বুধবার, ১ জুন, ২০২২

সৌরভ কি রাজনীতি থেকে ফয়দা তুলবেন/ অলোক কুন্ডু


যদি সৌরভ রাজ্যসভায় যায় তাহলে মন্ত্রী হবেন ডাইরেক্ট। এটা আমার ধারণা। এছাড়া সৌরভ কিছু প্রজেক্ট নিয়ে যাবেন। সৌরভ গেলে তার প্রজেক্ট প্রধানমন্ত্রী মেনে নেবেন। আমার ধারণা তিনি যদি বিজেপি যানই তবে তিনি নির্ঘাত হবেন দেশের ক্রীড়া মন্ত্রী। এই কারণে সৌরভ রাজ্যের খেলনগরী ডুমুরজলাকে পরিত্যাগ করে দিয়েছে আগেই। হাওড়ায় খেলনগরী হলে যে উন্নয়ন হতো সামান্য কজন পরিবেশবাদীদের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করবেন কেন?
তা পরিবেশ দপ্তরের অনুমতি নিয়েই আজ সবকিছু করতে হয়। হাওড়ার উন্নয়ন না হলে আমার কষ্ট হয় তাই আমি এখানে পরিবেশ উদ্ধারের নামে ওই আন্দোলন আমি কখনও সমর্থন করিনি। আমি ব্যক্তিগত ভাবে সৌরভের ভক্ত। রাজনীতিও করিনা। তাই এই বক্তব্য আমার স্পষ্টভাষণ। কারণ আমি ছাড়া আর সকলের ধান্দা আছে, এটা আমার কাছে পরিষ্কার। সৌরভ বিজেপিতে যাবে কি না জানিনা। তবে সৌরভ কোনও প্রজেক্ট দিয়েছে কিনা তাও জানা নেই আমার। তবে কেন্দ্রের কাছে প্রজেক্ট দিয়েছে বলেই আমার ধারণা। প্রজেক্টটা পেলে তবেই সৌরভ কোথাও যাবেন। বিসিসিআই থেকে এখনও ইস্তফা দেননি। দেবেন না কি দেবেন না এইসব রটনা মাত্র। তবে আমি জানতাম ডোনা শিল্পীদের কোটায় রাজ্যসভায় যাবে। সৌরভ ডাইরেক্ট পলিটিক্স করবে বলে আমিই দোটানায় আছি। কারণ সৌরভ দুমদাম সিদ্ধান্ত নেওয়ার পাবলিক মোটেও নন‌। তবে সৌরভ যদি বিজেপিতে যান তবে এখানে এখন বিজেপির যে খুব লাভ হবে তা মনে করি না। কারণ এখানে ভোট কিন্তু অন্যভাবে হয়। সৌরভকে দেখে ভোট দিতে চাইলেও বিজেপি বাংলায় সেই ভোট জোগাড় করতে কখনোই পারবে না। কারণ বিজেপিতে পুরনো যেসব সদস্য আছেন তারা এত অহংকারী যে তারা কীভাবে সংগঠন তৈরি করতে হয়, সেটাই জানেন না। তারা সব সময় নতুন পুরনো এই আলোচনায় ব্যস্ত থেকেছেন গত পুরো নির্বাচনজুড়ে এবং ফেসবুকে রাজনীতি করেছেন। আদতে তৃণমূল থেকে যারা গিয়েছিল তারাই রাজনীতি বুঝতো যেমন তেমনি আবার তাদের বিশ্বাস যোগ্যতা একেবারেই ছিলনা। তবে সৌরভ একটা প্রজেক্ট নিয়েছেন এই বিষয়ে আমি একমত। হয়তো তা আগামী দিনের যুবক সম্প্রদায়ের কাছে আনন্দের হবে। সৌরভ মন্ত্রী এবং এমপি হবেন না এটা আমার বিশ্বাস। তবে বামেরা হচ্ছে সৌরভের আসল শত্রু, তারা কিছু করতেও পারবে না কিন্তু সমালোচনায় দেশ উদ্ধার করে দেবে। আমার ধারণা সৌরভ ভারতবর্ষে খেলাধুলোর বিষয়ে একটা আন্তর্জাতিক এমন কিছু করতে চলেছেন যা অনন্য বিষয় এবং তা হবে অন্য স্টেটে অথবা দিল্লিতে হবে এবং স্কুল শিক্ষায় খেলাধুলোও ডাইরেক্ট ঢুকতে পারে। খেলাধুলোর প্রভূত উন্নয়নের জন্যে সৌরভের এই প্রজেক্ট হতে যাচ্ছে। যা ইতিপূর্বে কখনও হয়নি। দেশের খেলাধুলোর খোলনলচে বদলে দিতে চান সৌরভ, এটা তার উদ্যোগ থেকে বোঝা যায়। আর এই জন্যে তার একটা পদ সৃষ্টি হতে পারে নয়াদিল্লি বা অন্য কোনও রাজ্যে। উত্তর প্রদেশেও হতে পারে তার সদর দপ্তর। সেই জন্য মধ্য কলকাতায় সৌরভের নতুন ফ্ল্যাট যাতে যখন তখন তিনি উড়ে যাবেন তিনি দিল্লিতে। মন্ত্রী নয় খেলরত্ন তুলে আনার জন্য তার প্রজেক্ট হবে হয়তো যা সরকারি এবং যা তার বর্তমান পদ থেকেও আরও বড়। সৌরভের প্রজেক্টে শিলমোহর পড়েছে বলেই সৌরভ হাওড়ার ডুমুরজলাটা তিনি ছেড়ে দিয়েছেন আগেই। যা হতে পারতো হাওড়ার উন্নয়নের এক দিগদর্শন, পশ্চিমবঙ্গেরও হলে আনন্দ পেতাম। সৌরভ কোনও ফালতু একটা চরিত্রের নাম নয়। আমার বিশ্বাস বিজেপি সরকার তার কোনও বৃহত্তম প্রজেক্ট অনুমোদন করেছেন যা আন্তর্জাতিক মানের। হয়তো বা স্কুল কলেজ থেকেই তৈরি হবে খেলোয়াড় যা ৭৬ বছরে ভারতে অবহেলিত। অথবা এমন কিছু যা যুবকদের উন্নয়নে কাজে লাগবে। কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন প্রাপ্ত ভারতের কোনও বৃহত্তম অর্থনৈতিক কর্মসূচি। সৌরভ থাকবেন রাজ্যপাল পদমর্যাদার একজন নাগরিক হয়ে। খেলা বা যুবকদের উন্নয়ন করা ছাড়া বিজেপিরও কিন্তু গতি নেই। এইসব হতে যাচ্ছে বলেই দিলীপ ঘোষকে সেনসর করা হয়েছে। কারণ এই রাজ্যে যতটুকু বিজেপি উঠেছে তা দিলীপ ঘোষের জন্য। পড়েছেও দিলীপ ঘোষের জন্য। এইরকম একটা সৎ ও বোকা লোক ভারতে দ্বিতীয়টি নেই।
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দেখেছে এখানে বিজেপির নিচুতলার সদস্যদের দিয়ে কখনও একখানা ভোট জোগাড় করা সম্ভব নয়। নেতাদের মধ্যে একমাত্র টিঁকে গেছেন একজন মাত্র, তিনি তৃণমূলে ফিরছেন না শুভেন্দু। বিজেপির সদস্যদের এটিকেটের জ্ঞানে দিশেহারা হয়েছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী, ভিক্টোরিয়ায়। তাতেই বঙ্গের বিজেপি ভোট অর্ধেক সরে গিয়েছিল। বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাই ভালো করেই জানেন এখানকার বড় বড় বুকনির বিজেপি সদস্যদের হিম্মত। তাই তাদের এই সংগঠন নিয়েই কোনও বড় কাজ করে দেখাতে হবে। তাদেরও আগামী লোকসভায় সিট দরকার জিতে আসার জন্য। পশ্চিমবঙ্গের জন্যে নয়, ভারতের জন্য দরকার সৌরভকে। সত্যিই তো যদি যোগ্য একটা সম্মান সৌরভ পান তবে তিনি তা ছাড়বেন কেন।
সৌরভ বিজেপির সদস্য পদ নিচ্ছেন না কিন্তু সরকারের কোনও প্রজেক্টের সফলতায় যুক্ত হলে তাকে বিজেপির লোক বলে শুনতে হতে পারে। এই জ্ঞানটুকু মনে হয় সৌরভের আছে। আমি বলবো সৌরভ বড় কিছু করতে চলেছে। যদি পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে হয় তবে বিজেপির সামান্য টিঁকে থাকা হবে এখানে। তবে ১৮ টা সিট আর ফিরে পাওয়া হবে না কখনও। কারণ বিজেপির লোকেরা ওই ১৮ টা সিট ধরে রাখার মতো ভোটের রাজনীতি করতে পারবে না। যারা মার খেয়েছে তাদের জন্য বিজেপি বাংলায় উঠেছিল, তারাই তো এখন তাদের এলাকায় ভালো করে থাকতে পারেন না। তাই সৌরভের প্রজেক্টের সঙ্গে বঙ্গের বিজেপির কোনও সম্পর্ক না থাকলেও সরকারের সঙ্গে অবশ্যই একটা গভীর সম্পর্ক রয়েছে। ©® অলোক কুন্ডু

মঙ্গলবার, ৩১ মে, ২০২২

হাওড়ার শঙ্কর ও অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়

#অলোক_কুন্ডুর_কলম

আজ আনন্দবাজারে শঙ্করের অসিতকুমার
-------------------------------------------------------------
■ ব‌ইমেলায় গত তিনবছর আগে,শঙ্কর অর্থাৎ মণিশঙ্কর মুখোপাধ্যায়কে জিজ্ঞেস করেছিলাম আপনার মনে আছে চৌধুরী বাগানের কথা ? আমার বাড়ি কোথায় উনি জিজ্ঞেস করাতে বলেছিলাম আমার বাড়ির ঠিকানা। আসলে পাশের লেন বিহারী চক্রবর্তী লেনে ছিল ওনার বাসা। খুব জোর ১০/১২ টা বাড়ি দূরে হবে শঙ্করের পুরনো ভাড়াবাড়ি। হেসে বলেছিলেন তুমি তো তাহলে আমার পাড়ার ছেলে ন‌ও। হাওড়া জেলা স্কুলের ফার্স্ট বয় ছিলেন অসিতবাবু । শঙ্কর হাওড়ার বিবেকানন্দ ইন্সটিটিউশনের ছাত্র ছিলেন। দুজনেই প্রায় আমাদের পাড়ায়, মধ্য হাওড়ার চৌধুরীবাগান ও যোগমায়াদেবী লেনে থাকতেন আর শঙ্কর ওখানে বসেই লিখেছিলেন, "কত অজানারে", "চৌরঙ্গী"র মতো উপন্যাস। কত অজানারে-তে হাওড়ার ঘুঘনীওলা থেকে বিভিন্ন রাস্তার নাম উল্লেখ করতে ভোলেননি। স্বাধীনতার দিন যোগমায়া সিনেমায় দুবার পর পর ফ্রিতে সিনেমা দেখার লোভে সেদিন বিভিন্ন ক্লাব থেকে খাওয়া দাওয়ার যে আয়োজন করেছিল বিভিন্নজন, ইচ্ছে থাকলেও সেইসব জায়গায় খেতে যেতে পারেননি, শঙ্কর। যখনই সুযোগ পান হাওড়ার কথা লিখতে ভোলেন না। শিবপুরে মায়াপুরী সিনেমার পাশে জায়গা কিনে বাড়ি করেছিলেন। আমি একবার সেই বাড়িতে ওনার কাছে গিয়েছিলাম। একটা গাউন পরতে পরতে সদর ঘরে ঢুকেই আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, " কোথা থেকে আসছো" আমি উঠে দা‍ঁড়িয়ে বলেছিলাম চৌধুরী বাগানের পাশে কালী কুন্ডু লেন থেকে আসছি। বলেছিলেন, "বসো বসো, হ্যাঁ তোমাদের অনুষ্ঠানে যেতে পারছিনা ভাই, আমি নিমাইদাকে বলে দিয়েছি ( নিমাইসাধন বসু)।" আমার বন্ধু সুধীরকুমার দে-র পত্রিকা নৈবেদ্য-র একটি সভায় নিমাইসাধন বসু এলেও শঙ্কর আসতে পারেননি তখন। এখন আর হাওড়ায় থাকেন না মণিশঙ্কর। আজ শঙ্কর, রবিবাসরীয়তে, আনন্দবাজার পত্রিকায় লিখেছেন বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসের স্বনামধন্য প্রয়াত অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে ( যিনি এক‌ই পাড়ায় শঙ্করের ভাড়া বাড়ি থেকে তিনটে বাড়ি দূরে থাকতেন, হাওড়ার যোগমায়াদেবী লেনে।) আর শঙ্করের সিনিয়র ছিলেন অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শঙ্করকে জবরদস্তি পরে গ্র্যাজুয়েট‌ও করেছিলেন। অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় পরে হাওড়ার সাঁত্রাগাছিতে আমৃত্যু থেকে গেছেন, হাওড়া করপোরেশনের উদ্যোগে মূলত বর্তমান সরকারের চেষ্টায় হাওড়ার ক্যানেল ইস্ট রোডের একাংশের নাম হয়েছে তার নামে, সেই হিসেবে অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের এখন শতবর্ষ হয়ে গেল। শঙ্কর কতরকম ভাবে তার বাল্যকাল ও যৌবনের হাওড়া শহরকে সাহিত্যে তুলে ধরেছেন আজ লিখলেন হাওড়ার বরেণ্য মানুষ অসিতবাবুকে নিয়ে। বাংলা সাহিত্যের দিকপাল, যাকে শঙ্কর বলেছেন "বিদ্যের জাহাজ"।আজ আবার অসিতবাবুর জন্য আমাদের সকলের কাছে শঙ্কর তুলে ধরলেন হাওড়াকে। ধন্যবাদ আপনাকে, শঙ্কর।
©® অলোক কুন্ডু

