বৃহস্পতিবার, ২৮ জুন, ২০১৮

আহা রে মন ( Bengali Cinema Aaha Re Mon)

আহা রে মন (সিনেমা)
-------------------------
শুধু আমি না পৃথিবীর বহু মানুষের প্রথম
পছন্দের লেখক গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া
মার্কেজ । মার্কেজ লিখে গেছেন -
" মানুষের পরাজয় নেই " । মার্কেজ
বিখ্যাত ,তার-"জাদু বাস্তবতা "-র জন্য । পাঠকরা তার গল্প পড়তে পড়তে হয়
চরিত্র হয়ে যান অথবা কাহিনীর চরিত্ররা
পাঠকে রূপান্তরিত হন। মার্কেজের যাদু বাস্তবতায় একজন ৯০ বছরের
সাংবাদিক, গণিকাপল্লীতে গিয়ে
একজন ১৪ বছরের কিশোরীর যৌনসঙ্গ
অর্থাৎ শরীর চায় । কিন্তু প্রকৃতপক্ষে
সারারাত কাটানোর পর কিশোরীটি কুমারী থেকে যায় । কিন্তু তার কথনে যে কাব্যিক
ব্যঞ্জনা থাকে , তা পড়তে পড়তে পাঠক নিজেকে চরিত্র বলে ভেবে নেয় । মার্কেজের
-" নিঃসঙ্গতার ১০০ বছর "এই উপন্যাস
জাদুবাস্তবতার উপর প্রতিষ্ঠিত ।
মার্কেজের কাহিনীতে বিচিত্র প্রেমের
সন্ধান পাওয়া যায় । বহুগামী প্রেমের নিঃসঙ্গতার শেষে আবার মিলন হয়
পুরনো প্রেমিক-প্রেমিকার । মার্কেজ
নিজে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়ে বেঁচে
ছিলেন । প্রতিম দত্তগুপ্তর " আহা রে
মন " -এ এই অসুখের মধ্যে থেকে বেঁচে
ওঠার যুদ্ধ ও বিচিত্র প্রেমের এক
রিয়ালিজম যা মার্কেজের
সাইকোলজিক্যাল ট্রিটমেন্টের সঙ্গে
প্রায় মিলে যায় । যে কারণে মার্কেজের
উপন্যাস পড়তে বসলে উঠতে আর মন
চায়না । ঠিক একই কারণে সেই
অভিনবত্ব যদি সিনেমায় ১১০ মিঃ-এর
মধ্যে দর্শকের মনের পরতে পরতে এক ভালোলাগার একটি আস্ত প্রাণ তৈরি
করতে পারেন পরিচালক ,তখন-আহা
রে মন দেখার পর সেই তৃপ্তি চোখে-মুখে
ফুটে ওঠে । তবে সিনেমাটির কাহিনিতে
বেশ কিছু ট্যুইস্ট আছে যা সকলের বেশ
ভালো লাগবে । ইতিপূর্বে প্রতিম দত্তগুপ্তের
দুটি বাংলা সিনেমা - সাহেব বিবি গোলাম
এবং মাছের ঝোল ,অনেক‌ই দেখেছেন ।
আহা রে মনের মুখ্য ভূমিকায় যারা
অভিনয় করেছেন তারা হলেন -আদিল
হোসেন, মমতা শঙ্কর , অঞ্জন দত্ত, পাওলি
দাম,ঋত্বিক চক্রবর্তী, চিত্রাঙ্গদা চক্রবর্তী,
পার্নো মিত্র ও পরিচালক নিজে । এইসঙ্গে পরিচালক সিরিয়াল থেকে এনেছেন
কয়েকজন ভালো চরিত্রাভিনেতাকে ।
গল্পটিও প্রতিমের নিজের লেখা ।
মিউজিক কম্পোজ করেছেন - নীল
দত্ত । টাইটেল সংগীতের লিরিকস,
শ্রীজাতের । ১১০ মিনিটের ছবি ।
চারটি ফ্রেম নিয়ে সিনেমাটি খাড়া
করেছেন পরিচালক প্রতিম দত্তগুপ্ত ।
চারটি ফ্রেমের মধ্যে এক নম্বর ফ্রেমে
