রবিবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২১

কীভাবে ভ্যাকসিন পাবো এখনও কেউ জানেনা: অলোক কুন্ডু

জনগণের অপশন জরুরি সে বিনা পয়সার ভ্যাকসিন নেবে না কি পয়সা দিয়ে কিনে নেবে? --অলোক কুন্ডু

শোনা যাচ্ছে আমেরিকান "বায়োএনটেক" এবং মডার্নার "কোভিদ-ভ্যাকসিন " সমস্ত রকমের ক্যান্সার ও সার্স রোধ করতেও পারবে বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা হয়েছে। এই ব্যাপারে আমাদের দেশের ভাবনা কি? এছাড়াও দ্বিতীয় খবর হলো, এখানে এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশনের কোনও উদ্যোগ শুরুই হয়নি। কেবলমাত্র বলা হচ্ছে  অ্যাপে হবে, অ্যাপ কিন্তু রেডি নেই। কোথাও কোথাও ভ্যাকসিন নিয়ে রাজনীতিও শুরু হয়ে গেছে। মৃত্যুভয়ে হয়তো প্রায় ৭০% মানুষ ভ্যাকসিন নিতে অনীহা দেখাচ্ছেন। এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা। তবু পাড়ায় পাড়ায় রাজনৈতিক দলের প্রচার শুরু হয়ে গেছে যে তারাই ভ্যাকসিন বিনামূল্যে দেবে। কিন্তু বিনামূল্যে ভ্যাকসিন, আমি অন্তত চাইনা। আমি চাইছিলাম ফাইজার ও মডার্নার ভ্যাকসিন। মনে হয় তা হওয়ার নয়। এখন পর্যন্ত গুজরাটে মাইনাস ৭০/৮০ ডিগ্রির ফ্রিজিং সিস্টেম তৈরি হয়ে ওঠেনি। নরওয়ের একটি সংস্থার সঙ্গে কথা এগিয়েছে মাত্র। টেন্ডার এখনও হয়নি। কবে হবে কেউ জানেনা। এদিকে ফাইজার এবং মর্ডানার এই দুটি আমেরিকান-জার্মান প্রযুক্তির ভ্যাকসিনের জন্য তারা বিভিন্ন দেশের ১৭৪ টি কোম্পানিকে এজেন্ট করেছে। অবশ্য আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ে দিয়েছেন কীভাবে ইঞ্জেকশন দেওয়া হবে। দেওয়া শুরুও হয়ে গেছে। এক লক্ষ পঁচাত্তর হাজার টাকায় চারদিনের আমেরিকা ভ্রমণের সঙ্গে ওই টিকা ফ্রি দেওয়া হবে বলে একটি ট্যুরিস্ট কোম্পানি বিজ্ঞাপন দিয়েছে আমাদের দেশেও। এদেশে ডাক্তার, পুলিশ, নার্স, ওয়ার্ড বয়দের ও তাদের পরিবারের জন্য সরকার এদেশের পুনের সিরামের, অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন দিচ্ছে ১৬.০১০২১ থেকে। ওই কোম্পানির কাছ থেকে কিনে দিচ্ছে। এখনও সাধারণের জন্য অ্যাপ  Co-Win খোলেনি। কবে রেজিস্ট্রেশন হবে সরকার এখনও জানায়নি। এখানে রাজনীতি হওয়ার আশঙ্কা একটা আছে। আগে সরকার জানাক যে তারা কোন ভ্যাকসিন কাকে দেবে এবং কবে দেবে, তবে তো রেজিস্ট্রেশন। সম্ভবত জনগণের জন্য হায়দ্রাবাদের কো-ভ্যাকসিন বিনামূল্যে দিতে চায় কিনা এখনও কেউ তা জানেন না। পয়সা দিয়ে কিনে দেওয়ার প্যারালাল ব্যবস্থাও সরকারের করা উচিত। না হলে জনগণকে একটা দোটানায় ভুগতে হবে। আর এখন ইলেকশনের বাজার তাই ষোলো আনা রাজনীতির আশঙ্কা আছে। এটা কেন হবে ? এখন সরকার তার কর্মচারীদের দেবে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন আর সাধারণ জনগণের জন্য হায়দ্রাবাদ বায়োটেকের ব্যবস্থা হচ্ছে কিনা সেই সন্দেহ থেকে যায়। কোনও ভ্যাকসিনকে ভাল বা খারাপ বলছি না। সেই বলার মতো আমার শিক্ষাও নেই। তাই সবকিছু ভালো করে বিজ্ঞাপন দিক সরকার। বিজ্ঞাপন না দিয়ে এইসব কাগজ ও মিডিয়ার খবরে মানুষের বিভ্রান্তির শেষ থাকবে না। ইতিমধ্যে ভ্যাকসিন কোম্পানি গুলি শত শত ওষুধ কোম্পানি ও কেমিস্ট্রি শপকে টেন্ডার দিয়েছে বিলিবন্টনের। কারণ ব্যবসা তো তাদের করতেই হবে। তবে বাজারে ভ্যাকসিন কবে আসবে, এই আধা নিউজ, আধা প্রেস কনফারেন্স থেকে আমরা সম্পূর্ণ ধোঁয়াশার মধ্যে আছি। কি কারণে মডার্না বা ফাইজার এদেশে আসতে পেলোনা, তাও জানা নেই। এখন ১৬/১ থেকে এমারজেন্সি বেসিসে ভ্যাকসিন দেওয়া হলেও, নরম্যাল ওয়েতে কবে থেকে এখানে দেওয়া হবে তার কোনও খবর এখনও হয়নি? ইতিমধ্যে একটা অ্যাপ চলে এসেছে বাজারে COWIN বলে। কিন্তু সেখানে রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা নেই। কিন্তু সরকারের Co-Win অ্যাপ কবে আসবে। আরোগ্য সেতুতেও কোনও সুস্পষ্টতা নেই। এই অ্যাপ্লিকেশন সম্পর্কে বিজ্ঞাপন না দিলে বা তার ছবি স্পষ্ট না হলে কেউ কেউ ভুলে থার্ড পার্টি অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করে ফেললে সমূহ বিপদে পড়তে পারে। এইসব ভাবার জন্য ব্যক্তি কেন পোস্ট করবে। দায় দায়িত্ব সবকিছু সরকারের। না কেন্দ্রীয় না রাজ্য সরকারের কোনও উদ্যোগ এখনও পর্যন্ত নেই। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া কোভিদ-ভ্যাকসিন নেওয়ার পোস্ট সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। জনগণের কি কোনও বলার অধিকার নেই বা ইচ্ছা অনিচ্ছা নেই, এই বিষয়ে। তার কাছে চয়েজ কি? অপশন কি? সে কোন কোম্পানির ভ্যাকসিন নেবে ? তার চয়েজ অপশন অবশ্যই থাকা উচিত। কারণ অনেকেই পয়সা দিয়ে কিনে নিতে চাইবে ও পারবে--অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন যা পুনেতে তৈরি। যারা নেবেন না সেটা তাদের বিষয়। যারা নেবেন না তাদের সম্পর্কে আলোচনাও তাই কিছু থাকবে না। যারা ভ্যাকসিন নেবেন তারাই এই আলোচনা পড়ুন ও করুন। ©® অলোক কুন্ডু

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

প্রয়াত তরুণ মজুমদার--অলোক কুন্ডু

#তরুণ_মজুমদার_চলেগেলেন অধিকার এই শিরোনামে--কয়লাখনির শ্রমিকদের জন্য ডকুমেন্টারি বানিয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত পরিচালক তরুণ মজুমদার। ছিলেন আজীবন বাম...