ALOK KUNDU BOLCHHI
I am a Bengali Blogger cum writer. I also like to expose poetry from my choice
সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৪
প্রয়াত তরুণ মজুমদার--অলোক কুন্ডু
মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট, ২০২২
ভূবনেশ্বরের লিঙ্গরাজ মন্দির
● ভূবনেশ্বরের লিঙ্গরাজ মন্দিরে যখন প্রথম আসি তখন আমি স্কুলে পড়িনা। তখন মামাদের আদরে মানুষ হতাম কলকাতার জোড়াসাঁকোয়। বলরাম দে স্ট্রীটের ছাদের ঘরে কিন্তু আমার বড়মাসি, ছোটমাসি সন্ধ্যায় রেডিও শুনতে শুনতে রীতিমতো আমাকে পড়াতেন প্রতিদিন। ঠিক ওইসময় ততক্ষণে পাশেই খোলা ছাদের কিছুটা ঢাকা অংশে ইলেকট্রিক হিটারে গাওয়া ঘিয়ের পরটা অথবা লুচি তৈরি শুরু হয়ে যেত, হয় দিদিমা কিংবা বড়মাসি উঠে গিয়ে ভাজতে লাগতো। সেই গন্ধে পড়ায় মন বসতো না কিছুতেই। তখন বয়স ৪ অথবা ৫/৬ হবে।
● সেই সময় বা পরে মাঝে মাঝেই মামাদের সঙ্গে আমি ভূবনেশ্বরে অথবা মধুপুরে বেড়াতে গিয়েছি। গিয়ে একমাস করে থাকা হতো। ভূবনেশ্বরে আমার অনেকটা ছোটবেলা ও বড়বেলা কেটেছে। ওখানে মামাদের
” যোগেশ নিবাস ” লেখা বাড়ির সামনে দিয়ে কদাচিৎ বাস চলে যেত। যার চেহারা ছিল এখনকার মিনিবাসের থেকেও ছোট। মুখটা সামনে বেরিয়ে থাকতো খানিকটা। পাশেই ছিল লিঙ্গরাজ টেম্পল। শুনেছি মাত্র ১৫০ টাকায় জমি কিনে গৌরীকুন্ডের ( ভূবনেশ্বরের গৌরীকুন্ডের জল কলকাতায় তখন বিক্রি হতো বড় বড় ওষুধের দোকানে) মিনেরেল ওয়াটারের কাছে। মাটি ফুঁড়ে উঠতো সেই জল। যা খেলে সেরে যেত পেটের অসুখ। জলের জন্য মামাদের ঠাকুরদা বাড়ি করেছিলেন ওখানে। এক বিঘার কিছু কম জমিতে, লালরঙের সেই বাড়ি আজ আর নেই। মামাদের তিন শরিক মিলে ৫০ লক্ষ টাকায় খানিকটা জলের দরে সেইসব বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছিল– এই তো কয়েকবছর আগের ঘটনা।
● লিঙ্গরাজ টেম্পলের এক পান্ডা যারা দেখভাল করতো তারা প্রায় দুতলা বাড়ি সমেত জায়গাটা অধিকার করে নিয়েছিল একটা সময়। ভূবনেশ্বরের টানে কলেজে পড়ার সময় কেস লড়তে মামাদের সঙ্গে যেতে হতো। অবশেষে জমির বৃহত্তম অংশ ফেরত পাওয়া গেলেও ২৫ ভাগ পেয়ে যায় ওই পান্ডার বংশধররা। সেই জমিতে এখন অন্নপূর্ণা চ্যারিটেবল ট্রাস্টের বিশাল হসপিটাল। পাশেই রামকৃষ্ণ মিশন।