দেখা যায় এয়ারপোর্টের ইমিগ্রেশন
অফিসার নিঃসঙ্গ পূর্ণেন্দু পাহাড়ী ওরফে
আদিল হোসেনকে ( ইংলিশ ভিঙলিশের শ্রীদেবীর স্বামীর ভূমিকায় অভিনয়
করেছিলেন) । অন্য একটি ফ্রেমে
একটি ত্রিভূজ নিঃসঙ্গতা ( আদিল
হোসেন, অঞ্জন দত্ত, মমতা শঙ্কর) ।
আসলে পূর্ণেন্দু পাহাড়ীর নিঃসঙ্গতায় , মার্কেজের বিচিত্র প্রেমের সন্ধান এখানে
বাংলা সিনেমায় , এই প্রথম দেখতে পাওয়া গেল । আনলেন প্রতিম দত্তগুপ্ত । পূর্ণেন্দু এখানে দুটি ফ্রেমের কমন ক্যারেক্টার এবং কাহিনীর ট্যুইস্ট । আরকটি ফ্রেমে থাকে
চিত্রাঙ্গদা চক্রবর্তী ও দেব । চতুর্থ আর
একটি ফ্রেম আছে এই সিনেমাটিতে ।
এই ফ্রেমের মুখ্য চরিত্র ঋত্বিক চক্রবর্তী ও পার্নো মিত্র । এই দুজনকে নিয়ে আসলে
শুরু হয় হাল্কা চালে দর্শকদের মনোরঞ্জন
সৃষ্টি করা দিয়ে । এই ফ্রেমে চুরি দিয়ে
যে মন্দ গল্পের শুরু । চিত্রনাট্য তাকে শেষে
মানববন্ধন , মানুষের জয় ( মার্কেজের
থিওরি ) এবং এইসঙ্গে একধারে যেন
তারা দুজন নাটকের সূত্রধরের কাজ ও
মানবিক আবেদনের এক সেতু নির্মাণে
কারিগর হয়ে যান । এই ফ্রেমটিকে
পরিচালক বিভিন্ন জাম্প কাটের মাধ্যমে এমনভাবে অন্য একটি ফ্রেমে জুড়ে দেন
যে , পর্দায় দ্বিতীয় ট্যুইস্টের সৃষ্টি হয় ।
ভরপুর মজা দিয়ে দর্শকের মনোরঞ্জনের
উদ্দামতাকে এই জুটির মাধ্যমে মাতিয়ে
তোলেন । এক‌ই সঙ্গে খারাপ থেকে
আলোয় ফেরার বার্তা দিয়ে এবং বিচিত্র
প্রেমের সন্ধান দেন পরিচালক, এখানেও । আসলে পরিচালক এখানে মার্কেজ
অনুপ্রাণিত এক বাঙালি । মার্কেজের
চিঠি লেখার বিষয়বস্তু , বহু বছর পেরিয়ে
পুরনো প্রেমিকার সন্ধান , অর্থাৎ যে
বিষয়বস্তুর মধ্যে আমরা গল্পের সন্ধান
বাস্তবে করার কথা কখন‌ও ভাবিনা,
তাকেও মার্কেজ বাস্তবে রূপান্তরিত
করেন । মার্কেজের এই যে যাদু বাস্তবতা
তাকে নোবেল এনে দিয়েছে । তাকেই
প্রতিম দত্তগুপ্ত বাংলা চলচ্চিত্রে তুলে
ধরেছেন নিজস্ব অভিজ্ঞতা ও চলচ্চিত্রের পরিভাষা দিয়ে। প্রেম মার্কেজের প্রধান
একটি বিষয় , কিন্তু প্রতিম দত্তগুপ্ত কখনও জেমসবন্ডের ধাঁচে চিত্রনাট্য তৈরি করে
অ্যান্টি চরিত্রে জেমস বন্ড ধাঁচের প্রেম
তুলে আনেন । যা মার্কেজে নেই ।
আবার কখনও মার্কেজের চিঠির খোঁজের
সঙ্গে প্রেমের সন্ধান আবিষ্কার করেন । কাহিনীতে টুইস্ট , কাহিনীতে বুদ্ধির খেলা । ছোটগল্পের রূপরেখা । চিত্রনাট্যে টানটান
গল্পের বিবরণ । এডিটিংয়ের জাম্প
কাটে সৌন্দর্য বিকশিত হতে থাকে
প্লট থেকে প্লটে । কাহিনীর সাবলীল
এই যাওয়া আসলে তখন দর্শকদের
ভালো লাগার আয়োজন করতে থাকে । 
সুর ও লিরিকের প্রাণবন্ততায় তা তখন আদ্যপান্ত একটি বাংলা সিনেমাও দেখতে  থাকি । শুধু নির্মল প্রেম খেলা করতে
থাকে পর্দাজুড়ে । যার কাহিনী রচনা
প্রতিম দত্তগুপ্তের নিজস্ব ঘরাণা ।
তিনটি আলাদা গল্পকে সুনিপুণ কাঁথাস্টিচে একটি মৌলিক ইউনিট হিসেবে একটা সিনেমাতে তুলে ধরা খুব সহজ নয় ।
কিন্তু তার দর্শনে (show) শুধুই প্রেম
আর প্রেম ছাড়া অন্য কিছু নেই ।
নির্মল মজার আসর । কথপোকথনে
বাক্য গঠনের নিপুণতা । আজকের
দিনের বাস্তব ঘরোয়া কথাবার্তা অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অভিনয়ের মুগ্ধতা ,
সেট-সেটিঙের দূরদর্শিতা এইসব মিলে
আহা রে মন ,এক সুন্দর সেতু নির্মাণ ।
ভুল শুধু পোস্ট অফিসে চিঠিটা ফেলে
রেখে বেরিয়ে আসা আর অঞ্জন দত্ত ও
মমতা শঙ্কর ( চারুলতা দেবী ) যখন
হাঁটছিলেন তখন মমতা শঙ্কর প্রথম
দিকে যে পায়ে বাত নিয়ে বয়স্কদের
মতো হাঁটছিলেন একটু পরেই দ্বিতীয়
থ্রুতে তিনি সেই মতো হাঁটতে ভুলে
গেলেন । আদিল হোসেন যে স্তরের
অভিনয় তুলে এনেছেন তাকে জাতীয়
পুরস্কারের জন্য ভাবা উচিত । শেষে
বলবো তিতলি চরিত্রের চিত্রাঙ্গদা চক্রবর্তীর
দুর্দান্ত ও অপূর্ব অভিনয়ের কথা । এই
সিনেমার একটি ফ্রেমের নায়িকা চিত্রাঙ্গদা।
তার দুটি অসুখ । এক হচ্ছে ফোবিয়া
অন্যটি একটি রক্তের ক্যানসার । যে মারণ
রোগ সারানোর কর্ম সাধারণের ক্ষমতায়
নেই , এইদেশে ২৫/২৬ লক্ষ টাকার খরচ
করার সরকারি কোনো ব্যবস্থা নেই ,
নাগরিকের এই অসহায়তা পরিচালকের
চোখ এড়ায়নি । আমি বলবো প্রতিম
দত্তগুপ্ত - বৃদ্ধাশ্রম, বয়স্কদের
একাকিত্ব-প্রেম , হিরো ফোবিয়া , মারণ
রোগের চিকিৎসা-ব্যয় এই চারটি মৌলিক
সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সমস্যাকে কাহিনীর
করুণ ট্যাগ বা ট্যাশল্ হিসেবে ব্যবহার
করেছেন যা আমাদের বোধগম্য হলে
ভালো । সিনেমার অন্যতম ফ্রেমে থাকে
এক মৃত্যুময় অসুখের রোগগ্রস্ত যুবতী
( পথের পাঁচালীর দুর্গার এখানে জয়
হয়েছে ) ও তার বিচিত্র প্রেমের নিঃসঙ্গতার ( হিরো ফোবিয়া ) সঙ্গে মেয়েটির শরীরে
মারণ অসুখটি গল্পের সিনেমাটিক প্রয়োজনে প্রতিম দত্তগুপ্ত এই চিত্রনাট্যে ব্যবহার করতে ভোলেননি । এই সিনেমায় ম্যাজিক
রিয়ালিজম্ প্রতিটি মূল চরিত্রের সঙ্গে
তিতলি চরিত্রে চিত্রাঙ্গদার মধ্যেও দেখা
দিয়েছে যা এতটুকু অবাস্তব নয় এবং আধুনিক যুগে অনেক অভিভাবক যার ভুক্তভোগী ।
সেই অপূর্ব চরিত্রটির অসামান্য রূপ দিয়েছেন চিত্রাঙ্গদা চক্রবর্তী ।( যিনি ইতিমধ্যে হিন্দি সিনেমা -" টিকলি অ্যান্ড লক্ষী বম্ব /
Tikli and Laxmi Bomb " করে বেশ কয়েকটি দেশী-বিদেশী পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন )। এই সিনেমাতেও তার
প্রসংশনীয় এবং সাবলীল অভিনয় ও
চোখের দীপ্তি এই চরিত্রটিকে চমৎকৃত
করেছেন । পরিশেষে পরিচালক
চলচ্চিত্রের মহানায়কদের যে মানবিক
একটা কর্তব্যবোধ থাকতে হয় সেটিও
পরিপাটি করে সিনেমাটিক যাদুবস্তায়
সমাপ্ত করেছেন । আদ্যপান্ত একটি বিচিত্র প্রেমের ( forbidden of fall in love)
সিনেমা যা প্রেম ও তার নিঃসঙ্গতা দিয়ে
নরম করে মোড়া । প্রেমের যে পরাজয়
নেই ও প্রেম যে বিচিত্রগামী ( শরীরের
যে কোনো সম্পর্ক নেই এই যে চিরকালের
থিম) মার্কেজের এই সাইকোলজি তার‌ই
দুর্দান্ত এফেক্ট দেখতে পেলাম - আহা রে
মনেতে । পরিচালক কিন্তু বাস্তবায়িত ভাবে
এই বিচিত্র প্রেমের গল্পের চলচ্চিত্রায়িত করেছেন যা এক কথায় অনবদ্য । সৃজিৎ মুখার্জি এই সিনেমায় গান লিখেছেন এটাও
বড় পাওনা । অভিষেক ঘোষ প্রযোজিত ।
গান গেয়েছেন মধুবন্তী বাগচী ও দুর্নিবার
সাহা । চলচ্চিত্র পরিচালক প্রতিম
দত্তগুপ্ত-র "আহা রে মন" এই ২২/৬/১৮
রিলিজ করেছে । আগেই বলেছি
ছবিটিতে একাধিক ক্যানভাস আছে ।
একটি ক্যানভাসে কাজ করেছেন চিত্রাঙ্গদা চক্রবর্তী । একজন ক্যানসার রোগগ্রস্ত
যুবতীর ভূমিকায় , তিতলির চরিত্রকে
রূপদানের জন্য । পথের পাঁচালীর দুর্গার
পর আবার বাংলা সিনেমা সুযোগ পেয়েছিল আন্তর্জাতিক মানের সিনেমা প্রোজেকশনে বাংলা সিনেমাকে তুলে ধরার ।
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্প ও
সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় পথের পাঁচালী
হয়ে ওঠে কবিতা । আহা রে মন সেখানে
নিজের কাহিনীতে প্রতিম দত্তগুপ্ত অনড়
থেকে একটি সুন্দর প্রেমের ছবি ও মজার
সিনেমা উপহার দিয়েছেন । আহা রে মন দেখে আমি তৃপ্ত । খুব ভালো লেগেছে আমার বটে
কিন্তু এই সিনেমার একটি ফ্রেমে তিনি যে
ক্যান্সার রোগগ্রস্ত তিতলির চরিত্র এঁকেছেন
এবং একটি ট্যুইস্টৈর মাধ্যমে সিনেমাটির
একটি অংশকে মানবিক এক সেতুতে নিয়ে গেছেন , যে সেতুর অপর দিকে সিনেমার এক মহানায়কের দেখা মিলেছে । আর তিতলির বিস্ফারিত চোখের দিকে আমরা অপার
বিস্ময়ে তাকিয়ে থেকেছি । তখন মনে হয়
পরিচালক ছবির হাইলাইট কোনটা হবে সেটি
বুঝতে বিরাট ভুল করে ফেললেন । পথের পাঁচালীর দুর্গার এখানে হয়তো জয় হয়েছে
