শনিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৭

POETRY OF ALOK KUNDU :: অলোক কুন্ডু-র কবিতা

কী তবে সৌন্দর্য কে বেশি তুমি  অলোক কুন্ডু

কার জন্য ভারমিলিয়ন দিগন্ত বিস্তৃত
কাকে বেশি ভালো লাগে কে বেশি সুন্দরী
সে কথা কি অন্তরের নিবিড়তা জানে
সৌন্দর্যের অপূর্বতা না নারীর গড়ন
কোনটা নারীর আর কোনটা তোমার
আসলে তুমি না কোনো সরস্বতী রূপ
কী তবে সৌন্দর্যনির্মাণ কে বেশি তুমি
চৈতী গানের সুরে যে মন কেড়ে নিত
সে কি তবে নান্দনিক আরও বেশি করে
দুপুরের রোদ চিরে কিশোরের চোখে
কিশোরীর জন্যে ওড়া রোদ চেরা ঘুড়ি
তার সে সৌন্দর্যখানি জানাতে পারিনি
সে অমূল্য রূপ যেন রূপকথাময়
কলেজ গেটের ধারে স্মার্ট সিগারেটে
জিনসের নীল রঙ ছিঁড়ে দিয়েছিল
ছেলেটার বুকে ঝুঁকে ইটালিক মেয়ে
সে কি তবে সব থেকে দুর্গম সুন্দরী  ?
না কি যার সাথে সবে কাল দেখা হয়েছিলো
পুরুষের খোঁজাখুঁজি তচনছ করা
নিবিড় তুলিতে কোনো আঁকেনিকো চোখ
চুল তার এলোমেলো প্রভাতকুসুমে
চন্দনবনের গন্ধ গায়ে মাখামাখি
কথা তার ঠিক যেন অবিরল নদী
বাইজেনটাইন আর্কিটেক্ট বেদুইন কে
কী তবে সৌন্দর্যবোধে কে সে তুমি
কার মুখে সেই থেকে আজও চেয়ে থাকি ।
© অলোক কুন্ডু

বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৭

অলোক কুন্ডুর গদ্য

আসুন আমরা গান্ধীজিকে পাপ মুক্ত করি
নামাঙ্কিত মেট্রো স্টেশনে উঠে দাঁড়াই
============================

গতকাল ফেসবুকের একটি পোস্টে এক ব্যক্তি
যতীন দাসের অনশন বর্ণিত করে সুন্দর একটি
পোস্ট করেন  । যতীন দাস লাহোর জেলে ৬৩
দিন অনশন করার পর ৬৪ দিনের দিন
শহীদ হন । দেখলাম এক ব্যক্তি সবজান্তা লিখেছেন -
" গান্ধীজি যতীন দাসের উপবাসটি শুধুমাত্র
মানেননি " । সেই ব্যক্তি তাঁর নিজের মতের পক্ষে
কোনো আর তথ্য দেননি ( ভাবখানা খানিকটা
কাঁধ ঝাঁকানো ব্যাপার , আমার যেন মনে হলো )।
অনেকই মনে করেন গান্ধীজি নিশ্চুপ না থাকলে
মহান বিপ্লবী যতীন দাসকে এই রকম বেঘোরে
প্রাণ বিসর্জন দিতে হতোনা । এই বিষয় নিয়ে
ইতিপূর্বে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে ।
গান্ধীজির পত্রাবলিতে এই বিষয়ে
অনেক চিঠি আছে । সেই সময় যতীন দাসের
ঘটনায় সারা দেশ যেখানে উত্তাল সেখানে
গান্ধীজি ছিলেন আশ্চর্যরকম নির্বাক ।
কাগজে লেখা হয়েছে । গান্ধীজিকে সরাসরি
চিঠি লিখেছেন বহু নামি ব্যক্তি । গান্ধীজি
কখনও চুপ থেকেছেন । কখনো সংক্ষেপে তা
এড়িয়ে গেছেন । গান্ধীজির এই নিশ্চুপ
শান্তিকামী ভূমিকা নিয়ে কেউ কেউ
গান্ধীজিকে মহান সাজিয়ে ডক্টরেট হয়েছেন
--সেটা অন্য কথা । গান্ধীজির প্রত্যেকটি
উত্তরে তিনি যতীন দাসের সেই সত্যাগ্রহ
অনশন সমর্থন করেননি । কোনো কোনো
চিঠিতে গান্ধীজি প্রশ্নকর্তাকে চিঠিতে
জানিয়েছেন তার সঙ্গে যখন গান্ধীজির দেখা
হবে তখন এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত
আলোচনা তিনি করবেন । এটাও সত্য
বলে মানি যে গান্ধীজি--তুলসীদাসের রচনা ,
রামচন্দ্রের আদর্শ এবং তাঁকেই একমাত্র
তাঁর ভগবান মানা , গীতার উপদেশ ও
সমাজের তৎকালীন অসুচি মানুষের উন্নতি
তার জীবনের ত্যাগ তাঁর জীবনের অনেকটা
অংশে গভীর মানবতাবাদের ও ধর্মীয় অন্যায়
রুখতে জাতির কাছে প্রভাব ফেলেছিলো ।
তবু গান্ধীজিকে ফিরে দেখতে চাইলে দেখি ,
অন্য একটা সমস্যায় যখন অধুনা বাংলাদেশ
তিনি গিয়েছিলেন , গান্ধীজিকে বহু মানুষ
ঘিরে ধরে টিটকিরি করেছিল , তিনি তাতেও
নিশ্চুপ থেকেছেন । গান্ধীজির এই উত্তরহীনতা একদিনের ছিলনা । সুভাষচন্দ্রের
পক্ষে তার আশ্চর্য নীরবতা লক্ষ্য করার মতো ।
কিন্তু তবু যতীন দাসের জনমতের বিপক্ষে
গিয়ে তিনি তাঁর সারা জীবনের আদর্শে
কলঙ্ক লেপন করেছিলেন । কেননা তিনি
যতীন দাশের বিপক্ষে লিখেছিলেন
( পত্রাবলী ) -- 
" My silence has no connection whatsoever with Jatin 's CRIME
or INNOCENCE "
© অলোক কুন্ডু

POETRY OF ALOK KUNDU : অলোক কুন্ডু-র কবিতা

যে তুমি পূজারী রাজার / অলোক কুন্ডু

যে তুমি পুরোহিত রাজার
প্রতিমায় ফুল দাও জল দাও ঈশ্বরে
তোমার মন্ত্রপূত জল রাজার মাথায় দাও
প্রত্যেকটি মন্ত্র তোমার রাজাকে বাঁচাতে
প্রজার রক্ত মাখা হাত তোমার চরণ মাখে
তোমার প্রতিটি মন্ত্র উচ্চারণে
রক্ত চন্দন যেন রক্তের মতোই
তোমার চাদর মাখে প্রতিটি হিংসার উৎস
যে ধর্মে দীক্ষা নিয়েছে রাজা
রক্ত তাকে সাবলীল জানে
কিন্তু তুমিতো রাজা নও
যে তুমি পূজারী রাজার মন্দিরে চিরকাল
তবে তুমি ভন্ড এক রক্তে মাখামাখি  ।
© অলোক কুন্ডু

POETRY OF ALOK KUNDU : অলোক কুন্ডু-র কবিতা

হিংসে ভাসাই / অলোক কুন্ডু

সমস্ত রক্তের দাগ মুছে আলপনা দিলে
নীরবতাগুলি ভালোবাসা হয় ধীরে ধীরে
কেউ যদি থাকো কাছেপিঠে এসো রঙ নাও
চালগুঁড়ি গেরিমাটি যা আছে আমার এই
লক্ষ্মীর পায়ের ছাপও কল্যাণ স্বরূপ
রাতের আকাশজুড়ে যত আঁকাআকি দেখি
অবিকল শূন্যতার কাছে রঙ মাখামাখি
পৃথিবীর সভ্যতার কাছে কতকাল আঁকা
দেওয়াল দিয়েছে প্রাণে আলপনা প্রলেপ
ফকিরের গানে ফেরে যে সরল সত্যিগুলি
আজ তাকে বুকের মধ্যে রাখি । রক্ত মুছি
রাস্তাজুড়ে এঁকে যাই কলমকারি শুভ্রতা ।
© অলোক কুন্ডু

বুধবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৭

অলোক কুন্ডুর কতিতা :: উল্টোসোজা

উল্টোসোজা / অলোক কুন্ডু

উল্টো সোজা পশম উলের
বেবাক কাঁটায় দোদুল ফুলের
শীত এলে তার বাড়তো কদর
ঠিক যেন সেই ভিজে বকুল ।
বকুলতলায় ঝরলো পাতা
উড়লো ধুলো শুকনো পাতায়
সিল্যুট জিনসে কার বিনুনি
স্মার্ট ফোনেতে উল বুনে দেয় ।
দেদার এখন মুখের বিউটি
এডিট-ক্রপের সাহেব-বিবির
ডিস্কোথেকে দেখা মিলবে
পালোজা আর হল্টারেতে ।
বাহারি সব মুখোস পরে
ঘুড়ির মতোই ওড়াচ্ছে রাত
কেউ জানেনা কারো ভেতর
উলের কাঁটা জানবে টা কী ?
© অলোক কুন্ডু

মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১৭

অলোক কুন্ডুর কবিতা ও লেখালিখি


অলোক কুন্ডুর লেখালিখি

স্বামীজির অ্যাডজাস্টমেন্ট ল
====================

যে সাতটি আচরণের উল্লেখ জরথ্রুস্ট করেছিলেন
সর্ব প্রথম । মেয়েদের সম্মানের কথাটাই ছিল তার
রেখে যাওয়া সাতটি আচরণের একটি । স্বামীজি
অনেক ক্ষেত্রে জরাথ্রুস্টের কথিত আচরণ মনে
প্রাণে বিশ্বাসও করতেন । আমাদের সর্বপল্লী
রাধাকৃষ্ণানও অনেক সময় জরাথ্রুস্টের
মতবাদকে উদাহরণ স্বরূপ ব্যাখ্যা করেছেন ।
স্বামীজি তার একটি লেখায় ধর্মীয় আচরণে
অনেক সময় পুরনো অবস্হানকে প্রয়োজনে
মেনে নেওয়ার কথাও বলেছেন । Adjustment
এর কথা বলেছেন। কারণ জরথ্রুস্ট ও তার অনুগামীদের তাদের নিজের দেশ ছাড়তে
হয়েছিল  ( যাদের আমরা পার্শি বলি )।
স্বামীজি এই দেশের অনেক ভাষা ও বহু
ধর্মের ভাবধারায় লালিত হয়েছিলেন ।
একের মধ্যে বহুত্বের প্রয়োজনে স্বামীজি
তাই অদ্বৈত্ববাদের বিপ্লবী হতে চাননি কিন্তু
ভারত তীর্থের উপযুক্ত করে তার কথা শুনিয়ে
গেছেন  । স্বামীজি এই সমাজ থেকে বেরিয়ে গিয়ে
ধর্মীয় বিপ্লবের দিকে পা বাড়াননি । মূর্তি
পুজোয় বিশ্বাসী রাজারাজদের আথিতেয়তা
নিয়েছেন সহজেই । কমিউনিস্টদের মতো
অটল থেকে নিজের মতকে অবিশ্বাসীও
করে যাননি এখন এটা সত্য বলে প্রমাণিত ।
স্বামীজি নিজে বেদান্তের উপাসনা করেছেন
আবার বেলুড় মঠে দুর্গা পুজোর আয়োজন
করেছেন গোঁড়া হিন্দুদের দুর্গা পুজোর বই
কিনে এনে সেই মতো আচরণ করেছেন ।
এমনকি পাঁঠাবলিও ধর্মের আচরণে যেহেতু
ছিলো তাই তিনিও সেটা বাদ দেননি । 
শ্রীশ্রীমায়ের ইচ্ছেতে বলি বাদ পড়ে । তিনি
এটাও জানতেন সমাজের বিরুদ্ধে গিয়ে
রামমোহন অধিক ও বিদ্যাসাগরকেও কিছু
কষ্ট পেতে হয়েছিল । স্বামীজি হিন্দু ধর্মের একটি
দিক অর্থাৎ অদ্বৈতবাদকেই প্রচারের অভিমুখ
করেছেন । স্বামীজি তবু যেন অনেকভাবেই
জরথ্রুস্টের ধর্মমতের কাছাকাছি ছিলেন ।
সামনে শ্রীরামকৃষ্ণ না থাকলেও নরেন্দ্রনাথ
স্বামীজি ঠিকই হতেন । শ্রীরামকৃষ্ণের থেকেও
শ্রীশ্রীমাকে তিনি সাক্ষাৎ দুর্গা ভাবতেন । তিনিও
শ্রীঅরিবন্দ ও সুভাষচন্দ্রের মতো স্বাধীনতার
জন্যে আকুল হয়েছেন । সুভাষচন্দ্রের সঙ্গে তার
একান্ত আলোচনা কেউ আজ জানতেই পারেনি
এই ভারতীয় সমাজের ধর্মীয় মনোভাব তিনি
পাল্টাতে পারবেননা তা তিনি টের পেয়েছিলেন
তাই তাকে কখনো দেখি তিনি অদ্বৈতবাদী
কখনও সমাজ সংস্কারে জরথ্রুস্টবাদী কখনও
বুঝেছেন তার এই গরীব-মুর্খ দেশবাসীর কি
করে প্রাণ সঞ্চারিত হবে । শ্রীরামকৃষ্ণের
মায়ের মন্দিরে বার বার গিয়ে কি তিনি তবে
ভারতবাসীর জন্যই চেয়েছিলেন সেই
ঐতিহাসিক চাওয়া  । স্বামীজির লেখা বক্তৃতা
প্রতিষ্ঠিত হয়েছে হয়তো আংশিক কিন্তু
স্বামীজির আচরিত ধর্মের কি প্রতিষ্ঠা হয়েছে
এই ভারতের কোথাও ? হয়তো সেইভাবে
হয়নি  । যদি স্বামীজি শুধুমাত্র ধর্ম নিয়ে
কোনো বিপ্লবী পদক্ষেপ নিতেন তাহলে
হয়তো  এই যে আমরা স্বামীজিকে এতটা
জানতে পেরেছি তা হয়তো কোনোদিনই
পারতাম না । স্বামীজি খুব বড় জোর
রামমোহন রায় হয়ে বেঁচে থাকতেন । 
আমি বলবো স্বামীজির আদর্শের ইচ্ছেগুলি
সঠিক ঠিকানা পেয়েছে ও দিশা পেয়েছে  ।
তার ADJUSTMENT LAW মনে হয়
ভারতীয়রা ধর্মীয়ভাবে মেনে নিয়েছে  ।

প্রয়াত তরুণ মজুমদার--অলোক কুন্ডু

#তরুণ_মজুমদার_চলেগেলেন অধিকার এই শিরোনামে--কয়লাখনির শ্রমিকদের জন্য ডকুমেন্টারি বানিয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত পরিচালক তরুণ মজুমদার। ছিলেন আজীবন বাম...