হাই বাপ জঙ্গীভি হিন্দু আছে...
শুধুমাত্র অমরনাথ কেন ? ভোটধর্ম পালন করতে
গিয়ে যে মানুষকে নিহত হতে হয় সে তবে কেন
জঙ্গীর দ্বারা নিহত নয় কেন ? রাজনৈতিক দল
যারা ভোটের সময় হিংসা ছড়ায় তারাতো আরও
খারাপ । আসলে প্রতিটি ব্যক্তির নিজস্ব একটা
করে স্বার্থ থাকে । সে স্বার্থ অর্থনৈতিক প্রভুত্বের।
এই অর্থনৈতিক প্রভুত্ব থেকে পয়সাওয়ালাদের
ধর্মীয় ভাবাবেগ বেড়ে যায় । সাধু সন্তদের সঙ্গে
তাই প্রচুর অর্থবানও অমরনাথ যায় । সেখান
থেকে ধর্মীয়ভাবের সঙ্গে বেশকিছু প্রকৃতি
প্রেমিও স্বচ্ছ ভারতবাসী হিসেবে অমরনাথে
যায় । এসবই কথা জঙ্গী- কাশ্মীরিদের ( হাই
বাপ সক্কলে বলছে জঙ্গীটা মাইরি সত্যি হিন্দু )
জানা আছে । জঙ্গী-কাশ্মীরিরা বা জঙ্গী-হিন্দুটা
জানে সে বা তারা আসলে শুধুমাত্র কিছু গরীব
তীর্থযাত্রী ও সাধুকে মারছেনা তারা ভারতের
লোভী স্বার্থপর রাজনৈতিক মতলববাজদেরও
একসঙ্গে মারছে ( যারা এই যাত্রায় নেই আবার আছেও ) তাই তারা জানে শুধুমাত্র ভারতবাসী
নয় । এখন এর ফলে ভারতে রাজনৈতিক
অস্থিরতা তৈরির জন্যেও এটা তাদের করা
একান্ত প্রয়োজন । ভারতবাসীরা সারা দেশে এর থেকেও বেশি মরে রাজনৈতিক দলগুলির
খুনোখুনির ফলে । সব থেকে বেশি মরে খেতে
না পেয়ে বা ঋণ ধার করে শুধতে না পেরে ।
তখন অন্য ভারতবাসীর মনে থাকেনা
ধর্মের চেয়ে ভোটাধিকার আরও বড় ধর্ম কিংবা
মানুষের অভুক্ত হয়ে আত্মহত্যায় মৃত্যু আরো নির্মম
তার ওপর যদি এই সময় নরেন্দ্র মোদীকেও মানসিকভাবে কিছুটা মারা যায় । অথচ
ফেসবুকে এই ব্যাপারে যে অযৌক্তিক পোস্ট
পিছিয়ে পড়েছে এমনটাও বলা যাবেনা ।
ভারতের এই বক্র ভাবাবেগও জঙ্গীরা
বিলক্ষণ জানেন । এরা কাশ্মীরি বা খাঁটি
হিন্দু না হয়ে পাক মদতপুষ্ট যেকোনো ব্যক্তিও
হতে পারে । যে আদতে একজন জঙ্গী । আর
ঠিক সময়ে একেবারে একটা ওয়াল পাশ
খেলার মতো ব্যাপার । হিন্দু জাতটাই শাল্ লা
একবারে পথে বসেছে গা । আর বলবি হিন্দুদের
মধ্যে একটাও জঙ্গী নেই !? পয়সায় নেতাও জঙ্গী
হবে পয়সা এমন । হ্যাঁ বড় একঘেয়ে হয়ে যাচ্ছে ।
এই দেশের বাজার দখলের জন্যে চীন মুখিয়ে
আছে চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের এখন
আরও জবরদস্ত উন্নতি চলছে । এদেশের
রাজনৈতিক নেতাদের বাড়ি জমি খামার হাউসের উন্নতির খবরও তারা রাখে । এক দেশ
এক প্রাণ এই ভারতবাসী কবেই নষ্ট করেছে ।
ধর্মীয় কাদায় ভারত এখন নরককুন্ড । এখনই
উপযুক্ত সময় ভারতের ধর্মীয় ভাবাবেগকে গলা
টিপে মারার উপযুক্ত সময় । নরেন্দ্র মোদির এখন ঘরেবাইরে শত্রুতা আমেরিকা-ইজরাইল কি করে
এখন দেখার । চীন ও পাকিস্তান এশিয়ার দাদা
হতে চাইছে । ভারতীয় ব্যবসায়ীরা চীনে গিয়ে
অর্থনৈতিক প্রভুত্বের স্বার্থে চীনাদের পা চাটছে
যেনতেন প্রকারে পিশাচ ভারতবাসীর এখন
অর্থের প্রয়োজন । অর্থের প্রয়োজন সকলের ।
অর্থের প্রয়োজনে কেউ নেতা কেউ জঙ্গী হয়তো
বা আমার আলোচনাটাই একটা বড় ধাপ্পা অন্যের
মূল্যায়ণই হয়তো সঠিক । তবু বলি প্রত্যেক দেশের নিজস্ব একটা স্বাধিকার বোধ থাকে । আমাদের
কি সেসব আছে না কি সব বিষয়েই ধর্ম আর ধর্ম ।
তবে আমরা ভারতবাসী ধর্মীয় পাঁক ঘাঁটতে
পরচর্চায় নিজেকে লালিত করি । দেখতেই
ভারতবাসী আসলে মনের মধ্যে আমরা একটা
পাড়ার নাগরিক । আমরা ফেসবুকে বুক
চাপড়ানোর ওয়াল পাশ খেলি আসল বুক
চাপড়ানো ভারতবাসী কবেই ভুলে গেছে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন