শ্রদ্ধাঞ্জলি কেকে / অলোক কুন্ডু
মন্দ্র সপ্তক মধ্য সপ্তক তার সপ্তকের মাধুর্যতায়
হাততালিতে ভরে যাচ্ছে হল ভর্তি ইচ্ছেগুলো
উদারা মুদারা তারা থেকে উঠে আসছে চিত্রকল্পগুলি
কোনও অজ্ঞাতনামা সুরের সৌন্দর্য সম্ভার
হলভর্তি হাততালি তার প্রাপ্তি কুড়োতে ব্যস্ত
ওদিকে হাঁসফাঁস করছে শিল্পীর হৃদস্পন্দন
কথাগুলো গুলজারের কখনও কওসর মুনিরের
প্রিতম থেকে জিৎকে নিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন শিল্পী
হাততালির মায়াকে শিল্পী কিছুতেই ছেড়ে যাবেন না
জীবন বাজি রেখে গাইছেন একের পর এক গান।
উত্তেজনার পারদ উপচে পড়ছে উন্মাদনায় মত্ততায়
দমবন্ধ করা নজরুল মঞ্চের ভেতর মানবস্রোত
তিল ধারণের জায়গা নেই শুধু আরও চাই আরও চাই
উদারা মুদারা তারার সঙ্গে লাবডাব করছে স্পন্দন
আরও চাই আরও চাই শিল্পী তখন বড় একা
বড় করুণ দেখাচ্ছে তার মুখমন্ডলের নক্ষত্রবলয়
বারংবার তার শরীরের অস্বস্তিগুলি প্রকট হচ্ছে
সপ্তকগুলি তবুও শিল্পীকে ছেড়ে যেতে চায়নি
ধীরে ধীরে মঞ্চে তাকে ঘিরে ধরলো অতি উৎসাহীরা
উইং ক্লোজ করে দাঁড়িয়ে পড়া শত শত মোবাইল
আলোর উত্তাপগুলি তার হৃৎপিন্ডকে চেপে ধরতে চায়
তার চারপাশে অক্সিজেন কমে আসছে ধীরে ধীরে
তখন কারও মনে পড়লো না অভিমন্যু বধের কথা
কেকে-র গলা শুকিয়ে আসছে আর বুঝি পারছেন না
শ্রোতারা যদি জানতো গান মুখ দিয়ে গাওয়া হয়না
তাহলে তোমাকে এমন করে বেঘোরে মরতে হত না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন