বুধবার, ২৮ জুন, ২০১৭

জিটিএস গদ্য

GTS এ মধ্যবিত্তর লাভ বেশি এবং জিটিএস
রিটার্ন দাখিল না করে আর ব্যবসা করা যাবেনা
এক কথায় বিলহীন ব্যবসার সমাপ্তি
*******************************
যদিও সরকার -" ওয়াররুম " চালু করেছে
তবু বলবো জানিনা কীসের ভিত্তিতে GTS
বুঝবো কোন লোকটা ঠিক বলছে । দোকানে
গেলে এখনই ব্যবসায়ীরা যেভাবে লাফাচ্ছে তখন
তো তিন ডবল লাফাবে তখন আমরা পাতি
জনগণ কী করবো ?! কীভাবে বোঝা যাবে
যে দেশে কোনো দোকান বিল দেয়না । আমি
বেশ কিছু জিনিস মল না মাড়িয়ে বড় মার্কেট
থেকে কিনি । একটা উদাহরণ দিই । গদিতে
জামার / শালোয়ারের /ড্রেস ম্যাটিরিয়ালের
দাম মিটার প্রতি ৩০/- থেকে ৩৫/- পড়ে ।
সেই জিনিস আমি যখন কিনি তখন
সেটা খুচরো দোকান থেকে ১০০/১৫০/
২০০ টাকা দিয়ে কিনি ( GTS এর আগের
কথা ) । কিন্তু সেই গদির জিনিসপত্র
যেই দু বা তিন হাত ফেরত হচ্ছে তখনই
দাম বাড়ে কারণ আমি  ৩০/- দিয়ে কিনতে
চাইলে গদিওলা আমাকে ৫০/১০০/১৫০
মিটার কিনতে বলে । কোয়ানটিটির
ওপর দাম বাড়ে কমে । যে গদি ব্যবসায়ী
এক কোটি ইনভেস্ট করেছে সে আমাকে
কেন  ৩০/- টাকা দরে মাত্র ১ মিটার জিনিস
দেবে । এটা এক রকম ব্যবসার কথা বললাম ।
সমস্ত ব্যবসার নেচার ভিন্নতর । আলু
আর দূধ এক নয় । দাম প্রিন্ট করা ব্যবসা
আর না প্রিন্ট থাকা প্রোডাক্ট । হাজার
রকম ভ্যারাইটি । বাঙালির মাছের দাম
পুকুরের বা সমুদ্রের গোড়ায় বসে ট্যাক্স
নিয়ে দাম খোদাই হবে কি তাহলে ?!! আলোচনা
চাইলে সারারাত লাগবে । সারাদেশে একবার
ট্যাক্স এই বিষয়টা চালু হলে ক্রেতার লাভ
কিন্তু এই দেশে এটা সম্ভব কি ? কংগ্রেস
চালু করতে পারেনি । এখন দেখার কী হয়
আমরা অথৈ জলে । পৃথিবীর বহু দেশে চালু
আছে দেখা গেছে সরকার আর ক্রেতার লাভ
বেশি । ব্যবসায়ীরা কী পরিমাণ লোটে আস্তে
আস্তে জনগণ টের পাবে তাই তাদের নাচন
বেশি । GTS এর সাফল্যের কারণে বিজেপির
লাভ বেশি । দেশের ইনকাম বেশি ব্যবসায়ীরা
তাদের হাতের মুঠোয় এবং সাফল্য তো এক
বছর পরে হলেও আসবে তাই রাজনৈতিক
লাভ বিজেপির । GTS যে দেশ চালু করেছে
তারা কেউ আর তুলে দেয়নি । ব্যবসায়ীরা
যে আসলে বিলহীন তুঘলকি ব্যবসা করতো
এতদিন তাই তাদের ভয় তারা জনগণের কাছ
বরাবর পৌঁছে দিচ্ছে । আজ বুঝতে না পারলেও
যে দেশে জিটিএস হয়েছে তাদের কল্যাণই
হয়েছে । পৃথিবীর বহুদেশে এই কর পদ্ধতি
চালু আছে । ভারতের বয়স সত্তর বছর কিন্তু
এখনও আমি এই ট্যাক্স ব্যবস্থা যে বুঝতে পারিনি
সে কারণে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা কী দায়ি নয় ?

বৃষ্টি ভেজা কাগজের ফুল

বৃষ্টি ভেজা কাগজের ফুল / অলোক কুন্ডু

বৃষ্টিভেজা কাগজের ফুল
যেমন ছিলো তেমনি আছে ।
ইনবক্সে লিখেছিলে-- পাগল হয়েছো না কি
কাগজের ফুল কে বা কাকে দিয়েছে কবে শুনি ?

মেঘের পালক অশ্রুমাখা ঝিরঝিরে কোন জলে
সেদিনও বুঝি এমনি করেই বৃষ্টি হয়েছিল ।
ফুলের কথা ভুলেই ছিলাম প্রায়
কার জন্যে কোন মেলাতে
কিনেছিলাম তবে ?

এত বছর পর আর কী মনে থাকে !
সেসব যেন বৃষ্টি ভেজা ঝাপসা মতো কাচ
পুরনো এক বইয়ের মাঝে খুঁজে পাওয়া আজ
কী নামে যে ডাকি তাকে
মোটেও সে ফুল আকাশকুসুম নয়
সে ফুল তবে কুসুমকোমল হতেও পারে হয়তো ।
ভাবতে ভাবতে আকাশ খানায় ওলোট পালোট
বিকেল থাকতে সন্ধে ঘনিয়ে এলো ।
আর ঠিক তখনই
পাপড়িগুলি খুলতে শুরু করে দিল
একটা একটা করে
মধ্যে তার অলৌকিক এক আলো ।

ভাবতে আমি শুরু করি
কার জন্যে কোন মেলাতে তবে
কিনে ছিলাম এ ফুল আমি
ভাবতে ভাবতে বৃষ্টি ধরে গেছে
কোথায় যেন যাওয়ার বুঝি ছিলো
কোথায় বা আজ যেতে চেয়েছিলাম ।

সবকিছু সেই ফুলকে নিয়ে
এমনই আমি বেখেয়ালি হঠাৎ
দাঁড়িয়ে আছি চারপাশেতে হাঁটু সমান জল ।
এমন সময় পাশের বাড়ির ক্লাস ফোরের
তিন্নি বললো--আমি জানি ,
মনটা তোমার কেন এত খারাপ !
অবাক হয়ে জানতে চাইলাম
অতটুকু মেয়ের কাছে
তিন্নি বললো -- পরে বলবো
আগে বলো ফুলটা আমায় দেবে ?

রবিবার, ২৫ জুন, ২০১৭

অলোক কুন্ডুর কবিতা :: Poetry of alokkundu1302

দুটো উৎসবের দেখা হবেনা কোনোদিন
অলোক কুন্ডু

একেই তোমরা আমার মহান ভারত বলো
ইস্ কি লজ্জা গো আমার ভারতবর্ষ
কোনো রাস্তায় দুটো শোভাযাত্রার দেখা হবেনা কখনো
পুলিশ পাহারায় আমাদের উৎসব পেরোতে থাকবে পথ
সত্তর একাত্তর এইভাবে একদিন শতবর্ষও পার হবে ।

খুশি আর আনন্দ ধর ওদুটো নাম
দুটো শিশুর নাম যে কেউ দিতে পারে
দুটো ধর্মের অনুশাসন আলাদা হতে পারে
ধর্মের পৃথক আচরণে রক্তের রঙ যদি বা বদলায়
শিশুদের কি দোষ বল
এক রাস্তায় ওদের হাত ছেড়ে দিয়ে একবার দেখ
সকলের ভুল ভেঙে যেতে পারে হয়তো ।

কিসের তবে মিথ্যে শ্লোগান শেখালে আমায়
মেরা ভারত মহান
প্রধানমন্ত্রীর ছবি সহ দেওয়াল থেকে খবরের কাগজে
আমিও তো মেনে নিয়েছিলাম ।
তবু দুটো শোভাযাত্রার দেখা হবেনা কখনো
ভারতের অটুট বন্ধন শুধু কি তবে-- কথার কথা ?

দুটো ভিন্ন সংসার এসে মিশে যেতে পারে একটা বংশে
দুটো নদীর সঙ্গমস্থল আমাদের টেনে নিয়ে যায় কতদূর
একটা পর্বতের শিখরে দুটো দেশ থেকে ওঠা যায়
আমরা জানিনা কার জন্যে রক্ত দান করি
কত গুরু-শিষ্য ধর্ম দেখেনি কোনো দিন
তবু দুটো ধর্মের উৎসবে বসাতে হয় পাহারা
তোমরা এই ভারতবর্ষকে বলো সূর্যের নাম
ইস্ কী লজ্জা কী লজ্জা
তবু দুটো উৎসবের দেখা হবেনা কোনোদিন

এসো আমার মৃতদেহ পেতে রেখেছি এখানে
যারা নেল পলিশ খুঁটছে বা পরছে
যারা বাজার বা মেলায় আছে
যারা শ্রমিক যারা কৃষক যারা বেকার
মাড়িয়ে যাও আমাকেও
তবু পুলিশের পাহারায় খুশি আর আনন্দকে রেখোনা
একবার অন্তত এক রাস্তায় ওদের ছেড়ে দাও ।

শুক্রবার, ২৩ জুন, ২০১৭

Poetry of alokkundu1302@g

একটা কবিতা শুধু তাকে ছুঁয়ে রাখে / অলোক কুন্ডু

একটা কবিতা শুধু আমাকেই জানে
একটা কবিতা শুধু সেই মনে রাখে
একটা কবিতার পথ দার্জিলিংয়ে দেখা
একটা কবিতা আমার কলেজে রাখা ।
অনর্গল শুনে যাই আমারই কবিতা
যতবার দেখা হয় অবাক হয়েছি
উনিশ বছর ধরে মনে রাখা যায় !
একটা কবিতা মাপে বয়সের ঝড়
একটা কবিতা জানে আমি স্বার্থপর
একটা কবিতা শুধু তাকে ছুঁয়ে রাখে
সিঁদুরও যতটা জানে কবিতাও জানে
একটা কবিতা ঘোরে কুয়াশা যেখানে

বৃহস্পতিবার, ২২ জুন, ২০১৭

আমার ভুল / অলোক কুন্ডু ( Poetry of Alok Kundu)

আমার ভুল / অলোক কুন্ডু

আমার ভুলটা বুঝে নিতে পারি সহজে
অন্যের ভুল আরও বেশি টের পাই
কটু কথাও তো বলতেই হয় কখনো
তবুও মানুষের সেবা করতে ভুলিনি ।
যে এসেছে কাছে দাঁড়িয়েছে দূরে ভিন্ন
ফিরিয়ে দিইনি অচেনার মতো তুচ্ছ
তবুও আমার ভুল হয়ে যায় কতবার
নিজেকে বুঝেছি জীবনের মহামূল্যে ।
কারও ক্ষতি , এ বড় পাপ জীবনের
ভালোকাজেতেই আছি বরাবর হয়তো
হরেক রকম মানুষ সঙ্গ নিয়েছি
দেখেছি হাজারো ধান্দার কত যত্ন ।
ইচ্ছাকৃত ভুলগুলি যখনই ধরেছি
অসহিষ্ণুতা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে
তবু আমার ভুলেরও ক্ষমা নেই কোনদিন
ভুলের মাসুল গুনি যদি আজ দীর্ঘ ।
© অলোক কুন্ডু

বুধবার, ২১ জুন, ২০১৭

Amar Vul , Poetry of Alok Kundu

আমার ভুল / অলোক কুন্ডু

আমার ভুল তো চোখে পড়ে যায় ঠিক
অন্যের ভুল আরও বেশি টের পাই
কটু কথাও বলতেই হয় কাউকে
তবুও মানুষের সেবা করতে ভুলিনি
যে এসেছে কাছে দাঁড়িয়েছে দূরে দূরে
ফিরিয়ে দিইনি অচেনার মতো কাউকে
তবুও আমার ভুল হয়ে যায় কতবার
নিজেকে বুঝেছি জীবনের বহু মূল্যে
কারও ক্ষতি , এ বড় পাপ জীবনে
হরেক রকম মানুষ অতি দেখেছি
ইচ্ছাকৃত ভুল দেখে দেখে এইখানে
আমার ভুলেরও ক্ষমা নেই কোনদিন ।
© অলোক কুন্ডু

মঙ্গলবার, ২০ জুন, ২০১৭

অলোক কুন্ডু-র কবিতা :: Poetry of Alok Kundu

মেঘ লাইনার / অলোক কুন্ডু

আকাশটা আজ অন্যরকম
মেঘলা সে এক রঙ করেছে
গাছগাছালি সতেজ কেমন
আমার মনেও গান ধরেছে
মেঘ লাইনার লাগিয়ে নিও
ঝাপসা সবুজ টাঙিয়ে দিও
এমন দিনে সিপিয়া টোনার
আমায় সবাই ভুল বুঝনা
© অলোক কুন্ডু

বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন, ২০১৭

অলোক কুন্ডুর কবিতা :: Poetry of Alok Kundu

এখন যখন খেলতে ইচ্ছে যায়
অলোক কুন্ডু ©

এখন যখন খেলতে ইচ্ছে করে
পায়ের নীচে নূপুর বাজে জলের
সত্যি বলছি একটা পাহাড় দূরে
সারেঙ্গিতে সুর ভাঁজে সে রোদ্দুরে
আরও দূরে যেই ভেবেছি তখন
মেঘের কাছে অমনি জলের সই
পায়ের নীচে মাতাল দামাল ঘাস
খেলতে এসে আহ্লাদে আটখানা
ইচ্ছে করে জলের পথে নৌকো ধরি
একটা লাঠাই তেপান্তরের মাঠে
কটা ছেলে ছুটছে তারা হুহু করে
একটা ঘুড়ি জুড়ছে সুতো মায়ায়
চোখ বুজলে দূরের পাহাড় চূড়ো
খেলত আসে আমার কাছে অমনি
তখন আমার আশপাশটায় মেঘ
ঘূর্ণিজলে জলতাড়া গান গাইছে
মাছেরা তখন ঘুমিয়ে পড়ে সব
একটা আকাশ গাছগাছালির ফাঁকে
দূরে তখন আঁকছে বনের পথ
ছায়া পেতে দিব্যি ঘুমোয় সত্যি
যেই ভেবেছি পায়ের পাতায় জল
চোখের কোনে সে জল দেখি স্বপ্ন
তিরতিরে এক নদীর সঙ্গে ভাব
আজ সারাদিন কাজেতে মন নেই
আবছা পাহাড় গাছের সারি ডাকে
আজকে আমায় কেউ ডেকোনা কাছে
সবার সঙ্গে রইলো আমার আড়ি ।

প্রয়াত তরুণ মজুমদার--অলোক কুন্ডু

#তরুণ_মজুমদার_চলেগেলেন অধিকার এই শিরোনামে--কয়লাখনির শ্রমিকদের জন্য ডকুমেন্টারি বানিয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত পরিচালক তরুণ মজুমদার। ছিলেন আজীবন বাম...