মঙ্গলবার, ২৩ মে, ২০১৭

অলোক কুন্ডুর কবিতা ::: Poetry of Alok Kundu

এখন যখন খেলতে ইচ্ছে যায়
অলোক কুন্ডু ©

এখন যখন খেলতে ইচ্ছে যায়
পায়ের নীচে নূপুর বাজে জলের
সত্যি বলছি একটা পাহাড় দূরে
সারেঙ্গিতে সুর ভাঁজে সে রোদ্দুরে
আরও দূরে যেই ভেবেছি তখন
মেঘের কাছে অমনি জলের সই
পায়ের নীচে মাতাল দামাল ঘাস
খেলতে এসে আহ্লাদে আটখানা
ইচ্ছে করে জলের পথে নৌকো ধরি
একটা লাঠাই তেপান্তরের মাঠে
কটা ছেলে ছুটছে তারা হুহু করে
একটা ঘুড়ি জুড়ছে সুতো মায়ায়
চোখ বুজলে দূরের পাহাড় চূড়ো
খেলত আসে আমার কাছে অমনি
তখন আমার আশপাশটায় মেঘ
ঘূর্ণিজলে জলতাড়া গান গাইছে
মাছেরা তখন ঘুমিয়ে পড়ে সব
একটা আকাশ গাছগাছালির ফাঁকে
দূরে তখন আঁকা পথে বনের মধ্যে
ছায়া পেতে দিব্যি ঘুমোয় সত্যি
যেই ভেবেছি পায়ের পাতায় জল
চোখের কোনে সে জল দেখি স্বপ্নে ।

অলোক কুন্ডু - র কবিতা :: Poetry of Alok Kundu

একটা স্বপ্নের আজও তেমন সত্যি
অলোক কুন্ডু ©

এখন যখন খেলতে ইচ্ছে যায়
পায়ের নীচে নূপুর বাজে জলের
সত্যি বলছি একটা পাহাড় দূরে
সারেঙ্গিতে সুর ভাঁজে সে রোদ্দুরে
আরও দূরে যেই ভেবেছি তখন
মেঘের কাছে অমনি জলের সই
পায়ের নীচে মাতাল দামাল ঘাস
খেলতে এসে আহ্লাদে আটখানা
ইচ্ছে করে জলের পথে নৌকো ধরি
একটা লাঠাই তেপান্তরের মাঠে
কটা ছেলে ছুটছে তারা হুহু করে
একটা ঘুড়ি জুড়ছে সুতো মায়ায়
চোখ বুজলে দূরের পাহাড় চূড়ো
খেলত আসে আমার কাছে অমনি
তখন আমার আশপাশটায় মেঘ
ঘূর্ণিজলে জলতাড়া গান গাইছে
মাছেরা তখন ঘুমিয়ে পড়ে গানে
একটা আকাশ গাছগাছালির ফাঁকে
দূরে তখন আঁকা পথে বনের মধ্যে
ছায়া পেতে দিব্যি ঘুমোয় সত্যি
যেই ভেবেছি পায়ের পাতায় জল
চোখের কোনে সে জল দেখি স্বপ্নে ।

বৃহস্পতিবার, ১৮ মে, ২০১৭

অলোক কুন্ডুর কবিতা :: Poetry of Alok Kundu

কী তবে সৌন্দর্য কে বেশি তুমি / অলোক কুন্ডু

কার জন্য ভারমিলিয়ন দিগন্ত বিস্তৃত
কাকে বেশি ভালো লাগে কে বেশি সুন্দরী
সে কথা কি অন্তরের নীরবতা জানে
সৌন্দর্যের অপূর্বতা না নারীর গড়ন
কোনটা নারীর আর কোনটা তোমার
আসলে তুমি ? না কোনো সরস্বতী রূপ
কী তবে সৌন্দর্যনির্মাণ কে বেশি তুমি
চৈতী গানের সুরে যে মন কেড়ে নিত
সে কি তবে নান্দনিক আরও বেশি করে
দুপুরের রোদ চিরে কিশোরের চোখে
কিশোরীর জন্যে ওড়া রোদ চেরা ঘুড়ি
তার সে সৌন্দর্যখানি জানাতে পারিনি
সে অমূল্য রূপ যেন রূপকথাময়
কলেজ গেটের ধারে স্মার্ট সিগারেটে
জিনসের নীল রঙ ছিঁড়ে দিয়েছিল
ছেলেটার বুকে ঝুঁকে ইটালিক মেয়ে
সে কি তবে সব থেকে দুর্গম সুন্দরী  ?
না কি যার সাথে সবে কাল দেখা হয়েছিলো
পুরুষের খোঁজাখুঁজি তচনছ করা
নিবিড় তুলিতে কোনো আঁকেনিকো চোখ
চুল তার এলোমেলো প্রভাতকুসুমে
চন্দনবনের গন্ধ গায়ে মাখামাখি
কথা তার ঠিক যেন অবিরল নদী
বাইজেনটাইন আর্কিটেক্ট বেদুইন যে
কী তবে সৌন্দর্যবোধে কে সে তুমি
কার মুখে সেই থেকে আজও চেয়ে থাকি ।
© অলোক কুন্ডু

বুধবার, ১৭ মে, ২০১৭

Poetry of Alok Kundu অলোক কুন্ডুর কবিতা

তোমাদের মানুষ কে কে বলে / অলোক কুন্ডু

যে তোমরা বর্বরতাকে তোল্লাই দাও
পায়রা উড়াও কত গ্যালারী জুড়ে
ঢাউস কবিতা পড় মঞ্চ থেকে মঞ্চে
লিটল্ ম্যাগের পাতায় উড়াও মস্ত ফানুস
কিংবা টাটকা গোলাপ ভাসাও নিস্তরঙ্গ জলে
দেখি রবীন্দ্র গানের বাণীতে প্রাণ ঢেলে দাও
প্রেমের বাণী দিয়ে স্বামীজিকেও কখনও কাছে টেনে নাও
কিন্ত রক্তের বেলায় মাপো - শুধু রাজনীতি
বলোতো তোমাদের মানুষ কে কে বলে

সোমবার, ৮ মে, ২০১৭

অলোক কুন্ডুর কবিতা :: Poetry of Alok Kundu

রবি কবি / অলোক কুন্ডু ©

নিস্তব্ধ চিলেকোঠায়
জৈষ্ঠের দুপুরে
কিশোরবেলায়
কতবার আমিও তো সেজেছি দই অলা
কখনো অমল
সেই থেকে সুধার পায়ের মল
দূর থেকে অবিরত আজও বাজে কানে ।
তুমি বুঝি দিয়েছিলে অমোঘ স্পন্দন
ছেলেবেলার সে নাটক -- পঁচিশে বৈশাখ ।

তোমার সৃষ্টির উথালপাথালে
কৃষ্টির উদার মিছিলে বেমানান বেগানা আমি
কখনো আঘাত এমন যে
সমস্ত অশ্রু নিয়ে তোমার ছবির কাছে গেছি
আর্তনাদ করিনি এতটুকু হে প্রভু
যতটুকু পারি সেইটুকু উচ্চারণে
এত জল ভরে যায় চোখ যে বোঝানো যায়না কিছুই
সেইটুকু শুধুমাত্র আমার সে পঁচিশে বৈশাখ ।

এইভাবে চলে গেছে মিলের চাকরিটুকু
রাজা এসে চলে গেছে কতবার
সত্তর বছরের কাছাকাছি
যতটুকু স্বাধীনতা জোগাড় করেছি নিজে
সেইটুকু তোমার শেখানো
সেইথেকে ছিন্নপত্র , প্লাস্টিক আবৃত ছবি
ফিরি করি বনগা লোকালে
সেই থেকে --
কন্ঠে নিলেম গান ,আমার শেষ পারানির কড়ি...

তোমার কাছে বাঙালির আজ এ কেমন স্বাধীনতা
অথচ যে মানুষটি চেয়েছিল
শুধুমাত্র তোমার গানের স্বাধীনতা
একটা অন্তত গিটার বাজুক
দেয়নি বাঙালি তোমাকে বাজতে তেমন
সে হা হুতাস বুকের কাছে অশ্রুমগ্ন আজও ।

ঘরে আমার অমল আছে
জ্বরে তার গা পুড়ে যাচ্ছিল কাল রাতে
কে বা তার খবর রেখেছে বলো
কেবল চ্যানেল থেকে পাড়ার প্যান্ডলে
ছিন্নপত্র বিক্রি হলে
কবিরাজ বা ডাক্তার নিয়ে যাবো ঠিক
বলেছি ওর মাকে
তাইতো করেছি সুর চুরি --আমার শেষ পারানির কড়ি
কখনও কামরা থেকে কামরায়
বই চাই ভালো বই বই চাই ভালো বই
রবি কবি রবি কবি ।