শুক্রবার, ২৭ মে, ২০২২

ফরম্ জমা করে ফোনের ইনবক্স পরিষ্কার করুন। অলোক কুন্ডু



(১).জেরক্স সহ আধার কার্ড (২). জেরক্স সহ জাতি সনদ শংসাপত্র এবং তপশিলি জাতি উপজাতিদের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর নিজের নামে এস.সি/ এস.টি সার্টিফিকেট থাকতে হবে। আবেদনকারী জেনারেল কাস্টে বিয়ে করলেও নিজে এস.সি/ এস. এস.টির সুবিধা পাবেন। (৩) জেরক্স সহ নিজের একই নামের রেশন কার্ড (পদবী পরিবর্তন না হলেও চলবে) (৪). জেরক্স সহ স্থায়ী আবাসিক সার্টিফিকেট। (৫).জেরক্স সহ বয়সের প্রমাণপত্র। (৬). ব্যাংক অ্কাউন্টের বিবরণী পৃষ্ঠার জেরক্স ও পাশবই, যেমন ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট বিবরণের পৃষ্ঠা যাতে আই.এফ.এস কোড ও অ্যাকাউন্ট নম্বর আছে। (৭). পাসপোর্ট সাইজ রঙিন ছবি দুই কপি। (৮) নিজের বা পরিবারের কারও চালু মোবাইল নম্বর। যাদের স্কুলের পড়াশোনা নেই তাদের ক্ষেত্রে আধার কার্ডের জন্মতারিখটি গ্রহণ করা হতে পারে, ভ্যালিড। (৯) বয়সের প্রমাণ হিসেবে অ্যাফিডেভিট চলবে কিনা তা ক্যাম্প অফিস বলতে পারবে।

ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট করা নিয়ে একটু সমস্যা হয়েছে। এখন দেখা যাচ্ছে স্কুল কলেজের ছেলেমেয়েদের অ্যাকাউন্ট আছে। বাবার অ্যাকাউন্ট আছে। লক্ষ লক্ষ মহিলাদের নিজেদের কোনও অ্যাকাউন্ট নেই। তাই বিরাট সমস্যা যে এই কদিনের মধ্যে ব্যাঙ্ক পারবে কিনা এত এত মহিলাদের সিঙ্গল অ্যাকাউন্ট তৈরি করে দিতে। এই সমস্যা রাজ্য সরকারও বুঝেছে। মনে হচ্ছে এই নির্দিষ্ট বিষয়টি সরকার বিবেচনা করবে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট যেখানে সিঙ্গল থাকবে না, সেখানে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট চলতে পারে। আরও কয়েকটি সমস্যা হবে। যেরকম জয়েন্ট ফ্যামিলিগুলো স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করিয়েছে একজন বয়স্কা মহিলার নামে কিন্তু আদতে সেখানে একই বাড়িতে দুটি বা তিনটি হাঁড়ি আছে এই ক্ষেত্রে দুই বৌমা আবেদন কীভাবে করবে ? কারণ বড় ছেলে সরকারি কর্মী। মেজ ও ছোট ছেলে কিছুই করে না। এইরকম জয়েন্ট ফ্যামিলির কি হবে ? এইক্ষেত্রে দুই বউমাই পাবেন।

আর একটি প্রবলেম হতে পারে তা হলো যাদের বয়সের কোনও শংসাপত্রই নেই। কেবলমাত্র ভোটার কার্ড বা রেশন কার্ডের জন্ম তারিখ দিয়ে চলে যাচ্ছিল এতদিন। এখনও বহু মানুষ আধার কার্ডে জন্মতারিখ নথিভুক্ত করেননি, এই ধরনের জটিলতার জন্য। এ ছাড়া আর এক ধরনের জন্মতারিখ নিয়ে জটিলতা আছে যা গেঁতোমির জন্য সংশোধন করা হয়নি। কারণ আধার কার্ডের জন্ম তারিখের সঙ্গে তার ভোটার কার্ড ও অন্যান্য জন্ম তারিখের কোনও মিল নেই। এই কারণে একবছর বা ছয়মাসের তফাৎ থেকে গেছে নিজের বয়সের। আমি বলবো সব সময় আধার কার্ডের জন্মতারিখ মেনে নিলে সমস্যার সহজ সমাধান হয়ে যাবে। কারও জন্মতারিখ নেই তার ক্ষেত্রে অ্যাফিডেভিড নিয়ে সমস্যা মেটানো যেতে পারে। টাকার লোভে কেউ যদি দু তিন জায়গায় দু তিন রকম জন্মতারিখ রাখেন, তাহলে ভবিষ্যতে আপনার সমূহ ক্ষতি করতে পারে।

পশ্চিমবঙ্গ লক্ষ্মী ভাণ্ডার প্রকল্পের আওতায় আবেদন করার পদ্ধতি:- লক্ষ্মীর ভান্ডারের আবেদনটি নিয়ে বাড়িতে আনার পর সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি অর্থাৎ নিজের কাছে থাকা কাগজপত্রগুলি সংগ্রহ করতে হবে এবং এরপর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার আবেদন ফর্মের অধীনে থাকা সমস্ত প্রয়োজনীয় বিবরণ পূরণ করা শুরু করুন। দয়া করে দুয়ারে সরকার থেকে দেওয়া নিবন্ধন নম্বর টি পূরণ করুন সবার আগে। আবেদন পত্র সংগ্রহ করার দিনে এই নম্বর ফরমে লিখে দিতে পারে, আগে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প হয়ে তবেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ক্যাম্পে যেতে পারবেন (রেজিস্ট্রেশন করুন)।

স্বাস্থসাথী কার্ডের নম্বরটি ফরমে লাগবে। আগে থেকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকলে, এই আওতার অধীনে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রয়োজন হবে। তাই এই কার্ড না থাকলেও আবেদন করা যাবে। ফরম্ জমা দিয়ে আধিকারিককে জানাবেন আপনার স্বাস্থ্য সাথী কার্ড হয়নি। তখন অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হবে এবং ততক্ষণ আপনার লক্ষ্মীর ভান্ডারের আবেদনটি অস্থায়ী ভাবে জমা হয়ে পড়ে থাকবে। কিন্তু স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকলেও লক্ষ্মীর ভান্ডারে আবেদন জমা করা যাবে অথবা স্থানীয় প্রশাসন এই বিষয়ে সাহায্য করতে বাধ্য থাকবেন। এই বিষয়ে নিয়ম সরকার প্রতিনিয়ত আপডেট করে সংশোধন করছে।

আবেদনকারীকে তার দেওয়া সমস্ত জেরক্স কপিতে নিজেকে স্বাক্ষর করতে হবে। ফরমে স্বাক্ষর করতে হবে। স্বাক্ষর না করতে পারলে টিপসই দিতে হবে।

ফরমে লাগবেঃ পরিবারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নম্বর। যাদের নেই ফাঁকা থাকবে। আধার নং। আবেদনকারী সুবিধা প্রাপ্তের নাম। মোবাইল নম্বর। ইমেইল আইডি না থাকলে দেওয়ার দরকার নেই)। জন্ম তারিখ। বাবার নাম। মায়ের নাম। স্বামীর নাম। ঠিকানা। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বিবরণী। এই সমস্ত বিবরণ পূরণ করার পর এখন আপনাকে স্বয়ং ঘোষণা ফর্ম পূরণ করতে হবে। যাতে বলা আছে সবকিছু তথ্য আপনি সঠিক ও সত্য দিচ্ছেন। সঙ্গে একটি ক্যান্সেল লেখা চেকের ফাঁকা পাতা, যেখানে স্বাক্ষরের জায়গাটি ক্রস করে দেবেন, চেকের কোথাও সই-স্বাক্ষর করবেন না। একটি ছবি ফরমে মেরে দেবেন আর একটি ছবি ফরমের বামদিকে স্টেপল্ করে দিন। এইসব হলে আসল ফরম্যাট সাবধানে পূরণ করে সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা দিন।

এইবার আপনাদের কয়েকটি কথা পরিষ্কার করে বলছি। ফরম্ পূরণের সময় ধৈর্য ধরে লিখুন অথবা কাউকে লিখে দিতে বলুন। ফরম্ যেদিন জমা হবে সেইদিন আপনার ফোনে এস.এম.এস আসবে। তাই
ফোনের মেসেজ বাক্স বা ইনবক্স পরিষ্কার করুন।

আমার জীবনের কথা


■ অলোকের ঝর্নাধারায়
◆ (আমার টুকরো জীবন) পর্ব-১১

● মূর্তি সাহেবের কোনও পুত্র ছিলনা। আমার বাবা ও উনি দুজনে দুজনকেই স্নেহ ও শ্রদ্ধায় এতটাই কাছাকাছি করে নিলেন যে কলকাতা এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ থেকে আমার বাবার নাম রেকমেন্ড করে তিনি আনালেন, এখনও ওই নিয়ম এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জে আছে, কারণ এটা সংবিধানে আছে। যতদিন মূর্তি সাহেব অবসর নেননি, আমার বাবা পিতার মতো তাঁকে মনে করতেন। এমনকি অফিসের বাইরে তাঁর ব্যক্তিগত কাজ পর্যন্ত করে দিতেন। ব্যাঙ্কের কাজ রেলের টিকিট কাটা এগুলো করতে পারলে আমার বাবাও আনন্দ পেতেন। ল্যাবরেটরিতে কাজ করতে গিয়ে ছেলেখেলা করলে কি ধরনের ভয়ঙ্কর বিপদ হয়
তা অন্যদিন বলবো। যাইহোক চাকরি একটা হলেও কেন্দ্রীয় সরকারের বেতন কিন্তু ভালো ছিল না তখন। তাই স্বাভাবিক ভাবেই কেন্দ্রীয় অফিসগুলোতে বামপন্থী ছাড়া কংগ্রেসের আই.এন.টি.ইউ.সি পাত্তা পেত না। অনেকেই নেহরু নীতির সুখ্যাতি করলেও নেহরু ইন্দিরার ব্যাপারে কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা প্রবল ক্ষিপ্ত ছিলেন। খবর কাগজগুলো কখনও তাদের সেই বেদনা তুলে ধরেনি। যাইহোক একদম যাদের খাওয়াপরা জুটতো না তাদের একটা সুরাহা হলো ব‌ইকি। আমাদের অল্প স্বচ্ছলতা এলো। সকালে বাসি রুটির বদলে এলো পাঁউরুটি। সন্ধ্যায় এলো মায়ের তৈরি সাদা ময়দার পাতলা পাতলা পরটা আর আলুর দম। এটাই আমাদের সংসারের পেটেন্ট জলখাবার হলো। আমার মায়ের রান্না তখন তেলে ঝালে গরগরে। তিনবেলা ভালোভাবে খাওয়া জুটতো না যাদের তাদের কাছে এছিল চরম পাওয়া। প্রথমেই বলেছি আমরা জমিদার ছিলাম। প্রজাদের আনা বিলে তখন বছরে পাওয়া যেত তিনটাকা, তাও অনেকেই খাজনা দিতেন না। সেইসব জড় করে ৫ ভাগ আর কটাকা। অন্যরা প্রজাদের জমি বিক্রি করতে পারলেও আমাদের যারা প্রজা ছিল তাদের স্বত্ব না থাকলেও সরকারি কর্মচারি ও অফিসাররা কয়েকলক্ষ টাকা ঘুষ চাওয়ায় আমাদের ওইজমি পড়ে আছে প্রজাদের কাছে। আমাদের নয়, সরকারের নয় ভোগদখলকারীদের‌ও নয়। যা আইন তাতে আমরা কিছু না পেলেও ভবিষ্যতে কারা ওই জমি পাবে সরকার জানেনা। আমরা আশা করিও না। যাইহোক বাবার চাকরির ফলে কিন্তু আমাদের তখন আনন্দের দিন। প্রতিদিন সন্ধ্যায় মূর্তি সাহেবের গল্প শোনা আমাদের সংসারের একটা অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। এক অনাত্মীয় যে, এইভাবে একটা সংসারের কাছে দেবতা হয়ে উঠতে পারেন তা শুধুমাত্র আমরাই জানতাম। কাছের রক্তমাংসের মানুষের থেকেও যে দূরের একজন প্রকৃত আপনজন হয়ে উঠতে পারেন তার প্রমাণ আমরা পেয়ে গেলাম। জন্মদাতা পিতার উপেক্ষিত সন্তান মধ্য বয়সে এসে তার বাবা খুঁজে পেয়েছিলেন। একজন অপরিচিত দক্ষিণ ভারতীয় আমাদের কাছে হয়ে উঠেছিলেন মহাদেবতা। তবে উনি কখনও আমাদের বাড়ি আসেননি। আমার মা, লক্ষ্মী-ঘিয়ের পরটা ও আলুরদম পাঠাতেন ড.মূর্তির জন্য। নিরামিষ ভালো রান্না হলে আমার বাবার এই পিতার জন্যে তাও প্রায়ই যেত। তার সঙ্গে অন্যান্যদের জন্যে সেই যে পরটা আলুরদম লুচি পাঠানো শুরু হয়েছিল তা বাবার চাকরি জীবনে কখনও ছেদ পড়েনি। যতদিন না আমার বাবা অবসর নিয়েছেন ততদিন আমার মায়ের হাতের সাদা ময়দার পরটা আর আলুরদম, ধোঁকার ডানলা, ঘুঘনি জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার অনেকেই খেয়েছেন। স্বনামধন্য শৈলেন মান্না অন্য ডিপার্টমেন্টে চাকরি করতেন এবং হাওড়ায় আমাদের বাড়ির কাছে তাঁর বাড়ি হ‌ওয়ায় আমার বাবাকে শৈলেন মান্না চিনতেন। মাঠে ঢোকার জন্য তখন বড় বড় খেলোয়াড়রা সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে মাঠে ঢোকার পাশ করে দিতে পারতেন। কত বিশ্বাসযোগ্যতার ওপর চলতো দুনিয়া। শৈলেন মান্নার কাছ থেকে সেই পাশ নিতে বাবা বাড়িতে এবং অফিসের টেবিলে প্রায় যেতেন। একদিন ইয়ার্কি করে তিনি বললেন, ''কি রে কুন্ডু, খালি মাঠে ঢোকার স্লিপ দাও মান্নাদা, আর পরটা খাবে অন্যরা সবাই।" এরপর এক দুদিন শৈলেন মান্নার জন্যেও ওই খাবার গিয়েছিল। পরে শৈলেন মান্না বারণ করেছিলেন। মোহনবাগানের আর এক ফুটবলার কম্পটন দত্তরাও ওই অফিসে কাজ করতেন। বয়সে অনেক জুনিয়র, কম্পটন দত্তর জন্য তো প্রায় রোজ টিফিন যেত। শেষে মা আর অত পারতো না। রাগারাগি হয়ে যেত। তারপর ঠিক হলো সপ্তাহে এক‌আধ দিন ৩০/৪০ টা করে পরটা যাবে সঙ্গে ১৫ জনের আলুর দম। তবে আপনারা যারা নেহরু ও ইন্দিরাগান্ধীর অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা বলে পাগল হয়ে যান। ওই দুজনকে আমার বাবা কিন্তু রীতিমতো ঘেন্না করতেন। ১৯৮৩ সালে আমার বাবা অবসর নিয়েছিলেন তখন‌ও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারিদের বেতন খুব একটা ভালো ছিলনা। যারা টি.এ পেতেন বা ট্যুর করতেন তবু তারা ভালোভাবে সংসার চালাতে পারতেন। বাবা মাইনের সমস্ত টাকাটাই মার হাতে তুলে দিতেন। নরসিমা রাও ও মনমোহন সিং না এলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারিরা দীনদরিদ্র হয়ে চিরকাল থাকতেন। তবে পরে আমার বাবা ও মা ভালো পেনশন ও পারিবারিক পেনশন পেতেন। ( ক্রমশ:) অলোক কুন্ডু । ২৯/৯/২০।।

বুধবার, ২৫ মে, ২০২২

ঝড়ঝঞ্ঝায় কার লাভ

ইয়াসের লন্ডভন্ডের চেয়ে সুপারি কিলার সংবাদের যশ বিতরণ / অলোক কুন্ডু 

এমন তো নয় যে ঘূর্ণিঝড় এই প্রথম হলো গো। কিন্তু মিডিয়ার নাটক বাজি যেন একটু বেশি মনে হলো না। দীঘার কাজুবাদামের দোকানের ভেতরে মোটরবাইক ভাসছে, কেমন যেন মজা লাগলো। আরে গোসাবা, হিঞ্জলগঞ্জ, নামখানা, মালঞ্চ, পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল কোথায় গেল। হাওড়ার শ্যামপুর কই? বাড়িঘর ছেড়ে ঘর-গেরস্থালি ছেড়ে কে কবে সহজে চলে যেতে চায়? পারে না সহজে। গৃহপালিত পশুগুলো আজ কোথায় যাবে ? হাজার ঝড় জলের ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েও মানুষ সরে যায় নি কখনও। শেষ পর্যন্ত রেসকিউ করতে হয় তাদের। গবাদি পশুর জন্য অবশ্যই সেল্টার বাড়াতে হবে। ৭৫ বছর শুধু কেন বৃটিশদের সাহায্যও সব জলের মধ্যে ঢুকে গেছে সেই কবে। কিছুই হয়নি। এই রাজ্যের ৩৪ বছরের বন্যার হিসেবের কোটি কোটি টাকার হিসেব আজ পাওয়া যাবেনা। ত্রাণ দিয়ে ভোটার ক্রয় করা ছাড়া এখানকার রাজনৈতিক দলের আর কোনও গুণাবলী দেখতে পাওয়া যাবেনা। যায়নি। আজ পর্যন্ত যত ঝড়ঝঞ্ঝা হয়েছে তত লাভবান হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। অবশ্যই গ্রামে গ্রামে যে বামেদের কোথাও কোথাও দোতলা অফিস হয়েছে তার পয়সার সবটাই তো বন্যা আর ঘূর্ণিঝড় থেকে। সে যাকগে। কিন্তু কোনও নেতা এই আমদানি থেকে আজ পর্যন্ত বাদ যায়নি বোধহয়। স্বাধীনতার পর একটু একটু করে করলেও এতদিনে তো দু হাজার কিলোমিটার জুড়ে পাকা ঘরবাড়ি ও পাকা বাঁধ করে দেওয়া হয়ে যেত। পাকা বাড়ি না করলেও চলতো। যদি উপকূল তীরবর্তী অঞ্চলকে একটা মাষ্টার প্ল্যান করে নিয়ে, ভাগ ভাগ করে জায়গায় জায়গায় চৌবাচ্চা সিস্টেমে গ্রামকে গ্রাম ঘিরে রাখা যেত। সেল্টারও কি দু একটাও করা যেত না? কিন্তু কোনও কিছুই হয়ে ওঠেনি। এখন তো সাংবাদিকরা এমন করছে যেন কোথা থেকে গোপনে তারাও টাকা পয়সা পেয়েছে, অথবা কোনও দিক থেকে সুপারি পেয়েছে। হাবুডুবু খাচ্ছে আধা কোমর জলে সেকি রেসকিউয়ের ধুম। জলের তোড় এলে ইন্টারভিউ দিতে দিতে রেসকিউ বেরিয়ে যাবে তখন। একেবারে নাচনকোদন করে টিভি ফুটেজ। যেন ল্যান্ডফলটা দীঘাজুড়েই হয়েছে, হয়তো পশ্চিমবঙ্গেই। কলকাতা টিভির মহিলা সাংবাদিক এবং তাদের ড্রাইভার তো এমন কাঁদছে যেন পুত্রসন্তান মরে গেছে। ল্যান্ডফল যেন দীঘাতেই হয়েছে। এত তোড়ে জল এলে তো ভেসে তো গেছেই অনেক কিছু। সমুদ্রের একহাত দূরে পর্যন্ত ১০ বছর আগেও কোনও দোকানঘর ছিলনা, সবগুলো প্রায় এক মানুষ জলে। কিন্তু এইভাবে দলে দলে দীঘাতেই বা কেন এত সাংবাদিক গেলেন। কি টিআরপির গুণরে বাবা। উপকূল বরাবর হয়েছে বিপদ, জলচ্ছাস হবেই তো। সমুদ্রকে যেখানে যেখানে ঘিরে ফেলা হয়েছে সেখানে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হবে, মন্দারমণি তো উদাহরণ আছে। নদী সাগর উত্তাল তো হয়েছে। সাংবাদিকরাও কেন্দ্রীয় টাকার ভাগ পাবে বলে অনেকে ফেসবুকে বলছেন, মহা হাসির খোরাক। কেউ আবার পুরনো ফুটেজ দেখাচ্ছেন। ঘূর্ণিঝড় এই প্রথম নয় এবং এবারে সবথেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি এমনও নয় রে বাপ। ৭৫ বছরের ঘোটলা রে এইসব। ঘাটাল ঘাটাল করে সকলেই মরে গেলেন, ঘাটালের মানুষের দুর্দশার কথা কেউ ভাবে না, সেদিকে একবার ক্যামেরা গেলে তো পারতো। উত্তরও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর এমনকি পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়াতেও প্রতিবার লক্ষ লক্ষ মানুষ ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে পড়ে যান। নদী বাঁধের ধারে ঘরবাড়ি হলে কি যে দুর্দশা হয় তা দামোদরের দুই পারের মানুষের বাস্তব অভিজ্ঞতা কিছু কম নয়। ঘূর্ণিঝড় আর বন্যা যাই হোক না কেন মশা, সাপ আর পেটের অসুখেও লোক মরে যায় প্রচুর। বিপর্যস্ত মানুষগুলোর আর কিছু করার থাকেনা তখন, তারা পায় খালি চিঁড়েগুড়, পলিথিন সিট আর হাতে কিছু আর্থিক সাহায্য। বাম আমল থেকে এই আমল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় অর্থ লুট, এইকারণে একটা বেশ মওকা হয়ে গেছে। হরিলুটের টাকার যেমন হিসেব হয়না তেমনি প্ল্যানও হয়না। দীঘার সি-বীচে দোকান বসে গেল অনর্গল। আমরা গিয়ে মজা লুটি। পরে সেইসব দোকান ভেসে গেলে আহা-উহু করবো, সাংবাদিকরা দীঘার সি-বীচে জল জমা দেখিয়ে দিচ্ছে। কম কি ? ঘরে বসে এইসব দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। সমুদ্রের ধারে টালি দিয়েও সৌন্দর্য করা উচিত কিনা ভাবা উচিত আমাদের। নাকি গার্ডওয়াল আরও বাড়ানো উচিত। সমূদ্র উপকূলের পাবলিক এরিয়াকে যদি নিয়ন্ত্রণ করা না হয়, যদি ডমিনেট করা না হয়, তবে ক্ষয়ক্ষতি বাড়বে। এত বছরে সুন্দরবন অঞ্চলের মানুষের জন্যই তো তেমন কোনও প্ল্যান করা হলোনা। যদি এমন হতো জায়গা ঘিরে রেখে কংক্রিটের বাঁধ দিয়ে বড় বড় যদি চৌবাচ্চা গড়ে তোলা যেত দশহাজার একর জায়গা জুড়ে। তাহলে কেমন হতো। একটা মাষ্টার প্ল্যান নিয়ে যদি এইরকম চৌবাচ্চা করা হতো বিঘের পর বিঘেতে, হল্যান্ডের অনুকরণে, অন্তত তাদের ১০% যদি করা হতো এখানে। হল্যান্ড তো পুরোটাই বাটির মতো। সমূদ্র থেকে এক কিলোমিটার দূরে যদি এইরকম গ্রামপরিধি সরকার গড়ে তুলতো এবং লোককে যদি বলতো ওই গ্রামেই সকল নিম্ন আয়ের ও গরিবদের বাড়ি করতে হবে। তার জন্য জল প্রকল্প থেকে নিকাশি প্রকল্প ও বাড়ি ঘরের প্ল্যান সরকারের মতেই করতে হবে। যদি নদী বাঁধগুলি আরও চওড়া করে তৈরি করা হতো এবং পাঁচ ফুট অন্তর ব্যাপক বনসৃজন করা হতো। তাহলে অন্যরকম একটু হতো। বাঁধের কাজ কিছুটা হওয়ার পর যদি বাঁধের দুফুট ভেতরে পলিথিনের সিট দিয়ে একপ্রস্থ বাঁধরক্ষার প্ল্যান করা হতো তবে ওপরের দু-ফুট মাটি ধুয়ে গেলেও ভেতরের পলিথিন কিন্তু সহজে জলের তোড়ের কাছে মাথা নত করতো না। পারলে পলিথিনের ব্যাগ তৈরি করে তার ভেতর মাটি দিয়েও বাঁধের উপরি ভাগের দেওয়াল রক্ষা করা যায়। যাই করা হোক না কেন, একটা যেন মাষ্টার প্ল্যান করা হয় কিন্তু এই ৭৫ বছরে মনে হয় তা কিছুই হয়নি। বসতিপূর্ণ অঞ্চলগুলিকে যদি পৃথকভাবেই প্রথম থেকে তৈরি করা যেত। পঞ্চায়েত যদি এই ৪৪ বছরে কঠোর হতো। তাহলেও হতো। উপকূল অঞ্চলে তো পঞ্চায়েতের একমাত্র কাজ হতে পারতো উপকূল বাঁচাতে চাওয়া। প্রতিবারে কয়েক হাজার কোটি এইভাবে জলাঞ্জলি দিতে কখনও হতোনা। জনজীবন বাঁচাবো কি না ? এই প্ল্যান করেই তো ১৯৭৭ সাল থেকে বামেরা মাঠে নামতে পারতো। আজ নিউটাউন গড়ে বামেরা যত কৃষককে বাস্তুচ্যুত করেছে তার থেকে বেশি নাম করতে তারা পারতো উপকূলীয় মানুষের রুজিরোজগার ও জীবন বাঁচানোর জন্য এক মাষ্টার প্ল্যান করে। কাঁচা বাঁধের ভেতরের জমিগুলোকেও জায়গায় জায়গায় ক্রংক্রিটের পাঁচিল দিয়ে ভাগ করে দেওয়া যদি হতো তাহলে বাঁধ ভাঙলেও গ্রামগুলোর মাঝ বরাবর ব্যাপক জল খালের মধ্য দিয়ে বহুদূরে পাঠিয়ে দেওয়া যেত এবং তার তেজও কমে যেত। এদিকে গ্রামের ভেতরের রাস্তা ও ঘরবাড়ি থাকতো ঘেরা চৌবাচ্চার মধ্যে। প্লাবনের জলকে বসতির কাছে না আসতে দেওয়ার একটি মাষ্টার প্ল্যান তৈরি করা উচিত ছিল। আর ওই এরিয়ার বাইরে যারা বাড়িঘর করবেন তাদের উপযুক্ত ভিত দিয়েই তবে বাড়িঘর করতে হবে নিজেদের মতো করে হলেও প্ল্যান ও দৃষ্টিভঙ্গিতে একটা উত্তরণের ভাবনা থাখতে হবে এবং আগে হলেও হতে পারতো। এইরকম মাষ্টার প্ল্যান করার কোনও ব্যবস্থা হয়নি। এখনও সময় আছে উপকূল এরিয়া ও বন্যা কবলিত এলাকায় মাষ্টার প্ল্যান করা হোক। সমূদ্র উপকূলকে সৌন্দর্য করতে হলে সমুদ্রের প্রাকৃতিক স্থানটি ছেড়ে করা উচিত। কতটা উঁচুতে ওইসব দোকান ঘর, বাড়িঘর করা উচিত এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক নিয়মশৃঙ্খলা মেনে করা উচিত। তাছাড়া সুন্দরবনের বসতীপূর্ণ অঞ্চলকে চিহ্নিত করে চৌবাচ্চায় রূপান্তরিত করতে হবে। সি বিচের গা ঘেঁষে ব্যবসা ও বসতি গড়ে তোলার বিষয়ে একটি কঠোর আইন করা দরকার। সঙ্গে সঙ্গে উপকূলের বিদ্যালয় গুলিতে আরও পরিকাঠামো উন্নয়ন ঘটাতে হবে। সেখানে জলের রিজার্ভার থেকে জনতা পায়খানা ও দোতালায় থাকার ব্যবস্থা আরও বাড়াতে হবে। সমুদ্র উপকূলেও সেল্টার বাড়াতে হবে। বড় নদী ও সমুদ্রের ধারে জনবসতি কমাতে হবে। পর্যাপ্ত মশারী, পাউচের পানীয় জলের ব্যবস্থা, পাম্প সেট, গোডাউন এবং গ্রামে গ্রামে সিভিল ডিফেন্স স্বেচ্ছাসেবকদের টিম গড়ে তুলতে হবে। এইসব না থাকলেই সাংবাদিক ও তার ক্যামেরা ম্যান হাঁটু জলে স্থানীয়দের বলবে সাঁতার কাটুন সাঁতার কাটুন, আমরা ছবি তুলে বলবো জলচ্ছাসে রেসকিউ টিম কেমন সাঁতার কাটছে, আর ল্যান্ডফল হয়েছে আসলে এই প্রথম ২০২১-এ। ইতিপূর্বে যে সব ১২৩/১৩০ কিমি ঝড় হয়েছে তার জন্য কিছুই দুরবস্থা কখনও হয়নি কোথাও। ©® অলোক কুন্ডু

বানিহাল থেকে শ্রীনগর ডি.এম.ইউ

বানিহাল থেকে গত ১১.৪.২০২২ এসেছিলাম ডিএমইউhttps://m.facebook.com/story.php?story_fbid=956144081760444&id=124001074974753
ট্রেনে চেপে। তার আগে অবশ্য ৩০০ টাকা দিয়ে শেয়ারে প্রাইভেট গাড়ি চেপে শ্রীনগরের নওগা থেকে
পৌঁছে গেলাম বানিহালে। ১১ কিমি বানিহাল জওহর ট্যানেল পেরিয়ে। ফিরলাম ট্রেনে করে ২.৪৫ -এ ট্রেন।
১.২৩ -এ বানিহালে পৌঁছে টিকিট কাটলাম। ৪৫ টাকার টিকিট কাটতে ৫০ টাকা দিতে কাউন্টারের ভেতর থেকে
ওধারে বসা ভদ্রলোক বললেন ৫ টাকা তো ফেরত দিতে
পারবো না। আমি পরের ভদ্রলোককে ওনার ৫+৫=১০
দিয়ে দিচ্ছি। আমি বললাম আপত্তি নেই। ওই ব্যক্তি বললেন, দাদা আপ দশ রুপিয়া লিজিয়ে। এ তো খুব মুস্কিল। তাই আমি বললাম আপ লে লিজিয়ে। এতে বুঝলাম যে কাশ্মীরীরা কত সৎ।

মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০২২

অতঃপর মহামান্য আদালতের রায়ে ডিএ কি পাওয়া যাবে

রাজ্য সরকার কর্মচারীদের ডি.এ নিয়ে কি সুপ্রিম কোর্টে যাবে ? এই প্রশ্ন লাখ টাকার হলেও যেতে পারে এবং এতে আরও ৭/৮ মাস সময় নষ্ট হবে। তা হোক। কর্মচারীদের মনোবল ভাঙার উদ্দেশ্য তো সরকারের থাকতেই পারে। তবে সরকার এর মধ্যেই পুজোর সময় ৭% ডিএ দিয়ে দিতে পারে এই জন্য, যে হাইকোর্টের রায়ের অবমাননাও তাতে হবে না। খানিকটা নিষ্কৃতি পাওয়া যেতে পারে। সরকার বলতে পারে আমার কাছে ডিএ দেওয়ার মতো কোনও অর্থ সংস্থান নেই। যতটুকু ছিল, তা কুড়িয়ে বাড়িয়ে দিয়েছি। বরং আদালতের কাছে এই বলে প্রশ্ন রাখতে পারে যে রাজ্য সরকারের এখন প্রচুর দায়। রাজ্যের মানুষের স্বাস্থ্যের কথা তাদের ভাবতে হয়েছে বলেই না তারা স্বাস্থ্যসাথীর মতো একটি জনহিতকর প্রচেষ্টা চালাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। গরীব মেয়েদের দুর্দশায় বঞ্চিত মেয়েদের জন্য লক্ষ্মীর ভান্ডার কি তারা ডিএ-র জন্য তুলে দিতে পারে ? রাজ্য সরকার যদি আদালতে যায় তবে রিটে লক্ষ্মীর ভান্ডারের কথা তারা যুক্ত করে দিতে পারে। রিটে টাকা না থাকার কথা বলতে গিয়ে এইসব জনপ্রিয় আর্থিক ব্যয়ের কথা সরকার তুলে ধরতে পারে। কারণ সরকারের কাছে এইসব প্রচেষ্টা ঢাল স্বরূপ। এতে করে রাজ্য সরকার আদালতের কাছে মার্জনা চাইতে পারে, সময় চাইতে পারে। তাই কিছুটা ভাগ ডিএ, সরকার কর্মচারীদের দিয়ে দিতে পারে বর্তমান রায়ের ভিত্তিতে। তবে আদালতের সম্পূর্ণ রায় মানতে তারা আদালতের কাছেই আবেদন করতে পারে। তাতে লাঠিও ভাঙলো না সাপও মরলো না। আগামী বছর আরও ৩% কি ৪% ডিএ দিয়ে দেবে এবং বলতে পারে সরকার আদালত ও রাজ্যবাসী দুটোকেই মান্যতা দিলাম। কারণ একেবারে ডিএ না দিলে কোর্টের অবমাননা হবে। তাতে মুখ্যসচিবের হয়তো জেল জরিমানার অর্ডার আদালত দিতে পারে। তবে ডিএ একদম না দিলে উচ্চ আদালতের কি ভূমিকা হবে। নিশ্চিতরূপে আদালত রাজ্য সরকারের সমালোচনা করতে পারে মুখ্যসচিবকে, সাত দিনের জেল দিতে পারে এর বেশি মনে হয় আদালত কিছু করবে না। সরকারকে ফেলে দেওয়ার কথা বলতে আদালত বলতে মনে হয় পারতে নাও পারে। ডিএ না দিলে সাংবিধানিক সংকট হতে পারে। কিন্তু রাজ্য সরকারের সদিচ্ছা না থাকলে আদালত জোরাজুরি করতে পারে কি না এ প্রশ্ন লাখ টাকার। কর্মচারীদের যা অবস্থা তাতে তারা আন্দোলন করার ক্ষমতায় নেই। আইএএস / ডব্লিউবিসিএসরা ৩৩/৩৪ হাজার টাকা অতিরিক্ত পেতে শুরু করেছেন, অতএব ডিএ-র সঙ্গে তাদের আর কোনও স্বার্থ জড়িয়ে নেই। তাদের অ্যাসোসিয়েশন এই বিষয়ে মাথা ঘামাবেও না। তৃণমূল সরকারি কর্মচারীরাও এই বিষয়ে মাথা ঘামাবে না। পড়ে থাকবে মুষ্টিমেয় কর্মচারী। তারা আন্দোলন করলে নির্ঘাৎ জেল খেটে মরবেন। আদালতে বার বার মামলা হবে নতুন ভাবে। মোদ্দা কথা ডিএ নিয়ে যে মামলা চূড়ান্ত বিষয়ে নিষ্পত্তি হয়ে গেছে এই কথা চ্যালেঞ্জ নিয়ে কেউ বলতে পারবে না এখন। সকলেই জানে হয়তো সরকারের সঙ্গে আরও আইনি লড়াই হবে। তবু আশা করা যায় রাজ্য সরকারের অফিসাররাও বুঝছে ডিএ একেবারে না দিলে যে সাংবিধানিক সংকট হতে পারে তা থেকে তাদেরও মুক্তি নেই। তারা ফাইলে কি লিখবেন তবে। সরকার মানে তো শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী নন, শুধুমাত্র একটা রাজনৈতিক দলের সরকার নয়। সরকার মানে সকলের সরকার। সরকার পরিচালনা করেন আইএএস বা সচিবরা। তারা সংবিধানের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এখন দেখার রাজ্য সরকারের অফিসারদের নিচু তলা থেকে অর্থসচিব মুখ্যসচিব ডিএ দেওয়ার বিষয়ে কি বলেন বা ফাইলে কি লেখেন। তারা সরকারকে যে পরামর্শ দেন, মুখ্যমন্ত্রী তাতে স্বাক্ষর করেন একেবারে শেষে। কিন্তু তার আগে অন্ততপক্ষে চার/ পাঁচজন অফিসারকে একটা মতামত দিতে হবে। 
সরকারের মনোভাব বুঝে মতামত দিলেও সেই মতামতকে হতে হবে সাংবিধানিক এবং আইনের বাধ্যতামূলক নীতির উপর। তবে অনেকের ধারণা সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে সরকার সময় নিতে চাইবে। কারণ তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে যে কোনও ভোটে জিতে আসার জন্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের কাউকে প্রয়োজনে আর লাগেনা। অবশ্যই এখানে বলে রাখা ভালো এই মূহুর্তে সরকার বুদ্ধি করে এখনই রাজ্য সরকার ও শিক্ষকদের মধ্যে ডিএ নিয়ে বিভাজন সৃষ্টি করে দিতে পারে এবং তাতে আরও অনেকগুলো মামলার সম্মুখীন সরকারকে হতে হবে বটে কিন্তু এখন বছর দুই সরকার শুধুমাত্র সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মিটিয়ে দিলেই চলবে। এই মূহুর্তে ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারের যে সংকট উপস্থিত হয়েছে তাতে এই মূহুর্তে দুঁদে রাজনীতিক প্রণব মুখার্জির মতো একজন পরামর্শ দাতার দরকার ছিল। এই মূহুর্তে শিক্ষকদের মধ্যেও একটা ধারণা সৃষ্টি হয়েছে। এখনই শিক্ষকরা আদালতের রায়ে যে ডিএ পাওনা হয় তা শিক্ষকরা হয়তো পাবেন না। তাদেরও আরও লড়াই করে তবে সরকারি কর্মচারীদের মতো দাবি আদায় করতে হবে। এখন এই মূহুর্তে সকলকে ডিএ না দিলে সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষকরা স্যোশাল মিডিয়ায় যে মিনিটে মিনিটে আন্দোলন ও সরকার বিরোধী ভাব প্রকাশ করে চলছে তা আরও শতগুণ বৃদ্ধি পাবে। তবুও এই বিরূপ প্রচারে তৃণমূল সরকারের ভোট একটাও কমবে না। কারণ ভোটের বিষয়টা এই রাজ্যে যে যখন রাজত্বে থাকে তখনই তাদের হারানো মুস্কিল হয়ে ওঠে।
কংগ্রেস ৩০ বছর বামফ্রন্ট ৩৪ বছর তৃণমূল কংগ্রেসও মোটামুটি ৩০ বছর রাজত্বে থেকে যাবে হেসেখেলে। তাই বর্তমান সরকার এই ডিএ এখন অল্প অল্প করে দিতে পারে সবটা দিয়ে দেওয়ার তার পরিকল্পনা কিছুতেই থাকবে না। তাদের হাতে আরও আর্থিক সহায়তা রাখতে হবে কারণ তারা এখনও এখানে রাজত্বে থাকবে।
©® অলোক কুন্ডু

প্রয়াত তরুণ মজুমদার--অলোক কুন্ডু

#তরুণ_মজুমদার_চলেগেলেন অধিকার এই শিরোনামে--কয়লাখনির শ্রমিকদের জন্য ডকুমেন্টারি বানিয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত পরিচালক তরুণ মজুমদার। ছিলেন আজীবন বাম...