● জুলাই মাসে কোথায় যাই কোথায় যাই করতে করতে হঠাৎ করেই পুরী চলে গেলাম গত ১/৮/২২ -এ। সঙ্গে আমার স্ত্রীও। এখান থেকে নেটেই বুক করলাম হোটেল নীলাদ্রি-কে বুকিং কম থেকে। ছোট থেকে পুরী তো আসছি বহুবার। ১২ বারের বেশি তো হবেই। আগে থাকতাম মন্দিরের কাছে। আমার স্ত্রী ট্রেনে শুয়ে শুয়ে এখন আর যেতে চায়না। কি করা যায়। অগত্যা টিকিট কাটলাম ধৌলিতে। শালিমার থেকে বসে বসে চলে গেলাম পুরী। পুরী থেকে ৪/৮/২২ ভূবনেশ্বর হয়ে ভাইজাগ। পুরনো ওয়াল্টেয়ার আর কেউ বলেন না। সেই কবে যে এসেছিলাম। সাঁত্রাগাছিতে ভাইজাগবাসীদের যে স্কুলটা আছে, ওদের সহযোগিতায় গিয়েছিলাম সেইবারে ভাইজাগ। ওই স্কুলের শিক্ষকরা মাসে মাসে বাড়ি যেত তখন। ওদের হাত দিয়ে (আমার বিয়ের ৫/৬ বছর পর শ্বশুর, শাশুড়ি সহ গিয়েছিলাম) হোটেল বুক করিয়ে আনিয়েছিলাম। ওরাই ওখানে ওদের আত্মীয়কে দিয়ে আমাদের হোটেল পৌঁছে দেওয়া থেকে খাওয়ার হোটেল কোথায় পাওয়া যায় আর জগদম্বা জংশন চিনিয়ে দিয়ে সাহায্য করেদিয়েছিলেন।
● এইবারে তাই দুম করেই চলে গেলাম। পরে বলবো কেন শিল্পীত শহর এখন ভাইজাগ। রামকৃষ্ণ বিচ বর্ধিত হয়ে আরও কিলোমিটার বিস্তৃত হয়েছে এখন। ঋষিকুন্ডা ছাড়িয়ে শহর। ভাইজাগ হয়ে ফিরতি পথে আবার একরাত ভূবনেশ্বর একদিন। এই ভূবনেশ্বরে এসেই কলকাতার জিওলজিক্যাল সার্ভেতে আমার বাবার চাকরি হয়েছিল। আমার বয়স তখন ৪ বছর। তাই আমাদের পরিবারের কাছে এই জায়গা ও ভূবনেশ্বরের লিঙ্গরাজ মন্দিরের প্রতি একটা অন্যরকম শ্রদ্ধা জড়িয়ে রয়েছে। যদিও সেই সময় আমাদের এক আত্মীয় যিনি তখন ছিলেন জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার একজন বড় অফিসার, তাঁর পেটের সমস্যার জন্য তিনি আমাদের ভূবনেশ্বরের ওই মামার বাড়িতে পুরো পরিবার নিয়ে আলাদাভাবে একমাস ছিলেন। আমরাও সকলে গিয়েছিলাম। সেখানেই আমার বড়মাসির উদ্যোগে আমার বাবার চাকরি হয়েছিল তদ্বিরেই তো তখন চাকরি হওয়ার প্রচলন ছিল।
● গত ২০০৮-এ এসে যে লিঙ্গরাজ টেম্পলে লিঙ্গের বিশাল বেড় ছুঁতে পেরেছিলাম অনায়াসে তার ধারেকাছে যাওয়ার অনুমতি ছিলনা এইবারে। সিকিউরিটি এবং প্রশাসনের নজরে এখন মন্দিরে ঢোকায় বহুরকম নিষেধাজ্ঞা। লিঙ্গের কাছে যেতে আর দেয়না। মন্দিরের বাইরেটায়, যে প্রাচীন জায়গা ছিল তাও ভেঙে তচনচ করে দিয়ে সেখানে অনেকটা ফাঁকা জায়গা তৈরি করেছে। সাফসুরত করেছে বেশ। আগে কুষ্ঠরোগীদের ভিড় লেগে থাকতো মন্দিরের বাইরে ও আশপাশে। এখন অন্যরকম মন্দির প্রাঙ্গণ। মোবাইল পর্যন্ত নিয়ে কেউ যেতে পারেন না। ব্যাগ, জুতো মোবাইল রাখার ক্যাম্প অফিস হয়েছে। ২৪ ঘন্টা পুলিশ চৌকি মোতায়েন।
● তবু ছবি যে তুলতে পারা গেল সেটাই অনেক। তার জন্য সরকার একটা টপ (ছাদ) করে দিয়েছে। ছবিগুলি ভূবনেশ্বরের লিঙ্গরাজ টেম্পল কেন্দ্রিক। ছবি তোলার জায়গাটা হ’ল মন্দিরে ঢুকতে ডানহাতে পড়ে। ওদিকে একটা প্রাচীন গেট ছিল। এখন বন্ধ। ভেতরে গিয়ে যাতে
পূন্যার্থীরা হাত ধুতে পারে তার জন্য জলের মেশিন বসানো হয়েছে। পুজো দেওয়ার একটা সিস্টেম করা আছে।