বৃহস্পতিবার, ৪ মে, ২০১৭

অলোক কুন্ডুর কবিতা Poetry of Alok Kumar Kundu

আমার গণতন্ত্র / অলোক কুন্ডু

আমার গণতন্ত্র কোথায় কতটা দামি
চাপা সন্ত্রাস বাড়ি বাড়ি এসেছিল
এইভাবে যদি গলা চেপে ধরো আজ
নরকও আসবে এইখানে সুখ পেতে
কানে দুল আর বারমুডা বেকারের
আমার স্বাধীনতা হয়তো সেকালের
এভাবেই এখন ভ্রম বাড়ানোর কৌশল
মেরুদন্ডে মরচে পড়েছে অবিরল ।

মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৭

Poetry of Alokkundu1302@gmail.com :: অলোক কুন্ডুর কবিতা

জহুরি / অলোক কুন্ডু

পরিপাটি করে হীরের কুচি সাজিয়ে
গয়না বানানো শিখিয়েছিল দুখিরাম
অনায়াস মুগ্ধতায় জেল্লাদার নেকলেস থেকে
ব্রেসলেট-বাউটি চোখ ধাঁধানো
জড়োয়া গয়নায় রূপ দিতে
এতল্লাটে নাম ছড়িয়ে পড়লেও
পলাশ , দুখিরামকে ছেড়ে যায়নি ।

দুখিরাম বলেছিল গয়না হোলো হুঁশ
খানিকটা পরের বউয়ের মতো - কর্পূর হ্যায়
" ঘর কা মুরগি ডাল বরাবর "- বলে হেসেছিল
ছোকরা পলাশ কথাটা ঠিক  ঠাওর করতে পারেনি
শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে শুনেছিল
নীরবে ছিলে কেটে গেছে সারারাত
দেড়াদামে সেগুলো বিক্রি করেছে দুখিরাম

মনকাড়া গোল্ডপ্লেটিং থেকে মিনাকারি
সবেতেই আদর ঢেলে দেয় সে
সোনালি জৌলসে মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে
নারীর লাস্যের ঠিকানা যেন পলাশের জন্মগত
সৌন্দর্যবিদ্যার এই আদরে
পলাশ কি তবে যাদু জানে ?
জহুরির চোখ দুখিরামের 
হাসি লুকিয়ে রাখতে সেও জানে অবিকল ।

হাতসমান ঘোমটার আড়াল থেকে
ভাজামশলা আর তেঁতুল দিয়ে
ছোলাসেদ্ধ পিঁয়াজের আলুচোখা
মেখে দিয়ে যায় রোজ বিকেলে --দুখিরামের বউ
সোহাগি যতক্ষণ থাকে
ওর গয়নাগুলোও বাজে অবিরত
তখন পলাশের হাতের তালুতে
দুখিরামের গয়না আদর মাখামাখি করে শুধু ।

দুখিরামের অগোচরে একদিন
সোহাগি কানের কাছে মুখ এনে বলেছিল
এত আদর কোথা থেকে শিখলে ?
হীরের টুকরোর সঙ্গে
সোহাগির হাসি মিশে গিয়েছিল
সেই প্রথম সোহাগির মুখ দেখে ফেলা ।

লাখ টাকার হীরের নেকলেস রেখে
কতবার দুখিরাম হীরেপট্টিতে মহাজনের কাছে গেছে
এসে দেখেছে সব ঠিক আছে
আজও তেমনি দুখিরাম নেই
দরজা গোড়ায় সোহাগির চুড়ি বেজে উঠলো
নিঃশব্দে দরজা বন্ধ করে দিল
পলাশ এই প্রথম ছিলেকাটা বন্ধ করে দিল ।
© অলোক কুন্ডু

প্রয়াত তরুণ মজুমদার--অলোক কুন্ডু

#তরুণ_মজুমদার_চলেগেলেন অধিকার এই শিরোনামে--কয়লাখনির শ্রমিকদের জন্য ডকুমেন্টারি বানিয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত পরিচালক তরুণ মজুমদার। ছিলেন আজীবন বাম...