আমাকে আগে কলকাতার লোকে বলতো হাওড়া পাবলিক । আমি জানতে চাইতাম মানে কিরে। বলতো তোদের হাওড়ার লোকেরা কালচার কি জানেনা। এখন দেখছি ঠিক বলতো। আমার বাড়ির সামনে যারা মদ খায় তাদের গালে যারা চুমু খায় তারা আমার গালেও খায়। এ বড় অদ্ভুত পাড়া। কোনও একটা লোক বলার নেই এখানে সন্ধ্যার পর কেন মদের পার্টি বসে। দেওয়াল লেখা, পোস্টার, মাইকে প্রচার সব আমি করেছি। কোনও একটা লোক একবারও বলেনা এটা অন্যায় কাজ। নিধিরাম মাঝি লেন, ময়রাপাড়া, চৌধুরীবাগান,
কালী কুন্ডু লেনের একগাদা ছেলে কোনও দিন ৩০/৩৫ জন পর্যন্ত মদ খায়। পাড়ার লোক এদের সঙ্গে গল্প করে, আড্ডা দেয় (একটি দর্জির দোকান)! লোকাল কেবিল কোম্পানির, কালী কুন্ডু লেনের একটি প্রমোটারের ছেলে
কালী ব্যানার্জী লেনের একজন, এইসব হুলো প্রতিদিন জড় হয়। আমাদের নর্দমার জল কীভাবে বের হবে তার তোয়াক্কা নেই এদের। কিরকম বদমাইশ দেখুন মদ খেয়ে প্রতিটি দিন বোতল গুলো নর্দমার ভেতরে মুড়ে ঢুকিয়ে দেয়। সপ্তাহে ১০০ বোতল, মাসে ৩০০০ বোতল বছরে ৩৬ ০০০ বোতল পরিষ্কারের খরচ প্রচুর। ২০১০ এ সিপিএম আমাকে রায়না পাঠিয়ে দিল। দিব্যি মদ খাওয়া বসে গেল ২০১২ থেকে। সন্ধ্যার পর আমার বাড়ি ২০১২ থেকে কেউ ভুলেও মাড়ায়নি। পাড়ার লোকের প্রচুর মদত আছে। না হলে একটা পরিবারের ওপর এই জঘন্যতম অত্যাচার চলতে পারে না। এই দেখাদেখি পাশাপাশি বাড়ি থেকে যত আনাজের খোলা জঞ্জাল ফেলে দিয়ে যায়। মেথর পরিষ্কার করে আমাদের নর্দমাটা বাদ দিয়ে। এত ট্রেনিংপ্রাপ্ত মেথর কোথাও পাবেন না। ৯-বছরে ৭০,০০০/- টাকা নর্দমা পরিষ্কারের খরচ। জীবনে চাকরিতে ঘুষ দিয়েছি এক পয়সা নিইনি। সবাই বড় বড় ঠুলি চোখে বেঁধে যাতায়াত করে মনে হয়। আহা কি সুন্দর নাম বলুন তো হাওড়া মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন। আমাকে মার্চ মাসে একটি রাজনৈতিক দলের পরামর্শদাতা ফোন করেছিল। কি কারণে? কারণটা হলো প্রাক্তন মেয়র ভোটে দাঁড়ালে জিততে পারবেন কিনা। এত লোক থাকতে আমার মতামত কেন? না আপনাকে চয়েজ করেছি। বললাম হ্যাঁ জিতবেন, কাজের লোক ভালো লোক। তিনি কেন জানলেন না এতদিন। বহু মানুষ আমার এই পারিবারিক রাস্তা ব্যবহার করে কিন্তু কেউ এইসব জানেনা। এমনই
নির্বোধ প্রাণহীন জায়গায় বাস করি। আমি যে এইসব অশান্তি নিয়ে এত লিখি তা শুধুমাত্র আমার ভেতর থেকে আসে বলে। বহু নেতাকে বলেও কিছু হয়নি। বললাম না চোখে ঠুলি পরতে ওস্তাদ মানুষের অভাব নেই। মদ্যপদের তো কাণ্ডজ্ঞান নেই। এখানকার হেন রাজনৈতিক দল নেই যারা আমার কাছে সুবিধা নেয় নি। কত নেতা গিয়ে অফিসে দাঁড়িয়েছে, এম এ এলে, ছোট বড় মানুষ সব উপকার নিয়ে গেছে। এমনকি রাজনৈতিক সুবিধা পর্যন্ত নিতে কেউ বাকি রাখেনি। এক বেটা তো আমার বাড়ি বয়ে সুবিধা নিয়ে গেছে। তারপর পোস্ট পেয়ে আমার বাড়ির কাছে আসা বদলি আটকে দিয়েছিল। তাই ঘাটের মড়াদের আমি খুব চিনি। তখন এদের রূপ হয়ে দাঁড়ায় একেবারে সাদাসিধে। গালভরা ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে থাকি আমি। ভোটে লোকে দাঁড়ায় বটে এখানেও। আমাকে চেনেনা এ তল্লাটে এমন কেউ নেই। তবে কেন এমনটা হবে। আমার তবে কি মেলামেশা নেই, চাঁদা দিই না, খারাপ ব্যবহার করি কোনোটাই নয়। বন্ধু নেই। তাও নয়। আত্মীয় নেই তাও নয়। তবে কেন। হ্যাঁ ঘেন্নাধরা রাজনীতিতে নেই। কোন দলের এম এল এ লিখে পাঠায়নি সাহায্য চেয়ে। কোন দলের এম এল এ সাহায্য নিতে আমার বাড়ি আসেনি। কিন্তু তা বলে আমি যাবো কেন ? আমি তো কারও কাছে মাথা নত করতে পারবো না। তাই এই শাস্তি বইতে হচ্ছে। আমাকে কেউ বলবে তুমি উপকার নিয়েছো তাহলে তো হয়েই গেল। তবু কয়েকটা গ্রুপে আমার এই অসুবিধা জানিয়েছিলাম। কেউ কেউ আমাকে ফোনও করেছেন। পোস্ট করে পরামর্শ দিয়েছেন। সবচেয়ে বড় কথা এদের কাউকে আমি কোনও সাহায্য করিনি। অবশেষে গতকাল ব্যাঁটরা থানার বড়বাবু ডেকে পাঠিয়েছিলেন। এখন আমি দেখছি আমার হাতে একটা ফেসবুক ব্লগ আছে যেখানে লিখলে সারা পৃথিবীতে দেখা যায় এবং চিরকাল থেকে যাবে। এছাড়াও খুব শীঘ্রই আমার নিজস্ব ওয়েবসাইট হচ্ছে। ধন্যবাদ হাওড়ার সিটি পুলিশ ও অন্যান্য ফেসবুক গ্রুপকে। এটা খুবই শক্তিশালী মাধ্যম। ৯-বছর ধরে আমি অপেক্ষা করেছি। কেউ কিছু বলে কিনা? হাওড়া করপোরেশন আমাকে জানিয়েছেন এই বিষয়ে তাদের করণীয় কিছু নেই। ধন্যবাদ ব্যাঁটরা থানার ওসি সাহেবকে। সত্যি ভদ্রতাবোধ আছে ওনার যা আমার পাড়ার কারও নেই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন