মঙ্গলবার, ১১ আগস্ট, ২০২০

#করোনায় অনলাইন শিক্ষা

#ধান_ভানতে_শিবের_গীত নয় 
#অলোক_কুন্ডু

লকডাউন বা বাফারজোন রেখে দিয়ে বা এইসব পুরোপুরি উঠতে হয়তো জুন পেরিয়ে যেতেও পারে। যদিও স্কুল আপাতত ১০ জুন পর্যন্ত বন্ধ আছে। তবুও বিশেষ করে এই বছর ছেলেমেয়েদের স্কুল পাঠাতে অভিভাবকদের একপ্রকার অনীহা আছে। তীব্র আপত্তি আছে। বহু ছেলেমেয়েদের বাবা মা এবছর কেরিয়ার চান না। তারা অনলাইনে শিক্ষায় প্রচণ্ড খুশি হয়েছেন। এখন "ভয়াবহতা" এই বিষয়টা যদি মাথায় রাখা যায় তবে ছাত্রছাত্রীদের ঘরে বসে পড়াশোনা করাটাই সম্ভবত সঠিক সিদ্ধান্ত হবে। এছাড়া কোনোভাবে যদি একটি ছাত্রছাত্রী এই সংক্রমিত হয়ে পড়ে তবে একজন নয় হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীরা সমূহ বিপদের মধ্যে পড়ে যাবে। সেক্ষেত্রে অনলাইন লেখাপড়ার গুরুত্ব এখন অপরিসীম। কোনও অবস্থাতেই এই ব্যবস্থাপনার বিরোধিতা করার সময় এখন নয়। শিক্ষক সংগঠন থেকে অনলাইনে শিক্ষা পৌঁছনোর হিসেবটি অনেক কমিয়ে দেখানো হচ্ছে। শিক্ষক সংগঠন গুলির সম্যক ধারণাই নেই গ্রাম সম্পর্কে। তারা জানেনা কতজন মানুষের হাতে স্মার্টফোন আছে। প্রকৃতপক্ষে এটি ৬০% ছাত্রছাত্রীরা অনলাইন ১০০% সুযোগ পাচ্ছেন 
যেটা তারা মাত্র ১৫% বলছেন ছাত্রছাত্রীর হিসেবে। সরকার চাইলে এই শিক্ষা আর‌ও প্রসারিত করতে পারে। পাড়ায় পাড়ায় যাদের কম্পিউটার আছে তাদের ব্রডব্যান্ড কনেকশন দিয়ে বা অন্য কোনও ভাবে ক্লাবের মাধ্যমে অনলাইন পৌঁছে দিয়ে অনলাইন শিক্ষা গরীব ও পিছিয়ে পড়াদের কাছে পৌঁছে দিয়ে শিক্ষার আদানপ্রদান 
চালু রাখা যেতে পারে এটা এমন কিছু কঠিন কাজ নয়। লোকাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের, যাদের কম্পিউটার আছে  তাদের সাহায্য নিলে এই অনলাইন ব্যবস্থায় যে ফাঁকফোকর আছে তা ভরাট হয়ে যাবে। তারাও এখন অনলাইন শিক্ষা দেওয়া থেকে সাহায্য করার ব্যাপারে উদ্যোগী। উপযুক্ত পারিশ্রমিক দিয়ে সাময়িক তাদের কাজে লাগালে তারাও এক একজন গরীব ও পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীদের তৎকালভাবে সাহায্য করতে পারবেন। শুধুমাত্র সরকারকে সঠিক পরিকল্পনা ও আয়োজন করতে হবে।  
এই নিয়েও জোর তর্ক শুরু হয়েছে যে, অনলাইনে প্রকৃত শিক্ষা হয় কিনা? যদিবা হয় তবে তা কি ক্লাস টিচিং মেথডের মতো কতখানি শিক্ষাশ্রয়ী হতে পারবে। প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসগুলি তবে কীভাবে হবে? যুক্তি পাল্টা যুক্তিতে ছাত্রছাত্রীদের গ্রহণযোগ্যতা চিরকাল‌ই চাপা দেওয়ার একটা চেষ্টা চলে থাকে। অনেকে এও বলছেন যে, গ্রামের ছেলেমেয়েদের কাছে অনলাইন শিক্ষা পৌঁছতে পারছে না। কিংবা প্রথম প্রজন্মের কাছে, শ্রমজীবী পরিবারেও ঠিক মতো পৌঁছনোর পথ নেই। আসলে আমাদের পশ্চিমবঙ্গ‌তেই সম্ভবত অনলাইন টোটাল ব্যবস্থাপনা সমূহ পিছিয়ে আছে। 
মুম্বাই, তামিলনাড়ু, কেরল, হায়দ্রাবাদ,
বেঙ্গালুরু অনেকটাই এগিয়ে গেছে এখানে। স্মার্টফোনের অভাব কিন্তু গ্রামেও নেই। কিন্তু শিক্ষার কাজে সেই ফোন ব্যবহারের কার‌ও কোনও উদ্যোগ তো নেই। বরং কিছু অবাস্তব নমুনা তুলে বন্ধ করার উদ্যোগ নিতে কিছু মানুষ চরম উদ্যোগী। স্মার্টফোন নেই বলে অনলাইন শিক্ষা নেওয়া যাচ্ছে না এই বার্তায় যথেষ্ট অবিবেচনা রয়েছে। এ বিষয়ে মান্ধাতা আমলের এক ভ্রান্তি রয়ে গেছে আমাদের মনে। এটাও নিশ্চিত যে যাকে হাতেকলমে বোঝানোর মতো কেউ নেই, এইরকম পরিবারে, শ্রমিক এবং আনপড় অভিভাবক যেখানে দর্শক, সেখানেও অনলাইন শিক্ষায় সমূহ পাঠক্রম পৌঁছনো সম্ভব নয়। তবুও এই আপতকালীন সময়ে ঘরে বসে শিক্ষা নেওয়ার কাছে আর দ্বিতীয় রাস্তা আর কিছু খোলা নেই। পারলে সেই ছাত্রছাত্রীদের সার্ভে করে তার নেটে কার্ড ভরে দিক সরকার। এখন যদি লকডাউন অগাস্টের আগে না খোলে তাহলে কি শিক্ষা যেভাবে চলছে তাতেই আমরা সন্তুষ্ট থাকবো ? নাকি অনলাইন নিয়ে তর্ক করে যাবো ? না, শিক্ষায় যেমন সন্তুষ্টির কোনও সীমা নেই তেমনি লকডাউন ভেঙে কবে সুস্থ জীবনে আমরা ফিরে আসবো, আগামী তিনমাসের আগে তার‌ কোনও আশা নেই। তাহলে প্রথমেই এখন আমাদের সিলেবাসকে কমপ্যাক্ট বা স্মার্ট করে নিয়ে বা ছোট করে নিয়ে আর একটি দ্বিতীয় পথ স্কুল শিক্ষায় আমরা অন্ততঃ খুলে ধরতে পারি। প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলিকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রেখে শিক্ষকদের তার বাড়ির কাছের মাধ্যমিক শিক্ষার কাজে লাগানো যেতে পারে। কারণ কনটেইনমেন্ট জোন থেকে বাইরে বেরিয়ে শিক্ষকদের স্কুলে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা আছে। তাহলে শিক্ষক অপ্রতুল হ‌ওয়ার আশংকা আছে। কীভাবে তা হবে তার ফর্মূলা জোগাড় করে নিতে সরকার উদ্যোগী হবে তার সরকারি ও বেসরকারি পরিকাঠামোর মধ্যে। সিলেবাসকে লকডাউনের উপযোগী করতে হবে। সেই ক্ষেত্রে কিছু ছাঁটাইয়ের প্রয়োজন হলে তাও করতে হবে। এখানে তৃতীয় পক্ষ হচ্ছে ছাত্রছাত্রী এবং মূলত তাদের উপস্থিতি নিয়েই প্রধান সমস্যা দেখা দিয়েছে। এখন যদি স্কুল খোলে তবে তাদের ক্লাসকে বিন্যস্ত করতে হবে। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি এবং নবম থেকে দ্বাদশ দুটি ক্লাস্টারে মাধ্যমিক শিক্ষাকে ২০২০ শিক্ষাবর্ষে ভাগ করে বিদ্যালয়গুলিকে অক্টোবরের পুজোর ছুটির আগে ৩০/৪০ দিনের ক্লাস্টার ক্লাস করানো যেতে পারে। সেক্ষেত্রে এক‌ই ক্লাসকে দুটি সিফ্টে ভাগ করা যেতে পারে। স্কুল সময়ের সামান্য পরিবর্তন করে দুটো সিফ্টেও স্কুল বসাতে পারা যায়। ক্লাসগুলিকে ২০/২৫ জনে ভাগ করে দিতে হবে। সকাল ৯.০০ টা থেকে ১১.৪০ পর্যন্ত ও ১২.২০ থেকে ৩.০০ পর্যন্ত। এখানেও রোজ ক্লাস করা যাবেনা সপ্তাহে দুই বা তিনদিন করে। তিনদিন স্কুল ছুটি থাকবে। সরকারি ভাবে ছেলেমেয়েদের টেস্ট করে একে একে স্কুলে ঢোকাতে হবে। স্কুলে কোনও টিফিন মিড ডে মিল হবে না। স্কুলে ও বাথরুম গুলিতে পর্যাপ্ত জল ও স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
সেখানে যাওয়ার বিষয়ে কড়াকড়ি করতে হবে। অভিভাবকদের লিখিত জানাতে হবে বাড়ি যাওয়ার পর ছাত্রছাত্রীদের পোশাক পরিবর্তন গা ও হাত ধোয়ার প্রতি মনোযোগ দেওয়ার। স্কুলেও বেশ কিছু আপতকালীন মাস্ক রেডি রাখতে হবে। মাস্ক না পরলে স্কুলে আসা যাবে না। এই সামান্য সময়ে ছোট ছোট সাময়িক মূল্যায়ণ চালু রেখে পার্বিক মূল্যায়ণ বন্ধ রাখতে হবে। শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে মূলত শিক্ষা নিয়েই আলোচনা চলবে। ভূগোল বিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীদের প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসগুলি আপাতত স্থগিত রাখতে হবে। কিন্তু গণিতের জন্য ভালো ছেলেমেয়েদের জন্য আরও অনলাইন ব্যবস্থা করে শিক্ষাকে ফলপ্রসূ করতে হবে। পঠনপাঠন শেষ হলে অতিমারি কমে এলে সরকার ও বিদ্যালয়গুলির স্থগিত সিলেবাস ও পরীক্ষা এবং মূল্যায়ণ সূচি নতুন করে তৈরি করবে। যদি কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা কমতে থাকে তবে সেপ্টেম্বরে নভেম্বর ,ডিসেম্বর ও জানুয়ারি ২১ এই চারমাসে পাঠ্যসূচি সমাপ্ত করতে হবে। ফেব্রুয়ারিতে শেষ ও চূড়ান্ত মূল্যায়ণ ও টেস্টগুলি শেষ করে মার্চের গোড়ায় ক্লাসগুলি পুণরায় ২০২১ এর শিক্ষাবর্ষে প্রবেশের সম্ভাবনা ও আশা নিয়ে সরকারের তরফে একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনা রচনা করতে হবে। এই প্রসঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের হস্টেলগুলিও যেমন স্কুল খুলবে সেইমতো ব্যবস্থা করবে। হস্টেল কর্তৃপক্ষ নিজে থেকে না চাইলেও স্কুল কলেজ খোলার সঙ্গে অবধারিত ভাবে ছাত্রছাত্রীদের হস্টেল‌ও খুলবে। হস্টেলে ঠিক মতো বাথরুম ও স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যবস্থা না থাকলে যারা হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করবে তাদের আলাদা কীভাবে স্থানীয় ধর্মশালায় বা হোটেলে রেখে পড়াশোনা করানো যায় তা নিয়েও সরকারকে চিন্তা করতে হবে। আর যদি এমন হয় কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেড়ে যায় তবে সাইবার কাফেগুলি খুলিয়ে অথবা সাময়িকভাবে সাইবার কাফে নতুনভাবে সৃষ্টি করিয়ে তাদের তিনমাসের জন্যে অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করে অনলাইনেই শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রাখা অনেক সাবধানতা অবলম্বন বলে ধরে নিতে হবে। বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের অনলাইনে শিক্ষায় আপত্তি থাকলেও এই অতিমারীর আবহাওয়ায় অনলাইন শিক্ষাই একমাত্র, নির্দিষ্ট ও বলিষ্ট ব্যবস্থা যা সাময়িক মনে হলেও আগামী দিনে ফলপ্রসূ হবে বলেই মনে করা যেতে পারে। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়স্তরে প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান শাখায় প্র্যাকটিসগুলি দেরি করে না হয় শেষ করা যাবে। হায়ার সেকেন্ডারির বাকি পরীক্ষা সেই স্কুলে অনলাইনে হলেও হতে পারে আর না হলে যেকটি পরীক্ষা হয়েছে তার উপরে রেজাল্ট বার করে দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে। তবে আমি সবশেষে বলবো এইবছর স্কুল খুলে ক্লাস করলেও ছাত্রছাত্রীদের পাওয়ার একটা বিশাল সমস্যা হবে। সম্ভাবনা নেই বললেই হয়। ছাত্ররা বিলকুল অনুপস্থিত থাকবে। তাই ধান ভানতে শিবের গীত না গাওয়াই ভালো। আজ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ই-পাঠশালা খোলার ওপর জোর দিয়েছেন। তার পরিকাঠামোর জন্যে আর্থিকভাবে সরকার সঙ্গতি প্রদান করতে উদ্যোগ নিয়েছে যখন তখন সব রাজ্য‌ই এই শিক্ষা মাধ্যমে নিজেদের যুক্ত করবে বলে আশা রাখি। পরিশেষে ই-পাঠশালার জন্যে র‌ইলো হাততালি। ই শিক্ষায় ঘরোয়া টিউশনির মাষ্টার মশাই ও দিদিমণিদের‌ও নিজেদের তৈরি করে নিতে হবে।
©® অলোক কুন্ডু
( এই লেখাটি একটি ম্যাগাজিনের জন্যে লেখা
তারা কবে ছেপে তা প্রকাশ করবে জানা নেই। তাই এই লেখার কোনও অংশ কেউ থিম ও কোনও ভাবে কোথাও লিখে দেবেন না। সংবাদ পত্রেতো নয় । লেখাটি মৌলিক রচনা। মনে রাখবেন )

বুধবার, ১৫ জুলাই, ২০২০

#Coronaviruslockdown

#অলোক_কুন্ডুর_লেখালিখি_ও_কবিতা

#coronavirus #CoronavirusLockdown
#COVID19 #COVID #COVID19PH
#CoronavirusPandemic
#CoronavirusOutbreak

■ সবজি মাছ মাংস ধোয়া নিয়ে প্রতিদিন চ্যানেলগুলিতে, এত তর্ক-বিতর্ক হচ্ছে যে বাস্তবতার বাইরে গিয়ে আলোচনা ভেস্তে যাচ্ছে । যারা এইসব হাতেনাতে করছেন তাদের সঙ্গে ডাক্তারবাবুদের ধারণা ও বোধবুদ্ধির আকাশপাতাল তফাৎ হয়ে যাচ্ছে। এতে উদ্বেক আর‌ও বেড়ে যাচ্ছে।

■ (১).বাজারে কাপড়কাচার সোডা কিনতে পাওয়া যায়,তাই এক কেজি কিনে রাখুন।
■(২).মনে রাখবেন সোডায় জল না লাগে। শুখনো পাত্রে রাখুন। 
■(৩).প্রথমে একবালতি জলে ৪/৫ চামচ সোডা ফেলে জলটায় হাত দিয়ে গুলিয়ে দিন। সবজির পরিমাণ বেশি হলে আর‌ও ৩/৪-চামচ দিতে পারেন। সবকিছু আপনার
বোধগম্যর নির্ভর করছে।
সমস্ত সবজির জন্য ওই একবালতি যথেষ্ট। ■(৪).প্রথমে যতটা বড় বালতি/গামলা নিতে পারবে ততটা ভালো হবে ধোয়াধুয়ি করতে। এক একেবারে সবজিগুলি ভিজতে দিন। ২ থেকে ৪ মিনিট রাখুন ওই দ্রবণে। শাকজাতীয় হলে ২ মিনিট রাখুন। শাক ছাড়া অন্য সবজিকে ওই জলে রগড়ে ধুয়ে নিন।
■(৫).একটা অন্য বড় গামলা বা সাদা বালতিতে প্লেন ঠান্ডা জলে আর‌ও ২ মিনিট ভিজতে দিন। অথবা দ্বিতীয়বার ধুয়ে তৃতীয়বারের জন্য আলাদা করে রাখুন।
■(৬).তৃতীয় শেষবারে সমস্ত সবজি ১০ মিনিট আর একবার প্লেন জলে ভিজতে দিন। 
■(৭).১০ মিনিট পর ধুয়ে তুলে রোদে ১০/১৫ মিনিট দিয়ে জল ঝরিয়ে একটা ঠান্ডা জায়গায় সবজিগুলো চরিত্র অনুযায়ী আলাদা আলাদা রেখে সারাদিন ধরে শুকিয়ে নিন। 
■(৮).এই কাজগুলো যখন করছেন তখন প্রতিবার আপনার হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে নিন। সোডা নিজেই সাবান। স্যানিটাইজার ব্যবহার করলে তাকেও স্যানিটাইজ করতে হতে পারে,
যদি আপনি একাই সবকিছু করেন।
■(৯).ঠান্ডা জায়গায় রাখা সবজিগুলোকে বিকালে প্রতিটি আলাদা জিনিসকে শুকনো ক্যারিব্যাগে ,পলিপ্যাকে ভরে ফ্রিজে তুলুন। ক্যারিব্যাগ গাডার দিয়ে এঁটে দিন। 
■(১০).এই পদক্ষেপ নিলে বিন্দুমাত্র করোনা আপনার ফ্রিজে ঢুকবে না‌। 
■(১১).ডিম হলে এক হাঁড়ি সোডার জলে ডুবিয়ে সঙ্গে সঙ্গে একটা সাদা জলের পাত্রে রাখুন আধঘণ্টা। পরে একটা ছোট কাপড়ে একটু স্যানিটাইজারে ভিজিয়ে নিন এবং প্রতিটি ডিমকে আলতো করে ওই কাপড়ে মুছে ঢাকনাওলা একটা পটে রেখে, বিকাল পর্যন্ত ফেলে রাখুন‌। বিকালে ফ্রিজে তুলুন।
■(১২).মাছ মাংস হলে খাবার সোডা ১-চামচ দিয়ে ৫ মিনিট ভিজিয়ে তারপর তুলে নিয়ে ১ মিনিট করে গরম জলে ও ঠান্ডা আলাদা জলে দু-তিনবার ধুয়ে, জল ঝরিয়ে নুন হলুদ মাখান, হলুদ ও নুন একটু বেশি দিন। ঢাকনা দেওয়া বাক্সে ভরে বাক্সটিকে ক্যারিব্যাগে মুড়ুন।  
 ■(১৩).শাকপাতা হলে রগড়াবেন না আবার বেশিক্ষণ তাকে সোডার জলে রাখবেন না। পটল, বেগুন, আলু,ঝিঁঙে, ঢেঁড়স, উচ্ছে, ক্যাপসিকাম, গোটা লাউ এবং আরও কিছু সবজির বাইরে শক্তপোক্ত দেওয়াল থাকায় দু পাঁচ মিনিটে বাইরে থেকে ভেতরে কিছু যাওয়ার চান্স নেই। 
■(১৪).কাটা লাউ-কুমড়ো হলে ও শাকপাতা সবার আগেই সোডা জলে ধুয়ে নিন কারণ ওইগুলি কিছুটা ভেতরে টানতে পারে। আপনি যেহেতু ১০/১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখছেন না তাই আপনার কোনও চিন্তা নেই। 
■(১৫).পিঁয়াজ আদা রসুনকে ১ মিনিটের মধ্যেই তুলে নিন সোডার জল থেকে। যদি আপনি জলে না ধুয়ে রোদে দেন তবে একদিনে এইসব শুকিয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। তবে রসুন পিঁয়াজ ধুলে ওপরের খোসা ছেড়ে যাবে। সবার শেষে আদা রসুন পিঁয়াজ ধোবেন। এখন এইসব শুনে নেগেটিভ মনের ব্যক্তিরা হৈ হৈ করে উঠতে পারেন। তোয়াক্কা না করে স্পষ্ট ধুয়ে নিন এবং যে পদক্ষেপ আগে সবজির ক্ষেত্রে নিতে বলেছি সেইভাবে করে নিন। দুদিন পাখার নীচে পিঁয়াজ রসুন আদা শুকিয়ে নিন। ফ্রিজে না রেখে মেঝেতে বা ঝুড়িতে রাখুন। 

■(১৬).১১৫ দিনের বেশি সময় ধরে আমি এই পদ্ধতিতে আমার বাড়িতে অনুসরণ করছি।আমি ধূচ্ছি,রাখছি, ব্যবহার করছি, খাচ্ছি। আমি কখনও টিভি দেখে এইসব করিনি। এই ধোয়াধুয়ি নিয়ে গত এপ্রিল থেকে অনেকবার লিখলাম। কিন্তু এখন যেহেতু বাস্তবে না থাকা ডাক্তারবাবুরা নতুন করে এইসব নিয়ে জনগণকে নানামুখী মতামতে দ্বিধায় ফেলে দিয়েছেন তাই বিষয়গুলির ওপর পুণরায় আলোকপাত করতে হলো। যাদের বাড়িতে প্রচুর জল আছে তাদের এইসব না মেনে ৩/৪ বার ধুয়ে নিন তাতেই হবে। তারপর শুকিয়ে পৃথক প্যাকেট করে ফ্রিজে রাখুন।  
 ■(১৭).ফ্রিজসুরক্ষিত থাকবে। 
■(১৮).পাঁউরুটি একসঙ্গে ৩/৪ পাউন্ড কিনে নিন। একদিন একটা বড় পলিপ্যাকে মুড়ে ফেলে রেখে দিন। দ্বিতীয় দিন হাতে স্যানিটাইজার লাগান এবং প্রতিটি পাঁউরুটির বাইরের প্যাকেটে স্যানিটাইজার স্প্রে করুণ অথবা পাঁউরুটি না ছুঁয়ে কাঁচিতে বাইরের প্যাকেট একদিকে কেটে ফেলে এবং সতর্ক হয়ে, না ছুঁয়ে বাড়ির কোনও একজনের সাহায্য নিয়ে, অন্য একটি বড় পলিপ্যাকে ঢেলে দিন। ঢালার সময় কেউ হাত দিয়েও একটা একটা করে পাঁউরুটি তুলে প্যাকেট বদল করতে পারেন। দুজনেই হাত ভালো করে ধুয়ে স্যানিটাইজ করুন। তারপর সেঁকে খান। পাঁউরুটির আসল প্যাকেটকে ডাস্টবিনে দিন, হাত ধুয়ে নিন। 
 ■(১৯).হাত ধোয়ায়, ডিটারজেন্ট বা লাইফবয় ব্যবহার করুন এইসব হ্যান্ড‌ওয়াসের থেকে অনেক শক্তিশালী ও সস্তা। ©® অলোক কুন্ডু

#CoronavirusPandemic

#অলোক_কুন্ডুর_লেখালিখি_ও_কবিতা

#coronavirus #CoronavirusPandemic
#COVID19 #CoronavirusLockdown 
#COVID2019 #COVID19PH 
#CoronavirusOutbreak

যাদের বাড়িতে ছোট বাচ্চা আছে ও রোগ সম্পর্কিত মানুষ আছেন তারা অবিলম্বে সাবধান হোন‌।

■ (১).বাড়ির যে মানুষ রাস্তায় যায়, ধরে নিতে হবে তিনি সংক্রমিত হয়ে আছেন‌। তিনি সংক্রমিত। তার বোধবুদ্ধি না থাকতে পারে কিন্তু তাকে বয়স্ক রোগী মানুষ ও বাচ্চাদের ধারে কাছে যাওয়া এবং ৬ ফুট নয় ১০ ফুট দূরত্ব থাকতে হবে‌।
■ (২).যারা পাশের বাড়ি থেকেও আসবেন, সুস্থ হলেও তিনি সংক্রমণ নিয়ে ঘুরছেন বলে ধরে নিতে হবে। তিনি নিজেকে করোনা মুক্ত মনে করলে খুব ভুল করবেন। 
■ (৩).যারা ছোট বড় চাকরি করেন তারা রাস্তায় বার হচ্ছেন। তারা মনে রাখবেন তারা রোগ বহন করছেন। অবশ্যই তারাই রোগ বহন করছেন। তারা সংক্রমণের বাহক। তারাই বাহক এটা তাকে বলুন।
■(৪).যারা তিনবার রাস্তায় বেরিয়ে তিনবার জামাকাপড়, মাস্ক, মোবাইল, জুতো,ঘড়ি, ব্যাগ,চশমা কাচছেন না তারা রোগ বহন করছেন এবং নির্ঘাত রোগ ছড়াচ্ছেন। তারাই বাহক। তাদের অনেকেই কাছাকাছি-পাশাপাশি কাকা,পিসি,মাসি,বন্ধুদের বাড়ি যাচ্ছেন অবিলম্বে এই যাতায়াত বন্ধ করুন। দয়া করে যাবেন না। এই যাতায়াত সর্বনাশা হচ্ছে। ভয়াবহ হতে পারে এবং এই থেকেই অজস্র মানুষ আজ হসপিটালে, চিকিৎসার অভাবে মারা পড়ছেন। এই সামাজিকতা করার সময় এখন নয়।
■ (৫).যারা ভাবছেন পাড়ায় বেরিয়েছিলেন তাদের মাস্ক লাগবে না, তাদের স্নান করতে হবেনা, জামাকাপড় ছাড়তে হবে না, চটি আলাদা রাখতে হবে না, মোবাইল স্যানিটাইজ করতে হবে না মুখ হাত ধুতে হবে না, ১০০% নিজেকে পরিশুদ্ধ করতে হবে না। তারা মস্ত ভুল করছেন, অন্যায় করছেন, দোষ করছেন। শাস্তিযোগ্য অপরাধ‌ই করছেন।
■(৬). অনেক ভাই-বোন আছেন যারা ভাই বোনদের বাড়ি যাতায়াত করছেন তারা এটা দয়া করে বন্ধ করুন। আপনারা রোগ ছড়াচ্ছেন, আপনারা সংক্রমণের চাষ করছেন, আপনার জন্য আপনার বাড়ির বাচ্চা ও বয়স্ক মানুষ যখন তখন সর্বনাশের দিকে চলে যেতে পারেন।
■(৭).আপনি বলছেন আপনি কোথাও হাত দেননি, কার‌ও খাবার খাননি, কার‌ও দরজা ধরেন নি, কার‌ও কলিংবেল ধরেননি, কার‌ও হাত ধরেননি, কার‌ও মোটরবাইক, গাড়িতে বসেননি, টাকাপয়সা ছোঁননি। আপনি এবং আপনারা হয় মিথ্যা বলছেন, কিংবা এই সমগ্র লকডাউন পিরিয়ডে সামান্য এইসব মেনেছেন বলে পুরো স্যানিটাইজেশান প্রক্রিয়াটিকে অথর্ব করে ছেড়ছেন যা ২০%
মেনেছেন কিন্তু আপনার মনে হয়েছে ১০০% করেছেন। এই ধরনের বেগড়বাঁই, অবুঝ এবং অমান্য করতে অভ্যস্ত আপনি কিন্তু রোগ ছড়াচ্ছেন এবং ছড়িয়ে অপরকে মারবেন।
■(৮).আপনি বাড়ি থেকে যতবার বের হবেন ততবার আপনাকে মাথা মুড়ে বের হতে হবে,মাস্ক নিতে হবে, হাতে ঘনঘন স্যানিটাইজ করতে হবে। কিন্তু আসলে আপনি এইসব একেবারেই ফাঁকি দিচ্ছেন। আপনি বলছেন আপনার কিছু হবেনা। কিন্তু আপনি বুঝতে পারছেন না আপনি কতখানি ক্ষতি করছেন। আপনি একজন মার্ডারার, আপনি খুনি। আপনি বাইরে থেকে রোগ এনে ছড়াচ্ছেন এবং লোক মারছেন। আপনি মারণ ভাইরাসের বন্ধু। কারণ আপনি অপরের টাকা পয়সা নিয়ে আপনার পকেটে ম্যানিব্যাগে রাখছেন। আপনি চটিজুতো ঘরে ঢোকাচ্ছেন। আপনি পাঁচমিনিট বাইরে বেরিয়ে বন্ধুর বাড়িতে যে গিয়েছিলেন সেখানে আপনার বন্ধুর চেয়ারে খাটে সোফায় বসেছিলেন তাতে করে যে সংক্রমণ আপনি আপনার বাড়িতে আনলেন না তার কিন্তু কোনও গ্যারান্টি নেই। আসলে আপনাদের সকলের ইমিউনিটি বেশি তাই আপনাদের কিছু হয়নি কিন্তু আপনারা ব্যাপকহারে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। আপনারাই বাহক আপনারা আপনার এলাকায় সংক্রমণ ছড়াচ্ছেন। আপনারা মাস্ক পরছেন না। আপনি স্পিডি স্প্রেডার।
■ (৯). আপনারা বাজারে গিয়ে অন্যদের থেকে ৬ ফুট দূরত্বে দাঁড়াচ্ছেন না, আপনাদের ভিড়ের মধ্যে যেতে এখনও কোনও হেলদোল নেই। আপনাকে বাজারে একটু সরে যেতে বললে আপনি তর্ক করছেন। ব্যাঙ্ক, পোস্ট‌অফিস,
দোকানে, বাজারে আপনি একজন জঘন্যতম ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে পরিচিতি করে তুলেছেন। আপনি রোগ ছড়াচ্ছেন।
■ (১০).আপনারা পাড়া-প্রতিবেশীর থেকে বেশি ক্ষতি করছেন আপনার নিজের বাড়ির লোকের প্রতি। এখন পর্যন্ত যতজন মারা গেছেন তাদের বাড়ির লোকেজন কিংবা তারা হয়তো নিজেরাই রোগ এনেছিলেন। যারা পুলিশ, যারা ডাক্তার, যারা করোনার সৈনিক তাদের কোনও দোষ দেওয়া যায় না। কারণ তারা আপনার মতো উজবুক, আপনার মতো অহংকারী, আপনার মতো সবজান্তা, অবিবেচক, আপনার মতো ক্ষুদ্রবুদ্ধির নাগরিক, আপনার মতো হাঁদাবোকা একজনের অবিবেচনার স্বীকার হচ্ছেন। আপনি মারছেন ডাক্তার, আপনি মারছেন পুলিশ, আপনি মারছেন সমাজসেবীকে, আপনি মারবেন মেথর, আপনি মারবেন একজন সুগারের রোগীকে, আপনি মারবেন কিডনির রোগীকে, আপনি মারবেন হার্টের রোগীকে, আপনি মারবেন আপনার আত্মীয়-স্বজনকে,আপনি মারবেন আপনার বাড়ির মা,বাবা, পিসিমা, ঠাকুমা, সরকারি কর্মচারী থেকে কাকা,কাকিমাকে পর্যন্ত। আপনি খুনি। আপনি পাড়াবেড়ানো বন্ধ করুন অবিলম্বে। 
■(১১).যারা রাস্তায় বের হন, তারা কখনোই অপরের বাড়ির চেয়ার-টেবিল, সোফা, খাটে বসবেন না, চা খাবেন না, চা খাওয়ার জন্য জোরাজুরি করবেন না,অপরের বাড়িতে ঢুকবেন না। নিজে সতর্ক থাকুন অপরকে বাঁচতে দিন। ©® অলোক কুন্ডু

রবিবার, ১২ জুলাই, ২০২০

#অমিতাভ_বচ্চন_ভালো_হয়ে_উঠুন

#অলোক_কুন্ডুর_লেখালিখি_ও_কবিতা

■ ভুল প্রশ্নের অবতারণা

■সেলিব্রেটি না কি হাই সেলিব্রেটি, নাকি পাড়ার লোককে সান্ত্বনা। আসলে আমাদের মনের দৈনতা বিতর্কের সৃষ্টি করছে। কেউ অসমান নন। এটা তো বাস্তব আমার থেকে অমিতাভ বচ্চনকে আর‌ও বেশি লোক ভালোবাসেন। এমনকি রঞ্জিত মল্লিকের থেকেও। আসলে এই চিরন্তন সত্য সব সময় সকলের মনে কাজ করবে। করোনা ছাড়াও অমিতাভ বচ্চন আর রঞ্জিত মল্লিক একসঙ্গে অসুস্থ হলে আগে পরে দশ বছর পরেও এক‌ই উত্তর। এই উত্তর খুঁজতে ভুল প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে। যুক্তিযুক্ত কথা বলতে হবে আমাদের। দুম করে কথার বোমা ফাটালেও তা অগ্রাহ্য হবে, এই চিরায়ত সত্য বিসর্জন কেউই দিতে পারবেন না। এটাই আমাদের মানবিক গুণ, এটা দোষ বলে রটালে পাত্তা তেমন পাবেনা। করোনা ছাড়াও আমরা কখনও কেউ অসুস্থ হলে আগেও খোঁজ নিতাম না কিন্তু অমিতাভ বচ্চন হলে নিতাম, রূপোলি মানুষ সাধারণ মানুষের এই তফাতে আমাদের গোড়ায় গলদ আছে এটা থেকে মুক্ত হয়ে সাম্যবাদের কথা এখানে প্রয়োগ করলে তা মানবে না কেউ। ভালোবাসা আত্মীয়তা বন্ধুত্ব‌ও এই আপেক্ষিক নীতির উপর‌ই প্রতিষ্ঠিত। এটা ভবিতব্য তাই এই রকম আলোচনা বিস্তার করে এই পরিবেশ কলঙ্কিত করা আমাদের কার‌ও উচিত নয়। অপরের আগ্রহ অপরের আনন্দ ও দুঃখের যেন আমরা কাটাছেঁড়া না করি এই আদর্শের মধ্যে থাকাই কাম্য।

শুক্রবার, ১০ জুলাই, ২০২০

#Amarnath 2017

হাই বাপ জঙ্গীভি হিন্দু আছে...

শুধুমাত্র অমরনাথ কেন ? ভোটধর্ম পালন করতে 
গিয়ে যে মানুষকে নিহত হতে হয় সে তবে কেন 
জঙ্গীর দ্বারা নিহত নয় কেন ? রাজনৈতিক দল 
যারা ভোটের সময় হিংসা ছড়ায় তারাতো আরও 
খারাপ । আসলে প্রতিটি ব্যক্তির নিজস্ব একটা 
করে স্বার্থ থাকে । সে স্বার্থ অর্থনৈতিক প্রভুত্বের। 
এই অর্থনৈতিক প্রভুত্ব থেকে পয়সাওয়ালাদের 
ধর্মীয় ভাবাবেগ বেড়ে যায় । সাধু সন্তদের সঙ্গে 
তাই প্রচুর অর্থবানও অমরনাথ যায় । সেখান 
থেকে ধর্মীয়ভাবের সঙ্গে বেশকিছু প্রকৃতি 
প্রেমিও স্বচ্ছ ভারতবাসী হিসেবে অমরনাথে 
যায় । এসবই কথা জঙ্গী- কাশ্মীরিদের ( হাই
বাপ সক্কলে বলছে জঙ্গীটা মাইরি সত্যি হিন্দু )
জানা আছে । জঙ্গী-কাশ্মীরিরা বা জঙ্গী-হিন্দুটা
জানে সে বা তারা আসলে শুধুমাত্র কিছু গরীব 
তীর্থযাত্রী ও সাধুকে মারছেনা তারা ভারতের 
লোভী স্বার্থপর রাজনৈতিক মতলববাজদেরও 
একসঙ্গে মারছে ( যারা এই যাত্রায় নেই আবার আছেও ) তাই তারা জানে শুধুমাত্র ভারতবাসী 
নয়  । এখন এর ফলে ভারতে রাজনৈতিক 
অস্থিরতা তৈরির জন্যেও এটা তাদের করা 
একান্ত প্রয়োজন । ভারতবাসীরা সারা দেশে এর থেকেও বেশি মরে রাজনৈতিক দলগুলির 
খুনোখুনির ফলে । সব থেকে বেশি মরে খেতে 
না পেয়ে বা ঋণ ধার করে শুধতে না পেরে ।
তখন অন্য ভারতবাসীর মনে থাকেনা
ধর্মের চেয়ে ভোটাধিকার আরও বড় ধর্ম কিংবা
মানুষের অভুক্ত হয়ে আত্মহত্যায় মৃত্যু আরো নির্মম
তার ওপর যদি এই সময় নরেন্দ্র মোদীকেও মানসিকভাবে কিছুটা মারা যায় । অথচ 
ফেসবুকে এই ব্যাপারে যে অযৌক্তিক পোস্ট
পিছিয়ে পড়েছে এমনটাও বলা যাবেনা ।
ভারতের এই বক্র ভাবাবেগও জঙ্গীরা
বিলক্ষণ জানেন । এরা কাশ্মীরি বা খাঁটি
হিন্দু না হয়ে পাক মদতপুষ্ট যেকোনো ব্যক্তিও 
হতে পারে । যে আদতে একজন জঙ্গী । আর
ঠিক সময়ে একেবারে একটা ওয়াল পাশ 
খেলার মতো ব্যাপার । হিন্দু জাতটাই শাল্ লা 
একবারে পথে বসেছে গা । আর বলবি হিন্দুদের 
মধ্যে একটাও জঙ্গী নেই !? পয়সায় নেতাও জঙ্গী 
হবে পয়সা এমন । হ্যাঁ বড় একঘেয়ে হয়ে যাচ্ছে ।
এই দেশের বাজার দখলের জন্যে চীন মুখিয়ে 
আছে চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের এখন 
আরও জবরদস্ত উন্নতি চলছে । এদেশের 
রাজনৈতিক নেতাদের বাড়ি জমি খামার হাউসের উন্নতির খবরও তারা রাখে । এক দেশ 
এক প্রাণ এই ভারতবাসী কবেই নষ্ট করেছে । 
ধর্মীয় কাদায় ভারত এখন নরককুন্ড । এখনই 
উপযুক্ত সময় ভারতের ধর্মীয় ভাবাবেগকে গলা 
টিপে মারার উপযুক্ত সময় । নরেন্দ্র মোদির এখন ঘরেবাইরে শত্রুতা আমেরিকা-ইজরাইল কি করে 
এখন দেখার । চীন ও পাকিস্তান এশিয়ার দাদা 
হতে চাইছে । ভারতীয় ব্যবসায়ীরা চীনে গিয়ে 
অর্থনৈতিক প্রভুত্বের স্বার্থে চীনাদের পা চাটছে 
যেনতেন প্রকারে পিশাচ ভারতবাসীর এখন 
অর্থের প্রয়োজন । অর্থের প্রয়োজন সকলের ।
অর্থের প্রয়োজনে কেউ নেতা কেউ জঙ্গী হয়তো 
বা আমার আলোচনাটাই একটা বড় ধাপ্পা অন্যের 
মূল্যায়ণই হয়তো সঠিক । তবু বলি প্রত্যেক দেশের নিজস্ব একটা স্বাধিকার বোধ থাকে । আমাদের 
কি সেসব আছে না কি সব বিষয়েই ধর্ম আর ধর্ম ।
তবে আমরা ভারতবাসী ধর্মীয় পাঁক ঘাঁটতে 
পরচর্চায় নিজেকে লালিত করি । দেখতেই
ভারতবাসী আসলে মনের মধ্যে আমরা একটা
পাড়ার নাগরিক । আমরা ফেসবুকে বুক 
চাপড়ানোর ওয়াল পাশ খেলি আসল বুক
চাপড়ানো ভারতবাসী কবেই ভুলে গেছে...

মঙ্গলবার, ৭ জুলাই, ২০২০

#Corona

বারবার এক‌ই কথা বলবো তার কারণ আমরা যা অশিক্ষিত জাতি তাতে করোনায় আমাদের দেশ উজাড় হয়ে যেত। কিন্তু হতে পারছে না কিছুটা ধর্মীয় প্রভাবে কিছুটা সম্পূর্ণ খাবার ও মশলাদার খাবারের জন্য।
(১).ধর্মীয় কারণে স্নান, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও হাত পা ধোয়া 

(২).তুলসী, নিম রোজ খাওয়ার অভ্যাস
(৩).সরষের তেল মাখা,নাকে দেওয়া, নাভিতে দেওয়া, 
(৪).কাঁচা সরষের তেল মুড়িতে, তরকারিতে,
 আচারে ও আলুভাতে ও ভর্তাতে খাওয়া
(৫).আদা রসুন হলুদ লঙ্কা জিরে ধনে গোলমরিচ নিত্য কোনও না কোনও খাবারে খাওয়া
(৬).ভিটামিন সি যুক্ত ঘরোয়া আচার খায়
ভারতের ৭০% মানুষ ( নিরামিষভোজীরা রোজ খান)
(৭).আখের গুড় খাওয়া
(৮).কাঁচা আম, তেঁতুল, আমলকি খায় প্রচুর মানুষ
(৯).ছাতু ( হাই প্রোটিন )
(১০).খাবারে টক খাওয়ার প্রবণতা
(১১).গৃহপালিত গরু, হাঁস,মুরগি, ছাগলের দূধ ও ডিম খায়
(১২).প্রচুর শাকসবজি খায়
(১৩).মান কচু ওল জাতীয় সস্তার খাবার
(১৪).ডাল, পাঁপড়,বড়ি, বেসনে হাইপ্রোটিন
(১৫).
(১৬).আদা দিয়ে চা গ্রামেগঞ্জে খাওয়া একটা সাধারণ চল
(১৭).মাছ-মাংসভোজী তুলনায় কম 
(১৮).ঘরে তৈরি খাবার বেশি জনপ্রিয় বলে
(১৯).ভারতীয় বাসন মাজার প্রক্রিয়ার গুণগত মান বেশি ভালো
(২০).প্রক্রিয়াকরণ মশলার ব্যবহার অত্যন্ত কম বলে এবং বেসিক মশলার উপর নির্ভরশীল
(২১).কিছু ক্ষেত্রে গোটা মশলার ব্যবহার
(২২). গোটা সরষে 
(২৩).গেঁড়িগুগলি
(২৪).হিংচে,পুদিনা, থানকুনি, মেথি শাক
(২৫).খ‌ই চিঁড়ে মুড়ি মুড়কির মতো শুকনো খাবারের মাধ্যমে করোনার সঞ্চারণ কম হয় কারণ এগুলো অনেকটা পরিমাণ কিনে রাখা হয় সহজ সংরক্ষণের ক্ষমতা আছে।
পাঁউরুটি থেকে করোনা সহজে ছড়াতে পারে এবং মূলত শহরের জলখাবার পাঁউরুটি।
তাই আমাদের বিশেষজ্ঞরা টিভিতে বসে যা বলেছিলেন তা মেলেনি। একমাত্র বিশৃঙ্খলার জন্য কিছুটা মিলতে পারে।
কিছু খাবারে যতনা গুনাগুন আছে তার থেকে সেইগুলো গ্রামের মানুষ সহজে সংগ্রহ করেন যার ফলে হস্তান্তর কম হয়। করোনা হস্তান্তরের মধ্যে দিয়ে প্রসারিত হয়। জ্যাম,জেলি, পাঁউরুটি,মাছ,মাংস,পনীর ও প্রক্রিয়াজাত মশলা কিনে আনার সঙ্গে সঙ্গে
আমাদের অজান্তেই রোগের সংক্রমণ চলে আসতে পারে। তুলনায় ভারতের শহরের মুসলমানদের মধ্যেও তাদের খাদ্যাভ্যাসের
জন্য করোনা কম প্রসারিত হয়েছে। যে অব্যবস্থাপনার মধ্যে তারা শহর এলাকায় থাকেন তা থেকে অনেককিছু হতে পারতো।

সোমবার, ৬ জুলাই, ২০২০

#Rani ki vav #paton

রানী কি ভাও ( Rani Ki Vav) ও পাটোলা
শাড়ির জন্য গুজরাটের পাটন বিখ্যাত ©® অলোক কুন্ডু

স্বাধীনতার বহু আগে পোরবন্দরে গান্ধীজি জন্মগ্রহণ করেছিলেন । পরে রাজকোটে গান্ধীজির বাল্যকাল কাটে ৭ বছর বয়স থেকে তাই রাজকোটে গান্ধীজির বহু স্মৃতি জড়িয়ে আছে । কিন্তু গান্ধীজি সবরমতীর তীরে আশ্রম গড়ে যখন থাকতে লাগলেন তখন গান্ধীজি বলেছিলেন -"প্রথমত
আমি গুজরাটি দ্বিতীয়ত এই আশ্রম গড়তে
পয়সাঅলা কিছু মানুষের দরকার তা আমেদাবাদে আছে । আমেদাবাদে এখনও
অনেক কিছু করার আছে " সেই আমেদাবাদ বহু বছর গুজরাটের রাজধানী ছিল এবং এখন‌ও আমেদাবাদ আর গান্ধীনগর গায়ে গায়ে । কোনটা আমেদাবাদ আর কোনটা গান্ধী নগর বোঝা দায় । সে যাই  হোকনা কেন, আমেদাবাদের নির্মাতা আহমেদ শা, সোলাঙ্কিদের পরাস্ত করে তাদের বৃহত্তর গুজরাটের রাজধানী পাটনকে তুলে 
আনেন সবরমতীর তীরে নাম দেন আহমেদাবাদ । আসলে মহারাষ্ট্রের 
কিছু অংশ নিয়ে ,সৌরাষ্ট্র সহ গুজরাটের রাজধানী ছিল পাটন । সোলাঙ্কি রাজত্বের প্রতিষ্ঠাতা বনরাজ চাওডা (৭৪৫ AD) Anhilpur-Patan নামে গুজরাটের রাজধানীর পত্তন করেন । ইন্টারনেট 
হ‌ওয়ায় আমরা মাত্র কয়েক বছর হলো 
এই পাটনের নাম রপ্ত করতে পেরেছি । 
তার আগে কেবলমাত্র ইতিহাসের ছাত্র ছাত্রীরাই ও পর্যটকদের মধ্যে পাটনের পরিচিত সীমাবদ্ধ ছিল । কিন্তু সাধারণ বাঙালির মধ্যেও পাটন বলতে নেপালের পাটনের নাম‌ই মনে পড়ে । আমেদাবাদ ( আহমেদাবাদ বা আমদাবাদ ) থেকে পাটনের দূরত্ব আগে ছিল ১০৮ কিঃমিঃ ( গুগল ১৪৫ ) কিন্তু আমি গেছি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ রুট ধরে মেহেসানা ও মোদেরার সূর্য মন্দিরের মতো হেরিটেজ ছুঁয়ে ১৩৫
কিঃমিঃ একদিকে । মদেরা ও মেহেসনা
পাটনের মধ্যে পড়তো এখন মেহেসনা ও
পাটন দুটি জেলা । কিন্তু সোলাঙ্কি রাজত্বের
অন্তর্ভুক্ত ছিল । ( আমেদাবাদ-পাটন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হাইওয়ে ধরে যেতে হয়) একেবারেই গ্রাম বলা যায় পাটন। বিশেষ করে আদি পাটন , সিটি থেকে একটু দূরে। আসল পাটন প্রায় গ্রামের মতোই আছে । হাঁটা পথে (১) পাটোলা হাউস মিউজিয়াম (২) পাটন হেরিটেজ মিউজিয়াম স্বাধীনতার ৭০ বছর পর তৈরি হয়েছে (৩) রানী কি 
ভাও ১০/১৫ মিঃ-এর মধ্যে হয়ে যাবে , দেখতে কিন্তু ২ ঘন্টার মতো সময় দিতে হবে , কারণ রানী কি ভাওয়ের পিছনেই আছে সোলাঙ্কি রাজাদের আর 
এক স্টেপ ওয়েল বা ভাও। বলা যায় প্রজাদের জন্য যা তৈরি হয়েছিল । জলের তালাও/তালাব/পুকুর /ভাও। বাঁধানো লম্বা
আয়তাকার ও একসময়ের ওই ভাওতেও মন্দির ছিল জলের মধ্যে । চতুর্দিকে চ্যানেল করা মাঝে উঁচু জমি । তাতে মনে হয় এটি ছিল জলের রিজার্ভার এবং কাছেই ছিল সরস্বতী নদী । পুরুষ ও মহিলাদের আলাদা বাঁধানো ঘাট ছিল এখনও সেটা স্পষ্ট । সরস্বতী থেকে জল আসতো । এখন নদী এক কিলোমিটার দূরে । এখন তৈরি হয়েছে সেখানে একটি ফিল্টার পানীয় জলের প্রকল্প --এই দ্বিতীয় ভাওয়ের অনতিদূরে । যদিও দ্বিতীয় খোলা সাদামাটা বিস্তৃত কূপটি জলের ঘাট বলেই মনে হয় , খুব বেশি স্থাপত্য নেই । ছিল কিনা বোঝার উপায় 
নেই । তবে তথ্য বলছে ওখানেও 
ঘাটে জলের ওপর মন্দির ছিল , ভাঙা 
কিছু বাস্তু পড়ে আছে । বাঁধানো এবং 
কিছু স্থাপত্য এখনও শক্তপোক্ত হয়ে টিকে
আছে ।  মনে করা হয় এখানে মহিলা ও পুরুষদের আলাদা ঘাট ছিল জলের মধ্যে মন্দিরকে ঘিরে । আসলে গুজরাটকে সুলতান মাহমুদ থেকে মহম্মদ ঘোরি, তৈমুর লঙ,হুমায়ূন থেকে ঔরঙ্গজেব এমনকি আকবর আক্রমণ করে দখল করতে চান । আফগানিস্তান মধ্য এশিয়া , দিল্লির সুলতান থেকে বিভিন্ন প্রান্তিক রাজ্য বহুকাল ধরে গুজরাটকে আক্রমণের দিশা করেন ও গুজরাটের ওপর ধ্বংসলীলা চালিয়ে যান । পাটন সেই গুজরাটের রাজধানী হ‌ওয়ায় সেখানে চালুক্য/সোলাঙ্কি রাজারা তাদের ধর্মীয় স্থাপত্যের মন্দিরগুলি পাটন,মোদেরা ও মেহেসনাতে করেছিল ,সবটাই ২০/২৫ কিঃমিঃর ভেতরে। গুজরাট নিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি কাটাকাটি সুলতান ও তাদের আমির ওমরাহ ও স্থানীয় শাসকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলে ছিল সেই ইতিহাস সকলেই পড়েছেন । দীর্ঘ দিনের লড়াই চলে তার মধ্যে দু/তিন বার মুঘল সাম্রাজ্যে থেকে গুজরাট হাতছাড়া হয়ে যায় । কিছু বছর আগে এই পাটনে সরপঞ্চ নির্বাচন নিয়ে হিন্দু-মুশলিম রায়ট হয়েছিল , যদিও সেইসব ঘটনা যেন আর না হয় দেখতে হবে গুজরাট প্রশাসন ও সরকারকে । আমি ট্যুরিস্ট হিসেবে পাটনকে দেখতে চাই তার মলিনতা যেন আমার মন খারাপ করে না দেয় । পাটনের ২০১১-এর জনসংখ্যা ১,৩৩,৭৪৪ । হিউয়েন সাঙ গুজরাটের বহু স্থানের গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করেছেন কিন্তু তখন পাটন ছিলনা । আইহোল লিপি থেকে জানতে পারি নর্মদা থেকে কাবেরী পর্যন্ত চালুক্য রাজত্বের সীমান্ত ছিল । ৭৪৫ AD তে চালুক্য / সোলাঙ্কি রাজত্বের প্রতিষ্ঠা করেন বনরাজ চাওডা । উত্তর মহারাষ্ট্র ও বিদর্ভে বাকাটদের পতনের পর সোলাঙ্কি রাজত্ব দুর্ভেদ্য করতে তাঁরা ( ৯৪০ CE থেকে ১১২২ CE) তারা পাওয়াগড়ে দূর্গ নির্মান করেন । ১৫ সেঞ্চুরিতে মহম্মদ বেগাদা পাওয়াগড়‌ও দখল করে ধ্বংস করে দেন। বর্তমানে ভদোদরা থেকে ট্যুর নিয়ে রোপ‌ওয়ে করে পাওয়াগড়ের ধ্বংসাবশেষ দেখে নেওয়া 
যায় । পাটন হলো মাউন্ট আবু ও আমেদাবাদের মাঝে পড়ে । পাটনের পথে পড়ে হিন্দু মন্দির স্থানীয় মদেরা গ্রাম ( এটিও ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের অন্তর্ভুক্ত) । মদেরায় জানুয়ারি মাসে তিন দিনের ক্ল্যাসিক্যাল ড্যান্সের ফেস্টিভ্যাল 
হয় । মদেরার মন্দিরটি ভারতের দ্বিতীয় 
সূর্য মন্দিরের তকমা পেয়েছে ও ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটে স্থান পেয়েছে মন্দির তৈরি করেন সোলাঙ্কি/ চালুক্য রাজা ভীম-১ । মোদেরার কাছেই আছে আর এক 
সূর্য মন্দির ও রাজপ্রাসাদ পুষ্পবতী নদীর তীরে মেহেসনাতে । মেহেসনার চামুণ্ডা মন্দির বিখ্যাত মূর্তি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের অন্তর্ভুক্ত । তৈরি করেন Mehsaji । মোদেরার সূর্য মন্দিরের সঙ্গে আছে
সমবেত হল, সূর্য কুন্ড ও মন্দির এবং এইসব
