⛔ বলি, আমার কাছে কি চাও গো ? কেন এলে গো কিছু ধারটার চেয়োনা, আবার যেন। অনেক তো করেছো গো। মনে নেই না ? হবেই তো মনে থাকার কথা ছিলনা, ঠিক ঠিক বলেছো। জীবনটাকে বর্ষার পরের শুখনো এবড়োখেবড়ো মাঠ করে দিলে, এখন কীভাবে মনে থাকবে বলো ? ও কি বলছো গিলছো কিন্তু খাচ্ছে না। হ্যাঁ তাতো হবেই বাছা। এখন চোখেও কম দেখি, কানেও তো কম শুনি। তাই কী বললুম আর কী শুনলে এই দুয়ের মধ্যে একটু বিবেচনা কোরো বাবারা। গুণ থাকলে নিজগুণে ক্ষমা কোরো আর কি। জানোই তো এখন প্রত্যেকের আলাদা আলাদা সমাজ, পলিটিক্যাল হোমওয়ার্ক, ব্রেনওয়াশ যার যেমন হয় গো। সে যদি কিছু বলতেই হয় টিভির লোক ডাকো, মিডিয়া ডাকো, সাংবাদিকদের যত ইচ্ছে খাবলাও। খিস্তি-খেউড়ের এমন জমকালো ময়দান আর কোথাও পাবেনা ইহজীবনে। যত পারো ভাববাচ্যে গাল দাও। বক্তিমে ঝাড়ো। পরে ক্ষমা চেয়ে বরং এক বাক্স করে বিরিয়ানি দিও। সাত খুন মাফ। তাই বলে যেন আবার আমার ফ্ল্যাটে এসোনা। এলে এই ভাঙা তক্তাতেই এসো। দিনকাল আর ভালো নেই বলবো না, বলবো ঠিক নেই। কে যে ঠিক করবে, সেই আশা এখন তলিয়ে ভেলি গুড়ের মতো শক্ত। ভেবো না, নকশাল মাওবাদী পুঁজিবাদি মূর্দাবাদী সুবিধাবাদী সব ঠিক ছিল। নিরাশাবাদী খুঁজতে বেরিয়েছো যদি তবে আমার নাম তুলে রাখো। বলবে যে নকশালরা ভালো ছিল, মুর্দাবাদী ভালো ছিল। কিন্তু আবার এখন এইসবের মধ্যে রামবাদী এনে ফেলেছো, রাম যে কি দোষ করলো কে জানে গো। কথায় কথায় রামের শ্রাদ্ধ লেগে আছে। বামপন্থীরা নিজেদের বলে বেড়ায় তারাই সবথেকে ভালো। উফ এইসব বললেই ৩৪ বছরের রামায়ণ আসবে, না ওসব থাক। সব ভাইয়া আলাদা কিছু নেই। সব শিয়ালের এক রা বলছি না ভালো খারাপ বুঝতে পারলে বোঝো। সবাই চায় তার তার রাজনীতি শিক্ষে করুক সবাই, ঝান্ডা ধরুক। ঝান্ডা না ধরলে মহা বিপদ। ডান্ডার বাড়ি এমন দেবে যে কোনও " পোতিবাদ" করা ভুলে যাবে। পরকে ভয় দেখাও, তটস্থ করে রাখো, এ এক চরম মহাবিদ্যা। কে কীভাবে শিখলো তা নিয়ে কেউ জানতে যখন চাইছে না তখন বরং তরজাটুকু থামালে রাতে সবাই একটুকু ঘুমোতে পারে। তরজা থামাও আর অতিষ্ঠ কোরোনা গো। অমন সাধের বোকাবাক্স খুলে কি একঘন্টায় চুল করতে দেবে। মারদাঙ্গা হৈচৈ দুরন্ত যে দুটো ভাল কিছু শুনবো তার কোনও উপায় নেই। স্বামীজি বেঁচে থাকলেও আচরণ শেখাতে কিছুতেই পারতেন না। কিন্তু দেখ গিয়ে সকলের আচরণের কত ভেদাভেদ, প্রভেদ, বিভেদ। সমাজ খাও দেশ খাও পয়সা খাও। যা পাচ্ছে তাই খাচ্ছে। কারও জল কামান আছে তো কেউ ইটবৃষ্টিতে দেবে একদম ঠেসে। এইসব ভবিতব্য মনে কর। সৃষ্টি-প্রলয় যেমনটা। এক মায়ের পেটে দুই ছেলে দিওয়ার দেখেছিলে ? কী সিটি পড়লো বলো তো! থামতে আর চায়না। মেরা পাশ মা হ্যায়। হাততালি পয়সার ঝনঝনানি। তা বলে কেউ কুড়োতে যেত না। আর এখন খুচরো দিলেই রায়ট লেগে যায় যায়। অমন উচ্চতার অমিতাভও যায় যায় আর কি খুচরো মাপতে। এমন ডায়লগ দিয়েছিল যে হাইট একবারে সমান। এখন কে যে অমিতাভ আর কে যে শশীকাপূর বোঝা দুষ্কর। কিন্তু তখন থেকে ফ্ল্যাট ,সাধারণ বাড়ি, রেলের গাড়ি বারান্দা দেখতে দেখতে বড় হওয়া। কোথায় বাবার আমলের পিয়াসা আমাদের মুকদ্দর কী সিকন্দর। মুগলে আজম না আনারকলি, উত্তম-সৌমিত্র নিয়ে বেমক্কা ঝগড়া কিছুটা থেমেছে এখন। কী সাংঘাতিক হিন্দু - মুসলমান ভাগের দ্বন্ধ অবধি দুদ্দাড়িয়ে ঘরে ঢুকে পড়েছে। সামাল দিতে চতুর্দিক কাঁপছে, গ্রামের পর গ্রাম। এইবার গ্রামে একসঙ্গে এতদিনকার বাস উঠলো বলে। তুমি কি জানো এই সাধারণ আয় আর ঘুষের আয়ের কতটা তফাত হয়। টেন্ডার থেকে আয়, আর মজুরি সমান হয় কখনো ? মাষ্টারের টিউশনি আর বেকারের ছেলেপড়ানো। বলবে হায় বাবা! হ্যায় রাম! দেখলে রামের নাম মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেল। মুন্নি বদনাম হুই। গন্ধি বাত গন্ধি বাত। কী পারতেন কেশব নাগ ? এইসব সমস্যা মেলাতে। আরে স্বাস্থ্য-সাথীর টাকা পাবো বলে অসুখ করাতে ছুটবো নাকি? ১০ কোটির বাইরে থেকে যদি সুস্থ থাকতে পারি তার দাম স্টার ইন্সুরেন্স পর্যন্ত কভারেজ দিতে পারবে না। আসলে কভারেজ কত টাকার না জেনে লাইন দিতে পারিনি গো। ছাড়ো ওই সব। আমার গাড়ি বাড়ি বাংলো হ্যায়। মেরা পাশ মা হ্যায়, বৃদ্ধাশ্রমের মা, তাড়িয়ে দেওয়া মা, ভাগের মা, তোলাবাজ দাদা, তোলাপৌঁছনোর ভাই, তোলাদাতাকে কমানো যাচ্ছেনা, বাড়বে বলেই ধারণা। কারণ আজকে এই আম্ফান তো কালকে ওই ঝড়। চতুর, ভালো, নরম, গরম চলছে ---এরা সব লোক গো। নিরপেক্ষ মানুষ ,দলীয় মানুষ , মধ্যবর্তী মানুষ। এদিক দেখ মানুষ মানুষ। ওদিক দেখ মানুষ মানুষ। উত্তরে দেখ। দক্ষিণে দেখ মানুষ মানুষ। হেই সামালো মানুষ মানুষ। গাল পেতে দে মানুষ মানুষ। কাস্তে তে দে সান মানুষ মানুষ। গান্ধীবাদ মাইনাস মানুষ মানুষ। মার্কসবাদী মানুষ মানুষ। হাইপার মানুষ। কংগ্রেস ফিনিশ অথবা ফিনিক্স। হাইপ তোলা মানুষ চতুর্দিকে। কেউ বলেনা আমি মায়ের ছেলে। সব মানুষের মধ্যে দুটো দল থাকবেই। এক ঝাড়িকল দলের, অন্যদল বঞ্চিতদের। যাচ্ছে কারা মানুষ মানুষ। বাঁচতে কারা মানুষ মানুষ।
নাচছে কারা মানুষ মানুষ। খাচ্ছে কারা মানুষ মানুষ। ফন্দি ফিকির মানুষ মানুষ। বুঝতে পারা পাবলিক, ঘোট পাকানো পাবলিক। শিক্ষিত হয়ে বেকার থেকে যাও চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত। বেকার অশিক্ষিতের সাত লাখের চাকরি। আন্দোলনকারীরা চাকরির আশা গুণছে। আদালত আছে বিচারের কিন্তু তোমার তারিখ পেছোবার কোথাও কিছু করার নেই। ধার্মিক, তার সঙ্গে বক ধার্মিক, সাজুগুজু ধার্মিক। গড়বড়ে লোক। চটপটে লোক। ধামাধরা লোক। পোঁ-ধরা লোক। কেউ তাস খেলে। সাপ খেলা চলছে চলবে। কেউ কবিতায় আছে বরাবর, কেউ পার্টি ধরে কবি হয়েছে। কেউ বলে ইডি। কেউ বলে সিবিআই। কারও চায়ের ঠেক আছে তো কেউ নিরুপায় ভবঘুরে। কারো ধার চাই। ভাঙা ঘর, দিন আনে দিন খায় কেউ। কেউ ফ্ল্যাটে বসে দাবায় খুশি, ওপাশে বউটা সিরিয়ালে বেশি মেলামেশা। তা হোক কারও পেছনে তো লাগেনা। পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যালয় পরিদর্শক সমিতি বলে একটা বামপন্থী সংগঠনের নাম শুনেছেন কখনও, এদের জন্ম, খাওয়াদাওয়া, ওঠাপড়া সূর্য উদয়-অস্ত সব কিছু ছিল লোকের পেছনে লাগো, বাড়ি থেকে হিংসে নিয়েই এরা বের হতো, এখন মাজা ভেঙে পড়ে আছে। পেছনে লাগো আর পেছনে লাগো, তবে পেছনে লাগার দল একদিন শেষ হবেই। আজ মঞ্চ আছে কাল ঘেরাও করে কাটাবে। আবার তৈরি হবে নতুন পেছনে লাগার নতুন দল। আসলে কেউ বেশ্যায় যায় বুক ফুলিয়ে। গাড়ি চেপে হোটেলের ঘর নেয়। দেখবে এদের সবার কিন্তু ভীষণ মিল গো। কিন্তু সেলফি করলে দেখবে সব উল্টো। কিছুতেই কেউ আর হাত মেলাতে পারেনা। কয়েকজন যারা সাতেপাঁচে থাকেনা তারা পার্কে আড্ডা দেয়। সময় কাটায় আর মুন্নি বদনাম হুইর গল্প জোড়ে তাছাড়া করার কিছু নেই। তুমি ধারটার চেও না বুঝলে। সাবধানে যেও রাত হয়েছে। সত্যি বলছি মানুষের মন আর সুরভিত অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম বোরোলীনের মতো নয় গো। হিংসে নিয়ে জন্মায় হিংসে নিয়েই মরে যায়। উৎপল দত্তর কল্লোল বন্ধ করে দিয়ে কি লাভ হয়েছিল সেদিন? কেউ পরে অনুশোচনাও করলো না। পরে কি হলো ? উত্তমকুমার রবীন্দ্রসদনে ঠাঁই পেলনা গো। রাজনীতির গুষ্টির পিন্ডি। এখন জনগণের যত্ন কে করবে। আর কেউ নেই গো তোমার যত্ন করার। এখন যত্ন আমার নিজের নিজের! আমার বলতে, আমার কোলে ঝোল ঝাল অম্বল টেনে টেনে চেটে চেটে তোমাকে ঘুগনী চাটা শালপাতাটা এগিয়ে দেবে। আর যদি রাজনৈতিক দলে ভিড়ে একবার যেতে পারো তবে তো আর কথাই নেই...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন