©® অলোক কুন্ডু
বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২০
মমতা ব্যানার্জীকে বহিষ্কারের প্রামাণ্য তথ্য ১৯৯৭
সোমবার, ৯ নভেম্বর, ২০২০
৯ বছরে মদের বোতল পরিষ্কার করার খরচ সত্তর হাজার
আমাকে আগে কলকাতার লোকে বলতো হাওড়া পাবলিক । আমি জানতে চাইতাম মানে কিরে। বলতো তোদের হাওড়ার লোকেরা কালচার কি জানেনা। এখন দেখছি ঠিক বলতো। আমার বাড়ির সামনে যারা মদ খায় তাদের গালে যারা চুমু খায় তারা আমার গালেও খায়। এ বড় অদ্ভুত পাড়া। কোনও একটা লোক বলার নেই এখানে সন্ধ্যার পর কেন মদের পার্টি বসে। দেওয়াল লেখা, পোস্টার, মাইকে প্রচার সব আমি করেছি। কোনও একটা লোক একবারও বলেনা এটা অন্যায় কাজ। নিধিরাম মাঝি লেন, ময়রাপাড়া, চৌধুরীবাগান,
কালী কুন্ডু লেনের একগাদা ছেলে কোনও দিন ৩০/৩৫ জন পর্যন্ত মদ খায়। পাড়ার লোক এদের সঙ্গে গল্প করে, আড্ডা দেয় (একটি দর্জির দোকান)! লোকাল কেবিল কোম্পানির, কালী কুন্ডু লেনের একটি প্রমোটারের ছেলে
কালী ব্যানার্জী লেনের একজন, এইসব হুলো প্রতিদিন জড় হয়। আমাদের নর্দমার জল কীভাবে বের হবে তার তোয়াক্কা নেই এদের। কিরকম বদমাইশ দেখুন মদ খেয়ে প্রতিটি দিন বোতল গুলো নর্দমার ভেতরে মুড়ে ঢুকিয়ে দেয়। সপ্তাহে ১০০ বোতল, মাসে ৩০০০ বোতল বছরে ৩৬ ০০০ বোতল পরিষ্কারের খরচ প্রচুর। ২০১০ এ সিপিএম আমাকে রায়না পাঠিয়ে দিল। দিব্যি মদ খাওয়া বসে গেল ২০১২ থেকে। সন্ধ্যার পর আমার বাড়ি ২০১২ থেকে কেউ ভুলেও মাড়ায়নি। পাড়ার লোকের প্রচুর মদত আছে। না হলে একটা পরিবারের ওপর এই জঘন্যতম অত্যাচার চলতে পারে না। এই দেখাদেখি পাশাপাশি বাড়ি থেকে যত আনাজের খোলা জঞ্জাল ফেলে দিয়ে যায়। মেথর পরিষ্কার করে আমাদের নর্দমাটা বাদ দিয়ে। এত ট্রেনিংপ্রাপ্ত মেথর কোথাও পাবেন না। ৯-বছরে ৭০,০০০/- টাকা নর্দমা পরিষ্কারের খরচ। জীবনে চাকরিতে ঘুষ দিয়েছি এক পয়সা নিইনি। সবাই বড় বড় ঠুলি চোখে বেঁধে যাতায়াত করে মনে হয়। আহা কি সুন্দর নাম বলুন তো হাওড়া মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন। আমাকে মার্চ মাসে একটি রাজনৈতিক দলের পরামর্শদাতা ফোন করেছিল। কি কারণে? কারণটা হলো প্রাক্তন মেয়র ভোটে দাঁড়ালে জিততে পারবেন কিনা। এত লোক থাকতে আমার মতামত কেন? না আপনাকে চয়েজ করেছি। বললাম হ্যাঁ জিতবেন, কাজের লোক ভালো লোক। তিনি কেন জানলেন না এতদিন। বহু মানুষ আমার এই পারিবারিক রাস্তা ব্যবহার করে কিন্তু কেউ এইসব জানেনা। এমনই
নির্বোধ প্রাণহীন জায়গায় বাস করি। আমি যে এইসব অশান্তি নিয়ে এত লিখি তা শুধুমাত্র আমার ভেতর থেকে আসে বলে। বহু নেতাকে বলেও কিছু হয়নি। বললাম না চোখে ঠুলি পরতে ওস্তাদ মানুষের অভাব নেই। মদ্যপদের তো কাণ্ডজ্ঞান নেই। এখানকার হেন রাজনৈতিক দল নেই যারা আমার কাছে সুবিধা নেয় নি। কত নেতা গিয়ে অফিসে দাঁড়িয়েছে, এম এ এলে, ছোট বড় মানুষ সব উপকার নিয়ে গেছে। এমনকি রাজনৈতিক সুবিধা পর্যন্ত নিতে কেউ বাকি রাখেনি। এক বেটা তো আমার বাড়ি বয়ে সুবিধা নিয়ে গেছে। তারপর পোস্ট পেয়ে আমার বাড়ির কাছে আসা বদলি আটকে দিয়েছিল। তাই ঘাটের মড়াদের আমি খুব চিনি। তখন এদের রূপ হয়ে দাঁড়ায় একেবারে সাদাসিধে। গালভরা ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে থাকি আমি। ভোটে লোকে দাঁড়ায় বটে এখানেও। আমাকে চেনেনা এ তল্লাটে এমন কেউ নেই। তবে কেন এমনটা হবে। আমার তবে কি মেলামেশা নেই, চাঁদা দিই না, খারাপ ব্যবহার করি কোনোটাই নয়। বন্ধু নেই। তাও নয়। আত্মীয় নেই তাও নয়। তবে কেন। হ্যাঁ ঘেন্নাধরা রাজনীতিতে নেই। কোন দলের এম এল এ লিখে পাঠায়নি সাহায্য চেয়ে। কোন দলের এম এল এ সাহায্য নিতে আমার বাড়ি আসেনি। কিন্তু তা বলে আমি যাবো কেন ? আমি তো কারও কাছে মাথা নত করতে পারবো না। তাই এই শাস্তি বইতে হচ্ছে। আমাকে কেউ বলবে তুমি উপকার নিয়েছো তাহলে তো হয়েই গেল। তবু কয়েকটা গ্রুপে আমার এই অসুবিধা জানিয়েছিলাম। কেউ কেউ আমাকে ফোনও করেছেন। পোস্ট করে পরামর্শ দিয়েছেন। সবচেয়ে বড় কথা এদের কাউকে আমি কোনও সাহায্য করিনি। অবশেষে গতকাল ব্যাঁটরা থানার বড়বাবু ডেকে পাঠিয়েছিলেন। এখন আমি দেখছি আমার হাতে একটা ফেসবুক ব্লগ আছে যেখানে লিখলে সারা পৃথিবীতে দেখা যায় এবং চিরকাল থেকে যাবে। এছাড়াও খুব শীঘ্রই আমার নিজস্ব ওয়েবসাইট হচ্ছে। ধন্যবাদ হাওড়ার সিটি পুলিশ ও অন্যান্য ফেসবুক গ্রুপকে। এটা খুবই শক্তিশালী মাধ্যম। ৯-বছর ধরে আমি অপেক্ষা করেছি। কেউ কিছু বলে কিনা? হাওড়া করপোরেশন আমাকে জানিয়েছেন এই বিষয়ে তাদের করণীয় কিছু নেই। ধন্যবাদ ব্যাঁটরা থানার ওসি সাহেবকে। সত্যি ভদ্রতাবোধ আছে ওনার যা আমার পাড়ার কারও নেই।
রবিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২০
আমায় তবে কোথায় নিয়ে যাও
আমায় তবে কোথায় নিয়ে যাও
তোমার চোখে নৌকো আঁকলে যখন
সেই তো সবে মধ্য রাতের শুরু।
আমার তখন বুক ধড়ফড় করলো
সে ধড়ফড় শোনাতে চাই খুব।
সেই তো সময় তোমার চোখে চাওয়া
মাঝ দরিয়ায় বিপুল বৃষ্টি এলো।
কোথাও উজান কোথাও ভাটা জলে
মাঝি হওয়ার সাধ তবু কি যাবে
গভীর চোখে ডুবতে থাকি শুধু।
ঝড়ে যদি চুল খুলে যায় এমন
মুখের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লো সাপ
সে তো তোমার অপ্সরা এক রূপ।
অপূর্ব এক আলো-আঁধারী রাত
আমি তখন বাউল হতে রাজি।
তোমার গালে তখন চাঁদের আলো
সে আলো তো তুলোর মতো নরম।
যত দেখি ডুবতে ডুবতে থাকি
হুমড়ি খেয়ে গাল বরাবর এলো।
ছিল শুধু একটা কাজল টিপ
কপাল যেন জ্যোৎস্না দিয়ে আঁকা
ভ্রুলতা কি সত্যি এমন বাঁকা?
