রবিবার, ৪ অক্টোবর, ২০২০

বাজি পোড়ান জাঁকিয়ে: করোনা কো ভাগাইয়ে


বাজি পোড়ান জাঁকিয়ে/ করোনা কো ভাগাইয়ে।"
অলোক কুন্ডু

হিন্দু বাঙালির বৃহত্তম অংশের জন্য দুর্গা পুজো হতে চলেছে। বৃহত্তম এই জন্য বলছি কারণ সকলেই চুপ আছেন। ফেসবুক কিন্তু বৃহত্তম অংশ নয়। সমূহ বিপদের অপেক্ষায় আছি। জানি রুজিরোজগারের বৃহত্তর কারবার বাঙালির এই পুজো। সেইজন্যই পুজো বেড়েছে। বারোয়ারি নিয়ে বলছি। বাড়িতে পুজো করার দায় দায়িত্ব ব্যক্তিগত, তাই বলার ওখানে কিছুই নেই। অনেক পুজো আমার জীবনে গেছে নিরানন্দ, তাবলে সকলের আনন্দ কেন চাইবো না এটা হতে পারেনা। পুজো তো পুজো নেই আর , উৎসবের আকার নিয়েছে। তাই ভয়টা ওখানেই। এখন তাহলে তো বসে বসে দেখা ছাড়া কোনও উপায় নেই। একটা কথা সত্যি যে আমার মতো অসুস্থ লোকেরাই মারা যাচ্ছে তাই ভয়‌ও আমার থেকেই শুরু হবে। কিন্তু বৃহত্তর অংশের সত্যি সত্যি ভয় কেটে গেছে। যারা দিব্যি মাস্ক খুলে ঘুরেছেন ও স্যানিটাইজারকে উড়িয়ে দিয়েছেন তাদের কাছে করোনা নেহাতই শিশু। কিন্তু আমরা এখনও ভয় পাচ্ছি বাড়ির অন্যদের জন্য। তবে আমার কিন্তু মাথায় অন্য চিন্তা। সকলের সঙ্গে সহমত যে দুর্গাপুজোতে করোনা বাড়বে। একেবারে নিশ্চিত। যদি মৃত্যু না হয় একদম তাহলে আনন্দের সীমা থাকবেনা বটে তবে বোকার মতো জীবনে বলবো না মা দুর্গা করোনাকে জয় করেছে, এইসব আবোলতাবোল ভাবনার সঙ্গে সহমত হতে পারবো না সেটা আগেই বলেদিলাম। আমি বলছি 
অন্য কথা। বেশি করে যদি আমরা বিষ উৎপাদন করি তাহলে কি বিষে বিষক্ষয় হবে না‌। আপনি ঠিক ধরেছেন একদম টু দি পয়েন্টে ধরেছেন। আমি বলছি কালীপুজোয় দু দিন বেশি করে আনন্দ করতে। সরকার যেন এইবছর বেআইনি বাজি না ধরেন। পুলিশকেও বলছি এইবছর বাজি ফাটাতে দিন। ব্যাপক দূষণ হোক। কিন্তু মাস্ক পরে।
যাতে সেই বাজির বারুদের বিষ না আমাদের শরীরে ঢুকে যায়। তবে আমি খানিকটা নিশ্চিত যে ব্যাপক হারে বাজি পুড়লে করোনাকে কিছুটা জবাই করা যাবে। জব্দ করাও যাবে। দুর্গাপুজোয় করোনা যা ব্যাপক আকার ধারণ করবে তার শিরা উপশিরা বর্ধিতকরণ করবে সেই বাড়বাড়ন্ত কিন্তু একমাত্র বাইরের বিষ দিয়ে লঘু করা যেতে পারে।
যদি তা হয় তবে বলতে হয় জয় বাজির জয়। আমি কিন্তু আশাবাদী যে কালীপুজো এলে করোনা কমবে। বিষে বিষক্ষয়ের ফর্মূলা যেন আমার আশা দশগুণ বাড়িয়ে তুলেছে। হাস্যরস, হাস্যকৌতুক কিংবা লঘুরস বলে আপনারা বলতেই পারেন। করোনা নিয়ে এত লিখেছি যে সত্যি বাড়িতে প্রচুর গঞ্জনা শুনতে হচ্ছে। ভাবছিলাম আর লিখবো না। আর কিছু নতুন ভাববো না। সোরা গন্ধক পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ক্যাডমিয়াম আর‌ও কতকিছু একত্রিত হয়ে ব্যাপক দূষণ নেমে আসুক দুদিন ধরে। নেড়া পোড়াও ১০০ গুণ বেড়ে যাক দোল হোলো কি না হোলো। পুড়িয়ে ছাই করার মধ্যে যদি কিছু হয়। এই আন্দাজে ঢিল মারার বিষয়ে এখনও কোনও জায়গায় আলোচনা হয়নি। লেখাও বের হয়নি। মিডিয়াও বলেনি। কিন্তু তাইবলে কপিরাইট নেই এই বক্তব্যের। টুকলে টুকুক। আমি সকলকে বেশি বেশি রঙ মশাল, ফুলঝুরি, চরকি, সাপবাজি পোড়াতে বলবো। হাউই আকাশে গিয়ে ফাটে বাতাসে মেসে। তাই বাজিওলাদের বলবো নতুন কিছু ভাবুন। যাতে ব্যাপক বাজি রাসায়নিক পোড়ে। বিশেষ করে গন্ধক পোড়ানোর দরকার আছে। কারণ গন্ধক ওষুধের জন্য অত্যন্ত অপরিহার্য। যদিও পরিবেশবাদীরা আমাকে পেলে এইসব ভাবনার জন্য বেঁধে পেটাতে চাইবে। এইসবের কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই কিন্তু গোমূত্র, মাদুলির থেকে অনেক বড় টোটকা। তবে আর চুপ থাকি কেন ? আমাদের স্লোগান হোক - "বাজি পোড়ান জাঁকিয়ে/ করোনা কো ভাগাইয়ে।" ©® অলোক কুন্ডু

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

প্রয়াত তরুণ মজুমদার--অলোক কুন্ডু

#তরুণ_মজুমদার_চলেগেলেন অধিকার এই শিরোনামে--কয়লাখনির শ্রমিকদের জন্য ডকুমেন্টারি বানিয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত পরিচালক তরুণ মজুমদার। ছিলেন আজীবন বাম...