🎯 অলোক কুন্ডু
•০৮.০২.২০২১১
🎯 হলদিয়ার জনসভায় প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেস ও তাদের সরকারের বিরুদ্ধে যে বলবেন এটা প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু যে নন্দীগ্রামের জন্য বামেরা উৎখাত হয়েছিল তার নিকটতম জায়গা হলদিয়া থেকে কেন প্রধানমন্ত্রী বামেদের বিরুদ্ধে নতুন একটি অস্ত্রকে ধারালো করে শান দিলেন। কারণ কি ? অথচ এখানে বিজেপির উত্থান কিন্তু তৃণমূলকে প্রবল আক্রমণের মধ্য দিয়েই হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ভোট বাড়াতে হলে ইতিপূর্বে সত্তর বছরের ইতিহাস বলছে সরকারকে আক্রমণ
না করলে রাজনৈতিক মঞ্চ দখল রাখা মুস্কিল। তাই প্রধানমন্ত্রী তৃণমূলকে প্রধান শত্রু করেও বামেদের বিরুদ্ধেও অস্ত্র শানাতে ভুললেন না। নিশ্চিত এর বিস্তৃত কারণ আছে। একমাত্র তৃণমূলকে প্রবলরূপে আক্রমণ করার জন্য বিজেপির এই উত্থান আজ হয়েছে। হঠাৎ তার সঙ্গে বামেদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাবার কারণ কি ? হয়তো দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে গোপন কিছু রিপোর্ট থাকতে পারে। যে কারণে বঙ্গের রাজনীতিতে প্রধানমন্ত্রী আর একটি দরজা আজ জনসম্মুখে খুলে দিলেন। নিশ্চিত তাঁর কাছে আই.বি রিপোর্ট আছে যে বামেরা যাত্রাভঙ্গ করতে পারে, তলে তলে তাদের গোপন কম্মটি হয়তো প্রধানমন্ত্রী আগেভাগে জেনে গেছেন। গুটিকয়েক মোক্ষম শব্দের বিশেষণ দিয়ে তা পরিষ্কার করে দিলেন তিনি আজ। আসলে বামেদের এতে স্বার্থ কি ? লক্ষ্যণীয় যে বামেদের বক্তব্য থেকে খুব একটা বোঝা যাচ্ছে না যে তারা ক্ষমতায় আসতে চান। বরং তাদের আন্দোলন সবটাই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে যেমন--এল.আই.সি যেন সম্পূর্ণ রাষ্ট্রায়াত্ত্ব থাকে। কৃষি আইন যেন সরকার তুলে নেয়, রান্নার গ্যাস যেন ফ্রিতে সরবরাহ করা হয়, পেট্রোল ডিজেলের যেন দাম বেঁধে দেওয়া হয়, ব্যাঙ্কের সুদ বাড়ানো হয়। আর তার সঙ্গে গুজরাটের পুরনো দাঙ্গা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি তুলে ধরছে তারা। তৃণমূলকে আক্রমণ করে যে একদিন বনধ্ ডেকে দেওয়া অথবা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজত্বকালে তারা প্রেস কনফারেন্সে করে, যে সব দাবিদাওয়া তুলছে ও দুর্নীতিসমূহ বলতে চাইছে। যখন তারা জনতার দরবারে যাচ্ছে সেইসব তারা তেমন জোরালোভাবে বলছে না। এর কারণ কি ? মনে হয় এইসবগুলিও বাম ও সিপিএমের দেখা দরকার। কারণ বিজেপির অভিযোগ অনুসারে তাদের কাজে করে না দেখাতে পারলে, ভোট পাওয়ার ক্ষেত্রে তারা পিছিয়ে পড়বে। বামেদের ঘাড়ে এই যে অভিযোগ চাপিয়ে প্রধানমন্ত্রী চলে গেলেন, তা কি রাজ্যের বিজেপিকেও নাড়িয়ে দিয়ে গেলেন ? যে তোমরাও এই বিষয়ে নজর দাও। রাজ্যের বিজেপির যুদ্ধজয়ের মূল কান্ডারি, শুভেন্দু অধিকারী কিন্তু, জ্যোতিবাবু থেকে সিপিএমের সরকারের ভালো দিকগুলি তার বক্তব্যের মাঝে তুলে ধরছেন। এই রাজ্যের ভোটারকে কিন্তু শুভেন্দুর থেকে বেশি বোধহয় কেউই চেনেন না। মুকুল রায়ের পর তিনি তৃণমূলের দ্বিতীয় ব্যক্তি ছিলেন, যিনি সারা পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের হয়ে সংগঠন বাড়িয়েছেন, বক্তৃতা করেছেন ও দৌড়েছেন। বোঝাই যাচ্ছে বঙ্গ বিজেপিতে টক ঝাল মিষ্টি দিয়ে,
