মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০

অক্সিজেন : অলোক কুন্ডু

#অক্সিজেন_ক্লিনিক_গড়ো_হৃদয়ে_আমার

এই পোস্ট আসলে গতবছরে আজকের দিন করেছিলাম। অক্সিজেন নিয়ে লিখেছিলাম। ফেসবুক সাক্ষী। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অসুস্থতার জন্য এই লেখা। অক্সিজেন ক্লিনিক খুলতে বলেছিলাম যার পরিকাঠামো খরচ খুব সামান্য। আমার একটা রাষ্ট্রপতি বা রত্ন পুরস্কার জুটতো কি না না হা হা হা...
----------------------------------------------------------

#বুদ্ধদেববাবু_দ্রুত_সুস্থ_হয়ে_উঠুন (১০.৯.১৯)

বর্ষা ও শীতকালে দরজা জানলা বন্ধ থাকার কারণে বয়স্ক ও শিশুদের অক্সিজেনের অভাব বোধ খুব বাস্তবিক । অক্সিজেনের
অভাব থেকে সর্দি কাশি জ্বর ও মারণ অসুখ
নিউমোনিয়া ধরে নিতে পারে হার্ট অ্যাটাক‌ও
হতে পারে তাই সরকারের কাছে আবেদন প্রতিটি শহরে অক্সিজেন ক্লিনিক খোলা আবশ্যিক এবং অবিলম্বে তা করা হোক। 
অক্সিজেনের ঘাটতির জন্য বুদ্ধবাবুকে
ভর্তি করতে বুদ্ধবাবুকে বিশাল নার্সিংহোমে
ভর্তি করতে হয়েছিল এ বিষয়ে আমার বক্তব্য নেই কারণ তিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ।
কিন্তু অক্সিজেনের ঘাটতিতে জ্বর সর্দির থেকেও সামান্য অসুখ হতে পারে মানে হয়েছে। অক্সিজেন নিজেই কন্ট্রোল করা যায় । বসে বসে অক্সিজেন নিলে তা শরীরে তাড়াতাড়ি প্রবেশ করে । অক্সিজেন নাকের কাছে ধরলেই শরীরে প্রবেশ করে । বারান্দায় দশটা ফুলের টব থাকলে একজনের জন্য অক্সিজেন কম
পড়ার কথা নয় । অক্সিজেন ৯০ থাকা মানে ঠিক আছে । তাজা। একটু বাড়াতে হলে অক্সিজেন দেওয়া ছাড়া গতি নেই। কিন্তু বয়স হলে খাওয়াদাওয়ার কারণে অক্সিজেন কমে যায়। ৭০-এও চলে যায়। কিন্তু ৬০ হয়ে গেলে বিপদ অনিবার্য । সর্দি কাশি ধরে
নেবে । চোখের নিচটা ফুলে যাবে হাত পা
ফুলে যাবে । কান নাক দিয়ে রস রক্ত গড়াবে। কিন্তু অক্সিজেন দিলে একঘন্টার মধ্যে মানুষ ঠিক হতে শুরু করবে। ৯০ হয়ে গেলে আর অক্সিজেন দেওয়া ঠিক নয় তাই তিন ঘন্টা অন্তর অক্সিজেন মাপার নিয়ম। একবার অক্সিজেন দিলে এখন শরীর ফিট। আঙুল টিস্যু পেপার দিয়ে মুছে টেস্ট করা দরকার । তবে অক্সিজেন ক্লিনিক তৈরি করলে অক্সিজেনের খরচ ঘন্টা প্রতি রুগীর কাছ থেকে নেওয়া ছাড়া আর খরচ নেই । 
ক্লিনিক প্রতি একজন ডাক্তারের দিনে ও রাতে দুবার ভিজিটর ব্যবস্থা করা । রোগীর জন্য একটি বাথরুম সহ একটি ১০ শয্যার হল । দু সিফটে দুজন করে চারজন নার্স । একজন হেড নার্স ,যিনি টাকা নেবেন,টিকিট করবেন ও প্রাথমিক পরীক্ষা করবেন । একটি ক্যাশ রেজিস্টার , ক্যাশ মেমো ও রুগীর নাম এন্ট্রি রেজিস্টার রাখলেই চলে যাবে। অক্সিজেন মাপার বড় মেশিন একটি। রোগীর ১২ ঘন্টার বেশি থাকার প্রয়োজন হলে রেফার করে ব্যবস্থা নিতে হবে । একটি আর ও ফিল্টার যুক্ত জলের মেশিন । দুজন হল অ্যাটেনটেন্ডস প্রথমবারের অক্সিজেন পরীক্ষার জন্য ১০/-টাকা ও ভর্তির জন্য বেড ভাড়া বাবদ ১০০/-টাকা প্রতিদিন । অক্সিজেন খরচ বাবদ ১০০/-টাকা প্রতিদিন । সাধারণত নরমাল অক্সিজেন লেভেল ৮০ থাকলে সর্দি কাশি নিউমোনিয়া ধরেনা । মাননীয় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের অক্সিজেন কমে গিয়েছিল তাই দ্রুত অক্সিজেন বাড়াতে 
আইসক্রিমের প্রয়োজন হয়েছে কারণ
ক্যালরি দ্রুত বাড়ালে সর্দি জ্বর ও নিউমোনিয়ার আক্রমণ থেকে বাঁচানো সম্ভব। পেঁপে দেওয়া হয়েছে এই কারণে সম্ভবত তাঁকে ডেক্সোরেঞ্জ ইন্জেকশন 
করা হয়েছিল । দ্রুত রক্তে অক্সিজেনের পরিবহন বাড়াতে এবং এক‌ই সঙ্গে ডেক্সোরেঞ্জের সাইড এফেক্ট অনুসারে পেট ফাঁপা ও অ্যাসিড তৈরি হতে পারে
তাই পেঁপে খেতে দেওয়া হয়েছে । পেঁপে
সরবিলিনের কাজ করে বিশেষ করে 
এইক্ষেত্রে লিভার বেড়ে গেলেও যেতে
পারে তাই হজমশক্তি ঠিক রাখতে পেঁপে
অপরিহার্য এবং পেট‌ও ভরাবে শরীরের
ক্ষতি নেই । ঠিক সময়ে ভর্তি না হলে নিউমোনিয়া ধরে নিলে বড় ক্ষতির সম্ভাবনা
থাকতো । আমি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত
আরোগ্য কামনা করি । আমার মনে হয় খুব
বেশি চিকিৎসা ওনাকে করতে হয়নি। যাইহোক যা বলছিলাম তা হলো, মোটামুটি ১২-১৪ ঘন্টা ধরে অক্সিজেন শরীরে
নিলে সামান্য জ্বর-সর্দি থাকলেও তা সেরে
যাবে । তবে ২০০/৫০০ টাকার অক্সিজেন খরচের জন্য নাগরিকদের আইসিইউ
তে ভর্তি হয়ে ৭০/৮০ হাজার টাকা খরচ করে শুধুমাত্র অক্সিজেনের অভাবের চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে এলে
সেটা নিশ্চয় গায়ে লাগবে ব‌ইকি । এছাড়া
অক্সিজেন নিলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাও
কমে যায় সমস্ত স্নায়ুতন্ত্র সজাগ হয়ে ওঠে ।
©® অলোক কুন্ডু

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

প্রয়াত তরুণ মজুমদার--অলোক কুন্ডু

#তরুণ_মজুমদার_চলেগেলেন অধিকার এই শিরোনামে--কয়লাখনির শ্রমিকদের জন্য ডকুমেন্টারি বানিয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত পরিচালক তরুণ মজুমদার। ছিলেন আজীবন বাম...