মেঘ লাইনার / অলোক কুন্ডু
আকাশটা আজ অন্যরকম
মেঘলা সে এক রঙ করেছে
গাছগাছালি সতেজ কেমন
আমার মনেও গান ধরেছে
মেঘ লাইনার লাগিয়ে নিও
ঝাপসা সবুজ টাঙিয়ে দিও
এমন দিনে সিপিয়া টোনার
আমায় সবাই ভুল বুঝনা
© অলোক কুন্ডু
মেঘ লাইনার / অলোক কুন্ডু
আকাশটা আজ অন্যরকম
মেঘলা সে এক রঙ করেছে
গাছগাছালি সতেজ কেমন
আমার মনেও গান ধরেছে
মেঘ লাইনার লাগিয়ে নিও
ঝাপসা সবুজ টাঙিয়ে দিও
এমন দিনে সিপিয়া টোনার
আমায় সবাই ভুল বুঝনা
© অলোক কুন্ডু
এখন যখন খেলতে ইচ্ছে যায়
অলোক কুন্ডু ©
এখন যখন খেলতে ইচ্ছে করে
পায়ের নীচে নূপুর বাজে জলের
সত্যি বলছি একটা পাহাড় দূরে
সারেঙ্গিতে সুর ভাঁজে সে রোদ্দুরে
আরও দূরে যেই ভেবেছি তখন
মেঘের কাছে অমনি জলের সই
পায়ের নীচে মাতাল দামাল ঘাস
খেলতে এসে আহ্লাদে আটখানা
ইচ্ছে করে জলের পথে নৌকো ধরি
একটা লাঠাই তেপান্তরের মাঠে
কটা ছেলে ছুটছে তারা হুহু করে
একটা ঘুড়ি জুড়ছে সুতো মায়ায়
চোখ বুজলে দূরের পাহাড় চূড়ো
খেলত আসে আমার কাছে অমনি
তখন আমার আশপাশটায় মেঘ
ঘূর্ণিজলে জলতাড়া গান গাইছে
মাছেরা তখন ঘুমিয়ে পড়ে সব
একটা আকাশ গাছগাছালির ফাঁকে
দূরে তখন আঁকছে বনের পথ
ছায়া পেতে দিব্যি ঘুমোয় সত্যি
যেই ভেবেছি পায়ের পাতায় জল
চোখের কোনে সে জল দেখি স্বপ্ন
তিরতিরে এক নদীর সঙ্গে ভাব
আজ সারাদিন কাজেতে মন নেই
আবছা পাহাড় গাছের সারি ডাকে
আজকে আমায় কেউ ডেকোনা কাছে
সবার সঙ্গে রইলো আমার আড়ি ।
এখন যখন খেলতে ইচ্ছে যায়
অলোক কুন্ডু ©
এখন যখন খেলতে ইচ্ছে যায়
পায়ের নীচে নূপুর বাজে জলের
সত্যি বলছি একটা পাহাড় দূরে
সারেঙ্গিতে সুর ভাঁজে সে রোদ্দুরে
আরও দূরে যেই ভেবেছি তখন
মেঘের কাছে অমনি জলের সই
পায়ের নীচে মাতাল দামাল ঘাস
খেলতে এসে আহ্লাদে আটখানা
ইচ্ছে করে জলের পথে নৌকো ধরি
একটা লাঠাই তেপান্তরের মাঠে
কটা ছেলে ছুটছে তারা হুহু করে
একটা ঘুড়ি জুড়ছে সুতো মায়ায়
চোখ বুজলে দূরের পাহাড় চূড়ো
খেলত আসে আমার কাছে অমনি
তখন আমার আশপাশটায় মেঘ
ঘূর্ণিজলে জলতাড়া গান গাইছে
মাছেরা তখন ঘুমিয়ে পড়ে সব
একটা আকাশ গাছগাছালির ফাঁকে
দূরে তখন আঁকা পথে বনের মধ্যে
ছায়া পেতে দিব্যি ঘুমোয় সত্যি
যেই ভেবেছি পায়ের পাতায় জল
চোখের কোনে সে জল দেখি স্বপ্নে ।
একটা স্বপ্নের আজও তেমন সত্যি
অলোক কুন্ডু ©
এখন যখন খেলতে ইচ্ছে যায়
পায়ের নীচে নূপুর বাজে জলের
সত্যি বলছি একটা পাহাড় দূরে
সারেঙ্গিতে সুর ভাঁজে সে রোদ্দুরে
আরও দূরে যেই ভেবেছি তখন
মেঘের কাছে অমনি জলের সই
পায়ের নীচে মাতাল দামাল ঘাস
খেলতে এসে আহ্লাদে আটখানা
ইচ্ছে করে জলের পথে নৌকো ধরি
একটা লাঠাই তেপান্তরের মাঠে
কটা ছেলে ছুটছে তারা হুহু করে
একটা ঘুড়ি জুড়ছে সুতো মায়ায়
চোখ বুজলে দূরের পাহাড় চূড়ো
খেলত আসে আমার কাছে অমনি
তখন আমার আশপাশটায় মেঘ
ঘূর্ণিজলে জলতাড়া গান গাইছে
মাছেরা তখন ঘুমিয়ে পড়ে গানে
একটা আকাশ গাছগাছালির ফাঁকে
দূরে তখন আঁকা পথে বনের মধ্যে
ছায়া পেতে দিব্যি ঘুমোয় সত্যি
যেই ভেবেছি পায়ের পাতায় জল
চোখের কোনে সে জল দেখি স্বপ্নে ।
কী তবে সৌন্দর্য কে বেশি তুমি / অলোক কুন্ডু
কার জন্য ভারমিলিয়ন দিগন্ত বিস্তৃত
কাকে বেশি ভালো লাগে কে বেশি সুন্দরী
সে কথা কি অন্তরের নীরবতা জানে
সৌন্দর্যের অপূর্বতা না নারীর গড়ন
কোনটা নারীর আর কোনটা তোমার
আসলে তুমি ? না কোনো সরস্বতী রূপ
কী তবে সৌন্দর্যনির্মাণ কে বেশি তুমি
চৈতী গানের সুরে যে মন কেড়ে নিত
সে কি তবে নান্দনিক আরও বেশি করে
দুপুরের রোদ চিরে কিশোরের চোখে
কিশোরীর জন্যে ওড়া রোদ চেরা ঘুড়ি
তার সে সৌন্দর্যখানি জানাতে পারিনি
সে অমূল্য রূপ যেন রূপকথাময়
কলেজ গেটের ধারে স্মার্ট সিগারেটে
জিনসের নীল রঙ ছিঁড়ে দিয়েছিল
ছেলেটার বুকে ঝুঁকে ইটালিক মেয়ে
সে কি তবে সব থেকে দুর্গম সুন্দরী ?
না কি যার সাথে সবে কাল দেখা হয়েছিলো
পুরুষের খোঁজাখুঁজি তচনছ করা
নিবিড় তুলিতে কোনো আঁকেনিকো চোখ
চুল তার এলোমেলো প্রভাতকুসুমে
চন্দনবনের গন্ধ গায়ে মাখামাখি
কথা তার ঠিক যেন অবিরল নদী
বাইজেনটাইন আর্কিটেক্ট বেদুইন যে
কী তবে সৌন্দর্যবোধে কে সে তুমি
কার মুখে সেই থেকে আজও চেয়ে থাকি ।
© অলোক কুন্ডু
তোমাদের মানুষ কে কে বলে / অলোক কুন্ডু
যে তোমরা বর্বরতাকে তোল্লাই দাও
পায়রা উড়াও কত গ্যালারী জুড়ে
ঢাউস কবিতা পড় মঞ্চ থেকে মঞ্চে
লিটল্ ম্যাগের পাতায় উড়াও মস্ত ফানুস
কিংবা টাটকা গোলাপ ভাসাও নিস্তরঙ্গ জলে
দেখি রবীন্দ্র গানের বাণীতে প্রাণ ঢেলে দাও
প্রেমের বাণী দিয়ে স্বামীজিকেও কখনও কাছে টেনে নাও
কিন্ত রক্তের বেলায় মাপো - শুধু রাজনীতি
বলোতো তোমাদের মানুষ কে কে বলে
রবি কবি / অলোক কুন্ডু ©
নিস্তব্ধ চিলেকোঠায়
জৈষ্ঠের দুপুরে
কিশোরবেলায়
কতবার আমিও তো সেজেছি দই অলা
কখনো অমল
সেই থেকে সুধার পায়ের মল
দূর থেকে অবিরত আজও বাজে কানে ।
তুমি বুঝি দিয়েছিলে অমোঘ স্পন্দন
ছেলেবেলার সে নাটক -- পঁচিশে বৈশাখ ।
তোমার সৃষ্টির উথালপাথালে
কৃষ্টির উদার মিছিলে বেমানান বেগানা আমি
কখনো আঘাত এমন যে
সমস্ত অশ্রু নিয়ে তোমার ছবির কাছে গেছি
আর্তনাদ করিনি এতটুকু হে প্রভু
যতটুকু পারি সেইটুকু উচ্চারণে
এত জল ভরে যায় চোখ যে বোঝানো যায়না কিছুই
সেইটুকু শুধুমাত্র আমার সে পঁচিশে বৈশাখ ।
এইভাবে চলে গেছে মিলের চাকরিটুকু
রাজা এসে চলে গেছে কতবার
সত্তর বছরের কাছাকাছি
যতটুকু স্বাধীনতা জোগাড় করেছি নিজে
সেইটুকু তোমার শেখানো
সেইথেকে ছিন্নপত্র , প্লাস্টিক আবৃত ছবি
ফিরি করি বনগা লোকালে
সেই থেকে --
কন্ঠে নিলেম গান ,আমার শেষ পারানির কড়ি...
তোমার কাছে বাঙালির আজ এ কেমন স্বাধীনতা
অথচ যে মানুষটি চেয়েছিল
শুধুমাত্র তোমার গানের স্বাধীনতা
একটা অন্তত গিটার বাজুক
দেয়নি বাঙালি তোমাকে বাজতে তেমন
সে হা হুতাস বুকের কাছে অশ্রুমগ্ন আজও ।
ঘরে আমার অমল আছে
জ্বরে তার গা পুড়ে যাচ্ছিল কাল রাতে
কে বা তার খবর রেখেছে বলো
কেবল চ্যানেল থেকে পাড়ার প্যান্ডলে
ছিন্নপত্র বিক্রি হলে
কবিরাজ বা ডাক্তার নিয়ে যাবো ঠিক
বলেছি ওর মাকে
তাইতো করেছি সুর চুরি --আমার শেষ পারানির কড়ি
কখনও কামরা থেকে কামরায়
বই চাই ভালো বই বই চাই ভালো বই
রবি কবি রবি কবি ।
#তরুণ_মজুমদার_চলেগেলেন অধিকার এই শিরোনামে--কয়লাখনির শ্রমিকদের জন্য ডকুমেন্টারি বানিয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত পরিচালক তরুণ মজুমদার। ছিলেন আজীবন বাম...