সোমবার, ১৭ জুলাই, ২০১৭

poetry of alokkundu1302@gmail.com

ভারতবর্ষ কোথায় ছিলি বল / অলোক কুন্ডু

সারা গায়ে ময়লা যেন কয়লা
ধুলো কাদায় খড়ি উঠছে গায়ে
সঙ্গী তার কুকুর বিড়ালছানা
এক ভিখিরি মানুষ করেছিল
নিভিয়ে আলো জীবন প্রদীপ
জন্ম দিয়েই কবে চলে গেছে মা
সাবান দেওয়া শেখায়নি কেউ
লেখাপড়া কোনদিনই হয়নি
দেখতে বুঝি ভূতের মতো ঠিক
রাত বাড়লে ফেলা ভাতের সাথে
হোটেল থেকে দেয় একটু ঝোল
ভাগ করে নেয় পুষ্যিগুলো সাথে
কুকুরগুলোর মাঝে শুয়ে রাতে
পাহারা দেয় সারাপাড়ায় জেগে
হঠাৎ সেদিনে সরকারি লোক
গুণতে এলো স্বচ্ছ ভারত থেকে
জিজ্ঞেস করলো কী জাত তোর
এখন থেকে স্বচ্ছ ভারত মানবি
কেউ বললো হিন্দুর ছেলে জানি
কেউ বললো না ও মুসলমান
সকাল থেকে রাত অবধি হৈচৈ
তার মধ্যে ঘেউ ঘেউ ঘেউ মিঁউ
সারাপাড়া কাঁপতে থাকে চিৎকারে
সারাদিনে খালিপেটে জেরবার
ভিড় বাড়লো সকাল থেকে রাত
পুলিশ এলো খবর দিল টিভি
ভিড় থেকে এক ভিখিরি এলো
বুকের মধ্যে জড়িয়ে ধরে কাঁদলো
অনেকক্ষণ  । মাথায় জটাজুট
বললো ভারতবর্ষ কোথায় ছিলি বল ?
© অলোক কুমার কুন্ডু

বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই, ২০১৭

সাম্প্রতিক ঘটনার প্রেক্ষিতে আনন্দকে

আনন্দে জাগরীর জাগ্রতকরণ / অলোক কুন্ডু
***************************************
একটি পোস্ট সংযম নষ্ট করেছে বলে আজ
দোষ পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় । এই মিডিয়ায়
একক ভাবে একটি মাত্র ব্যক্তির দ্বারা তার মত
ছড়ায় । এই কারণে অন্যেরা সেয়ার না করলে
আর কাউকেই দায়ী করা যায়না । এই মিডিয়ার
বন্ধুত্বটাও অনেকটা আকাশকুসুম । অনেকেই
অচেনা তাই বিরক্তিকর পোস্টের দায় কেউ
যেচে নেননা । অপসংস্কৃতির পোস্টসমগ্র এই
মিডিয়া চেপেও যায় এবং তাকে প্রোমোটও
করেনা । কিন্তু মানুষের ব্যক্তিগত বঞ্চিত হওয়ার
বিষয় তার ব্যক্তিপোস্টে পড়লেও পড়তে
পারে । এখানে উল্লেখ্য যে সমাজ সংস্কারক
হিসেবে সব সময়েই খবরের কাগজ ও টিভির
একটা ভূমিকা থাকলেও থাকতে পারে । কিন্তু
এক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা নগণ্য দেখা গেছে ।
তবুও সামান্য একটি  WAP/ FB থেকে
একেবারে একটা লঙ্কাকান্ড ঘটে যে যাবে এটা
ভাবতে কেউই পারেননি । যা হয়েছে তার
সমাধান মন্দির মসজিদের মধ্যে আলোচনা
করে মিটিয়ে নেওয়ার এ কোনো পথ নয় ।
তাছাড়া কোনো একটা এলাকার বিষয়ও নয় ।
আমার তো মনে হয় , কোনো ধার্মিক হিন্দু-মুসলিম
বা সাধারণ নিরীহ মানুষ কেউই এরকম
হল্লামার্কা হুলিগানি এবং আগুন লাগানো
কুরুচিপূর্ণ কাজে মদত দেবেননা এবং
পরোক্ষভাবে যুক্ত হতেও পারেননা । হীনকাজ
সমাজের বিঘ্ন ঘটায় । কিন্তু কোনো কুরুচিকর
পোস্টের বিরুদ্ধেও এই মিডিয়া সজাগ থাকে ।
যে শান্তি মানেনা তার শাস্তি একান্তই কাম্য ।
আজ আনন্দ -তে জাগরীর লেখা পড়ে মনটা
খারাপ হয়ে গেল এবং এই লেখাটা আমার
মনে হল অর্ধসত্য কারণ ফেসবুকে জাগরীর
থেকেও ভালো গদ্য  পাওয়া যায় । এই
মিডিয়া সারা পৃথিবীতে চলছে । সমাজের
ভিত নড়বড়ে হয়ে গেলে মানুষের বিভিন্ন
আচরণে অভিনয়মার্কা লোকদেখানো ব্যবস্থা
আগ্রাসী হয়ে পড়ে এতে কোনো গোষ্ঠীর দোষ
তবু মানা যায় এতে Wap এর কী দোষ ?
মানুষের সততার শিক্ষা কোথায় আছে । একটা
বালক একটা কিশোর যদি ঘরে-বাইরে সব
সময় লুম্পেনদের দেখে বড় হয়
পাড়ায় পাড়ায় মদের ঠেক দেখে বড় হয় তবে
সেই কিশোর তবে কোন শিক্ষা পাবে । চরিত্র
গঠনের শিক্ষা পাড়া পড়শি থেকে গড়ে ওঠে ।
সোশ্যাল মিডিয়াতে আগ্নেয়গিরি চলছে বস্তুত
পক্ষে ২০১২-১৩ থেকে । কেন ? আপনার লেখায় সমাধানের পথ নেই । শান্তির বাণী নেই কেন ?
সবটা যে ঢঙে লিখেছেন একটা অস্পষ্ট কথন ।
একটা প্যারায় সংযম ও সহিষ্ণুতার কথা শুধুমাত্র
ভাষার মারপ্যাঁচে গ্যাস বেলুনের মতো ছেড়ে
দিয়েছেন --জাগরী । সত্যি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের
পর আর টানাটান গদ্য লিখিয়ে পেলামনা ।
জাগরী লিখেছেন -" যা ঘটে গেল তা থেকে
যদি না শিক্ষা নিই " আরে এই সাধারণ কথাটা
এই হীন লেখকেরও তো জানা আছে ।
ইতিহাসের ক্ষমা না করা দেখতে দেখতে আমরা
তো মরেই যাবো । এতদিন মিডিয়া ও কাগজ
কীভাবে চলছিল তাদের কোনটা কাজ । ঘটনার
পর দেশলাইয়ের ছবি দিয়ে কলম লেখা ? কাগজ
যথার্থ ভূমিকা নিলে হোয়াটস অ্যাপ বা ফেসবুক
থেকে কিছু হতে পারতো বলে আমার বিশ্বাস হয়না
যা হয়েছে সেটা নেট ছাড়াও হতে পারতো ।
প্রশাসন আগে নিরপেক্ষ হোক তাহলে ভালো
মানুষরা প্রসাশনকে সব আগাম খবর দেবে ।
নকশালদের গতিবিধি সাধারণরা পোস্টকার্ডে
লিখে পাঠাতো । ধর্ম তো এখানে সুলভ হাতিয়ার
যারা পাড়ায় মস্তানি করতে চায় কব্জায় রাখতে
চায় আরও বড় নেতা হতে চায় তারা চাইলে
জাগরী দেবীর হাত দিয়েও কিছু অন্যায় কথা
লিখিয়ে নিতেও পারেন ! লুম্পেনদের জাত
একটাই , তাদের ধর্ম হলো রাজনৈতিক দলে ভিড়ে
যাওয়া । জাগরী দেবী তাঁর লেখায় অতি নিরীহ
আকারে রাজনীতর দোষ দিয়েছেন এবং মূল দোষ
সোশ্যাল মিডিয়ার ঘাড়ে চাপিয়েছেন । এখন
পশ্চিমবঙ্গে দ্বিতীয় কোনো রাজনৈতিক দলের
অস্তিত্ব নেই তেমন । তাই সমাজ সংস্কারক
হিসেবে বিরোধী কোনো দলের কথা জাগরী
জানলেন কীভাবে কী সেই প্যারামিটার ?
বিরোধীদের কোনো মতামতও তার লেখায়
নেই - এ প্রসঙ্গ জাগরী খুঁজেও পাননি ।
বিদ্যাসাগর রামমোহন দেশবন্ধু যতীন দাসরা
বহুকাল এখানে জন্মাননি । এমন কেউ নেই
যাঁকে দেখে সমাজ তৈরি হবে । বরং ফেসবুক
বহুভাবে সমাজ সংস্কারক রূপে কথা বলছে
তার অনেকটাই রাজনীতিহীন । এই যুগে যে
সব ছবি ক্লীপিং ও উদাহরণ নিয়ে জাগরী
আমাদের জাগ্রত করতে চাইছেন তা কীভাবে
আজকের দুনিয়ায় বন্ধ করা যাবে ? জাগরী তা
আমাদের থেকেও বেশি জানেন  । আসলে
জাগরী প্রভুত্বের প্রকাশ করেছেন । সোশ্যাল
মিডিয়া যা সম্প্রীতি ছড়িয়েছে আমার সেই আনন্দবাজার তা পারেনি । সেইসঙ্গে আনন্দের
প্রথম পাতা অসহিষ্ণুতায় ভরা । সংযমের দুই
পিঠ আজ আমার খবর কাগজের...

বুধবার, ২৮ জুন, ২০১৭

জিটিএস গদ্য

GTS এ মধ্যবিত্তর লাভ বেশি এবং জিটিএস
রিটার্ন দাখিল না করে আর ব্যবসা করা যাবেনা
এক কথায় বিলহীন ব্যবসার সমাপ্তি
*******************************
যদিও সরকার -" ওয়াররুম " চালু করেছে
তবু বলবো জানিনা কীসের ভিত্তিতে GTS
বুঝবো কোন লোকটা ঠিক বলছে । দোকানে
গেলে এখনই ব্যবসায়ীরা যেভাবে লাফাচ্ছে তখন
তো তিন ডবল লাফাবে তখন আমরা পাতি
জনগণ কী করবো ?! কীভাবে বোঝা যাবে
যে দেশে কোনো দোকান বিল দেয়না । আমি
বেশ কিছু জিনিস মল না মাড়িয়ে বড় মার্কেট
থেকে কিনি । একটা উদাহরণ দিই । গদিতে
জামার / শালোয়ারের /ড্রেস ম্যাটিরিয়ালের
দাম মিটার প্রতি ৩০/- থেকে ৩৫/- পড়ে ।
সেই জিনিস আমি যখন কিনি তখন
সেটা খুচরো দোকান থেকে ১০০/১৫০/
২০০ টাকা দিয়ে কিনি ( GTS এর আগের
কথা ) । কিন্তু সেই গদির জিনিসপত্র
যেই দু বা তিন হাত ফেরত হচ্ছে তখনই
দাম বাড়ে কারণ আমি  ৩০/- দিয়ে কিনতে
চাইলে গদিওলা আমাকে ৫০/১০০/১৫০
মিটার কিনতে বলে । কোয়ানটিটির
ওপর দাম বাড়ে কমে । যে গদি ব্যবসায়ী
এক কোটি ইনভেস্ট করেছে সে আমাকে
কেন  ৩০/- টাকা দরে মাত্র ১ মিটার জিনিস
দেবে । এটা এক রকম ব্যবসার কথা বললাম ।
সমস্ত ব্যবসার নেচার ভিন্নতর । আলু
আর দূধ এক নয় । দাম প্রিন্ট করা ব্যবসা
আর না প্রিন্ট থাকা প্রোডাক্ট । হাজার
রকম ভ্যারাইটি । বাঙালির মাছের দাম
পুকুরের বা সমুদ্রের গোড়ায় বসে ট্যাক্স
নিয়ে দাম খোদাই হবে কি তাহলে ?!! আলোচনা
চাইলে সারারাত লাগবে । সারাদেশে একবার
ট্যাক্স এই বিষয়টা চালু হলে ক্রেতার লাভ
কিন্তু এই দেশে এটা সম্ভব কি ? কংগ্রেস
চালু করতে পারেনি । এখন দেখার কী হয়
আমরা অথৈ জলে । পৃথিবীর বহু দেশে চালু
আছে দেখা গেছে সরকার আর ক্রেতার লাভ
বেশি । ব্যবসায়ীরা কী পরিমাণ লোটে আস্তে
আস্তে জনগণ টের পাবে তাই তাদের নাচন
বেশি । GTS এর সাফল্যের কারণে বিজেপির
লাভ বেশি । দেশের ইনকাম বেশি ব্যবসায়ীরা
তাদের হাতের মুঠোয় এবং সাফল্য তো এক
বছর পরে হলেও আসবে তাই রাজনৈতিক
লাভ বিজেপির । GTS যে দেশ চালু করেছে
তারা কেউ আর তুলে দেয়নি । ব্যবসায়ীরা
যে আসলে বিলহীন তুঘলকি ব্যবসা করতো
এতদিন তাই তাদের ভয় তারা জনগণের কাছ
বরাবর পৌঁছে দিচ্ছে । আজ বুঝতে না পারলেও
যে দেশে জিটিএস হয়েছে তাদের কল্যাণই
হয়েছে । পৃথিবীর বহুদেশে এই কর পদ্ধতি
চালু আছে । ভারতের বয়স সত্তর বছর কিন্তু
এখনও আমি এই ট্যাক্স ব্যবস্থা যে বুঝতে পারিনি
সে কারণে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা কী দায়ি নয় ?

বৃষ্টি ভেজা কাগজের ফুল

বৃষ্টি ভেজা কাগজের ফুল / অলোক কুন্ডু

বৃষ্টিভেজা কাগজের ফুল
যেমন ছিলো তেমনি আছে ।
ইনবক্সে লিখেছিলে-- পাগল হয়েছো না কি
কাগজের ফুল কে বা কাকে দিয়েছে কবে শুনি ?

মেঘের পালক অশ্রুমাখা ঝিরঝিরে কোন জলে
সেদিনও বুঝি এমনি করেই বৃষ্টি হয়েছিল ।
ফুলের কথা ভুলেই ছিলাম প্রায়
কার জন্যে কোন মেলাতে
কিনেছিলাম তবে ?

এত বছর পর আর কী মনে থাকে !
সেসব যেন বৃষ্টি ভেজা ঝাপসা মতো কাচ
পুরনো এক বইয়ের মাঝে খুঁজে পাওয়া আজ
কী নামে যে ডাকি তাকে
মোটেও সে ফুল আকাশকুসুম নয়
সে ফুল তবে কুসুমকোমল হতেও পারে হয়তো ।
ভাবতে ভাবতে আকাশ খানায় ওলোট পালোট
বিকেল থাকতে সন্ধে ঘনিয়ে এলো ।
আর ঠিক তখনই
পাপড়িগুলি খুলতে শুরু করে দিল
একটা একটা করে
মধ্যে তার অলৌকিক এক আলো ।

ভাবতে আমি শুরু করি
কার জন্যে কোন মেলাতে তবে
কিনে ছিলাম এ ফুল আমি
ভাবতে ভাবতে বৃষ্টি ধরে গেছে
কোথায় যেন যাওয়ার বুঝি ছিলো
কোথায় বা আজ যেতে চেয়েছিলাম ।

সবকিছু সেই ফুলকে নিয়ে
এমনই আমি বেখেয়ালি হঠাৎ
দাঁড়িয়ে আছি চারপাশেতে হাঁটু সমান জল ।
এমন সময় পাশের বাড়ির ক্লাস ফোরের
তিন্নি বললো--আমি জানি ,
মনটা তোমার কেন এত খারাপ !
অবাক হয়ে জানতে চাইলাম
অতটুকু মেয়ের কাছে
তিন্নি বললো -- পরে বলবো
আগে বলো ফুলটা আমায় দেবে ?

রবিবার, ২৫ জুন, ২০১৭

অলোক কুন্ডুর কবিতা :: Poetry of alokkundu1302

দুটো উৎসবের দেখা হবেনা কোনোদিন
অলোক কুন্ডু

একেই তোমরা আমার মহান ভারত বলো
ইস্ কি লজ্জা গো আমার ভারতবর্ষ
কোনো রাস্তায় দুটো শোভাযাত্রার দেখা হবেনা কখনো
পুলিশ পাহারায় আমাদের উৎসব পেরোতে থাকবে পথ
সত্তর একাত্তর এইভাবে একদিন শতবর্ষও পার হবে ।

খুশি আর আনন্দ ধর ওদুটো নাম
দুটো শিশুর নাম যে কেউ দিতে পারে
দুটো ধর্মের অনুশাসন আলাদা হতে পারে
ধর্মের পৃথক আচরণে রক্তের রঙ যদি বা বদলায়
শিশুদের কি দোষ বল
এক রাস্তায় ওদের হাত ছেড়ে দিয়ে একবার দেখ
সকলের ভুল ভেঙে যেতে পারে হয়তো ।

কিসের তবে মিথ্যে শ্লোগান শেখালে আমায়
মেরা ভারত মহান
প্রধানমন্ত্রীর ছবি সহ দেওয়াল থেকে খবরের কাগজে
আমিও তো মেনে নিয়েছিলাম ।
তবু দুটো শোভাযাত্রার দেখা হবেনা কখনো
ভারতের অটুট বন্ধন শুধু কি তবে-- কথার কথা ?

দুটো ভিন্ন সংসার এসে মিশে যেতে পারে একটা বংশে
দুটো নদীর সঙ্গমস্থল আমাদের টেনে নিয়ে যায় কতদূর
একটা পর্বতের শিখরে দুটো দেশ থেকে ওঠা যায়
আমরা জানিনা কার জন্যে রক্ত দান করি
কত গুরু-শিষ্য ধর্ম দেখেনি কোনো দিন
তবু দুটো ধর্মের উৎসবে বসাতে হয় পাহারা
তোমরা এই ভারতবর্ষকে বলো সূর্যের নাম
ইস্ কী লজ্জা কী লজ্জা
তবু দুটো উৎসবের দেখা হবেনা কোনোদিন

এসো আমার মৃতদেহ পেতে রেখেছি এখানে
যারা নেল পলিশ খুঁটছে বা পরছে
যারা বাজার বা মেলায় আছে
যারা শ্রমিক যারা কৃষক যারা বেকার
মাড়িয়ে যাও আমাকেও
তবু পুলিশের পাহারায় খুশি আর আনন্দকে রেখোনা
একবার অন্তত এক রাস্তায় ওদের ছেড়ে দাও ।

শুক্রবার, ২৩ জুন, ২০১৭

Poetry of alokkundu1302@g

একটা কবিতা শুধু তাকে ছুঁয়ে রাখে / অলোক কুন্ডু

একটা কবিতা শুধু আমাকেই জানে
একটা কবিতা শুধু সেই মনে রাখে
একটা কবিতার পথ দার্জিলিংয়ে দেখা
একটা কবিতা আমার কলেজে রাখা ।
অনর্গল শুনে যাই আমারই কবিতা
যতবার দেখা হয় অবাক হয়েছি
উনিশ বছর ধরে মনে রাখা যায় !
একটা কবিতা মাপে বয়সের ঝড়
একটা কবিতা জানে আমি স্বার্থপর
একটা কবিতা শুধু তাকে ছুঁয়ে রাখে
সিঁদুরও যতটা জানে কবিতাও জানে
একটা কবিতা ঘোরে কুয়াশা যেখানে

প্রয়াত তরুণ মজুমদার--অলোক কুন্ডু

#তরুণ_মজুমদার_চলেগেলেন অধিকার এই শিরোনামে--কয়লাখনির শ্রমিকদের জন্য ডকুমেন্টারি বানিয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত পরিচালক তরুণ মজুমদার। ছিলেন আজীবন বাম...