বুধবার, ১৫ জুলাই, ২০২০

#CoronavirusPandemic

#অলোক_কুন্ডুর_লেখালিখি_ও_কবিতা

#coronavirus #CoronavirusPandemic
#COVID19 #CoronavirusLockdown 
#COVID2019 #COVID19PH 
#CoronavirusOutbreak

যাদের বাড়িতে ছোট বাচ্চা আছে ও রোগ সম্পর্কিত মানুষ আছেন তারা অবিলম্বে সাবধান হোন‌।

■ (১).বাড়ির যে মানুষ রাস্তায় যায়, ধরে নিতে হবে তিনি সংক্রমিত হয়ে আছেন‌। তিনি সংক্রমিত। তার বোধবুদ্ধি না থাকতে পারে কিন্তু তাকে বয়স্ক রোগী মানুষ ও বাচ্চাদের ধারে কাছে যাওয়া এবং ৬ ফুট নয় ১০ ফুট দূরত্ব থাকতে হবে‌।
■ (২).যারা পাশের বাড়ি থেকেও আসবেন, সুস্থ হলেও তিনি সংক্রমণ নিয়ে ঘুরছেন বলে ধরে নিতে হবে। তিনি নিজেকে করোনা মুক্ত মনে করলে খুব ভুল করবেন। 
■ (৩).যারা ছোট বড় চাকরি করেন তারা রাস্তায় বার হচ্ছেন। তারা মনে রাখবেন তারা রোগ বহন করছেন। অবশ্যই তারাই রোগ বহন করছেন। তারা সংক্রমণের বাহক। তারাই বাহক এটা তাকে বলুন।
■(৪).যারা তিনবার রাস্তায় বেরিয়ে তিনবার জামাকাপড়, মাস্ক, মোবাইল, জুতো,ঘড়ি, ব্যাগ,চশমা কাচছেন না তারা রোগ বহন করছেন এবং নির্ঘাত রোগ ছড়াচ্ছেন। তারাই বাহক। তাদের অনেকেই কাছাকাছি-পাশাপাশি কাকা,পিসি,মাসি,বন্ধুদের বাড়ি যাচ্ছেন অবিলম্বে এই যাতায়াত বন্ধ করুন। দয়া করে যাবেন না। এই যাতায়াত সর্বনাশা হচ্ছে। ভয়াবহ হতে পারে এবং এই থেকেই অজস্র মানুষ আজ হসপিটালে, চিকিৎসার অভাবে মারা পড়ছেন। এই সামাজিকতা করার সময় এখন নয়।
■ (৫).যারা ভাবছেন পাড়ায় বেরিয়েছিলেন তাদের মাস্ক লাগবে না, তাদের স্নান করতে হবেনা, জামাকাপড় ছাড়তে হবে না, চটি আলাদা রাখতে হবে না, মোবাইল স্যানিটাইজ করতে হবে না মুখ হাত ধুতে হবে না, ১০০% নিজেকে পরিশুদ্ধ করতে হবে না। তারা মস্ত ভুল করছেন, অন্যায় করছেন, দোষ করছেন। শাস্তিযোগ্য অপরাধ‌ই করছেন।
■(৬). অনেক ভাই-বোন আছেন যারা ভাই বোনদের বাড়ি যাতায়াত করছেন তারা এটা দয়া করে বন্ধ করুন। আপনারা রোগ ছড়াচ্ছেন, আপনারা সংক্রমণের চাষ করছেন, আপনার জন্য আপনার বাড়ির বাচ্চা ও বয়স্ক মানুষ যখন তখন সর্বনাশের দিকে চলে যেতে পারেন।
■(৭).আপনি বলছেন আপনি কোথাও হাত দেননি, কার‌ও খাবার খাননি, কার‌ও দরজা ধরেন নি, কার‌ও কলিংবেল ধরেননি, কার‌ও হাত ধরেননি, কার‌ও মোটরবাইক, গাড়িতে বসেননি, টাকাপয়সা ছোঁননি। আপনি এবং আপনারা হয় মিথ্যা বলছেন, কিংবা এই সমগ্র লকডাউন পিরিয়ডে সামান্য এইসব মেনেছেন বলে পুরো স্যানিটাইজেশান প্রক্রিয়াটিকে অথর্ব করে ছেড়ছেন যা ২০%
মেনেছেন কিন্তু আপনার মনে হয়েছে ১০০% করেছেন। এই ধরনের বেগড়বাঁই, অবুঝ এবং অমান্য করতে অভ্যস্ত আপনি কিন্তু রোগ ছড়াচ্ছেন এবং ছড়িয়ে অপরকে মারবেন।
