মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

২১ শে ফেব্রুয়ারি Poetry of Alokkundu1302

আজকের কবিতা / অলোক কুন্ডু

সকাল থেকেই সব ঘর থেকে ঘরে
সেপাইয়ের বুট থেকে দরজায় ঘা
সারাদিন পড়েছিল শহীদের লাশ
ওপারের কান্নাজল এপার ভূমিতে
মুখ থেকে কেড়ে নেওয়া বাংলা ভাষা
বেবাক পড়েছিল সমস্ত দুপুরে
গনগণে আঁচে পোড়া মাতৃ ভাষণ
অন্ধকার নিষ্প্রদীপ শহরজুড়ে
ধর্মের ধ্বজা তোলা দেওয়ালের কানে
কান্নারোল এপারে আজও ভেসে আসে
বুলেট লাঠির মারে শহীদের পাশে
মা আর মাতৃভাষা সারাক্ষণ বসে
© অলোক কুন্ডু

শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

Poetry of alokkundu1302@ :: অলোক কুন্ডুর কবিতা

কবিতা চলবে এইভাবে / অলোক কুন্ডু

দিনান্তের অতীতগুলি ক্রমশ পাল্টে গেলে
কে যেন ছড়িয়ে যায় ফসফরাস আলো
দ্রুতগামী ট্রেন থেকে শ্রমজীবীরা ওঠে নামে
অনায়াস অন্ধকারে ঢেকে যায় সবুজাভ ॥
এইসব পর পর ঠিকঠাক নিপুণ সাজানো
রিয়ার অ্যাঙ্গলে পেরিস্কোপের চাঁদ ভাসতে থাকে
জলের কিনারা থেকে উঠে আসে চন্দন
স্যাটেলাইট থেকে শোনা যায় অভ্রান্ত ধ্বনি ॥
তখনও আমার সমান অস্তিত্ব বেঁচে থাকে
তারপর আরও অন্ধকার রুদ্ধশ্বাস যখন
পর্যাপ্ত আতর সঞ্চয় করে আমার ভেতর
তখন মানুষের মধ্যপন্থায় আব্দারের জীবন ॥
সেইভাবে বাঁধানো থাকেনা বাকিটা কখনো 
তবু পর জীবনে আড়িপেতে সংগৃহীত হয় ভষ্ম
পরিচিতি সমূহ বাঁক নেয় তার নষ্ট লিখণে
পুড়তে থাকে জমানো আতর দ্রুতগামী ।।
© অলোক কুন্ডু

Poetry of Alokkundu1302@ :: অলোক কুন্ডুর কবিতা

কবিতা চলবে এইভাবে / অলোক কুন্ডু

দিনান্তের অতীতগুলি ক্রমশ পাল্টে গেলে
কে যেন ছড়িয়ে যায় ফসফরাস আলো
দ্রুতগামী ট্রেন থেকে শ্রমজীবী নামে ওঠে
অনায়াস অন্ধকারে ঢেকে যায় সবুজাভ ॥
এইসব পর পর ঠিকঠাক নিপুণ সাজানো
রিয়ার অ্যাঙ্গলে পেরিস্কোপের চাঁদ ভাসে
জলের কিনারা থেকে উঠে আসে চন্দন
স্যাটেলাইট থেকে শোনা যায় অভ্রান্ত ধ্বনি ॥
তখনও আমার সমান অস্তিত্ব বেঁচে থাকে
তারপর আরও অন্ধকার রুদ্ধশ্বাস যখন
পর্যাপ্ত আতর সঞ্চয় করে আমার ভেতর
তখন মানুষের মধ্যপন্থায় জীবনের বাঁক ॥
সেইভাবে তৈরি থাকেনা বাকিটা জীবন
পর জীবনে আড়িপেতে সংগৃহীত হয় যে ভষ্ম
পরিচিতিগুলো বাঁধানো হয় তার সমস্ত লিখণে
পুড়তে থাকে ত্রুটিগুলি দ্রুতগামী তেজে ।।

Poetry of Alokkundu1302@ :: অলোক কুন্ডুর কবিতা

বাংলাটাংলা ও বাংলাটা ঠিক আসে না  ( কবিতা )
অলোক কুন্ডু

ইংরেজিতে সেরা ছিলেন প্রেসিডেন্সির প্রাক্তনী
আঁকেন লেখেন মলাট করেন স্কেচ করে দেন তক্ষণি
কিন্তু তিনি ডিলিট পেতেন যদি পড়তেন ইংরেজি
তার মুখে ভাই শোনা যায়নি কোনো দিনও বাংরেজি

বদলে দিলেন বাঙালির চোখ চিত্রনাট্যে বাংলাকে
বদলে দিলেন হাতের লেখা সৌমিত্র চ্যাটার্জীর
কাশবনেতে ট্রেন ছুটেছে গর্বে তখন ফাটছে বুক
বাংলা ভাষার জার্মান হৃদয় সর্বত্যগী আগন্তুক ।

বাংলাটাংলায় লিখতে পারতেন তোড়ায় বাঁধা
ঘোড়ার ডিম
তিন পুরুষে মাতিয়ে গেছেন বাংলাভাষার দারুন দিন
মজার ছড়া লেখার মতো তাঁর মতো কার হাত ছিলো ?
ভুলেও তবু  রাঁধেননিকো মাতৃভাষার চচ্চড়ি ।

ডিলিট তিনি পেয়েও ছিলেন চলচ্চিত্রের ভাষাতে
সেটাও ছিলো মাতৃভাষায় সেলুলয়েড ফিতেতে
অকপটে বলেও গেছেন সবার কাছে উল্লাসে
আয়ের উৎস তাঁরও ছিলো বাংলাভাষায় বই লিখে ।

উচ্চারণে ' বাংলাটাংলা ' মাতৃভাষাকে অপমান ,
এহেন কথা শুনিনি কোনোদিনও তাঁর মুখে
একবারও বলেননি কখনো ছেলে ইংলিশ মিডিয়াম
জানেন দাদা সত্যি বলছি বাংলাটা ঠিক আসে
© অলোক কুন্ডু

শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

Poetry of AlokKundu1302@ :: অলোক কুন্ডুর কবিতা

পলাশকে ভালোবাসি বলে / অলোক কুন্ডু

পলাশকে ভালোবাসি বলে
গোলাপ পাঠাতে পারিনি কাল
আসলে পাঠাতে চেয়েছিলাম কথা
কথাও পাঠানো হলো না ।

কথা কি বোঝানো সহজ
সত্যতা বোঝাতে যদি না পারি
ফুলও কি পাঠানো সহজ
যদি না পাঠাতে পারি কথা ?

অনুভব পাঠাতে পারিনি বলে
কথাও পাঠাতে পারিনি কাল
আসলে পাঠাতে পারিনি কোনো সত্য
তাই গোলাপো পাঠানো হলো না ।

পলাশকে ভালোবাসি বলে
গোলাপও পাঠানো হলো না
অনুভবও পাঠাতে পারিনি কাল
সত্যতা বোঝাতে যদি না পারি
তাই গোলাপ পাঠাই নি কোনো ভুলে

তবু ফুলগুলি ছিলতো হাতেই
তবে ফুলগুলি রাখবো কোথায়
আঁধারে কি ফুল রাখা যায়
আঁধার তো সব কিছু বোঝে
সব ফুল রেখেছি আঁধারে ।

বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

POETRY OF ALOKKUNDU1302 :! অলোক কুন্ডুর কবিতা

স্মৃতিটুকু পলাশ বনে / অলোক কুন্ডু

যতটুকু জীবনে পাওয়া
সেইটুকু দখিনা হাওয়া
তার বেশি চাইতে গিয়ে
হারিয়েছি কখন আমি
স্মৃতিটুকু খুঁজতে এসে
ফিরে গেছে চুপকথারা
যে পথে যেতে যেতে ভুল
কুড়িয়েছি শুকনো ফুলে
ভাঙা চুড়ি তার কিছুটা
কাঁচ ভাঙা নিরালা দূরে
ঝনঝন শব্দের দোল
যতটুকু মাঘের শীতে
ততটুকু কাঁচ পুকুরে
চুলকাঁটা জং রঙেছে
ডুবেছে আলগা খোঁপায়
এই পথে পথ ভুলতে
বনের এই রাস্তা ধরা
স্মৃতি থাক পলাশ বনে

© অলোক কুন্ডু

POETRY OF ALOKKUNDU1302 :: অলোক কুন্ডুর কবিতা

এসো বসি কাছাকাছি ০০ অলোক কুন্ডু

যে আশাগুলো ইস্পাতের শক্তপোক্ত ছিল
ধীরে ধীরে পলকা কাঁচের মতো হয়ে আসে
স্বপ্নের চুনি-পান্নার দ্যুতিগুলো ক্রমশ ভাঙছে এখন
হাত ফস্কে পড়ে গেছে মূল্যবোধের যেটুকু সঞ্চয়
যা কিছু জমায় মানুষ বাঁচার আশায় অবিরল
গোপন টাকার চেয়ে আরও বেশি ভয়ংকর
সব থেকে কঠিন বুঝতে লাগে হে মানুষ
এই মতো আমার যত সাজানো নিকেল
তোমাকে বিলিয়ে দিই আমার দুহাতে
তোমারও কি ঘটেছে জীবনে এমন
এসো তবে সে সবকিছু বলি পরস্পর
নির্জনে কোথাও যাই বসি কাছাকাছি
© অলোক কুন্ডু

প্রয়াত তরুণ মজুমদার--অলোক কুন্ডু

#তরুণ_মজুমদার_চলেগেলেন অধিকার এই শিরোনামে--কয়লাখনির শ্রমিকদের জন্য ডকুমেন্টারি বানিয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত পরিচালক তরুণ মজুমদার। ছিলেন আজীবন বাম...