ভগ্নাংশ নিয়ে একটি দুর্লভ মিউজিয়াম । সুন্দর বাগান আছে সবকটি হেরিটেজের সঙ্গে এগুলির সৌন্দর্য বৃদ্ধি হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর মুখ্যমন্ত্রীত্ব কালে । সোলাঙ্কিরা ৮০০ বছর আগে সৌরাষ্ট্র থেকে যে তাঁত শিল্পীকে এনেছিলেন রানীর শাড়ি তৈরির জন্য তারা পাটনে থেকে গেছেন। এঁদের শাড়ির নাম হলো পাটোলা । এঁদের পদবী থেকে শাড়ির নাম । ক্রমে ৭০০ বংশধর মিলে সারা 
বিশ্বের বাজারে পাটোলা শাড়ি পাঠানো 
ছিল এদের পারিবারিক ব্যবসা । চীন 
থেকে আফগানিস্তান হয়ে সিল্ক সুতো আসতো পাটনে । প্রথম দিকে এরা নিজের মেয়েকে এই শাড়ি তৈরির ব্যাকরণ শেখাতো না । পরে তা আটকানো যায়নি । এখন এঁদের পরিবারের ধন দৌলতের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা ও অন্যান্য ব্যবসায় বাড়বাড়ন্তে এরা সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে । যার ফলে এখন একটা পরিবার এই বিদ্যা ধরে রেখেছে পাটনে । যে শাড়ির মিনিমাম দাম এক লাখ থেকে সাত/ আট লাখ । পাটনে ডুপ্লিকেট ছাপ মেরে পাটোলা বিক্রি হয় তার দাম‌ও ১০.০০০/- হাজার । কিন্তু সেগুলি পাটোলা নয় এবং ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ভুক্ত নয় ।
পাটোলা শাড়ি বাজারে পাওয়া কোনোদিন যায় না । এঁদের কাছে অর্ডার দিতে হয় । রাজা ভীম -২( পিতাপুত্র মিলে ১০২২-১০৬৪) হঠাৎ মারা যেতে রানী 
উদয়মতী এই নান্দনিক আশ্চর্য এবং বিস্ময়কর স্টেপ ওয়েল বা ধাপ কুয়োটি তৈরি করেন কিন্তু তিনি সমস্তটা দেখে যেতে পারেননি । মূলারাজা ও খেমরাজা দুই বংশধর রেখে যান । Rani Ki Vav সরস্বতী নদীর তীরে ( ১১ সেঞ্চুরিতে তৈরি)
বর্তমান ১০০ টাকার ল্যাভেন্ডার কালার ব্যাঙ্ক নোটের উল্টোদিকে রানী কি ভাওয়ের মোটিফ মুদ্রিত হ‌ওয়ায় গুজরাটের ঐতিহাসিক মূল্যকে ভারত সরকারের এক বিরল স্বীকৃতি হিসেবে দেখছে গুজরাটিরা । ৬৬ মিটার চওড়া ও ১৪২ মিটার লম্বা এটি সাত তলা বিশিষ্ট সিঁড়ি দিয়ে নীচে নেমে গেছে ( এখনকার মাপে ১০/১২
তলা নীচে নামতে হবে) তবে বিভিন্ন সময়ে পাটনে দেশী-বিদেশী সুলতানদের আক্রমণে রানী কি ভাওয়ের উপরের অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে । হিন্দু ধর্মের দেবতা ও অপ্সরা মূর্তি দিয়ে সুনিপুণ ভাবে বালি পাথরে খোদাই করা এই তালাও বা পুকুর । ২০১৪ ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের ও ২০১৬ ভারতের শ্রেষ্ঠ পরিচ্ছন্নতা পুরস্কার পায় এই সৌন্দর্য 
স্থাপত্য স্থল। দুর্গা কল্কি অবতার শ্রীকৃষ্ণ শ্রীরামের মূর্তি গুলি কথা বলছে যেন । অনুপম খোদাইকৃত কিছু ঝাফরিও আছে দেওয়াল বরাবর । নষ্ট ও ধ্বংসাবশেষের পরেও ৫০০ র বেশি মূল বড় মৌলিক ভাস্কর্য প্যানেল ও ১০০০ এর বেশি মিনিয়েচার ভাস্কর্য প্যানেল ছাড়াও থাম , সিলিং, জাফরি দেওয়ালে ধর্মীয় মোটিফে ভারতীয় ধর্মীয় মাইথোলজির বিকাশ ঘটেছে । 
আছে যোগিনী, নাগকন্যা, সোলহা-সিঙ্গার বিশিষ্ট স্টাইল , বিষ্ণুর দশাবতার। মোট ১৬ রকমের স্টাইল ও ফেসিয়ালের দেখা মেলে এখানে ।  একেবারে শেষে সত্যিকারের একটি কুয়ো সংশ্লিষ্ট হয়েছে যার উপরের অংশের চার দিক ঘেরা সেখানে পোড়া ইঁট লক্ষনীয় । উপরের দিকে কিছুটা একদিকে  খোলা ট্যাঙ্কটি উপর থেকে ক্যামেরা দিয়ে দেখতে হয় ঝুঁকে দেখা যায় না এবং ওই পর্যন্ত সামনে দিয়ে যাওয়া বন্ধ আছে। সেখানে জল আছে । ৯. ৫ /১০ মিটার 
গোল আকৃতির ও ডিপ ২৩ থেকে ২৭মিটার। এন্সিয়েন্ট রাজস্থানী শিল্প রীতিতে এই আয়তাকার পুকুরের স্থাপত্য রূপ পেয়েছে । এই ধরনের ধাপ পুকুরের মধ্যে পৃথিবীর মধ্যে এটি সর্বশ্রেষ্ঠ । একে ১১ সেঞ্চুরির ওয়ান্ডার্স বলা হয়েছে । ৫০/৬০ বছর আগেও এখানকার জলে জন্মানো জড়িবুটি থেকে ভাইরাল রোগ সেরে যাওয়ার বহু প্রমাণ আছে । কিন্তু রানী কি ভাউ এখন সর্বশ্রেষ্ঠ পরিচ্ছন্ন স্থান হয়েছে তাই এর বাইরে হয়েছে সুন্দর মনোরম মনোমুগ্ধকর বাগান , উটিও হার মানবে । গাড়ি পার্কিং ঠান্ডা ফিল্টার করা পানীয় জলের ব্যবস্থা । রানী কি ভাও কে ঝকঝকে তকতকে করা হয়েছে । জায়গার মাপ ১১.৬ একর । 
বাফার জোন ৩১০.০ একর । এর সমস্তটায় আজ আর যেতে দেওয়া হয়না স্যুইসাইড করা ও স্থাপত্য নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ভয়ে । ভেতরে একটি ট্যানেল ছিল যেটি এখন বুজিয়ে ফেলা হয়েছে পাথর ও কাদা দিয়ে নিরাপত্তার জন্য । ঐতিহাসিকরা মনে করেন আক্রমণ হলে রাজার সৈন্য সামন্ত নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার রাস্তা করা ছিল কেউ বলেন বর্ষায় জল আনার জন্য। তবে রাজ্যের নিরাপত্তার জন্য‌ও একে ব্যবহার করার ততটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ মত পাওয়া
যায় । এটি ৬৪ মিটার লম্বা ও ২০ মিটার প্রশস্ত ছিল । করিডোর হিসেবেই এটি ব্যবহার হতো মনে হয় । ট্যানেলটি পাটনের একটি গ্রাম সিদপুর পর্যন্ত গিয়ে মিশেছে । এই রানী কি ভাওতে সিঁড়ি ভেঙে
নামলে ঠান্ডা বাতাস অনুভব করবেন । কোনো রানী তার ভালোবাসার জন্য কোনো রাজার জন্য এমন করেছেন এ নিদর্শন নেই ( পাটনের রাজা ভীমের অকাল
মৃত্যুর পর এমন নিরিবিলি সৌধ নির্মাণ 
করেন । অনেকে বলেন বিধবা রানী এই নিরিবিলি পুকুরে এসে রাজা ভীমের জন্য দুঃখ ভাসাতেই এরকমটা করেছিলেন সেখানে ধর্মীয় মোটিফে তিনি বুকের কষ্ট দেবতার কাছে অর্পণ করতেন কিন্তু এই স্থাপত্য শেষ হ‌ওয়ার আগেই রাণি মারা 
যান । যেহেতু এটি ভূমিকম্পের প্রন এরিয়া তাই এর স্ট্রাকচার  মাঝে মাঝেই পরীক্ষা করা হয় । ভুজের ভূমিকম্পের সময় খুব একটা এর ক্ষতি হয়নি যতটা হয়েছে বিভিন্ন আক্রমণে এখানকার ক্ষতি হয় । 
অনেকেই মনে করেন পাটনে এতবার আক্রমণ হ‌ওয়া সত্বেও রানী কি ভাওয়ের উপরের অংশ ছাড়া কিছু মাত্র ক্ষতি করতে পারেনি আক্রমণকারীরা । রাজা কর্ণ এই কাজটি শেষ করেন । copyright ©® Alok Kumar Kundu (আসল লেখাটি আমার ব্লগে আছে নেট সার্চ করুন)

প্রয়াত তরুণ মজুমদার--অলোক কুন্ডু

#তরুণ_মজুমদার_চলেগেলেন অধিকার এই শিরোনামে--কয়লাখনির শ্রমিকদের জন্য ডকুমেন্টারি বানিয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত পরিচালক তরুণ মজুমদার। ছিলেন আজীবন বাম...