বামপন্থীদেরকে তুলে ধরার চেষ্টা করা করছে বিজেপি। বিশেষ করে ৩৪ বছরে একটা বড় শিক্ষক শ্রেণি তাদের হাতে এখনও আছে। কিন্তু ১৯৮১-এর পর গ্রামেগঞ্জে তাদের কাছে যে পঞ্চায়েতি রাজের সুবিধা ভোগীরা এসেছিলেন অন্যদল ছেড়ে দিয়ে, তারা ধীরে ধীরে সরে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে বামেরা কি করতে পারেন ? কতটুকু জয়, তারা তাদের বামপন্থী মেজাজ ও ঐক্য দিয়ে ধরে রাখতে পারবেন ? পশ্চিমবঙ্গের মানুষ তাও এইবার পরীক্ষা করে নেবে। গত ২০১৬ তে বা তার পরের ভোটেতে বামেদের প্রাপ্ত সাতভাগ ভোটের থেকে যাতে আরও ২/৩ % ভোট বিজেপির দিকে টানা যায়, এই সঙ্গে তার একটা প্রচেষ্টাও তৈরি করে রেখে গেলেন, প্রধানমন্ত্রী। যদি আব্বাস সিদ্দিকীদের সঙ্গে বাম+কংগ্রেসের জোট শেষ পর্যন্ত হয়ে যায়ও, তাহলে বামেদের ভোটে যে ব্যাপক ভাঙন ধরার কথা ছিল বরং কিছুটা উন্নতি হতে পারে। নতুন ভোটার বামেদের সঙ্গে নাও যদি যায়, তাহলেও ৫-৬ % ভোটার এখনও বামেদের সঙ্গেই থাকতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তাই, ওখান থেকে আরও কিছু যদি কমিয়ে দেওয়া যায় এবং বামেদের আর বাড়তে না দেওয়া।
• বিজেপি বেকরত্বকেই খুব বেশি জোর দিয়েছে এই কারণে যে পশ্চিমবঙ্গের শিল্প পরিস্থিতি ও বেকার সমস্যা এবং পরিযায়ী শ্রমিক সমস্যায় ধুঁকছে। বিজেপির জনপ্রিয়তা এখন যা আছে তাকে কিছুতেই হারাতে আর রাজি নন তারা। বিজেপির বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় এখনও শহরের পথে নামেনি। অনেকটা চাপা আগুনের মতো হয়ে আছে। ফোকাসড নয়। শহরের লোকের কাছে, বিজেপির প্রধান শত্রু তৃণমূল যতটা, ততটা বুঝি এখন থেকে বামেরাও হয়ে উঠলো। কারণ বাম বুদ্ধিজীবী থেকে বিজেপিকে বেশি বাধা পেতে হচ্ছে। বাম বুদ্ধিজীবীরা সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের বুদ্ধিজীবী লবির সঙ্গে বসে প্রকাশ্য জনসভায় হেয় করছেন বিজেপিকে। এইসব খবর আই. বি মারফৎ প্রধানমন্ত্রী হয়তো পেয়ে গেছেন। এছাড়াও পূর্ব-মেদিনীপুরে বামেদের ইউনিয়নে কিছু লোক আছে এখনও। শিল্পাঞ্চল বলে কথা। নন্দীগ্রাম, সুশান্ত ঘোষ, লক্ষ্মণ শেঠ অনেকগুলো ফ্যাক্টর আছে ওখানে। তা ছাড়া বাজপেয়ী সরকারের আমলে, তাদের প্রতিনিধি এসেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্দিনে, পশ্চিম মেদিনীপুরে। চমকাইতলা, খেজুরি, কেশপুর, নেতাই এইসব নাম প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে আছে। বিজেপি ও স্বরাষ্ট্রদপ্তরের কাছে সেইসব অজানা নয়। বিশেষ করে একসময় দুর্দিনে কেশপুরে তাদের বেশ ভালো সমর্থক ছিল। এক ঢিলে দুই পাখি মারার কৌশল তাই প্রধানমন্ত্রী ছাড়তে চাননি এখানে। তা ছাড়া সিপিএম ও বামেদের কাছে বারবার সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছে, আপনাদের প্রধান শত্রু কারা। সর্বাগ্রে বামেরা নির্দ্ধিধায় জানিয়েছে প্রধান শত্রু তাদের কাছে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি। তারা যে সুকৌশলে তাও বলেছেন যে তারা সংখ্যালঘু ও মুসলিমদের সঙ্গে আছেন। একসময় গ্রামের আদিবাসী ভোট তাদের একচেটিয়া ছিল, সঙ্গে ছিল মুসলিম ভোট। কিন্তু বিজেপি সেখানে আদিবাসীদের মধ্যে বেশ ভালো রকম সংগঠন গড়ে ফেলেছে। দুই-মেদিনীপুরে আদিবাসী ও হিন্দুভোট ঘরে তুলতে পারলে এখন বিজেপিকে আর ঠেকায় কে। ইতিমধ্যে বেশকিছু বামপন্থী নীচুতলার কর্মী শুভেন্দুর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গেলে নীচুতলায় আর কোনও দল ভয় দেখিয়ে দলবদল করতে পারবে না। তা ছাড়া বামপন্থী ও সিপিএমের যে সকল ছোট ছোট সভা হচ্ছে সেখানে তারা তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে যত বলছেন তার থেকে বেশি বলছেন বিজেপির বিরুদ্ধে। হয়তো সারা ভারতে
এটাই বামেদের পার্টিলাইন। ইতিমধ্যে তারা দেখেছে, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, পঞ্জাব ও বিহারে
এই লাইন তাদের কাজে এসেছে। এখন পশ্চিমবঙ্গে সেই লাইন থেকে তারা সরে আসতেও পারেন না।
•ওদিকে যেহেতু কংগ্রেসের ঘর ভেঙেই তৃণমূল কংগ্রেসের বাড়বাড়ন্ত তাই অধীর চৌধুরী আবার বলেছেন দুদিকেই। কিন্তু কেন্দ্রীয়স্তরে বিজেপির আবার প্রধান শত্রু কংগ্রেস। শুভেন্দুকে খুব বেশি
আক্রমণ বর্তমানে না করলেও তৃণমূলে থাকার সময় ২০০৬-এ অধীর শুভেন্দুর বাকযুদ্ধে তপ্ত ছিল মুর্শিদাবাদ। অধীর চৌধুরী শুভেন্দুকে কুকুর ও নিজেকে হাতির সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। কিন্তু শুভেন্দুর বেরিয়ে আসার পর অধীর চৌধুরী ও আব্দুল মান্নান শুভেন্দুকে তেমন আক্রমণ করেননি বলে কে বা কারা মুর্শিদাবাদে অধীর চৌধুরীর নামে পোস্টার দিয়েছে। অধীরকে সেখানে ভোট দিতে বলছে হাতের মাঝে পদ্মফুল
এই যুগ্ম চিহ্নে। কংগ্রেসের ছেলেরা সেইসব অনামা পোস্টার ছিঁড়ে দিয়েছে।
•কিন্তু বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের পরিবেশে বেশ বুঝতে পারছে আর তাই তিনদিকে আক্রমণ শানালে তাদের আক্রমণ যে ভোঁতা হয়ে যেতে পারে, তাই এখানে তারা কংগ্রেসকে কোনও আক্রমণ করছে না। অবশ্যই দিলীপ ঘোষ একা হলেও জনতার কাছে কিছুটা নিন্দিত হলেও, বিজেপির লড়াকু নেতা হিসেবে তিনি সম্মানিত। বরং বিজেপির প্রাদেশিক নেতাদের মধ্যে একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। বেশ যে একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিজেপিতে আছে তারা কিন্তু তা স্পষ্ট করে দিয়েছে। দিলীপ ঘোষকে ব্যানারে সম্মানের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন জোনে তারা ভাগাভাগি হয়ে যাচ্ছেন। সভাগুলোতে এখন পর্যন্ত জনসমাগম দারুণ। উপচে পড়ছে। ইতিমধ্যে বিজেপির জনসমাগমে বাইরে থেকে না এনেও মাঠ উপচে যাচ্ছে। ২০/২৫ কিমির মধ্য থেকেই তাদের ফলোয়াররা সভায় যোগ দিচ্ছেন। তাদের কাছে সরকারের ঠেস নেই, পুলিশ নেই, পরিকাঠামো নেই তবুও তাদের সভাগুলোতে ভিড় উপচে