● গত ১ আগস্ট প্রথমে পুরী এসে ৩ তারিখ পর্যন্ত পুরীতে রাত কাটাই। ছিলাম লাইট হাউস বাসস্ট্যান্ডের কাছে হোটেল নীলাদ্রি। ভালো হোটেল। রেস্টুরেন্ট ও সুইমিংপুল আছে। তারওপর হোটেলটি আগাগোড়া সারাচ্ছেও। ছাদ থেকেও সমুদ্র দেখা যায়। পর্যাপ্ত স্টাফ আছে। মোটামুটি বোর্ডারদের চাহিদা মেটাই। ওখান থেকে মোহনা হয়ে একটা ২০০০/- টাকার গাড়িভাড়া নিয়ে সরাসরি ভূবনেশ্বর হয়ে বিশাখা এক্সপ্রেসে করে ভাইজাগ গিয়েছিলাম। ©® অলোক কুমার কুন্ডু
শনিবার, ১৬ জুলাই, ২০২২
বাংলা থেকে দেশের উপরাষ্ট্রপতি/ অলোক কুন্ডু
বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন, ২০২২
Cover Story of Mamata Banerjee
বুধবার, ২৯ জুন, ২০২২
লক্ষ্মীর ভান্ডার কি মুখ থুবড়ে পড়বে।
বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন, ২০২২
কলকাতা ইসকনের উদ্যোগে জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা
মঙ্গলবার, ৭ জুন, ২০২২
১৮৮৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর তাঁর জন্ম হয়েছিল মাদ্রাজের অদূরে তিরুনানি টাউনে । মিশনারী
পরিবেষ্টিত এই টাউনে প্রথম ৮ বছর । ১২ বছর
তিনি মিশনারী স্কুলে পড়েছিলেন । কখনো তিরুপতি কখনো ভেলোর কলেজ পরে মাদ্রাজ
খ্রিস্টান কলেজে । গরিব ছিলেন । নিজেই বলেছেন তিনি পারমার্থিক সত্ত্বার� মধ্যে তার
মানুষ হওয়া । গোঁড়া ব্রাহ্মণ পরিবার । জন্মস্থান ছিল ধার্মিক পরিমন্ডল । এতএব খুব কাছ থেকে
দুটো ধর্মের প্রভাব তাঁর জীবনে পড়েছে । তিনি নিজে লাজুক হওয়ার কারণে একা থাকতে
ভালোবাসতেন । স্বামীজির প্রভাব । কাছের রামেশ্বরমের রাজা । দর্শন ও যুক্তি । প্রথম হিসেবে
মাদ্রাজ কলেজ থেক পাশ । ১৭ বছর বয়সে দর্শনের বই । তিনি বাইবেল পড়েও স্বামীজির আমেরিকায় দর্শন কংগ্রেস যোগদান । বাদের ভক্ত হন । তিনি তৎকালীন পাদ্রিদের সমসলোচনার কারণে হিন্দু ধর্মের বেদ বেদান্ত জ্ঞান নেন । পড়া শুরু করেন । তিনি যখন
মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ে এম এ পরীক্ষায় বসলেন তখনই ঘটলো আশ্চর্য ঘটনা । সকল ছাত্রদের
একটি গবেষণা পত্র জমা দিতে হতো । তাঁর সেই গবেষণা পত্র এথিক্স অফ বেদান্ত 1908 তার কুড়ি বছর বয়সে লেখা নির্বাচিত হয়ে এবং সেই
প্রথম কোনো ছাত্রের রচনা হিন্দুদের ধর্মের একটি কঠিন দার্শনিক সমস্যার সমাধান করেন বই হয়ে প্রকাশিত হয় । তার উপনয়নের সময় সাতদিন দন্ডি ঘরে থেকে বেশ কটি উপনিষদ শেষ করেন ।
1912 তে মাদ্রাজ ও অক্সফোর্ড থেকে একই
সঙ্গে প্রকাশিত হয় এসেন্সিয়াল অফ ফিলজফি বইটি । 1909 মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রফেসর হন । 1917 তে প্রবন্ধ রবীন্দ্রনাথের জীবনাদর্শন ও ভারতীয় আধ্যাত্মবাদ । তিনি ধীরে ধীরে রবীন্দ্রনাথ । ফিলসফি অব RABIMFRA NATH THAKUর বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে
1921 আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণ যোগাযোগ কলকাতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ।
1926 দর্শন কংগ্রেস হাভার্ড ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি । ম্যাঞ্চেষ্টার হার্ভাড অক্সফোর্ড । 1931 26 ডিসেম্বরে কলকাতার
টাওন হলে রবীন্দ্রনাথের সংবর্ধনার সভাপতি তিনি যখন 1933 অন্ধ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাধ্যক্ষ হন তখন ওয়ালটিয়ারে রবীন্দ্রনাথ 1934 । অক্সফোর্ড ও বার্মিংহামে অধ্যাপনা । শ্রীকৃষ্ণের
শ্লোকের ব্যাখ্যাও তিনি যেমন করেছেন তেমনি
জৈন দর্শন এর কঠিন সূত্রের সমস্যা সমাধান করেছেন হিব্রু পার্শি জোরেস্ট্রিয়ান বৌদ্ধ ধর্মীয় রাষ্ট্র সংঘে থাকার সময় নারী মর্যাদা তিনি গান্ধীজির অস্পৃস্য নীতির কঠোর সমালোচনা করেছেন সোভিয়েত রাশিয়ার রাষ্টদুত া স্টালিন একমাত্র ভারতীয় সঙ্গে দেখা । ইউনেসকো । 25.2.1956 উপরাষ্ট্রপতি । কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের । বিশ্বের সকলের মঙ্গল কামনা অন্ধকার থেকে আলোয় ফেরা তিনি এই জগতকে বললেছ আপোষের জগত া ভালো মন্দ । 1942
গান্ধীজির ভারত ছাড়ো আন্দোলন লেকচার । 1954 সোভিয়েত পলিটব্যুরো মস্কো বিশ্ববিদ্যালয়ের অবৈতনিক অধ্যাপক 1954 ভারত রত্ন । দুবার উপরাষ্ট্রপতি । ড় রাজেন্দ্র প্রসাদ । 1962 রাষ্ট্র পতি হয়ে অধ্যাপনার 2 হাজার নিয়ে 8 হাজার দান । তাঁকে তাঁর মৃত্যুর আগেই 1975 সালে ইউরোপের টেম্প্লেশন TEMPLETION মাদার া 16.4 ১৯৭৫
মৃদু । অধ্যক্ষ অক্শফোর্ডের । ইনটুইটিভ স্বতঃলব্দ জ্ঞান ।
প্রয়াত তরুণ মজুমদার--অলোক কুন্ডু
#তরুণ_মজুমদার_চলেগেলেন অধিকার এই শিরোনামে--কয়লাখনির শ্রমিকদের জন্য ডকুমেন্টারি বানিয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত পরিচালক তরুণ মজুমদার। ছিলেন আজীবন বাম...
-
বড় চমক, বাংলা থেকে এনডিএর-র উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী ●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●● গত তিন বছর বিভিন্ন ইস্যুতে মমতা সরকারকে নিশানা করেছেন ব...
-
⛔ এটা ২৮ ডিসেম্বর, ১৯৯৭-এর 'বর্তমান' খবর কাগজ। বরুণ সেনগুপ্ত'র আগাগোড়া ১০০% সমর্থন তখন। জিতেন্দ্রপ্রসাদ এসে সোমেন মিত্রকে নিয়ে...
-
#অলোক_কুন্ডুর_লেখালিখি_ও_কবিতা #CoronavirusLockdown #COVID19PH #COVID19 #CoronavirusPandemic #coronavirus #ভিটামিন_সি ■ বিজ্ঞানী ইন্দুভূষণ ...