বুধবার, ১৭ মে, ২০১৭

Poetry of Alok Kundu অলোক কুন্ডুর কবিতা

তোমাদের মানুষ কে কে বলে / অলোক কুন্ডু

যে তোমরা বর্বরতাকে তোল্লাই দাও
পায়রা উড়াও কত গ্যালারী জুড়ে
ঢাউস কবিতা পড় মঞ্চ থেকে মঞ্চে
লিটল্ ম্যাগের পাতায় উড়াও মস্ত ফানুস
কিংবা টাটকা গোলাপ ভাসাও নিস্তরঙ্গ জলে
দেখি রবীন্দ্র গানের বাণীতে প্রাণ ঢেলে দাও
প্রেমের বাণী দিয়ে স্বামীজিকেও কখনও কাছে টেনে নাও
কিন্ত রক্তের বেলায় মাপো - শুধু রাজনীতি
বলোতো তোমাদের মানুষ কে কে বলে

সোমবার, ৮ মে, ২০১৭

অলোক কুন্ডুর কবিতা :: Poetry of Alok Kundu

রবি কবি / অলোক কুন্ডু ©

নিস্তব্ধ চিলেকোঠায়
জৈষ্ঠের দুপুরে
কিশোরবেলায়
কতবার আমিও তো সেজেছি দই অলা
কখনো অমল
সেই থেকে সুধার পায়ের মল
দূর থেকে অবিরত আজও বাজে কানে ।
তুমি বুঝি দিয়েছিলে অমোঘ স্পন্দন
ছেলেবেলার সে নাটক -- পঁচিশে বৈশাখ ।

তোমার সৃষ্টির উথালপাথালে
কৃষ্টির উদার মিছিলে বেমানান বেগানা আমি
কখনো আঘাত এমন যে
সমস্ত অশ্রু নিয়ে তোমার ছবির কাছে গেছি
আর্তনাদ করিনি এতটুকু হে প্রভু
যতটুকু পারি সেইটুকু উচ্চারণে
এত জল ভরে যায় চোখ যে বোঝানো যায়না কিছুই
সেইটুকু শুধুমাত্র আমার সে পঁচিশে বৈশাখ ।

এইভাবে চলে গেছে মিলের চাকরিটুকু
রাজা এসে চলে গেছে কতবার
সত্তর বছরের কাছাকাছি
যতটুকু স্বাধীনতা জোগাড় করেছি নিজে
সেইটুকু তোমার শেখানো
সেইথেকে ছিন্নপত্র , প্লাস্টিক আবৃত ছবি
ফিরি করি বনগা লোকালে
সেই থেকে --
কন্ঠে নিলেম গান ,আমার শেষ পারানির কড়ি...

তোমার কাছে বাঙালির আজ এ কেমন স্বাধীনতা
অথচ যে মানুষটি চেয়েছিল
শুধুমাত্র তোমার গানের স্বাধীনতা
একটা অন্তত গিটার বাজুক
দেয়নি বাঙালি তোমাকে বাজতে তেমন
সে হা হুতাস বুকের কাছে অশ্রুমগ্ন আজও ।

ঘরে আমার অমল আছে
জ্বরে তার গা পুড়ে যাচ্ছিল কাল রাতে
কে বা তার খবর রেখেছে বলো
কেবল চ্যানেল থেকে পাড়ার প্যান্ডলে
ছিন্নপত্র বিক্রি হলে
কবিরাজ বা ডাক্তার নিয়ে যাবো ঠিক
বলেছি ওর মাকে
তাইতো করেছি সুর চুরি --আমার শেষ পারানির কড়ি
কখনও কামরা থেকে কামরায়
বই চাই ভালো বই বই চাই ভালো বই
রবি কবি রবি কবি ।

বৃহস্পতিবার, ৪ মে, ২০১৭

অলোক কুন্ডুর কবিতা Poetry of Alok Kumar Kundu

আমার গণতন্ত্র / অলোক কুন্ডু

আমার গণতন্ত্র কোথায় কতটা দামি
চাপা সন্ত্রাস বাড়ি বাড়ি এসেছিল
এইভাবে যদি গলা চেপে ধরো আজ
নরকও আসবে এইখানে সুখ পেতে
কানে দুল আর বারমুডা বেকারের
আমার স্বাধীনতা হয়তো সেকালের
এভাবেই এখন ভ্রম বাড়ানোর কৌশল
মেরুদন্ডে মরচে পড়েছে অবিরল ।

মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৭

Poetry of Alokkundu1302@gmail.com :: অলোক কুন্ডুর কবিতা

জহুরি / অলোক কুন্ডু

পরিপাটি করে হীরের কুচি সাজিয়ে
গয়না বানানো শিখিয়েছিল দুখিরাম
অনায়াস মুগ্ধতায় জেল্লাদার নেকলেস থেকে
ব্রেসলেট-বাউটি চোখ ধাঁধানো
জড়োয়া গয়নায় রূপ দিতে
এতল্লাটে নাম ছড়িয়ে পড়লেও
পলাশ , দুখিরামকে ছেড়ে যায়নি ।

দুখিরাম বলেছিল গয়না হোলো হুঁশ
খানিকটা পরের বউয়ের মতো - কর্পূর হ্যায়
" ঘর কা মুরগি ডাল বরাবর "- বলে হেসেছিল
ছোকরা পলাশ কথাটা ঠিক  ঠাওর করতে পারেনি
শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে শুনেছিল
নীরবে ছিলে কেটে গেছে সারারাত
দেড়াদামে সেগুলো বিক্রি করেছে দুখিরাম

মনকাড়া গোল্ডপ্লেটিং থেকে মিনাকারি
সবেতেই আদর ঢেলে দেয় সে
সোনালি জৌলসে মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে
নারীর লাস্যের ঠিকানা যেন পলাশের জন্মগত
সৌন্দর্যবিদ্যার এই আদরে
পলাশ কি তবে যাদু জানে ?
জহুরির চোখ দুখিরামের 
হাসি লুকিয়ে রাখতে সেও জানে অবিকল ।

হাতসমান ঘোমটার আড়াল থেকে
ভাজামশলা আর তেঁতুল দিয়ে
ছোলাসেদ্ধ পিঁয়াজের আলুচোখা
মেখে দিয়ে যায় রোজ বিকেলে --দুখিরামের বউ
সোহাগি যতক্ষণ থাকে
ওর গয়নাগুলোও বাজে অবিরত
তখন পলাশের হাতের তালুতে
দুখিরামের গয়না আদর মাখামাখি করে শুধু ।

দুখিরামের অগোচরে একদিন
সোহাগি কানের কাছে মুখ এনে বলেছিল
এত আদর কোথা থেকে শিখলে ?
হীরের টুকরোর সঙ্গে
সোহাগির হাসি মিশে গিয়েছিল
সেই প্রথম সোহাগির মুখ দেখে ফেলা ।

লাখ টাকার হীরের নেকলেস রেখে
কতবার দুখিরাম হীরেপট্টিতে মহাজনের কাছে গেছে
এসে দেখেছে সব ঠিক আছে
আজও তেমনি দুখিরাম নেই
দরজা গোড়ায় সোহাগির চুড়ি বেজে উঠলো
নিঃশব্দে দরজা বন্ধ করে দিল
পলাশ এই প্রথম ছিলেকাটা বন্ধ করে দিল ।
© অলোক কুন্ডু

মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ, ২০১৭

Poetry of Alok Kundu :: অলোক কুন্ডুর কবিতা

আকাশ ভেঙেছে / অলোক কুন্ডু

দু হাত দিয়ে গাল ধরেছে সে
ঠোঁটের কথা পড়তে চেয়েছে
তখন ছিলনা মোটেও শ্রাবণ মাস
তবুও যেন আকাশ ভেঙেছে ।

আজ কিন্তু সত্যি বৃষ্টি হলো
জল জমলো পিচ রাস্তার মোড়ে
দু হাত দিয়ে গাল ছুঁলোনা কেউ
ছাতার নীচে ঠোঁট শুকিয়েছে
© অলোক কুন্ডু

( Translated by Miss Lopamudra Dey ,JRF)

His two hands touched her cheeks
Trying to read her expensive lips
Then it was not the month of Shraban
But still the rain showered in.

Today it rained heavily
Water got collected at the pitched-road    
                                                     crossing
His hands did not touch her cheeks
Her parched lips waiting under the shade of
                                                             umbrella .

সোমবার, ২৭ মার্চ, ২০১৭

POETRY OF ALOK KUNDU ::: অলোক কুন্ডুর কবিতা

বাংলাটাংলা ও বাংলাটা ঠিক আসে না 
অলোক কুন্ডু

ইংরেজিতে সেরা ছিলেন প্রেসিডেন্সির প্রাক্তনী
আঁকেন লেখেন মলাট করেন
স্কেচ করে দেন তক্ষণি
কিন্তু তিনি ডিলিট পেতেন যদি পড়তেন ইংরেজি
তার মুখে ভাই শোনা যায়নি
কোনো দিনও বেতালি

বদলে দিলেন বাঙালির চোখ চিত্রনাট্যে বাংলাকে
বদলে দিলেন হাতের লেখা সৌমিত্র চ্যাটার্জীর
কাশবনেতে ছুটছে ট্রেন গর্বে তখন ফাটছে বুক
বাংলা ভাষার জার্মান হৃদয় সর্বত্যগী আগন্তুক ।

বাংলাতেই  লিখেছিলেন
তোড়ায় বাঁধা ঘোড়ার ডিম
তিন পুরুষে মাতিয়ে গেছেন
বাংলাভাষার দারুন দিন
মজার ছড়া লেখার মতো
তাঁর মতো কার হাত ছিলো ?
ভুলেও তবু পাগলা গারদে
মাতৃভাষাকে পাঠাননি ।

ডিলিট তিনি পেয়েও ছিলেন চলচ্চিত্রের ভাষাতে
সেটাও ছিলো মাতৃভাষায় সেলুলয়েড ফিতেতে
অকপটে বলেও গেছেন সবার কাছে উল্লাসে
আয়ের উৎস তাঁরও ছিলো
বাংলাভাষায় বই লিখে ।

উচ্চারণে ' বাংলাটাংলা ' মাতৃভাষাকে অপমান ,
এহেন কথা শুনিনি কোথাও
কোনোদিনও তাঁর মুখে
একবারও বলেননি কখনো
ছেলে ইংলিশ মিডিয়াম
জানেন দাদা সত্যি বলছি বাংলাটা ঠিক আসে না
© অলোক কুন্ডু

POETRY OF ALOK KUNDU ::অলোক কুন্ডুর কবিতা

বৃষ্টি ভেজা কাগজের ফুল / অলোক কুন্ডু

বৃষ্টিভেজা কাগজের ফুল যেমন ছিলো তেমনি আছে ।
ইনবক্সে লিখেছিলে-- পাগল হয়েছো না কি
কাগজের ফুল কে বা কাকে দিয়েছে কবে শুনি ?
মেঘের পালক অশ্রুমাখা ঝিরঝিরে কোন জলে
সেদিনও বুঝি এমনি করেই বৃষ্টি হয়েছিল ।
ফুলের কথা ভুলেই ছিলাম প্রায়
কার জন্যে কোন মেলাতে
কিনেছিলাম তবে ?
এত বছর পর আর কী মনে থাকে !
সেসব যেন বৃষ্টি ভেজা ঝাপসা মতো কাচ
পুরনো এক বইয়ের মাঝে খুঁজে পাওয়া আজ
কী নামে যে ডাকি তাকে
মোটেও সে ফুল আকাশকুসুম নয়
তবে সে ফুল কুসুমকোমল হতেও পারে হয়তো ।
ভাবতে ভাবতে আকাশ খানায় ওলোট পালোট
বিকেল থাকতে সন্ধে ঘনিয়ে এলো ।
আর ঠিক তখনই
পাপড়িগুলির একটা করে খুলতে শুরু করে দিল
মধ্যে তার অলৌকিক এক আলো ।
ভাবতে আমি শুরু করি
কার জন্যে কোন মেলাতে কিনে ছিলাম এ ফুল আমি
ভাবতে ভাবতে বৃষ্টি ধরে গেছে
কোথায় যেন যাওয়ার বুঝি ছিলো
কোথায় বা যেতে চেয়েছিলাম
সবকিছু সেই ফুলকে নিয়ে এমনই আমি বেখেয়ালি
দাঁড়িয়ে আছি চারপাশেতে হাঁটু সমান জল ।
এমন সময় পাশের বাড়ির ক্লাস ফোরের তিন্নি বললো--
আমি জানি মনটা তোমার কেন এত খারাপ !
অবাক হয়ে জানতে চাইলাম অতটুকু মেয়ের কাছে
তিন্নি বললো -- পরে বলবো
আগে বলো ফুলটা আমায় দেবে ?
© অলোক কুন্ডু

প্রয়াত তরুণ মজুমদার--অলোক কুন্ডু

#তরুণ_মজুমদার_চলেগেলেন অধিকার এই শিরোনামে--কয়লাখনির শ্রমিকদের জন্য ডকুমেন্টারি বানিয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত পরিচালক তরুণ মজুমদার। ছিলেন আজীবন বাম...