বাঁকা যদি চাঁদটা উঠলো এমন
সে চাঁদে কি অনিবার্য ডাক!
চুলগুলো সব উড়তে উড়তে
আমার বুকে কাঁথাফোঁড়ে।
এমন বুঝি মিষ্টি দেখতে হয়
এমন বুঝি লাজুক মুখের পাতা
এমন বুঝি নরম দুটি গাল
এমন তবে ভীষণ চোখের চাওয়া
গভীর করে নৌকো আঁকায় মরি
মাঝ সমুদ্রে উঠলো তখন ঝড়
আমায় তবে কোথায় নিয়ে যাও।
শ্রী দেবব্রত মুখোপাধ্যায় (ওসি ব্যাঁটরা থানা)-কে ধন্যবাদ
ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ থেকে চেষ্টা করেছেন যাতে আমার বাড়ির গেটের সামনে থেকে গত ৯-বছর ধরে মদের ঠেককে ওঠানো যায়। আমি হাওড়া সিটি পুলিশের কাছেও আবেদন করেছিলাম আমাদের এই বিপদের কথা জানিয়ে। বিপদ মানে একদল যুবক আমার বাড়ির দোড়গোড়ায় বসে দরজা আটকে মদ খাচ্ছে আজ গত ৯-বছর ধরে। ৪ -বছর আগে একবার ব্যাঁটরা থানার উদ্যোগে উক্ত আসর ছয়মাস বন্ধ থাকলেও প্রায় ন-বছরে কেউ এইসব নিয়ে ভাবেনি। কারণ মনে হয় মদ্যপদের অনেকের সঙ্গে তাদের ভাব ভালোবাসা আছে। তাই আমার পাড়া থেকে ব্যাপকভাবে প্রশ্রয় পেয়েছে তারা। এই কারণে আমার জলের মতো টাকা খরচ হয়েছে আমাদের নর্দমা পরিষ্কার করাতে। যা শুনলে চমকে যাবেন অনেকে, তাতেই একদল সুখী হয়েছেন হয়তো। এ সমাজ বড় জটিল। পাড়া প্রতিবেশী মানে আজকাল সকলের সঙ্গে সদ্ভাব বজায় রাখা। ২০১২ থেকে চলা এই মদের আসরের জন্য কিন্তু কোনও মহিলা এমনকি আমাদের আত্মীয়রা আমাদের বাড়ি আর আসতো না। বহুবার পোস্টার দিয়েছি। বারণ করেছি। মদ্যপরা শোনেনি। শেষে বিভিন্ন স্থানে মেল করে করে জানাই। ব্যাঁটরা থানাতেও মেল করেছিলাম, ওদের যা কাজের ভল্যুম হয়তো ওরা তা ঠিকমতো দেখে উঠতে পারেননি। যাই হোক, এইরকম পরিস্থিতিতে ব্যাঁটরা থানার অফিসার ইনচার্জ শ্রীযুক্ত দেবব্রত মুখোপাধ্যায় মহাশয় বিভিন্ন সূত্রে এই বিষয়টি জেনে, আজ সন্ধ্যায় এই বিষয়ে একটি এনকোয়ারি করান আমাদের পাড়ায় এবং আমাকে দেখা করতে বলেন। থানার অফিসার ইনচার্জ মহাশয়, তার নিজস্ব মানবিক চেতনা দিয়ে বিষয়টি যথেষ্ট অনুধাবন করেছেন। আমার সঙ্গে অত্যন্ত ভালো ব্যবহার করার মধ্য দিয়ে তার দক্ষ প্রশাসনিক ক্ষমতাকে প্রয়োগ করেছেন। তার ঐকান্তিক ক্ষমতার মাধ্যমে তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন এবং আমার মতামতও আগ্রহ নিয়ে শুনেছেন। আমি ওনার এই কার্যধারায় বেশ আপ্লুত ও অত্যন্ত খুশি হয়েছি। আশা করবো তার দক্ষ ভূমিকায় ও উদ্যোগে এলাকার সমস্ত রকম আইনশৃঙ্খলা বজায় থাকবে। আমরা ওনার কাছ থেকে যে সহযোগিতা পেয়েছি তা অত্যন্ত আন্তরিক। অতিমারির এই কঠিন সময়ে, দেবব্রতবাবু ও ওনার পুলিশ পরিবারের সুস্বাস্থ্য কামনা করি ও তাদের ধন্যবাদ জানাই। এই সঙ্গে ফেসবুকের সকল আগ্রহী গ্রুপ এবং আগ্রহী সদস্যদের কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আশাকরি আমাদের সমস্যা মিটে যাবে।
ভবদীয়-অলোক কুন্ডু, ১১০/১/এ/১, কালী কুন্ডু লেন, হাওড়া-৭১১১০১. ( ৮.১১.২০২০)
বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২০
মাননীয়,
অফিসার ইনচার্জ, ব্যাঁটরা থানা।
মহাশয়।
গত ২০১২ থেকে কিছু মদ্যপের অত্যাচারে
আমরা অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছি।
হাওড়ার ব্যাঁটরা থানার অন্তর্গত হাওড়া করপোরেশনের ২৪ নং ওয়ার্ডের ১১০/১/এ/১
কালী কুন্ডু লেনস্থ প্রয়াত বিশ্বনাথ কুণ্ডুর বাড়ির দোড়গোড়ায় ( পেট্রোল পাম্পের পেছনে)
প্রতিদিন মদের আসর বসাচ্ছে পাড়ার একদল
যুবক। এরা থাকে নিধিরাম মাঝি লেনে, কালী
কুন্ডু লেনে ও ময়রা পাড়ায়। গত ২০১২ থেকে
এরা রীতিমতো হুমকি দিছে আমাকে ও আমাদের পরিবারকে। সন্ধ্যা হলেই এখানে বেশ কিছু দুষ্কৃতি শুরু করে দেয় মদ ও গাঁজার আসর ও ব্যবসা।
এদের উদ্যোগে পাড়া-বেপাড়ার বহু হুলিগানের
দল এখানে এসে আড্ডা দেয় ও মদের আসরে
যোগ দেয় এবং বারবার বলা সত্বেও শুনতে
চাইছে না। এই জায়গা আমাদের ব্যক্তিগত
সম্পত্তি। এখানকার একটা ভালো পরিবেশকে
ক্রমশ দুর্বিষহ করে তুলেছে স্থানীয় এই ৫/৬
জন হুলিগানের দলটি। দুষ্কৃতীদের দাপটে
ইতিমধ্যে ভয়ে আমি, অলোক কুন্ডু, বাড়ি
ছেড়ে পাশের পাড়ার ফ্ল্যাটে আশ্রয় নিতে বাধ্য
হয়েছি। গত ২০১২ থেকে মদ্যপরা হেনস্থা ও
অপদস্থ করে চলেছে। এদের অত্যাচারে
আমরা অতিষ্ঠ আমাদের বাড়ি থেকে আর
জল বর হতে পারেনা। চরম বিপদে আজ ৯
বছর অসহায় হয়ে আছি। অথচ পাড়ার সকলে নিত্যদিন এইসব দেখছে। মনে হয় আমাদের
ওপর এই অত্যাচারে পাড়ার সকলের আনন্দ
হয়। মনে হয় পাড়ার বহু ব্যক্তির এতে মদত
আছে। এই দুষ্কৃতিদের দাপটে আমি দিনকে দিন শারীরিক ভাবে অসুস্থ ও বিপন্ন হয়ে পড়ছি।
এদের এই কাজের জন্য হার্টে প্রবলেম দেখা
দিয়েছে আমার। আমি কোনও রাতে ভালো
করে ঘুমোতে পারিনি গত ৯ বছর। এরা আমাকে সমানে ভীতি প্রদর্শন ও আত্মহত্যায় প্ররোচিত
করে চলেছে। মদ্যপরা প্রতিদিন ১০ টি করে মদের বোতল আমাদের নর্দমায় ঢুকিয়ে রেখে চলে যায়। মেথর ধরে এনে প্রতি সপ্তাহে হাজার টাকা খরচ
দিয়ে প্রায় সত্তরটি মদের বোতল তুলতে হয়।
খাবারের শত শত প্যাকেট, সপ্তাহে ৩০/৪০টি থার্মকলের থালা বাটি, মাংসের প্লাস্টিক
ক্যারিয়ার সহ বিপুল পরিমাণ নোংরা আমাদের খরচায় ফেলতে হয় এর বাৎসরিক খরচ প্রায়
এক লক্ষ টাকার ওপর। এই বাড়ির গেট বাড়ির
রাস্তা বিপুল পরিমাণে নোংরা করে রাখছে আজ
নয় বছর ধরে এই মস্তানরা। প্রতিবাদ অনুরোধ
হাতে পায়ে ধরা কোনও কিছু কানে নিতে রাজি
নয় এই গুন্ডা বদমাইশ হুলিগানের দল।
অত্যাচারের পরিমাণ দিনের পর দিন কীভাবে
বাড়ানো যায় এরা তারই প্রতিযোগিতায় মত্ত
এই দুষ্কৃতিকারীরা ভীতি প্রদর্শন, খুনের হুমকি
দিয়ে চলেছে আমাদেরকে। এই দুষ্কৃতিকারীরা
এমনকি বাড়িতে ঢুকতে বের হতে সমানে বাধা
দিচ্ছে। স্থানীয় জনগণের নাকের ডগায়
নিত্যদিনের এইসব ঘটনা ঘটে চলেছে।
গত ২৪/৩/২০ তারিখে পাড়ায় পোস্টার
দিয়ে জনে জনে প্রচার করেও এদের নিবৃত্ত
করা যায়নি। আরও দ্বিগুণ উদ্দীপনা নিয়ে
আমাদের বাড়িতে এরা অত্যাচার শুরু করেছে। জনমানসে এই কারণে আলোড়ন হলেও এই
চামার, অসভ্য, ছোটলোক, ইতর অভব্য দানব রাক্ষসদের কোনও হেলাদোল নেই।
বিনীত
৫/১১/২০ অলোক কুন্ডু
ফোন:-7003422286
মধ্য হাওড়ায় নারকীয় ঘটনা
মধ্য হাওড়ার, ব্যাঁটরা থানার অন্তর্গত হাওড়া করপোরেশনের ২৪ নং ওয়ার্ডের ১১০/১/এ/১ কালী কুন্ডু লেনস্থ প্রয়াত বিশ্বনাথ কুণ্ডুর বাড়ির দোড়গোড়ায় (কালী কুন্ডু পেট্রোল পাম্পের পেছনে) মদের আসর বসাচ্ছে পাড়ার একদল যুবক। এরা থাকে নিধিরাম মাঝি লেনে, কালী কুন্ডু লেনে ময়রা পাড়ায়। এরা রীতিমতো হুমকি দিচ্ছে কুন্ডুদের এই পরিবারটিকে। সন্ধ্যা হলেই এখানে দুষ্কৃতিকারীদের রাজত্ব শুরু হয়ে যায়। প্রাইভেট জায়গায় ঢুকে অলোক কুন্ডুদের নামে নিত্যদিন অকথ্য খিস্তি শুরু করে দেয়। এদের গাঁজার ব্যবসার জন্য বেপাড়ার বহু হুলিগানের দল এখানে এসে আড্ডা দিচ্ছে। ভালো পরিবেশকে দুর্বিষহ ও নরককুন্ড করে গড়ে তুলেছে স্থানীয় ৫/৬ জন হুলিগানেরদল। দুষ্কৃতীদের দাপটে ইতিমধ্যে ভয়ে অলোক কুন্ডু বাড়ি ছেড়ে পাশের পাড়ার ফ্ল্যাটে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। অলোক কুন্ডু ও অয়ন কুন্ডুর পরিবার ২০১২ থেকে মদ্যপদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ, মৃতপ্রায় অসহায় জীবন কাটাচ্ছে। মদ্যপরা প্রতিদিন ১০ টি করে মদের বোতল কুন্ডুদের নর্দমায় ঢুকিয়ে রেখে চলে যায়। মেথর ধরে এনে প্রতি সপ্তাহে হাজার টাকা খরচ দিয়ে প্রায় সত্তরটি মদের বোতল, খাবারের শতখানেক প্যাকেট, ত্রিশ চল্লিশটি থার্মকলের থালাবাটি মাংসের প্লাস্টিক ক্যারিয়ার সহ বিপুল পরিমাণ নোংরা ফেলতে অলোক কুন্ডুদের পরিষ্কার করতে হয়। এইজন্য বাৎসরিক খরচ প্রায় এক লক্ষ টাকার ওপর। আজ ৯-বছর ধরে এই দুষ্কৃতিকারীরা এদের বাড়ির গেট,বাড়ির রাস্তা বিপুল পরিমাণে নোংরা করে রাখছে। প্রতিবাদ,অনুরোধ, হাতে পায়ে ধরা, কোনও কিছু কানে নিতে রাজি নয় এই গুন্ডা বদমাইশ ও হুলিগানের দল। অত্যাচারের পরিমাণ দিনের পর দিন কীভাবে বাড়ানো যায় এরা তারই প্রতিযোগিতায় মত্ত এখন। এই দুষ্কৃতিকারীরা ভীতি প্রদর্শন, খুনের হুমকি দিয়ে চলেছে স্থানীয় এই কুন্ডু পরিবারটিকে। এমনকি এই পরিবারটিকে বাড়িতে ঢুকতে বের হতে সমানে বাধা দিচ্ছে এরা। স্থানীয় জনগণের নাকের ডগায় নিত্যদিনের এই ঘটনা হয়ে চলেছে। প্রভাবশালী এই দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে এই নিরীহ কুন্ডুরা কিছু করে উঠতে পারছে না। মানসে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এখন।
শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২০
রানী কি ভাও (ভাব)
গুজরাটের পাটন মানে পাটোলা শাড়ির জন্ম যেখানে । গুজরাটের পুরাতন রাজধানীও বটে । পাটনে রানী কী ভাও Rani Ki Vav.
আসলে পাটনের রানীর স্নান করার অনিন্দ্য সুন্দর পুকুর নয় এটি রাজা ভীমের স্মৃতিতে রানীর বানানো ( তালাও/ তালাব) । গুজরাটিতে পুকুর অর্থাৎ ভাও । বহুদিনের
একটা ইচ্ছা ছিল রানী কী ভাও দেখার ।
কী অপূর্ব স্থাপত্য । বহিরাগত আক্রমণে
গুজরাট ব্যতিব্যস্ত হয়েছে । পাটন রাজাদের
মন্দির ছিল সোমনাথ । সোমনাথ মন্দিরের কিছুই অবশিষ্ট ছিলনা তেমনি গুজরাটের
রাজধানী পাটনও সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায় ।
পাটনের মিউজিয়াম ৭২ বছরে এই সবে শিশু । অবাক কান্ড কংগ্রেসের এই পাটন বিরূপতা কেন ? কিন্তু পাটন এখন সমহিমায় পৃথিবীতে স্থান করে নিয়েছে । নরেন্দ্রমোদীর মুখ্যমন্ত্রীত্বের সময় পাটন ট্যুরীজমের উন্নয়ন হয়েছে এটা বানানো নয় । পাটনে গেলে বোঝা যাবে আসলে পাটন কী ছিল !
পাটন ধ্বংসের পর সোলাঙ্কিদের রাজত্বকালে সৌরাষ্ট্র থেকে তাঁত শিল্প সম্পূর্ণ
চলে গিয়েছিল পাটনে । পাটনের নব জন্ম
হয়েছিল পাটোলা শাড়ি দিয়ে । একটি পরিবারের শাড়ি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের অন্তর্ভুক্ত । এখন পর্যন্ত রেগনের
পার্টিতে সোনিয়া গান্ধীর পরা পাটোলা শাড়ির দাম সব থেকে বেশি । তখন পড়েছিল পাঁচ লাখ ( যার বর্তমান মূল্য ১০/১২ লাখ হবেই ) । এখন মিনিমাম দাম
এক লাখ । পাটনের বাজারে যে পাটোলা
পাওয়া যায় তাতে ডুপ্লিকেট ছাপ মেরে
বিক্রি করতে হয়, যা আসলে পাটোলা নয় কারণ পরিবারের ৭০০ জন কারিগর থেকে তা ধীরে ধীরে ৫ জনে নেমে এসেছে ।
একটি শাড়ি বুনতে একজনের ছ মাস লাগে
অর্ডার ছাড়া পাটোলা শাড়ি বাজারে কোথাও পাওয়া যায় না । পাটনে গিয়ে
অর্ডার দিতে হয় । রেখার আলমারিতে মাত্র
একটা পাটোলা আছে । ড.রাজেন্দ্রপ্রসাদ,
নন্দলাল বসু শাড়ি তৈরি দেখতে গেছেন ।
বিদেশের মিউজিয়ামে পাটোলা শাড়ি না
থাকলে ধরে নিতে হবে সে মিউজিয়ামের
কৌলীন্য নেই । জয়া বচ্চনেরও এই শাড়ি
আছে । অমিতাভের প্রশংসাধন্য এই শাড়ির
বর্তমান বংশধরের অনুরোধে বাংলায় পাটোলার একটা ইতিহাস লিখতে রাজি
হয়েছি এবং এক ফর্মার একটি পাতলা
বই ছাপিয়ে ওদের পাঠিয়ে দিলে ( আমার
খরচে) ওরা পাটনের শাড়ি মিউজিয়াম থেকে সেটি ১০/- টাকায় বিক্রি করবে সঙ্গে
ইংলিশে একটু তর্জমা চাই । খুব শীঘ্রই এই
কাজটি করে ফেলতে চাই । ওদের মিউজিয়ামে কোনো ছবি তোলা যায় না তবে
ওদের তাঁত ঘরেতে আমার আর আমার স্ত্রীর
ছবি ওরা তুলে দিয়েছে । নন্দলাল বসুর
প্রশংসাটি আলাদাভাবে দেখিয়েছেন ওদের
সম্পর্কে আমি অনেক খবর রেখেছি বলে ।
হ্যাঁ যেটা দিয়ে শুরু করেছিলাম । রানী কী ভাও । আমার স্ত্রী যেতে চায়নি রানী কী ভাও
দেখতে । দেখার পর বিস্ময়ে হতবাক
হয়েছে । আমি তো হাঁ হয়ে গেছি । বিদেশী
আক্রমণে পাটনের স্থাপত্য মাটিতে মিশে গেছে । স্বাধীনতার ৭০ বছরে পাটনের ধ্বংসাবশেষ কুড়িয়ে একটা মিউজিয়াম
হয়েছে এই সবে । ধ্বংসলীলা থেকে রানী কী
ভাও বাদ যায়নি । তবে নরেন্দ্র মোদীর
মুখ্যমন্ত্রীত্বকালে পাটনের বিশ্বখ্যাত রানী কী
ভাওকে যত্ন নেওয়া হয়েছে এবং চারপাশে
মনোরম বাগান এমন হয়েছে যে প্রথমে মনে
হয়েছিল এত সুন্দর বাগান করে ফেলেছে
হেরিটেজ ভেঙে । ভেতরে ঢুকে ভুল ভাঙলো । রানী কী ভাও এর সৌন্দর্য রক্ষায় বাইরের
সৌন্দর্য বৃদ্ধি প্রয়োজন অবশ্যই । ধাপে ধাপে
প্রায় ১০ তলা রানী কী ভাওয়ের সবটা আর
যেতে দেওয়া হয়না । ৫/৬ তলা নীচে নামা
যায় । এই স্থাপত্য দেখার পর মনে হলো ভাগ্যিস রানী কী ভাও কে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে
দেয়নি । আমেদাবাদ ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সিটি
ঘোষিত হয়েছে বিভিন্ন ধর্মীয় স্থাপত্যের কারণে । আমার মনে হয় কাছেই পাটন এবং
মোদেরার সূর্য মন্দির থাকার কারণে ওয়ার্ল্ড
হেরিটেজ সিটির শংসা পেয়েছে আমেদাবাদ ।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)
প্রয়াত তরুণ মজুমদার--অলোক কুন্ডু
#তরুণ_মজুমদার_চলেগেলেন অধিকার এই শিরোনামে--কয়লাখনির শ্রমিকদের জন্য ডকুমেন্টারি বানিয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত পরিচালক তরুণ মজুমদার। ছিলেন আজীবন বাম...
-
বড় চমক, বাংলা থেকে এনডিএর-র উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী ●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●●● গত তিন বছর বিভিন্ন ইস্যুতে মমতা সরকারকে নিশানা করেছেন ব...
-
⛔ এটা ২৮ ডিসেম্বর, ১৯৯৭-এর 'বর্তমান' খবর কাগজ। বরুণ সেনগুপ্ত'র আগাগোড়া ১০০% সমর্থন তখন। জিতেন্দ্রপ্রসাদ এসে সোমেন মিত্রকে নিয়ে...
-
#অলোক_কুন্ডুর_লেখালিখি_ও_কবিতা #CoronavirusLockdown #COVID19PH #COVID19 #CoronavirusPandemic #coronavirus #ভিটামিন_সি ■ বিজ্ঞানী ইন্দুভূষণ ...