ঠিকই । কিন্তু এখানে পরিচালক প্রতিম ডি
গুপ্ত গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ অনুপ্রানিত
হয়ে তিতলির চরিত্রকে অন্যভাবে চিত্রায়িত করেছেন এবং তা করতে গিয়ে তিতলির
চরিত্রে তিনি বুনেছেন এক দক্ষ অভিনয়
ক্ষমতা । যা সম্পূর্ণ করে দেখিয়েছেন
চিত্রাঙ্গদা ,১০০ এর মধ্যে ২০০ ।
চিত্রাঙ্গদার মাথার চুল কেটে প্রায় ন্যাড়া
করে দিয়েছেন পরিচালক শুধুমাত্র তাই
নয় যে স্তরের অভিনয় চিত্রাঙ্গদা চক্রবর্তী
করেছেন তা মুগ্ধতার সঙ্গে দেখতে হয় ।
আর একটি রোগগ্রস্ত দুর্গা যাকে সাপোর্ট
দেওয়ার মতো কোনো অপু নেই ( দেখেছিস
দিদি আজ কী রকম রোদ উঠেছে )
এখানে । তিতলি অর্থাৎ চিত্রাঙ্গদার
চরিত্রটিকে আর‌ও একটু বাড়িয়ে ,
পরিচালক যদি বৃদ্ধাশ্রম ও ইমিগ্রেশন
অফিসের চ্যাপ্টারটা বাদ দিতেন তাহলে ( মার্কেজের থিওরি মানুষের পরাজয়
নেই ) এই সিনেমাটি শুধু তিতলি /
চিত্রাঙ্গদার জন্য প্রতিম জাতীয় পুরস্কার
পেয়ে যেতেন এবং চিত্রাঙ্গদা যে স্তরের
সরল নিস্পাপ এক যুবতীর চরিত্রে মিশে
গিয়ে যে স্তরের হুবহু অভিনয় দক্ষতা দেখিয়েছেন তা হয়ে উঠতো চিত্রাঙ্গদার
অভিনয় জীবনের বিশ্বজয় । যদিও
চিত্রাঙ্গদা ইতিপূর্বে Tikli and Laxmi
Bomb-এ মূল চরিত্রে অভিনয় করে
দেশ ও বিদেশের সম্মাননা পেয়েছেন ।
কিন্তু আহা রে মনের পরিচালক যদি
শুধুমাত্র প্রেমের সিনেমা করার দিকে না
ঝুঁকে তার এই সিনেমার বিষয়বস্তুতে
তিতলিকেই ফোকাস করে তুলতেন তাহলে
চিত্রাঙ্গদার দুর্দান্ত অভিনয়ের গুণে এই
সিনেমা মানবিক দলিল হয়ে যেতে পারতো । কিন্তু পরিচালক একটি অন্যরকম মনোরঞ্জনকর সিনেমা আমাদের উপহার
দিলেন যা অত্যন্ত ভালো একটি সিনেমার শিরোপা পেয়েছে বটে কিন্তু আমার
আপসোস তিতলির চরিত্র ও চিত্রাঙ্গদাকে পেয়েও সিনেমাটিকে এই দিকে কাজে না লাগিয়ে পরিচালক জাতীয় পুরস্কার হাতছাড়া করলেন । যতদূর শুনেছি হাজার স্ক্রিন টেস্ট
নিয়েও তিতলির চরিত্রে আর কাউকে যখন
পাওয়া গেলনা , তখন‌ই চিত্রাঙ্গদার কাছে
পরিচালক অনুরোধ রাখেন এবং চিত্রাঙ্গদা
তা সফল করে তোলেন । © অলোক কুন্ডু




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

প্রয়াত তরুণ মজুমদার--অলোক কুন্ডু

#তরুণ_মজুমদার_চলেগেলেন অধিকার এই শিরোনামে--কয়লাখনির শ্রমিকদের জন্য ডকুমেন্টারি বানিয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত পরিচালক তরুণ মজুমদার। ছিলেন আজীবন বাম...