■(৮).আপনি বাড়ি থেকে যতবার বের হবেন ততবার আপনাকে মাথা মুড়ে বের হতে হবে,মাস্ক নিতে হবে, হাতে ঘনঘন স্যানিটাইজ করতে হবে। কিন্তু আসলে আপনি এইসব একেবারেই ফাঁকি দিচ্ছেন। আপনি বলছেন আপনার কিছু হবেনা। কিন্তু আপনি বুঝতে পারছেন না আপনি কতখানি ক্ষতি করছেন। আপনি একজন মার্ডারার, আপনি খুনি। আপনি বাইরে থেকে রোগ এনে ছড়াচ্ছেন এবং লোক মারছেন। আপনি মারণ ভাইরাসের বন্ধু। কারণ আপনি অপরের টাকা পয়সা নিয়ে আপনার পকেটে ম্যানিব্যাগে রাখছেন। আপনি চটিজুতো ঘরে ঢোকাচ্ছেন। আপনি পাঁচমিনিট বাইরে বেরিয়ে বন্ধুর বাড়িতে যে গিয়েছিলেন সেখানে আপনার বন্ধুর চেয়ারে খাটে সোফায় বসেছিলেন তাতে করে যে সংক্রমণ আপনি আপনার বাড়িতে আনলেন না তার কিন্তু কোনও গ্যারান্টি নেই। আসলে আপনাদের সকলের ইমিউনিটি বেশি তাই আপনাদের কিছু হয়নি কিন্তু আপনারা ব্যাপকহারে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। আপনারাই বাহক আপনারা আপনার এলাকায় সংক্রমণ ছড়াচ্ছেন। আপনারা মাস্ক পরছেন না। আপনি স্পিডি স্প্রেডার।
■ (৯). আপনারা বাজারে গিয়ে অন্যদের থেকে ৬ ফুট দূরত্বে দাঁড়াচ্ছেন না, আপনাদের ভিড়ের মধ্যে যেতে এখনও কোনও হেলদোল নেই। আপনাকে বাজারে একটু সরে যেতে বললে আপনি তর্ক করছেন। ব্যাঙ্ক, পোস্ট‌অফিস,
দোকানে, বাজারে আপনি একজন জঘন্যতম ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে পরিচিতি করে তুলেছেন। আপনি রোগ ছড়াচ্ছেন।
■ (১০).আপনারা পাড়া-প্রতিবেশীর থেকে বেশি ক্ষতি করছেন আপনার নিজের বাড়ির লোকের প্রতি। এখন পর্যন্ত যতজন মারা গেছেন তাদের বাড়ির লোকেজন কিংবা তারা হয়তো নিজেরাই রোগ এনেছিলেন। যারা পুলিশ, যারা ডাক্তার, যারা করোনার সৈনিক তাদের কোনও দোষ দেওয়া যায় না। কারণ তারা আপনার মতো উজবুক, আপনার মতো অহংকারী, আপনার মতো সবজান্তা, অবিবেচক, আপনার মতো ক্ষুদ্রবুদ্ধির নাগরিক, আপনার মতো হাঁদাবোকা একজনের অবিবেচনার স্বীকার হচ্ছেন। আপনি মারছেন ডাক্তার, আপনি মারছেন পুলিশ, আপনি মারছেন সমাজসেবীকে, আপনি মারবেন মেথর, আপনি মারবেন একজন সুগারের রোগীকে, আপনি মারবেন কিডনির রোগীকে, আপনি মারবেন হার্টের রোগীকে, আপনি মারবেন আপনার আত্মীয়-স্বজনকে,আপনি মারবেন আপনার বাড়ির মা,বাবা, পিসিমা, ঠাকুমা, সরকারি কর্মচারী থেকে কাকা,কাকিমাকে পর্যন্ত। আপনি খুনি। আপনি পাড়াবেড়ানো বন্ধ করুন অবিলম্বে। 
■(১১).যারা রাস্তায় বের হন, তারা কখনোই অপরের বাড়ির চেয়ার-টেবিল, সোফা, খাটে বসবেন না, চা খাবেন না, চা খাওয়ার জন্য জোরাজুরি করবেন না,অপরের বাড়িতে ঢুকবেন না। নিজে সতর্ক থাকুন অপরকে বাঁচতে দিন। ©® অলোক কুন্ডু

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

প্রয়াত তরুণ মজুমদার--অলোক কুন্ডু

#তরুণ_মজুমদার_চলেগেলেন অধিকার এই শিরোনামে--কয়লাখনির শ্রমিকদের জন্য ডকুমেন্টারি বানিয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত পরিচালক তরুণ মজুমদার। ছিলেন আজীবন বাম...