পড়ছে এবং ম্যানেজমেন্টে পাশ করে চলেছে। ( যদিও মঞ্চের ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত খারাপ) যদিও জনমত বাড়াতে গিয়ে জনতাকে কন্ট্রোল করা শিখতে পারেনি ( ভিক্টোরিয়া কান্ড ও মঞ্চে জনগণ গাওয়া) তবুও ইতিমধ্যে হুগলী, মেদিনীপুর ও পুরুলিয়ায় জেতার মতো মাটি যথেষ্ট তৈরি করে ফেলেছেন তারা। ১/২ ভাগ মুসলিম ভোটেও অল্প বিস্তর ভাগ বসাতেন পারেন এখন। পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি, নদীয়ায় ইতিমধ্যে বিজেপি, অ্যাসিড টেস্টে পাশ হয়ে গেছে। হাওড়ার গ্রামে গ্রামে বিজেপির ঝান্ডা এখন বেশ দেখা যাচ্ছে।
এখন দেখা যাচ্ছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও ভালো বলতে পারেন এবং হাওড়ায় তার বাবা-কাকার প্রচুর গুণগ্রাহী আছেন এবং ভদ্রলোক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন। কাউকে অসম্মাণ করে কথা বলেন না। হাওড়ার গ্রাম শহরে বিজেপির এত তাড়াতাড়ি যে উত্থান হবে
তা বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের জানা ছিল না। এখন প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত সব খবর রাখছেন এবং বামেদের পূর্ব প্রসঙ্গ তুলে অল্প কথায় তাদের ভূমিকা স্পষ্ট করে দিয়ে গেলেন, হলদিয়াতে। বিশেষ করে বুথের মধ্যে বামেদের ভূমিকা পঞ্চায়েত নির্বাচনে অন্যরকম হয়েছিল। তাই স্পষ্ট বার্তা বামেদের কাছে। অবশ্য এতে করে বামেদের নীতি পাল্টানোর অবকাশ কোনও থাকেনা। এখন দেখার বাস্তবে বামেদের আচরণ কি হয় ? সত্যি কি তারা প্রধানমন্ত্রীর উসকে দেওয়া প্রসঙ্গকে হুবহু মিলিয়ে দেবেন না কি তারা তাদের নীতিতে অকাট্য থাকবেন এবং ২০২৬ এ আবার ফিরে আসার জন্য মাটি তৈরি করে নেবেন, এই একুশে। একুশের নির্বাচন তাই বামেদের কাছে পরীক্ষাগার ও আত্মসমীক্ষার জায়গা ? উল্লেখ্য যদিও বামেদের আমলেই এই রাজ্যের বেকারদের সবচেয়ে বেশি চাকরি হয়েছিল কিন্তু তাদের অন্যান্য নীতি তাদেরকে পিছিয়ে দিয়েছিল। এখন নতুন করে এখন বেকারত্ব কম করার জন্য তাদের হাতে কোনও অস্ত্র কাছে নেই। কারণ তাদের সরকার যে আসবেই এর কোনও গ্যারান্টিও নেই তাদের ঝুলিতে। কারণ লোকে বলছে তাদের প্রধান শত্রু তৃণমূল কংগ্রেস নয়। সকলে সত্যিই সেটাই দেখছেন কিনা তা অবশ্য প্রমাণিত নয়। এখনও আদাজল খেয়ে লড়াইয়ের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি ভোটের । ঢের দূরে নির্বাচন। তারা বরং নির্বাচনী প্রচারে যথেষ্ট পিছিয়ে আছেন। যদিও বামেদের মূল বক্তব্যগুলি কেন্দ্রীয় সরকারকে হঠাতে খুবই কার্যকরী। গ্যাসের দাম বাড়ছে কেন, রাষ্টায়াত্ব সংস্থাকে প্রাইভেট সেক্টরে দেওয়া যাবেনা, সম্প্রীতির ক্ষেত্রে ও ধর্মীয় মৌলবাদী ক্ষেত্রে বিজেপি দল হিসেবে বিপজ্জন। বিজেপির রাজত্বকালে জিনিসের দাম উর্দ্ধ্বমুখী ও কৃষি আইন বাতিল আবশ্যক। এখন দেখার নির্বাচনে জেতার জন্য তাদের প্রচার কতখানি
আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। 🎯 ©® অলোক কুন্ডু
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন