শেষ পর্যন্ত অর্থ কী অনর্থ ঘটাবে!!
=======================
যিনি এক নিমেষে দেশের বর্তমান পরিস্থিতির ওপর সঙ্গে সঙ্গে কিছু বলতে পারতেন তিনি শ্রী মনমোহন সিংহজি । কিন্তু এই কারেন্সি নিয়ে তিনিই বললেন ১১ - দিনের মাথায় । আমরা যে যার মতো বলছি, হয়তো ভবিষ্যতে দেখা যাবে আমরা আন্দাজে ঢিল মেরেছিলাম কিংবা এই বিষয়ে বলার মতো একেবারেই যোগ্য ছিলাম না বা ওই অধিকার আমার বা আমাদের কারও ছিলনা । কিন্তু তাই বলে এই নিয়ে তর্ক কখনও কোনোদিন থেমে থাকবেনা । হয়তো চলতেই থাকবে । যার যার মতো করে চলবে পাড়ায় অর্থনীতির গবেষণা। কিন্তু এই জ্ঞানের শংসাপত্র কোনোদিন হয়তো কেউ দেয়ও না এবং দেবেও না । ধীরে ধীরে অন্য একটা ইস্যু এসে এই ইস্যুকে হয়তো ধামা চাপা দেবে, আবার এমনও হতে পারে এই কারণে সরকারটাই পড়ে গেল । এতে আমার ব্যক্তিগত কিছুই যায় আসেনা । আরও প্রাণবন্ত হয়ে টিঁকে গেলেও আমি একই থেকে যাবো । তবুও কিছুতেই যেন প্রত্যেকের প্রত্যেকদিন টাকা তোলার প্রয়োজনকে শুধুই সাংসারিক কারণ বলে মেনে নিতে পারছিনা । যদিও সমর্থন যোগ্য কারণগুলো হলো -- (১) ওষুধ (২) চিকিৎসা (৩) শিক্ষার আশু প্রয়োজন (৪) ভিসা পাওয়া বিদেশ যাত্রা (৫) নবজাতকের প্রয়োজন (৬) ডেইলি লেবারের মজুরি (৭) কোনো অঘটন ও দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে (৮) সাপ্তাহিক মজুরি পেমেন্ট (৯) নথিভুক্ত স্বল্প রেকারিং ডিপোজিট (১০) ফুটের কারবারির রোজের মাল কেনার খুচরো জোগান (১১) যেখানে নির্মানের জন্য ঋণের সুদ দিতে হয় (১২) বিয়ের জন্য
সর্বোচ্চ প্রয়োজনে (১৩) কোর্টে কেস চালানোর
খরচ (১৪) বাড়ি ও ট্রেড ট্যাক্স, ইলেকট্রিক বিল
ও কাঁঢামাল আনার খরচ (১৫) ব্যবসা, সিনেমা, সিরিয়াল ও সেই সংক্রান্ত কাজ কারবার চালু /
ঠেকিয়ে রাখার জন্য যতটা মামুলি প্রয়োজন
এবং এই খরচগুলির টাকা চাই । যার আছে
এই ভাবনায় তাই সে কিছু তুলে রাখে আবার
নাও তুলে রাখতে পারে। কিন্তু এগুলি প্রয়োজন।
এগুলো মনে পড়লো এর বাইরেও নিত্য আরও
বেশ কিছু প্রয়োজনও অপরিহার্যতার আওতায়
এসে যেতে পারে যেগুলি এখুনি মনে পড়লোনা।
এই লেখা লিখতে বসে গত বাজেটে নরেন্দ্র
মোদি সরকারের পি এফ নিয়ে আগ্রাসন ও
পিছু হটার নীতির কথা স্মরণে রাখতে বলবো।
যারা আমার পোস্ট পড়েন দেখবেন তখন আমি
সাত দফা যুক্তি সহ সরকারের বিরোধিতা করে
করে একটা লেখা লিখেছিলাম, তার ৭ টি
শেয়ার হয়ে ছিলো । তবুও ফেসবুকে একঘেঁয়ে রোমান্টিক কবিতা লেখার জন্য আমার দুর্নাম
আছে । তাই এইরকম লেখা যখন লিখতে হয়
তখন নিজেকে খোলস মুক্ত করেনি । সাতবার
ভাবি এখন আমি জনতার কথা লিখতে বসেছি
সমালোচনার ঝড় বয়ে যেতে পারে । তখন
সকলের প্রয়োজনটা আগে বুঝতে হয় । তাই
ফিরে আসি মূল চর্চায় । এখন কি তবে মোদি
বিরোধিতাই আমার কাম্য হবে না কি সত্য
অন্বেষনে নিজেকে মহৎ করবো । যদি ধরেইনি
তীব্র বিরোধিতা করবো এবং যেমন করেই
হোক কারেন্সির এই অবোরধ মুক্ত করে আবার
সাতই নভেম্বরে দেশকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে
নমোকে বাধ্য করবো । এই পারা না পারাটা
আর আমার ক্ষমতায় নেই । ক্লাইমেক্স কিন্তু
এখন আম জনতার হাতে এবং সরকার এখন
সরাসরি কোনঠাসা হয়ে পড়লেও বিরো্ধী
দলের কোনো ঘোষণা নেই । তারা হলে এখন কি
কি করতেন আজও তারা বলতে পারেননি ।
নোট গমন আগমন নিয়ে শুধুমাত্র তাদের তরজাই
একমাত্র প্রাসঙ্গিক । তাই তাদের চতুরতা ছাড়া
জনগণ এই উপলক্ষে এক কান দিয়ে শুনে
অন্য কান দিয়ে বার করে দিচ্ছে , তাই দেশের
রাজনৈতিক দলগুলিও পর্যন্ত এই পর্বে দিশেহারা
অবস্থা । মনমোহন সিংহ পর্যন্ত তাই ১১ দিন
দিশেহারা থাকলেন । এখন যে আন্দোলনটুকু
দেশের রাজনৈতিক দলগুলি করছেন এবং
যেসব যুক্তি তাঁরা দিচ্ছেন ইতিমধ্যেই জনগণ
মনে করছে তারা তার থেকে বেশি জানে ।
এই ইস্যুর একপ্রান্তে রয়েছে (১) ট্যাক্স ফাঁকি
দেওয়া টাকার বিপুল সম্ভার (২) শত শত কোটি
টাকার কালো টাকা, সম্পত্ত্বি এবং লুকোনো
সোনা আর অন্যপ্রান্তে রয়েছে (৩) পাকিস্তান
ও বাংলাদেশে ছাপানো দিস্তে দিস্তে নকল
টাকা , যে দিয়ে এপারেও চলছে ব্যবসা থেকে
দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার মতো বহু
গুনাহ । কিন্তু খেটে খাওয়া থেকে ট্যাক্স ফাঁকি
দেওয়া কোনো মানুষই এদেশে সেই কারণে
নিজের নিজের উপার্জিত লুকোনো টাকাকে
দেশের টাকা বলে মেনে নেওয়ার শিক্ষায়
শিক্ষিত হয়ে ওঠেনি । কারণ স্বাধীনতার
এত বছর পরে এই প্রথম নমোজি এই পাঠ
পড়াতে চাইছেন যা প্রায় ৭০ বছর ব্যাপী
কেউ পড়াতে চাননি । সহজ কথায় বলতে
হয়, উচিৎ হয়নি । কিন্তু যখন শুনি বাংলা
দেশ ও পাকিস্তান সরকার বেনামে এই টাকা
হয় ছাপাচ্ছে নয়তো বা মতদ দিচ্ছে । তখন
অন্য ভাবনা এলেও নানাভাবে পিছিয়ে যেতে
হয় যখন দেখি বন্ধু অথবা জানা কেউ এই
কারণে আজ চরম অসুবিধার মধ্যে পড়েছে ।
তবে আমরা আবার কখনও কখনও বুঝে
অথবা না বুঝে আমাদের ক্ষতির কারণ হই ।
যেমন আমার দরকার না থাকলেও আমাদের
মধ্যে অনেকেই হাতে আগাম দুমাসের খরচ
ব্যাঙ্ক থেকে হাতে তুলে রাখছি । সরকারের
কাছে টাকা রাখাটা এক শ্রেণির মানুষ সেফ
বলে আর মনে করছেনা । একমাত্র ব্যতিক্রম
হলো পোস্ট অফিস, এই টাকায় খুব একটা
হাত পড়েনি । কিন্তু ১২ দিনে মানুষ যে
গণহারে এটিএম ও ব্যাঙ্ক থেকে টাকা
তুলেছে তা অস্বাভাবিক । এটা কিন্তু
সকলকে মানতে হবে, জমা টাকার পরিমান
অনেক বেশি হলেও তা এতদিন
ইনঅ্যাকটিভ ছিলো । এদিকে ধীরে ধীরে
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ১০০ টাকার ভান্ডারও
ফুরিয়ে আসছে । ৫০০ টাকাও পর্যাপ্ত ছাপা
হয়ে ওঠেনি ( সরকারের একটা ফাইল
পাশের টেবিলে যেতে এখনও দুসপ্তাহ লেগে
যেতে পারে কখনও তা দুমাস তাহলে নতুন
কোনো টাকা ছাপার অর্ডার হতে হতে নিশ্চিত
ছয় মাস লাগবে ) । পুরনো টাকা পেয়ে তাকে
নষ্ট করে তার পরিমাণ হিসেব করে ছাপতে
এখনও অনেক সময় লাগবে । যুদ্ধকালীন
কাজ সব জায়গায় । কারেন্সির চাকুরেদের
ঘুম ছুটে গেছে, ছুটে গেছে নরেন্দ্র মোদিজিরও
কিন্তু সেদিক থেকে দেখলে দেশের অর্থনীতি
এই প্রথম দেশের আয় কাকে বলে দ্খেতে
পেল । কিন্তু অসাধারণ এই কাজের জন্য
দেশের লোক ভুগবে কেন ? এই নভেম্বর
বিপর্যয় না জয়ের মাস ইতিহাসে বিস্তৃত
হবেই । আমি হাত খুলে খরচ করতে পারছিনা
বলে অন্যের হাতখোলা খরচে আমি বাধা
তো দিতে পারিনা আবার সাহায্য করতেও
পারছিনা । কিন্তু ভাট বকবো এরকমটাও
করতে পারবোনা । এর মধ্যে নিজের সামান্য
খুচরো অন্যকে দিয়েছি । এমন কিছুই করিনি
এই ডামাডোলে । কিন্তু কয়েকটি কথা পরিষ্কার
বুঝতে পেরেছি যে সেটা হলো আইনজীবী বড়
অধ্যাপক, চিকিৎসকরাও বেশ কালো টাকা
পোষেণ। শুধু ব্যবসায়ীদের দোষ দিয়ে লাভ
নেই । ব্যবসায়ীরা পরিশ্রম করে তবু আয়
করেন কিন্তু বড় অধ্যাপক, চিকিৎসক,
মস্ত বড় সরকারি হোমরাচোমরা থেকে বড়
আইনজীবীরা হাত পাতলেই টাকা চলে
আসে । আগের সৎ অধ্যাপকরাও আর নেই
যাঁরা কম উপার্জন করেও ছাত্রদের সাহায্যও
করতেন । এখন টাকা জমলেই বিদেশ গিয়ে
সেই টাকা খালাস করে দিয়ে আসা জরুরি
ছিল । এখন তারাও দৃষ্টিতে আসতে পারেন
বলে ক্রমশ গুঞ্জন উঠছে । সঙ্গে সঙ্গে
সরকারের ২০০% ইনকাম হচ্ছে কোনো কোনো
অ্যাকাউন্ট থেকে - এসবও আবার হেসে
একেবরে যে উড়িয়ে দোবো তাও পারছিনা।
খুব জানাশোনা কেউ একটু বাড়তি টাকা
জমিয়ে ফেলে ঘুমতে পারছেনা, এই রকম
শুনলে মনটা খারাপ হয়ে যাচ্ছে । এরকম
দোটানায় কখনও পড়েছি বলে মনে পড়ছেনা
তবে আমাদের দেশের আইনে এত ফাঁক
রাখাটা মন থেকে মেনে নিতে পারছিনা ।
তবে নরেন্দ্র মোদি যে পথ আবিষ্কার করে
গেলেন এ পথের অভিযাত্রী এখন অন্যকেও
হতে হবে । দেশবাসী ব্যাঙ্কের সামনে
লাইনের যে উৎসব স্বচক্ষে দেখেছে সেখান
থেকে সরকার যদি কিছুটা পিছিয়ে আসেও
মানুষের ইচ্ছের মধ্যে ভারতের গুপ্ত রহস্য যে
প্রকাশ হয়ে পড়েছে মানুষ আজ বেশ ধরতে
পেরে গেছে এবং দেশের অর্থ মানচিত্রের
স্বরূপ ধরে ফেলেছে । এই সব এখন একটা
সামান্য রিক্সাওলাও আওড়াচ্ছে । মানুষের
এই গণ হিস্টিরিয়ার ছবিও তারা স্বচক্ষে আজ
দেখতে পাচ্ছে । গরীব মানুষ কিন্তু লাইনে
দাঁড়িয়ে এই হিস্টিরিয়ার সঙ্গী হতে চায়নি
বরং তার মনে নরেন্দ্র মোদি " কালা ধনের "
সন্দেহ জাগ্রত করে দিতে পেরেছেন ।
এই লেখার মধ্যে আমি যে তিনটি
মূল বিষয় চিহ্নিত করেছি রাজনৈতিক
দলগুলির আন্দোলন ভবিষ্যতে ওই ৩ টি
বিষয়কে আর লুকিয়ে রাখতে পারবেনা ।
যা কংগ্রেসের দীর্ঘ জমানা থেকে শুরু
হয়েছিল এবং সবকটি জোড়াতালি
দেওয়া সরকারের আমলে ক্রমশ স্ফিত
হয়েছে । এদের কাজই হলো কালো টাকার
হল্লাবোল তোলা । দেশের সমস্যা জিইয়ে
রাখার জন্য দেশের আঞ্চলিক দলগুলি
এখন বেকার সমস্যার চেয়ে কারেন্সির
সমস্যা দেখাতে বেশি ঝুঁকে পড়েছেন যাতে
যাতে তাদের নিজেদের সমস্যাকে দেশের
মানুষের চোখ থেকে অন্যদিকে ফিরিয়ে
দেওয়া যায় । কারণ তারা ভালো করেই
জানেন কারেন্সির সমস্যার থেকেও দেশের
বেকার সমস্যা আরও বড় এবং ব্যাপক।
আর এই বেকার সমস্যার সুরাহা করতে ওই
বাজেয়াপ্ত কালো টাকাই খয়রাতির হাত ধরে
সরকারকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করতে পারে ।
ভবিষ্যতের সেই সরকার কোন রাজনৈতিক
দলের হবে সেই রাজনৈতিক আলোচনা
আমার উদ্দেশ্য নয় । তবে ভারতীয় সীমান্ত
যত না চীনের দ্বারা বিপন্ন তার থেকে বেশি
বিপন্ন হতে চলেছে ভারতের ব্যবসা। চীনের
এই আগ্রাসন থেকে বাঁচাতে স্বচ্ছ অর্থনৈতিক
ভারতের কতটা প্রয়োজন ছিল না কি
সমস্ত আয়োজনটাই ছিল বিজেপির রাজনীতি
ও ভারত দখলের লড়াই ভবিষ্যতই বলবে ।
কারা এই সুযোগ লুটতে পারবে তা এখনই
যদিও বলা যাবেনা । কিন্তু বিজেপির হাতে
দেশের ক্ষমতা এখন ধরা আছে তাই এই
নয়া মধু ভান্ডার তাই তাদের সরকার ব্যবহার
করতে আগে পারবে এই কারণে তাদের হকও
আছে, সে কথা ভুলে গেলে চলবে না কারণ
তাদের ঘর থেকেই ভারতের নতুন পর্ব শুরু
হলো এই আবিষ্কার তাই তাদের এগিয়ে রাখবে ।
এই জমা অর্থভান্ডার দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা
করতেও পারে, বিদেশের সঙ্গে অস্ত্র ও
অন্যান্য চুক্তিতেও এই জমা কারেন্সি সাহায্য
করতেও পারে । তাই আমাকে ভবিষ্যতের
জন্য অপেক্ষা করতেই হবে । কারণ এত বছর
পরে নাগরিক তার ন্যায় অন্যায় বোধ অবশেষে
বুঝতে পারলো ও করপোরেশনের ফ্রি জলের
মতো টাকা জমার স্রোত উপলব্ধি করতে পারলো
অবশেষে । কিন্তু তবুও সকলেই যে বলছেন ৫০০ টাকার নোট পর্যাপ্ত ছাপিয়েই এই কঠোর সিদ্ধান্ত
নিলে ভালো হতো । আমার মনে হয় সে সময়
কোনোদিনই সরকার পেতনা । কারণ এই সিদ্ধান্ত যখনই নেওয়া হতো এভাবেই নিতে হতো।
তবে ১০/১১/১৬ পর্যন্ত ব্যাঙ্কে টাকা জমা পড়ার
পরই ৫০০ টাকার সিদ্ধান্তকে প্রিন্টে পরিবর্তিত
করা হয়েছে । তাই অরুণ জেটলিকেও এক
মাসের সময় সীমার কথা তিন দিন পরে বলতে
হয়েছে । বায়ু সেনার বিমানে করে এই ৫০০ টাকার
স্যুটকেসগুলি পৌঁছতে হয়েছে তৎপরতায়।
কারণ রিজার্ভ ব্যাঙ্কও যা টাকা হাতে নতুন করে
পাচ্ছে তার উপরই নতুন প্রিন্ট অর্ডার
সঙ্গে সঙ্গে করতে পারবে না । তবু যুদ্ধ যখন
তা যুদ্ধই হবে । টাকার এত যোগান কখনও
ভারতের মানুষ দেখেনি তবু এখন যা পরিস্থিতি
তাতে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষদের জন্য
আশু ভাবা উচিৎ কারণ এই গ্রুপেরই একমাত্র
অসুবিধা হচ্ছে । শোনা যাচ্ছে মঙ্গলবারের মধ্যে
নতুন ৫০০ এসে যাবে এবং আস্তে আস্তে ফিকে
হয়ে যাবে এই পর্ব । কিন্তু এই দেশে বিনা
লাইসেন্স প্রাপ্ত কয়েক কোটি সুদের কারবারি
রয়েছেন তাদের কাছে গরীব মানুষ প্রায়
লুন্ঠিত হয়েছে, এরা কীভাবে ধরা পড়বে?
আর এই কারেন্সি অফলাইন লগ ইনে সব থেকে
বিপদে পড়া দেশ হলো পাকিস্তান । এরা এখন
যুদ্ধ করে বাঁচতে চাইবে । তবুও অচ্ছে দিনের
অপেক্ষায় রইলাম.........© অলোক কুন্ডু
রবিবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৬
অলোক কুন্ডুর লেখা
বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৬
অলোক কুন্ডু-র কবিতা : পিঙ্ক
অমিতাভজির ডায়লগ শুনে
সেই থেকে বড় একা হয়ে গেছি পুরুষে
পিঙ্ক সিটি গিয়ে সেই রঙ নিয়ে
গাট্টুর ব্রাশ ভিজিয়ে ভিজিয়ে
আলমারি খুলে তোমার ভ্রুতে জম্পেস চেয়ে
দেখেও দেখিনি আহা দেবযানী
খোঁজাখুঁজি তবু করেছি ।
ঠোঁটের হেঁয়ালি তখনও বুঝিনি
থেকে থেকে হয়েছি খেয়ালি
ফানুসে ফানুস আকাশও দেখেছে দেওয়ালি ।
ঝাড় খাওয়া নোট হাজারে হাজারে
গুলাবী গ্যাঙের কামিজের ভাঁজে
বেরতে থাকলো যখন
ঠিক তখনই স্টুডিও পাড়ার কোর্টঘর থেকে
ভরাটি গলায় অমিতাভজি
বললেন ঝেড়ে কেসে
এই ব্যাটা শোন বড় বদমাস
পিঙ্ক রঙা নোট বদলের আগে
পিঙ্ক দেখে নিলে ভালো করতিস- বেটার
মেয়েদের একটু সম্মান করা
লহমায় শিখে নিতিস
অথচ আমার দোষ নেই এতে
যত বলি সে কথা শোনেননা তিনি
সে কথা তুমি তো জানো দেবযানী
মিঠা আতরে মাখামাখি
যত বিরিয়ানি টেস্টে তবু দু হাজারি রঙ
করলার মতো তিতকূটে আজ দুনিয়ায়।
রবিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৬
বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৬
বুধবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৬
অলোকের লেখালেখি
বেশ কিছু মানুষের এখন অসুবিধা হচ্ছে এবং
হবেও কিন্তু প্রধান মন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের কোনো
বিকল্প হয় না । অনন্য সিদ্ধান্ত অভাবনীয়
সিদ্ধান্ত । প্যান কার্ড দিয়ে গতকাল ব্যবসায়ীরা
প্রচুর সোনা কিনেছেন । কোনো অসুবিধা
হয়নি তাদের । আজ অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে
যাবে । ২০০% জরিমানা দিলে কোটিপতিদের
টাকাও সাদাও হয়ে যাবে । রাগ এখন পুষে
রাখাই ভালো । এই সিদ্ধান্তের খুব প্রয়োজন
ছিল । ভারতবর্ষে এরকম একজন মৌলিক
চিন্তার মানুষ কেউ যে ছিলেন তা এতদিন
বুঝতে পারিনি বলে লজ্জিত ।
কোনো ভালো কথাই শ্রী মোদীজির জন্য
আমার মতো নগন্য মানুষের মুখে মানায়না ।
অলোকের লেখালেখি
জাতীর জনক গান্ধিজী সব সময় হাওয়ার পক্ষে
সিদ্ধান্ত নিতেন অর্থাৎ দেশের জনগন আগেই
তার প্রেক্ষাপট তৈরি করে রাখতেন । গান্ধিজীর
সিদ্ধান্ত হীনতার জন্য সু্ভাষচন্দ্রকে সরে যেতে
হয় । তৎকালীন পূর্ব বাংলায় গান্ধিজীর বিরুদ্ধে
স্লোগান পর্যন্ত উঠেছিল । নেহরুর কোনো
সিদ্ধান্তই আর বেঁচে নেই । রাশিয়ার পরামর্শ
ছাড়া এক পাও চলেননি । ইন্দিরা গান্ধীর
অনেক সিদ্ধান্ত খুব ভালো থাকলেও তাঁর বিড়লা
ভক্তি ও শিল্পপতিদের কালো টাকার সঞ্চয় বৃদ্ধি
ঘটে । রাজীবজী ইন্ডিয়াকে বাজার চেনান ।
শিক্ষার উন্নতি ঘটান । শিক্ষার ও একই সঙ্গে
মোবাইল বাজারের ফলে পয়সা বেড়ে যায় ,
এই চেতনা আরও টাকা চেনার কৌশল শেখায় জনগণকে । তার আগেই বেচারা সঞ্জয় গান্ধী
মারুতি গাড়ি আনার চেষ্টা করেছেন আর
পরিচ্ছন্ন শহরের কথা ভেবেছিলেন । নরসিমা
রাও এসে বদলে দিলেন ভারতের অর্থনীতির
বিপর্যয়, এত দিনকার নেহরুর বস্তাপচা
অর্থনীতি ছুঁড়ে ফেলা হলো । মনমোহন
সিংজী সরকারী কর্মচারির বেতন বৃদ্ধি
ঘটিয়ে উন্নত সমাজ ও ক্রয় ক্ষমতার বৃদ্ধি
করে এক যুগান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ।
ইতিপূর্বে রাজীব গান্ধী বফর্স দিয়ে ভারতকে
শক্তিধর রাষ্ট্র তৈরি করে গেছেন । কিন্তু
নরেন্দ্র মোদিজীর এই সিদ্ধান্ত ঐতিহাসিক
এবং মস্তবড় বুকের পাটা দরকার ছিল ।
কেননা এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য দেশের
জনগণ পাশে থাকবে না । রাজনীতিকরা
সম্পূর্ণ বিপক্ষে। তার ওপর আনাড়ি ও
সবজান্তা নাগরিক, লাখপতি-কোটিপতি
ব্যবসায়ীরাও বিপক্ষে থাকবে । তবে
গরীব ও মধ্যবিত্তদের এতে লাভ-ক্ষতি
কিছুই নেই । কিন্তু এই সিদ্ধান্তে এরাই
বেশি লাফাচ্ছেন কেন তারা সেটা তারা
নিজেরাও জানেননা । এত কঠিন এত
ভয়ঙ্কর এত দুনিয়া কাঁপানো সিদ্ধান্ত
ভারতে ইতিপূর্বে আর কোনো জননেতা
নিতে পারেননি । এই সিদ্ধান্তের সমালো-
চকদের ভবিষ্যতে মুখ পুড়বে । এখন
সময় ঠান্ডা মাথায় সব দেখে যাওয়া
ছাড়া আমাদের ক্ছিু করার নেই । এর
সাকসেসের ওপর নরেন্দ্র মোদিজীর
সম্রাট অথবা ভিখারির আসন অপেক্ষা
করছে । আমার অভিমত সমস্ত
রাজনৈতিক দলেরা এখন কিছুদিন
সিদ্ধান্ত হীনতায় ভুগতে থাকবে কারণ
এই ডামাডোল এক সপ্তাহেই অনেকটা
মিটে যাবে । আরও নতুন কিছু ছাড়ের
ঘোষণা ব্যবসায়ীদের জন্য অপেক্ষা
করছে মনে হয়.... সবই অনুমান
শনিবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৬
অলোক কুন্ডু-র কবিতা ** হলুদ বর্ণের অভিমান
মাঠ ভরা হলুদ বর্ণের এই জোয়ার
যা অজুত সৌন্দর্য সাবেকি সমান
যা আমার কবুল করা সমূহ অন্ধকারকে
রেখে দিয়ে যায় অমৃতযোগ রাতের কাছে
চলে যেতে গিয়ে যে থামায় আমার সমস্ত নৈরাশ্য
দিগন্তের আদিগন্ত যে ভারমিলিয়ন
কাস্তের আগায় লাগা যে হলুদ আদর
লুটোপুটি খেয়ে নেয় যা রাতভ'র জ্যোৎস্না চাদরে
ঘরে ঘরে নির্বিকার যে প্রদীপের আলোগুলি
জ্বলে ওঠে প্রাত্যহিক উজল যেমন
হেমন্তের অভিমানে ক্রমশ
দুঃখগুলি স্পষ্টতর হয় যতখানি
শিশিরের নিঃশব্দ সংলাপজুড়ে
যে অতুল ধানক্ষেত পরস্পর মাখামাখি হয়
মেঘ মেঘ ভেজা ভেজা এই রাতের সঙ্গে
যে অমৃতযোগের শিশিরকণাগুলি এসে
মিশে যায় ভোরের আতরে
কার্ত্তিকের শেষ রাতে ওড়ানো ফানুষ থেকে
টুপটাপ নেমে আসে যে সমূহ শিশিরের বাদ্য
ডুমো ডুমো ধানের আগায় গিয়ে যে জমা লাবণ্য
আর এই সব কিছুই ভুলে যাই যদি
রাতভর এই শীত শীত অনুভূতি পেয়ে যদি
সমর্পিত হয়ে যাই নির্বিকার আঁধার চাদরে
যা অকাতরে পেয়েছিলাম হেমন্তের কাছে
যে শিশির গুণতে গুণতে ঘুম ভেঙে পেয়েছিলাম
হাতের আঙুল থেকে ভেলভেট নরম
সে শুধুই আমার অভিমান
হলুদ বর্ণের অভিমান ।
প্রয়াত তরুণ মজুমদার--অলোক কুন্ডু
#তরুণ_মজুমদার_চলেগেলেন অধিকার এই শিরোনামে--কয়লাখনির শ্রমিকদের জন্য ডকুমেন্টারি বানিয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত পরিচালক তরুণ মজুমদার। ছিলেন আজীবন বাম...
-
বড় চমক, বাংলা থেকে এনডিএর-র উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী ●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●● গত তিন বছর বিভিন্ন ইস্যুতে মমতা সরকারকে নিশানা করেছেন ব...
-
⛔ এটা ২৮ ডিসেম্বর, ১৯৯৭-এর 'বর্তমান' খবর কাগজ। বরুণ সেনগুপ্ত'র আগাগোড়া ১০০% সমর্থন তখন। জিতেন্দ্রপ্রসাদ এসে সোমেন মিত্রকে নিয়ে...
-
#অলোক_কুন্ডুর_লেখালিখি_ও_কবিতা #CoronavirusLockdown #COVID19PH #COVID19 #CoronavirusPandemic #coronavirus #ভিটামিন_সি ■ বিজ্ঞানী ইন্দুভূষণ ...