী কেউই কখনও বলেননি সৌরভ সেই বাঙালি হবু মুখ্যমন্ত্রী। সৌরভ তো সাংবাদিকদের স্পষ্ট করে দিয়েছেন এইসব নিয়ে কথা বলতে তিনি রাজ্যপালের কাছে যাননি। অর্থাৎ তিনি ওই বাক্যবন্ধতে জল ঢেলে দিয়েছিলেন। তবু সোস্যাল মিডিয়া থেকে, টিভি চ্যানেল এবং অবশ্যই সংবাদপত্রে সৌরভের হবু মুখ্যমন্ত্রীর জল ঘোলা হতেই থাকছিল এবং অনেকেই সেই ঘোলাটে জলে মাছ ধরতে পুরোদমে নেমে গিয়েছিলেন। এখন কথা হচ্ছে সৌরভদের পারিবারিক পয়সার অভাব আছে কি, নেই। সৌরভের নিজের পয়সারও অভাব নেই। প্রতিপত্তি থাকলেও প্রতিপক্ষ নেই আর। তার খেলোয়াড়ী জীবন যারা শেষ করে দিতে চেয়েছিল তাদের সম্পর্কে মুখ খুলেছেন ৯ বছর পরে। শিষ্টাচার, সৌজন্যতা, ভদ্রতা তার কাছে আমাদের শিখতে হয়। তিনি হতোদ্যম হন না কিন্তু ইতিমধ্যে তিনি যে অসুস্থ হয়ে পড়লেন তার কারণ যে তার রাজনৈতিক তরজায় জড়িয়ে পড়াই, সেটা এখন আরও টেনে পথে নামিয়ে আনতে পরোক্ষভাবে কিন্তু বাঙালি এখনও ওই পথ ছাড়তে রাজি নয়। বারংবার এইজন্য টিভিতে, কাগজে, ফেসবুকে, হোয়াটসঅ্যাপে, নিজেদের মধ্যে লোকে বলছেন, যাতে কোনোভাবেই যেন না সৌরভ ওই পথে পুণরায় পা বাড়ান। সৌরভের অসুস্থতায় যত না রাজনৈতিক দল এখন ভেঙে পড়েছে, মনে হয় তার তিনগুণ তারা বল পেয়েছে সৌরভের অসুস্থতায়। টিভির লোকেরা এমন প্যানেল ডিসকাশন ও টক-শো করতে পেরে মনে হয় বেশ স্বস্তি পেয়েছেন খানিকটা। অন্তত তিন-চার দিন সৌরভ গাঙ্গুলি তাদের অন্যকিছু না ভাবতে ফুরসত করে দিয়েছেন। অথচ আমাদের উচিত ছিল সৌরভের হবু মুখ্যমন্ত্রীর গুঞ্জন তার হাতেই ছেড়ে দেওয়া। কিন্তু ঘুরেফিরে বাঙালি এই তরজা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষেই এখনও। এতে যে অসুস্থ সৌরভ, আরও অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন তার কোনও চিন্তা ভাবনা কারও নেই। আমি যদি ফর্মূলাটা বা পদ্ধতিটা জানতাম তবে এখুনি একটা জনস্বার্থের মামলা করতাম সৌরভের শান্তির জন্য। কলকাতা হাইকোর্টের সরণাপন্ন হয়ে জানাতাম আবেদন, যাতে এই বিষয়ে কেউ কোনও আর আলোচনা করতে না পারেন। কিন্তু পদ্ধতিটা আমার জানা নেই।
⛔ পরিশেষে আমার ব্যক্তিগত একটা মতামত দি। আচ্ছা সত্যি কি দাদাকে মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল? না কি দাদাকে ত্রিপুরার রাজ্যপালের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল? যদি মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব দেওয়া হয়ে থাকে তবে সৌরভ গাঙ্গুলী নিশ্চিত বলেছিলেন তিনি মাঠে-ঘাটে গিয়ে কোনও বক্তব্য রাখতে পারবেন না, তিনি মিটিং-মিছিলে যেতে পারবেন না। শুধুমাত্র তিনি প্রজেক্ট হবেন। কারণ সৌরভ গাঙ্গুলীর যে গুণগত ব্যক্তিসত্তা আছে তার বাইরে গিয়ে তিনি আম রাজনীতি করতেন না, সেক্ষেত্রে বিজেপি শুধুমাত্র দাদার ছবি নিয়ে হয়তো লড়তো। এইসব কল্পনা একান্তই আমার। যদিও এই উদ্ভট কল্পনা শুধুমাত্র আমার দ্বারাই করা সম্ভব। এরপর আমি বলবো, আমি আবেদন করবো--অমিত শাহজীর কাছে, যদি দাদাকে হবু মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব দিয়ে থাকেন তবে এখন সেটা তুলে নিন। এইসময় দাদাকে অর্থাৎ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ত্রিপুরার রাজ্যপালের প্রস্তাব দিন। কারণ দাদার এখন বিশ্রাম নিলে ভালো হয়। সেক্ষেত্রে মনে হয় দাদাকে মানাবেও ভালো এবং বাংলার খুব কাছে ত্রিপুরা রাজ্য। দ্বিতীয় পশ্চিমবঙ্গ। বরং দাদাকে ত্রিপুরার রাজ্যপাল করে দাদার উৎসাহে, ওই পিছিয়ে পড়া রাজ্যটিকে ক্রিকেটে পটু করার ব্যবস্থা নিন। পূর্ব ভারতের মধ্যে অসম একসময়, ক্রিকেটে যে তাদের প্রতিষ্ঠা ছিল এখন তা নিম্নমুখী। বরং দাদাকে ত্রিপুরার রাজ্যপাল করে ত্রিপুরা আর পূর্ব ভারতে ক্রিকেটের উন্নয়ণ ঘটানো হোক। ©® অলোক কুন্ডু
©® অলোক কুন্ডু
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন